Affiliate

Table of Contents

স্বাবলম্বী হতে কীভাবে শুরু করবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ?

কীভাবে শুরু করবো? আজ এই ব্যাপারটা বিস্তারিত আলোচনা করবো। যেকোন কাজই সঠিকভাবে শুরু করতে না পারলে ভালো করা যায় না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -এ কীভাবে কাজ শুরু করবেন, আপনার কী কী যোগ্যতা লাগবে, কোথায় থেকে শুরু করবেন এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, সুতরাং লেখাটা একটু বড় হবে, সুযোগ থাকলে, এক কাপ কফি নিয়ে আসেন, আয়েশ করে কফি খেতে খেতে ভালো ভাবে পড়তে পারবেন।

স্বাবলম্বী হতে ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে নিন ? 

আমরা মার্কেটিং কী তা কম বেশি সবাই জানি। মার্কেটিং হচ্ছে বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে গার্লফ্রেন্ড -এর জন্য ঈদ -এ নতুন জামা ও জুতা কেনা। তাই না ? আসলে কিন্তু না; আসলে মার্কেটিং হচ্ছে- যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস -এর প্রমোশন করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য -এর ক্রেতা তৈরি করা।

এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন -এ করবেন সেটা হবে “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিলটা নিজের কোন প্রাডাক্ট অথবা সার্ভিস -এর বিক্রয় ও প্রমোশন এর জন্য ব্যবহার করবেন, তখন সেটা হবে “ইন্টারনেট মার্কেটিং”।

আর আপনি যখন স্বাবলম্বী হতে গিয়ে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি ইচ্ছে করলে ইউটিউব থেকে এ সম্পর্কিত ভিডিও দেখে নিতে পারেন, নিচে ভিডিওর লিংক দেওয়া আছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী এসম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইণ্টারনেট মার্কেটিং- এ আগ্রহীদের জন্য কিছু টিপস্।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি আপনার জন্য ?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো একটি ক্যারিয়ার হবে কি-না তা এখনই জানা যাবে। নিচের লেখাগুলো থেকে সব গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য। আশা করা যায় আপনি যথেষ্ট স্বাবলম্বী হতে পারবেন। একটিও যদি না মিলে, যত দিন আপনি ঐ বিষয়টি মিলাতে না পারবেন, ভালো মার্কেটার হতে ঐ একটি বাঁধা আপনার থেকেই যাবে।

* আমার কম্পিউটারটি আমার মন মতো, এই কম্পিউটার -এ কাজ করে আমি আনন্দ পাই।

* আমার ইন্টারনেট লাইন/কানেকশনটি আনলিমিটেড আর আমি সহজেই ইউটিউব -এ আটকানো ছাড়া ভিডিও দেখতে পারি।

* আমার একটি প্রিন্টার আছে

* আমার কাজের জন্য আলাদা একটি জায়গা আছে, আর কাজের সময় আমাকে কেও ডিস্টার্ব করে না।

* আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি, আর স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি নিরলস পরিশ্রম করতে রাজী আছি।

* আমার ইংরেজি জ্ঞান খুবই ভালো, আমি যা শুনি সহজেই বুঝি, আর আমি কোন সমস্যা ছাড়িই ইংরেজি লিখতে পারি।

* নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে, গবেষণা করতে আমার ভালো লাগে।

* খুব সূক্ষ্ম ভুলও আমার চোখ এড়ায়না, যা করি একদম ভালোমত করি।

* বন্ধু, আড্ডা, খেলা,  বেড়ানো সব কিছুর চাইতে বেশি আমি আমার ক্যারিয়ারকে মূল্য দেই।

* আমি কখনই হার মানি না- মানতে চাইনা, একটি কাজ শুরু করলে সেটা শেষ করেই ছাড়ি- শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার নিস্তার নাই।

* আমি প্রতিদিন গড়ে অন্ততঃ ৩ ঘণ্টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -এ কাজ করতে পারব।

* আমার হাতে ২০-২৫ হাজার টাকা আছে, যেটা শিখার সময় লস হলে কোন অসুবিধা নাই।

* অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -এ এখনই ইনকাম করার চাইতে, শেখাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

* মানুষের মন মানসিকতা ও চিন্তাধারা (Customer Physiology) সম্পর্ক জানতে ভালো লাগে।

* যেকোনো কিছু সম্পর্কে আমি বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করতে পারি গুগল থেকে।

* আমার মধ্যে লোভ খুব একটা কাজ করে না। তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়াতে আমি বিশ্বাসী নই।

* আমি জানি আমি পারব, আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, সামনের বছর এই সময় আমি একজন সফল মার্কেটার হয়ে দেখাব।

সবগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল আপনি হবেন-ই হবেন, ইনশা আল্লাহ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনার ৩ টি টপিক জানা লাগবে, যা আপনাকে স্বাবলম্বী করতে যথাযথ সহযোগিতা করবে-

১। নিশ কী ?

নিশকে সহজ ভাষায় বলা যায় “ইন্ডাস্ট্রি”। মার্কেটে গেলে যেমন দেখা যায়- কাপড়ের দোকান, খাওয়ার দোকান, জিম, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। আপনি জানেন ইন্টারনেটেও রয়েছে ফুড এর ওয়েবসাইট, ড্রেস এর ওয়েবসাইট, বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্টস ইত্যাদি। এখন খাওয়ার দোকান যেমন হচ্ছে “ফুড ইন্ডাস্ট্রি” এর মধ্যে, একইরকম “ফুড এর ওয়েবসাইট” হচ্ছে “ফুড নিশ” -এ। অফলাইন এ ইন্ডাস্ট্রি আর অনলাইন এর ভাষায় “নিশ”। নিশকে ইন্টারনেট -এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও প্রোডাক্ট এর ক্যাটাগরিও বলা চলে। যেমন- “Career & Jobs” এই ক্যাটাগরিতে পড়বে যত রকম জব ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক ওয়েবসাইট, প্রোডাক্টস, সার্ভিস।

আপনি যদি কোন ক্যারিয়ার  রিলেটেড প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করতে চান- উদাহারণ স্বরূপ বলা যায় oDesk যদি প্রোমট করেন, তাহলে আপনার নিশ হচ্ছে “Career & Jobs”. উল্লেখ্য অনেকেই হয়তো ভাববেন- oDesk হবে Freelancing ক্যাটাগরি / নিশ -এ। হ্যাঁ, এইটা সত্য, oDesk আসলেই “Freelancing/Outsourcing” নিশ এ, কিন্তু একই সাথে আবার “Career & Jobs” -এও। একটু পেঁচানো মনে হচ্ছে? হওয়াটাই স্বাভাবিক! নিশ এর মধ্যে একটি বিষয় আছে- সেটা হচ্ছে “সাব-নিশ”।

এখানে oDesk যদি প্রোডাক্ট হয় তাহলে এটির নিশ হবে – Career & Jobs > Freelancing/Outsourcing. অর্থাৎ প্রধান নিশ হচ্ছে “Career & Jobs” আর সাব নিশ হচ্ছে “Freelancing/Outsourcing”। আরও কিছু উদাহরণ দে’য়া যায় যেমন – Food & Cooking > Recopies অথবা Sports > Football > Shoes। আপনি একটি প্রধান নিশ -এর যত ভিতরে যাবেন ( সাব নিশ ) আপনার জন্য তত সহজ হবে কাজ শুরু করা।

২। কীভাবে ও কোথায় আপনার পছন্দের নিশ থেকে ভালো মানের কমিশন ভিত্তিক প্রোডাক্ট পাবেন প্রমোশনের জন্য ?

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দ মত প্রোডাক্ট পাবেন আপনার পছন্দের নিশ এ। আপনি গুগলে একটু সার্চ করলেই অন্ততঃ ৫০টি ভালো মানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস পাবেন। তবে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে ClickBank, বাংলাদেশ থেকে কীভাবে ক্লিকব্যাংক এ কাজ করবেন তা এ সম্পর্কিত যেকোন একটি ভিডিও দেখলিই শিখতে বা বুঝতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি শুরু করতে পারেন Jvzoo এ, অথবা LinkShare এ। মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট ওপেন করা, কাজ শুরু করা কোন ব্যাপারই না, YouTube এ খুঁজলেই অনেক ভিডিও পাবেন।  আর আপনি যদি ClickSure  এ কাজ শুরু করতে চান, তাও করতে পারেন, তবে আমার মতে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালো হচ্ছে ClickBank. আপনি এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার মন মত প্রোডাক্ট পাবেন।

৩। কীভাবে সেই প্রোডাক্টটি অনলাইন -এ মার্কেটিং  করে কমিশন আয় করে স্বাবলম্বী হবেন ?

এই ছোট্ট প্রশ্নটির সঠিক উত্তর আমি আজ প্রায় ১০ বছর যাবত শিখছি, এখনও মনে হয় কিছুই শিখতে পারিনি। আমি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বলব আর কিছু আইডিয়া দিবো যেন আপনি গুগল ও Youtube থেকে নিজ গুণে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। পণ্যটি আপনি ২ ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। এক হচ্ছে ডিরেক্ট মার্কেটিং, অর্থাৎ সরাসরি কাস্টমারদের প্রোডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দিয়ে।

আর দ্বিতীয় হচ্ছে একটি সেলস ফানেল করে কাস্টমারদের কন্টাক্ট ইনফো নিয়ে, ওদের প্রোডাক্ট -এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানিয়ে এরপর প্রোডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে। ২ টি মেথড-ই আমি একটু পরে আলোচনা করবো, তবে যে মেথডেই কাজ করেন- আপনার তিনটি বিষয় জানা লাগবেই তা হল-

১। কাস্টমার চেনা (Traffic Targeting)

২। তাদের প্রোডাক্ট পেইজ -এ নিয়ে আসা (Drive Traffic)

৩। কনভারসন টেকনিক।

আর বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ সফল স্বাবলম্বী মার্কেটার সেলস ফানেল এর মাধ্যমে মার্কেটিং এ কাজ করে, আর আমি চাই আপনিও সেলস ফানেল করে কাজ করুন, তবে এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সেলস ফানেল কী ও কীভাবে তৈরি করবেন, যেটা একটু পরই আলোচনা করবো।

কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন-

আপনি যদি ডিরেক্ট মার্কেটিং করতে চান, যেটা শর্টকাট অথবা যদি এমন ভাবেন যে আগে একটু চেষ্টা করে দেখি যদি কিছু নগদ “নারায়ণ” আসে তাহলে ভালোভাবে শুরু করবো, তাহলে কীভাবে শুরু করবেন বলার খুব একটা কিছু নাই। একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করেন, আর এর পর ট্রাফিক সেণ্ড করেন সেই প্রোডাক্ট পেইজ এ। আর যদি সত্যিকার মার্কেটার এর মত কাজ করতে চান, ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেলস ফানেল করে কাজ করুন। কীভাবে ও কোথায় থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন- এর জন্য নিচে স্টেপ বাই স্টেপ নোট করে দিচ্ছি-

১। প্রস্তুতি

যদি সফল হতে চান তাহলে প্রথমেই নিজের সাথে কমিটমেণ্ট করতে হবে- “যেকোন মূল্যেই হোক সফল হবোই”। সাধারণ মানুষ এর চাইতে কমিটেড মানুষদের সাফল্য অনেকগুণ বেশি। আর এই কমিটমেণ্টটি করতে হবে একদম মন থেকে, আপনাকে আপনি বলবেন- যেকোন মূল্যে আমি সফল হবোই। কমিটমেণ্ট করার পর একটি প্ল্যান করবেন- কবে থেকে কাজ শুরু করবেন, কত টাকা আপনার ইনভেস্টমেনণ্ট, দিনে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, কত ঘণ্টা কাজ শেখার জন্য দিবেন, কী কী ওয়েবসাইট ফলো করবেন ইত্যাদি। কাজ সম্পর্কিত সকল কিছু একটি প্ল্যান এর মধ্যে নিয়ে আসবেন, মনে মনে রাখলে পরে ভুলে যাবেন, তাই সব কিছু প্রথমেই প্ল্যান আকারে নোট করে নিন।

২। নিস সিলেকশন

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নিস সিলেকশন। আপনি যদি আপনার জন্য পারফেক্ট নিস সিলেক্ট না করতে পারেন, তাহলে সফলতার হার কাজ শুরু করার আগেই কমে যাবে! আমরা অনেকেই নিস সিলেকশন এর জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেই Keyword Research, Market Analysis ইত্যাদি জটিল সব বিষয়কে আর সহজ একটি বিষয় ভুলে যাই “আমার কী ভাল লাগে”। যেকোন কাজ এ সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, আর যদি আপনার টপিকটি আপনার পছন্দের না হয় তাহলে এর উপর প্রচুর পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব।

নিস সিলেকশন এর জন্য আমার বেক্তিগত মতামত হচ্ছে- মার্কেট রিসার্চ, কম্পিটিশন, কীওয়ার্ড ইত্যাদি বিষয় এর চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া লাগবে- আপনার কী ভালো লাগে, আপনি কী পারেন, আপনার দক্ষতা কোথায় তার উপর। উদাহারণ- আপনি হয়ত একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনার নেশা, পেশা, ভালোবাসা সব কোডিং আর ডিজাইনিং ঘিরে- কিন্তু সাইড ইনকাম এর আশায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ কাজ করার চেষ্টা করছেন “Make Money” তে !!!

আপনার উচিত আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ভালো লাগে এমন নিস সিলেক্ট করতে- উদাহারণ- আপনার ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনার জন্য ভাল হবে- থিম / প্লাগিন এর অ্যাফিলিয়েট করলে। সুতরাং আপনার পছন্দমতো একটি নিস সিলেক্ট করে নিন, যদি হেল্প লাগে এ ব্যাপারে কমেণ্টে জানাতে পারেন। আপনার কী ভালো লাগে, কী কাজ করেন আপনি- আমি সহযোগিতা করতে চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ।

৩। নিস অথরিটি

সবাই ক্লিক পায় আর কিছু মানুষ সেলস পায় -এর কারণটা আমরা বুঝতে পারিনা। আমরা বেশিরভাগই যেকোন একটা নিস সিলেক্ট করে “ক্লিক আনার” যুদ্ধে নেমে পড়ি! আপনার মার্কেট থেকে সেলস নিতে হলে ওই মার্কেট -এ আপনার অথরিটি থাকা লাগবে, আপনার ওই নিস সম্পর্কে দক্ষতা লাগবে, আর এই দক্ষতাই আপনাকে হেল্প করবে ভালো মানের কণ্টেণ্ট তৈরি করতে, এ্যাড লিখতে- পাবলিশ করতে, ল্যাণ্ডিং পেইজ বানাতে, ফলোআপ করতে।

নিস সিলেক্ট করার পর অন্তত ১৪ দিন ( ২ সপ্তাহ ) সময় দিন নিস অথরিটি পাওয়ার জন্য। কিভাবে পাবেন বলছি- যদি আপনার নিস হয় “Weight Loss” তাহলে আপনি প্রথমেই খুঁজে বের করবেন এর উপর ভাল মানের ৫-৬ টা ব্লগ। ভালো মানের আর্টিকেলগুলো সব প্রিন্ট করে নিন। এরপর পরীক্ষার সময় যেভাবে পড়ে নোট নিতেন ঠিক সেইভাবে আর্টিকেল গুলো পড়বেন, যা যা ভাল লাগবে নোট নিবেন। মার্কেট এ ভাল মানের কী কী প্রোডাক্ট আছে সবগুলোর সম্পূর্ণ সেলস ভিডিও দেখবেন, রিভিও পড়বেন, ব্লগ / ভিডিওতে কমেন্ট গুলো পড়বেন। সব মিলিয়ে আপনার ভাল ধারণা হবে, মার্কেট এ কী রকম প্রোডাক্ট আছে, মানুষ কীরকম প্রোডাক্ট চায়, তাদের কী সমস্যা, আর কোন প্রোডাক্ট এর কোন গুণাবলি সেই সমস্যা সমাধান এ কাজে দিবে।

এছাড়াও আপনি যখন আপনার নিস সম্পর্কে জানবেন- আপনার নিজের মধ্যে ভাল কনফিডেন্স কাজ করবে, প্রত্যেকটি কাজ সাবলীল ভাবে করতে পারবেন। অন্ততঃ ২ সপ্তাহ ভালোভাবে নিস সম্পর্কে পড়াশোনা করার পড় আপনি এরপরের ধাপ এ কাজ করবেন। আর কাজ শুরু করার পর প্রতিদিন অন্ততঃ ৩০ মিনিট সময় দিবেন নিস এ নতুন কিছু শিখার জন্য। ভালো হয় যখনই ভালো কোন আর্টিকেল দেখবেন সাথে সাথে প্রিন্ট করে রাখবেন, আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পড়বেন। আপনি আমার এই কথাটি সিরিয়াস নেন আর না নেন, এইটাই সত্যি- আপনি যদি আপনার নিস সম্পর্কে ভালো ভাবে না জানেন তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেননা, আর আপনি যদি প্রতিদিন আপনার নিস সম্পর্কে নতুন নতুন বিষয় না শিখেন তাহলে আপনার আয় বাড়বেনা।

আর একটা কাজ করবেন- যখন ভালো আর্টিকেল দেখেবেন, ভালো কোন এ্যাড দেখবেন- যা যা ভালো লাগে নোট করে রাখবেন পরে আপনার কাজে লাগবে। একটা ব্যপার মাথায় রাখেবন- আপনি যত কম/লো কম্পিটিশনের নিস-ই বের করেননা কেন- আপনি যদি না জানেন সেখানে ভালো করার সুযোগ নাই, আর আপনি যেই নিস ভালো জানেন সেখানে যতই কম্পিটিশন থাক আপনার ভালো করার সুযোগ আছে।

৪। মার্কেট সিলেকশন

নিস সিলেক্ট করার পড় সিলেক্ট করবেন মার্কেটপ্লেস। একসাথে অনেকগুলো মার্কেট এ কাজ করার চাইতে যেকোন একটাতে কাজ শুরু করা ভালো। এতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। অনেক মার্কেটপ্লেস আছে তবে শুরু করার জন্য ভালো হচ্ছে ClickBank অথবা Jvzoo.com. এছাড়া অন্যান্য কিছু মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ClickSure.com, ClickBetter.com, PayDot.com, VIPAffiliates.com, TwistDigital.com, LinkShare.com, Cj.com, Payspree.com ইত্যাদি। যেই মার্কেট প্লেস এ কাজ করবেন সেই মার্কেটপ্লেস এর অফিসিয়াল YouTube চ্যানেল -এ সে সম্পর্কিত অনেক টিপস / how to ভিডিও পাবেন ওগুলো দেখে নিলে অনেক উপকার পাবেন।

৫। প্রোডাক্ট সিলেকশন

মার্কেটপ্লেস ঠিক করার পর আপনি মার্কেট এর প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি থেকে আপনার পছন্দের নিস এর ক্যাটাগরিতে ঢুকে প্রোডাক্ট গুলো কাস্টমার হিসাবে দেখেন। আপনি যদি “নিস অথরিটি” এর জন্য ২ সপ্তাহ সময় দিয়ে থাকেন, তাহলে ১০-১৫ টা প্রোডাক্ট চেক করলে ১টি ভালো প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা আপনার জন্য কোন ব্যাপারনা। ভালো প্রোডাক্ট কখনও “সার্চ” ভলিউম এর উপর নির্ভর করেনা, ভালো প্রোডাক্ট এ “Clear benefit” থাকে, ভালো মানের সেলস পেইজ থাকে, ভালো সাপোর্ট থাকে এবং একই সাথে ভালো রিভিও থাকে। তাছাড়া আপনি Google ও YouTube এ “How to select/find a good/profitable product for affiliate marketing/promotion” লিখে সার্চ করলেও ভালো রিসোর্স পাবেন।

৬। সেলস ফানেল

প্রথমেই বলি সেলস ফানেল কী ? সেলস ফানেল মূলতঃ একটি “ফানেল” যার মাধ্যমে ট্রাফিককে ঘুরিয়ে আনলে সেলস এর প্রবাবিলিটি বাড়ে। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায়- কাস্টমার একটি হোস্টিং কিনবে, আপনি যদি তাকে সরাসরি হোস্টিং এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দেন তাহলে সেটি ডিরেক্ট মার্কেটিং হচ্ছে, আর আপনি যদি একটি পেইজ তৈরি করেন যেখানে আপনি সেই হোস্টিং এর বেনিফিটগুলো তুলে ধরেছেন, হয়তো কিছু ভিডিও করেও দিয়েছেন কীভাবে এই হোস্টিংটি ব্যবহার করতে হয়- সেই ভিডিওগুলো দেখলে, আর ভালোভাবে জানলে কিন্তু তখন পটেনশিয়াল কাস্টমার এর কেনার আগ্রহ-উৎসাহ বেড়ে যাবে।

এই যে আপনার এই একটি পেইজ অথবা, ভিডিও অথবা আর্টিকেল যাই হোক- কাস্টমারকে সেলস পেইজ এ পাঠানোর আগেই কেনার জন্য উৎসাহী করে তুলবে এইটাই মূলতঃ সেলস ফানেল। ভালো মানের একটি সেলস ফানেল তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ দিন লাগাটা স্বাভাবিক আর $১০০ থেকে $৩০০ খরচ হওয়াটাও স্বাভাবিক। আপনার যত ভালোমানের সেলস ফানেল তত বেশি ইনভেস্টমেণ্ট এর উপর রিটার্ন পাবেন। তবে অল্পতেও শুরু করা যায় যেমন Fiverr থেকে মাত্র $৫ দিয়েও আপনি চাইলে একটি Squueze Page তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন।

সেলস ফানেল হিসাবে সবচাইতে ভালো কাজ করে ভিডিও ল্যাণ্ডিং পেইজ, এরপর হচ্ছে মাইক্রো ব্লগ, এরপর নরমাল ল্যাণ্ডিং পেইজ। আরও ভালো হয় যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট / ব্লগ করতে পারেন আর আপনার ব্লগ এর আর্টিকেল এর সাথে ভিডিও ল্যাণ্ডি পেইজ লিঙ্ক করেন।

ভালো একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর আপনার একটি সেলস ফানেল তৈরি করা লাগবে। আপনি যদি নিজে ভালো ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে fiverr.com / oDesk.com / eLance.com / Guru.com থেকে আপনার ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আর Authority Niche Blogging সম্পর্কিত ভিডিও টিউটরিয়াল দেখলে ব্লগ এর সাথে কীভাবে ল্যাণ্ডি পেইজ লিঙ্ক করে কাজ করবেন তা জানতে ও শিখতে পারবেন।

৭। Tracking, Split Test, Optimization

সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই আপনার ফানেলটি কেমন কনভার্ট হয় এইটা টেস্ট করা লাগবে। আপনি অল্প কিছু ট্রাফিক কিনে আপনার ল্যাণ্ডিং পেইজটি আরও ভালো কনভার্ট হওয়ার জন্য Optimize করতে পারেন। ট্রাফিক ট্র্যাক করার জন্য আপনি Google Analytics, Clicky.com অথবা Hypertracker.com ব্যাবহার করতে পারেন, কোন ট্রাফিক থেকে আপনি বেশি Subscriber / Lead পাচ্ছেন এইটা বের করতে পারবেন adtrackzgold.com এই সফটওয়্যার টি ব্যাবহার করে। একই সেলস ফানেল বিভিন্ন ছবি / কন্টেন্ট / ভিডিও দিয়ে স্প্লিট টেস্ট করে দেখতে পারেন কোন হেডার / ভিডিও / কন্টেন্ট এর দ্বারা সবচাইতে বেশি কনভার্ট হচ্ছে। স্প্লিট টেস্ট করার একটি সহজ সফটওয়্যার হচ্ছে adtracksgold.com,  টেস্ট এর জন্য ভালো মানের ১০০০ থেকে ২০০০ ক্লিক যথেষ্ট আর এই টেস্টগুলো করে আপনি সহজেই আপনার সেলস ফানেল কে Optimize করতে পারবেন।

৮। ট্রাফিক

টেস্ট করে ভালো একটি সেলস ফানেল পেলে ( ভালো মানের অন্তত ৮০% Subscriber পাওয়া যায় ) এরপর আপনি সেই ফানেল এ ট্রাফিক নিয়ে আসবেন। আমাদের সবার ধারণা “ট্রাফিক” মানেই সবকিছু !!! ভুল !!! ভালো সেলস ফানেল-ই সব কিছু, কারণ ভালো সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে রিটার্ন আসে, আর খারাপ সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে ক্লিক আসবে কিন্তু সেল আসবে না। কিভাবে ট্রাফিক টানবেন এর উপর কিছু ভিডিও দেখে নিতে পারেন YouTube চ্যানেল এ।

এছাড়াও কিছু টিপস- ফ্রি ট্রাফিক চাইলে ব্লগ কমেন্ট, রিলেটেড ফোরাম এ একটিভ হওয়া, Yahoo Answer ভালো, তবে বেস্ট হচ্ছে সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল স্বাবলম্বী লোকদের সাথে যোগাযোগ রাখা। আর পেইড ট্রাফিক চাইলে ভালো হচ্ছে PPC, আর PPC এর জন্য ভালো কিছু সাইট হচ্ছে – facebook.com, adknowledge.com, adbrite.com, 7search.com, bidvertiser.com, এছাড়াও সিন হায়েস এর লেখা আর্টিকেলটি পড়তে পারেন “The Top 22 Pay-Per-Click PPC Advertising Network”। এছাড়া আপনি google এ “Top PPC networks” সার্চ করলে আরও অনেক পাবেন।

এছাড়া Banner Ad (Media Buy) থেকে ভালো মানের ট্রাফিক পাওয়া যায়, মূলতঃ ভালো ব্লগগুলোতে যোগাযোগ করে সরাসরি এ্যাড দে’য়া ভালো, কিন্তু চাইলে আপনি Media Buy marketplace ব্যাবহার করতে পারেন। কিছু ভালো Media Buy/Sell Market হচ্ছে- BuySellAds.com,  AdEngage.com, ProjectWonderful.com, SiteScout.com, BlogAds.com ইত্যাদি।

এছাড়াও আপনি পেইড ট্রাফিক এর জন্য PPV, CPV, CPVR, SOLO, SWIPE, Mobile Traffic, Agency ইত্যাদি ট্রাফিক মেথড ব্যাবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে একটি ব্লগ তৈরি করে আপনার ব্লগ এ SEO করতে পারেন, এটি অবশই পেইড ট্রাফিক এর মধ্যেই পড়বে কারণ ভালোভাবে SEO করাতে আপনার $৫০০ – $১০০০ খরচ হবে। আপনি SEO করাতে চাইলে oDesk/eLance থেকে SEO Expert হায়ার করে নিতে পারেন, অথবা চাইলে আমাদের দেশি ভালো কোন প্রতিষ্ঠান যেমন DevsTeam , FortuneTech, NanoITWorld কে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন, এরা Google এর প্রথম পেইজ এ আছে মানে নিঃসন্দেহে ভালো SEO সার্ভিস দিতে পারবে।

বর্তমানে মোট ২৮ টি ট্রাফিক মেথড রয়েছে, সব গুলোই ভালো কাজ করে, তবে ভালো মার্কেটারগণ অল্প কিছু ট্রাফিক মেথড এ Master হয়। আপনি ও তাই করেন, যেকোন ১টি অথবা ২টি মেথড এ কাজ করেন এবং এটা নিয়েই লেগে থাকেন, আস্তে আস্তে আপনার যত ট্রাফিক দরকার আপনার ওই একটি মেথড-ই আপনাকে দিতে পারবে। যেমন অনেকেরই সকল ট্রাফিক আসে CPVR থেকে, আর এই একটি মেথডেই তারা সব সময় কাজ করে থাকে। আবার অনেকেই শুধু FB PPC তে কাজ করছে, ওই একটি থেকেই তাদের সকল ট্রাফিক আসছে। সুতরাং আপনিও শুরু করার জন্য যেকোন ১টি ট্রাফিক মেথড বেছে নিন- ভালো হয় যেকোন PPC নেটওয়ার্ক এ কাজ শুরু করতে পারলে।

৯। Constant Monitoring & Improving

একজন ভালো মার্কেটার তার প্রতিটি ক্যাম্পেইন এর প্রতিমুহূর্তের প্রতিটি খুঁটিনাটি মনিটর করে। আপনার সবসময় Adtracksgold অথবা একই রকম কোন সফটওয়্যার ব্যাবহার করে চেক করা লাগবে- কোন ট্রাফিক সোর্স এর কোন এ্যাড থেকে আপনি বেশি লীড পাচ্ছেন, কোন ল্যাণ্ডিং পেইজ ভালো কনভার্ট হচ্ছে, কোন প্রোডাক্ট এর কত EPC, আপনার কোন CPC- এই প্রতিটি বিষয় সবসময় মনিটর করা লাগবে, আর কোনটি খারাপ মনে হলে সাথে সাথে ওই ক্যাম্পেইন বন্ধ করে যেখানে সমস্যা সেটা ঠিক করা লাগবে।

কোন সেলস ফানেলই সারাজীবন ইনকাম করে দিবেনা, আপনাকে স্বাবলম্বী করে তুলবেনা। প্রতিটি সেলস ফানেল এর একটা মেয়াদ থাকে, আপনি ক্যাম্পেইনটা এখন Profitable দেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে গেলে ঘুম থেকে উঠার পর যে Profitable থাকবে; তা না-ও হতে পারে !!! প্রফিট বাড়ানোর একটি ভালো উপায় হচ্ছে লস না দেয়া। এর জন্য পারলে একটি ট্যাব অথবা ভালো মোবাইল কিনে নিবেন যেখানে আপনার দরকারি সব Apps যেমন “GetResponse”, “Google Analytics” ইত্যাদি ইনস্টল করে নিবেন। এর সাথে সব কাজের ওয়েবসাইটগুলো বুকমার্ক করে রাখবেন হোমস্ক্রীণ এ, যেন যে কোন সময় ক্যাম্পেইন এর কী অবস্থা এক নজরেই বুঝা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি ব্লগ সাইট।

নিজেকে নিজে স্বাবলম্বী হতে আপনি এভাবে শুরু করতে পারবেন, তবে প্রোফিট স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা দরকার হবে, আর সেটা পাবেন অন্তত ৩-৪ মাস কাজ করার পর।

আশা রাখি লেখাটি আপনার কাজে লাগবে। এখান থেকে কেউ স্বাবলম্বী হলে সেটাই সার্থকতা। এ সম্পর্কিত যেকোন জিজ্ঞাসা থাকলে নিচে মন্তব্যের ঘরে লিখে জানান। ইনশা আল্লাহ জবাব দে’য়ার চেষ্টা করবো। আর ই-মেইল-এ নতুন পোস্ট এর আপডেট পাওয়ার জন্য সাইন আপ করে নিতে পারেন। ভালো থাকবেন।

________________________________________


আপনার ব্লগ দেখতে ক্লিক করুন এখানে

আপনার বয়স সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পেতে ক্লিক করে সহযোগিতা নিন এখান থেকে


====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১