শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়ার ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’ থেকে নির্বাচিত প্রশ্নোত্তর
১. শিয়াদের সম্পর্কে ইবন তাইমিয়ার মূল্যায়ন কী?
তারা চরম বিদআত ও অত্যাচারের অনুসারী, সাহাবিদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ এবং কাফির-মুনাফিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
২. তারা কি ইহুদিদের সহযোগী?
হ্যাঁ, তারা ইহুদিদের সহযোগী হওয়ায় পরিচিত।
৩. তাদের দাবি অনুযায়ী কারা আল্লাহর ওলী?
নিজেদের ইমামদেরকে আল্লাহর ওলী হিসেবে দাবী করে।
৪. “রাফেযী” উপাধি কখন এবং কেন দেওয়া হয়?
তারা ইমাম যায়দ ইবন আলীকে প্রত্যাখ্যান করলে তিনি তাদের রাফেযী বলেন।
৫. তারা সাহাবীদের মধ্যে কাদের অভিশাপ দেয়?
অধিকাংশ সাহাবীকে, বিশেষ করে প্রথম দশজন মুজতাহিদ সাহাবীকে।
৬. তাদের মধ্যে মিথ্যাচার ও অপবাদের প্রমাণ কতটা বেশি?
তারা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে তাদের মতবাদ দাঁড় করিয়েছে।
৭. তারা কি “তাকিয়্যাহ্” নামক মিথ্যার ধারক?
হ্যাঁ, তারা তাকিয়্যাহ্ নাম দিয়ে মিথ্যাচারকে ধর্মীয় বিধান বানিয়েছে।
৮. মুসলিম শাসকদের সম্পর্কে তাদের মনোভাব কী?
তারা মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করে এবং কাফিরদের প্রতি সহানুভূতি দেখায়।
৯. তারা তাদের ইমামদের সম্পর্কে কী বিশ্বাস করে?
ইমামদেরকে আল্লাহর সমমর্যাদা প্রদান করে এবং তাদের সাহায্য কামনা করে।
১০. তারা কি কবরপূজারী?
হ্যাঁ, তারা কবরকে তীর্থস্থান বানিয়ে ফেলে।
১১. আহলে বাইতের নামে তারা কী করে?
তাদের নামে অনেক মিথ্যা প্রচার করে, যা আহলে বাইতের ইমামগণ নিজে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১২. তারা কোথায় বেশি পাওয়া যায়?
মুনাফিক, জাহেল ও ধর্মত্যাগীদের মাঝে বেশি পাওয়া যায়।
১৩. হুসাইনের শাহাদাতের পর তাদের ভূমিকা কী ছিল?
তারা হুসাইনের সঙ্গ ত্যাগ করে তাকে সাহায্য করেনি বরং প্রতারণা করেছে।
১৪. তারা কি আহলে বাইতের ঐক্যমতের বিরোধিতা করে?
হ্যাঁ, সাহাবী ও আহলে বাইতের ঐক্যমতের বিরোধিতা করে।
১৫. তারা আলী (রাঃ)-কে কতটা ভালোবাসে?
মুখে ভালোবাসা দাবি করলেও কার্যত অপমান করে।
১৬. আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে তাদের অবস্থান কী?
অপবাদ দেয়, যা কুরআন দ্বারা খণ্ডিত।
১৭. তাদের মতবাদ বর্জনকারীরা কারা?
যারা সত্যের অনুসারী এবং মুসলিমদের সহায়।
১৮. তারা সাহাবীদের ইবলিসের চেয়েও নিকৃষ্ট মনে করে?
এটা স্পষ্ট কুফরি মতবাদ।
১৯. তারা ইমাম জাফর সাদিকের নামে মিথ্যা প্রচার করে?
হ্যাঁ, তিনি নিজে এসব মিথ্যার বিরোধিতা করেছেন।
২০. তারা কবিতা ও শ্লোক দিয়ে কী করে?
কবিতার মাধ্যমে সুন্নাহ থেকে বিরোধিতা করে বিদআত প্রচার করে।
২১. তারা কীভাবে বিদআতকে প্রসার করে?
কুফরি কবিতা ও মিথ্যা ঘটনাবলির মাধ্যমে।
২২. তারা আয়েশা (রাঃ)-এর উপর অপবাদ দেয়ার মাধ্যমে কী উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়?
রাসূলের রিসালাতকে অস্বীকার করানো।
২৩. তারা কাকে কাকে তাদের নেতা হিসেবে মানে?
এমন নেতাদের যারা ইসলামের শত্রু এবং আহলে সুন্নাহর বিরোধী।
২৪. তাদের ইমামরা অনুসারীদের কী নির্দেশ দেয়?
আল্লাহর সাথে শিরক করতে এবং তাওহীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে।
২৫. তারা কি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়?
হ্যাঁ, এবং সেটা তারা ধর্মীয়ভাবে বৈধ মনে করে।
২৬. তাদের মূলনীতি কি আহলে বাইত স্বীকার করে?
না, আহলে বাইতের ইমামগণ তাদের নীতির বিরোধিতা করেছেন।
২৭. তারা জাফর সাদিকের উপর মিথ্যারোপ করে?
হ্যাঁ, তাঁর নামে অনেক কিছু মনগড়া কথা বলে।
২৮. তারা হুসাইনের বংশধরদের নিয়ে মিথ্যা দাবী করে?
হ্যাঁ, নিজেদের হুসাইনের বংশধর দাবি করে।
২৯. তারা ধর্মীয় বিষয়ে কী প্রকার দলীল ব্যবহার করে?
মিথ্যা কবিতা ও শ্লোক।
৩০. তারা কবিতার মাধ্যমে সুন্নাহর বিরোধিতা করে?
হ্যাঁ, তারা কবিতার মাধ্যমে বিদআতকে তুলে ধরে।
৩১. তাদের মতবাদে কারা একত্রিত?
জাহমিয়্যাহ, কাদারিয়্যাহ ও রাফেযীদের মিলিত মতবাদ।
৩২. তাদের মধ্যে দ্বিমত ও বৈপরীত্ব কতটা?
প্রচুর। মুখে এক কথা আর কাজে আরেক।
৩৩. তারা কি আলী (রাঃ)-কে যথাযথভাবে ভালোবাসে?
না, তারা মুখে ভালোবাসে দাবি করলেও কাজে অপমান করে।
৩৪. তারা আয়েশা (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে কী অপবাদ দেয়?
অপবিত্রতা ও অবমাননার অপবাদ দেয়।
৩৫. তাদের এই কাজ রাসূল (সাঃ)-কে অপমানের শামিল কি না?
অবশ্যই, এটি রাসূলকে অপমান করার শামিল।
৩৬. তারা কারা যারা রাফেযী মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে?
প্রকৃত মুসলিম ও সুন্নাহর অনুসারীরা।
৩৭. তারা আলী (রাঃ)-কে কীভাবে বিশেষায়িত করে?
কখনো অতিরঞ্জন, কখনো অপমানের মাধ্যমে।
৩৮. তারা সাহাবীদের ইবলিসের থেকেও নিকৃষ্ট মনে করে কেন?
বিদ্বেষ ও মিথ্যার ভিত্তিতে।
৩৯. তাদের ইমামদের সম্পর্কে কী ধারণা করা হয়?
তারা নিজেরাই তাদের ইমামদের নিয়ে অপব্যাখ্যা করে।
৪০. আবু জাফর আল- বাকির ও জাফর সাদিক সম্পর্কে মতামত কী?
তারা ইসলামি ইমাম, শিয়া কল্পনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা মিথ্যা।
৪১. আহলে সুন্নাহর দৃষ্টিতে আলী (রাঃ) সম্পর্কে মূল্যায়ন কী?
মহান খলিফা, রাশিদুন ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের একজন।
৪২. তারা ওমর (রাঃ)-কে কী নামে ডাকে?
‘ফিরআউন’ বলে।
৪৩. আলী (রাঃ)-এর দৃষ্টিতে আবু বকর ও ওমর (রাঃ)-এর মর্যাদা কী?
শ্রদ্ধা ও ভালবাসা, তাদের বৈধতা তিনি স্বীকার করেছেন।

Leave A Comment