🎙 আবৃতির স্ক্রিপ্ট

শিরোনাম: সম্পর্কের বিষাদ রঙে : অনুভূতির গল্প

(পটভূমি : দুই বন্ধু, অথবা দুজন কাছের মানুষ- একজন তার অভিজ্ঞতা বলছে, আরেকজন শুনছে, মাঝেমাঝে প্রশ্ন করছে। একেবারে আবৃতির ঢঙে)

🎙️ আমি:
তুমি জানো… জীবনে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়… যা বাইরে থেকে খুব সাধারণ লাগে।
কিন্তু ভেতরে রেখে যায়… অসংখ্য না বলা অনুভূতি।

🎙️ সে:
আরে, বলো তো? কী হলো আবার?

🎙️ আমি:
হুমম… ঘটনা খুব ছোট।
একজন মানুষ… যাকে আমরা সম্মান করি… মায়া করি… তাকে তার জন্মদিনে খুব আন্তরিক, মায়াময় শুভেচ্ছা জানালাম।

🎙️ সে:
ওরে! তাহলে তো নিশ্চয়ই খুশি হয়েছিলো, তাই না?

🎙️ আমি:
(হাসি মিশ্রিত দীর্ঘশ্বাস)
চিন্তা করো তো… শুভেচ্ছাটা শুধু ফরমাল ছিলো না।
ছিল কিছু না বলা কথা। শ্রদ্ধা… ভালোবাসা… আর এক টুকরো নিঃশব্দ প্রার্থনা।

🎙️ সে:
কি লিখেছিলে শুনি তো?

🎙️ আমি:
আমি লিখেছিলাম,
জীবনের ব্যস্ত সময়ের ভিড়েও কিছু মানুষ থাকেযাদের জন্য নিঃশব্দ প্রার্থনা রয়ে যায়যাদের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া আর এক অদ্ভুত আবেগ মনে জাগে।

🎙️ সে:
ওফফ… দারুণ তো! তারপর?

🎙️ আমি:
ঘণ্টাখানেক পর… একটা রিপ্লাই এলো…

🎙️ সে:
কি লিখেছে?

🎙️ আমি:
“Thanks”

অডিও : বিশ্লেষণ

🎙️ সে:
(স্তব্ধ হয়ে)
এই… এই শুধু?

🎙️ আমি:
হ্যাঁ…
কোনো আবেগ নেই… কোনো অনুভূতির সাড়া নেই… যেন একগাদা ঠাণ্ডা বাতাস…
না আছে উষ্ণতা… না আছে কিছু।

🎙️ সে:
তোর কেমন লেগেছিলো?

🎙️ আমি:
প্রথমে খুব খারাপ লেগেছিলো…
মনে হলো, এতো আন্তরিক একটা শুভেচ্ছার জবাবে এত ঠাণ্ডা রিপ্লাই!

🎙️ সে:
আরে না না… হতে পারে তো, হয়তো ব্যস্ত ছিলো।

🎙️ আমি:
হ্যাঁ… প্রথমে আমিও তাই ভেবেছিলাম।
অনেকেই তো ব্যস্ত থাকে।
অনেকে বুঝতে পারে না… কিভাবে উত্তর দিতে হয়।

🎙️ সে:
আচ্ছা… পরে কিছু বললো না?

🎙️ আমি:
না… আর কিছু না।
শুধু সেই একটা Thanks।

🎙️ সে:
(আহত কণ্ঠে)
বুঝলাম… তোদের জায়গাটা বুঝতেই পারলো না।

🎙️ আমি:
তখনই বুঝলাম… অনেক সম্পর্ক একপাক্ষিক হয়।
তুমি যত আবেগ দাও… সে হয়তো ততটা নেয় না।
বা নিতে জানে না।

🎙️ সে:
আরে, তুই তো এতো সুন্দর করে লিখেছিলি…

🎙️ আমি:
(মৃদু হাসি)
সব অনুভূতির দাম সবাই দিতে পারে না রে।
অনেকে শুধু Thanks দিয়েই নিজের Safe Zone-এ থাকতে চায়।

🎙️ সে:
কিন্তু জানিস… আমাদেরও তো একটা আত্মসম্মান আছে।

🎙️ আমি:
এই জায়গাটাতেই আসতে চাই।
সব অনুভূতি সবার জন্য না।
সব আবেগ সবার কাছে পৌঁছায় না।

🎙️ সে:
তাহলে কি করা উচিত?

🎙️ আমি:
নিজের মূল্য নিজেকেই দিতে হবে।
দুইদিন পর আবার একটা Casual কথাবার্তা চালু করতে পারিস।
দেখবি রেসপন্স কেমন আসে।

🎙️ সে:
আর যদি তখনো এমন Thanks টাইপ রিপ্লাই দেয়?

🎙️ আমি:
তাহলে বুঝে নিবি… এ পথ একপাক্ষিক।
এ পথের শেষ নেই।

🎙️ সে:
তখন তো মন খারাপ করবে!

🎙️ আমি:
মন তো খারাপ হবেই।
কিন্তু তখন বুঝতে হবে… আমাদের আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা… এই মনটা ঠিক আছে।
প্রমাণ করার কিছু নেই।
যে বুঝবে, সে-ই থাকবে।

🎙️ সে:
তাহলে তোকে একটা কথা বলি?

🎙️ আমি:
বলো…

🎙️ সে:
ভালোবাসা হোক… সম্পর্ক হোক… আত্মসম্মান ছাড়া কোনো কিছু টেকে না।
একপাক্ষিক আবেগ… শেষ পর্যন্ত শুধু কষ্ট দেয়।

🎙️ আমি:
(আলতো হাসি)
ঠিক বলেছিস…
তাইতো শিক্ষা নিয়েছি…
অন্যের রেসপন্সের উপর নিজের মনের অবস্থা নির্ভর করবে না।
আমরা আমাদের মতো করেই সুন্দর থাকব।

🎙️ সে:
আর শোন… মনে রাখিস…
“কিছু অনুভূতি বলা যায় না… বলা ঠিকও না… তবে সময় ঠিকই বুঝিয়ে দেয়, কে কার কতটা আপন।”

🎙️ আমি:
(চোখ ভেজা কণ্ঠে)
এই কথাটার জন্য তোকে একটা আলিঙ্গন দিতাম রে…

🎙️ সে:
আলিঙ্গন থাকলো… দূর থেকে।

🎙️ আমি:
ভালো থাকিস রে… আমাদের মতো অনুভব করা মানুষরা হারিয়ে যাচ্ছে… তুই থাকিস পাশে।

🎙️ সে:
সবসময়… সব অনুভূতির পাশে…

🎙শেষ লাইন :

দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে
তুমি কি কখনো এমনটা অনুভব করেছো?
কমেন্টে জানিও