🎙️ আবৃতির স্ক্রিপ্ট
শিরোনাম: সম্পর্কের বিষাদ রঙে
[পটভূমি সাউন্ড : হালকা আবছা সুর, দূরে বৃষ্টির শব্দ অথবা হালকা পিয়ানোর সুর]
চরিত্র
আমি = আবেগী, সৎ মনের মানুষ
সে = যার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর একরাশ অনুভূতি
আমি:
(নরম গলায়)
জীবনে কখনো এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়…
বাইরে থেকে দেখতে খুবই সাধারণ।
কিন্তু ভেতরে… রেখে যায় অজস্র না বলা অনুভূতি।
ঠিক তেমনই একটা ঘটনার কথা বলি আজ।
একজন মানুষ…
না না, সে আমার কিছু না।
শুধু একরাশ মায়া… শ্রদ্ধা… আর একচিলতে নিঃশব্দ প্রার্থনা।
তার জন্মদিন।
আমি খুব আবেগ নিয়ে, আন্তরিকতা মিশিয়ে…
একটা শুভেচ্ছা মেসেজ লিখেছিলাম।
(পড়ার ভঙ্গিতে)
“জীবনের ব্যস্ত সময়ের ভিড়েও কিছু মানুষ থাকে…
যাদের জন্য নিঃশব্দ প্রার্থনা রয়ে যায়।
যাদের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া আর এক অদ্ভুত আবেগ…
সবসময় মনে জাগে।”
মেসেজটা পাঠালাম।
কেমন যেন বুকের ভেতর অদ্ভুত এক শান্তি।
ভাবছিলাম… সে পড়বে। হয়তো একটু হাসবে।
হয়তো বলবে… “শুধু শুভেচ্ছা না…
তোমার মতো মানুষ থাকলে জীবন সুন্দর হয়।”
কিন্তু…
সে:
(ঠাণ্ডা স্বরে)
Thanks.
আমি:
ব্যস।
একটা শব্দ।
না কোনো আবেগ, না কোনো অনুভূতির ছোঁয়া।
একটা এক্সপ্রেশনহীন ‘Thanks’।
মনে হচ্ছিল…
অচেনা কোনো অন্ধকার ঘরে দাঁড়িয়ে আছি।
একটা শব্দ… ছুঁয়ে গেল।
কিন্তু তার গায়ে ছিল না কোনো উষ্ণতা।
প্রথমে খারাপ লাগলো।
তারপর ভেবে দেখলাম…
হয়তো ব্যস্ত ছিল।
হয়তো রিসিভ করতে জানে না।
হয়তো আমার মতো করে অনুভব করে না।
অডিও : বিশ্লেষণ
আচ্ছা…
এমন কেন হয় জানো?
কখনো কখনো আমরা কাউকে এত বেশি মায়া করি,
শ্রদ্ধা করি…
সে জানেও না।
জানলেও বুঝে না।
আমরা নিজেরা একপাক্ষিক অনুভবের গোলকধাঁধায় আটকে যাই।
সে:
(হালকা বিরক্তি নিয়ে)
সবাই কি আর সবসময় আবেগ মেশানো কথা বলতে পারে?
কখনো তো শুধু Thanks-ই যথেষ্ট।
আমি:
হ্যাঁ, জানি।
কিন্তু জানো তো…
শুধু একটা শব্দে কখনো কখনো
একটা সম্পর্কের দিক বুঝে ফেলা যায়।
কেউ জানে না…
কোন শব্দটা কার ভেতর কী ঝড় তোলে।
আমরা ভুল করি।
নিজের আবেগ, মায়া, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা…
সব উজাড় করে দিই,
আর যাকে দিই — সে হয়তো ভাবেও না।
সে:
(নীরব)
আমি:
তবুও আমি আগামিকাল আবার সাধারণ একটা মেসেজ পাঠাবো।
দেখব…
সেখানেও কি এমনই ঠাণ্ডা প্রতিক্রিয়া আসে?
যদি আসে…
তাহলে বুঝে নেবো —
এই পথের যাত্রী আমি একাই।
শুধু একতরফা ভালোবাসা, একপাক্ষিক অনুভব…
তাতে সম্পর্ক হয় না।
হয় অবহেলা… নয় অপ্রাপ্তি।
সে:
(একটু চুপ থেকে)
তাহলে কি সরে যাবে?
আমি:
না…
আমি তো আমার মতোই থাকবো।
আমার অনুভব, আমার শ্রদ্ধা…
এগুলো তো আমার পরিচয়।
তবে হ্যাঁ…
আর কোনো দরজা বন্ধ ঘরের সামনে
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবো না।
সে:
(নরম গলায়)
সবাই তো আর তোমার মতো হয় না।
আমি:
হোক না…
আমার মতো তো আমিই আছি।
জীবনের সব অনুভব সবার জন্য নয়।
যাকে যা দেওয়ার, সময় ঠিক তার হাতে পৌঁছে দেয়।
আর মনে রেখো…
“কিছু অনুভূতি বলা যায় না,
আর বলা ঠিকও না।
তবে সময় ঠিকই বুঝিয়ে দেয়
কে কার কতটা আপন।”
[পিয়ানোর মৃদু সুর আরেকটু বাড়ে… আবৃতির সমাপ্তি]
Leave A Comment