এই শীতে ঘুরে আসুন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেণ্ট মার্টিন

জুলাই মাস। টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, রংপুর। এখানে আমাদের বি.এড. ট্রেনিং। ট্রেনিং শিক্ষাবর্ষের গোড়ার দিককার কথা। অত্যন্ত দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী ম্যাডাম জনাব কানিজ মোর্শেদ। সহ পাঠ্যক্রমিকের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিলেন- আমরা বিজ্ঞান বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীরা শিক্ষা সফরে যাব। সে মোতাবেক সেশনের শুরু থেকেই তিনি জোর তাগিদও দিয়ে আসছিলেন।

নানা জল্পনা-কল্পনা পেরিয়ে অবশেষে আমাদের সামনে উপস্থিত হলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। ৩ জন স্যার- ম্যাডাম। আমরা ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থী। মোট ২০ জনের একটি দল বিকেল তিনটায় রংপুর থেকে সোজা রওনা হলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। শ্যামলী বাসে চেপে।

দক্ষিণাঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা আর কক্সবাজার কাউকে টানেনা এমন লোক পাওয়া ভার। আমিও তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম নই। তবে বরাবরের মতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রতি আমার আগ্রহটা একটু অন্যরকম। এখানকার জনবসতি, মানুষের পেশা, জীবনাচরণ আমাদের মতো অতটা সহজ নয়- খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা যারা দু’এক দিনের জন্য এখানে বেড়াতে যাই তারা এসব দেখে পুলকিত হই, আনন্দিত হই।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর অদূরেই রয়েছে আরোও কয়েকটি দ্বীপ। সেন্টমার্টিনের আয়তন প্রায় ৫৯০ হেক্টর। দ্বীপটি উত্তর- দক্ষিণে প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। টেকনাফ উপজেলার বদর মোকাম হতে ১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ- পশ্চিমে অবস্থিত অপরূপ এই সৌন্দর্য্যমনমণ্ডিত দ্বীপটি। দ্বীপটি উত্তর দক্ষিণে লম্বা এবং অনেকটা ডাম্বেল আকৃতির। এর প্রধান দুটি অংশ হলো উত্তর পাড়া ও দক্ষিণ পাড়া। মাঝখানে সংকীর্ণ অংশটির নাম হলো গলাচিপা। ভূ-তাত্ত্বিক বিবেচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপটি পলল গঠিত মহাদেশীয় একটি দ্বীপ। মূলতঃ এই দ্বীপটি বিভিন্ন ধরনের শিলার উপর বহুদিন ধরে বালি, সমুদ্রিক শামুক, ঝিনুকের চূর্ণ জমা হয়ে গঠিত হয়েছে। এরও সর্ব দক্ষিণে রয়েছে ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ, যা জোয়ারের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনটি ছোট দ্বীপের রূপ ধারণ করে। দ্বীপের উত্তর পূর্বাংশ ব্যতিত প্রায় সম্পূর্ণ তীরবর্তী অঞ্চলই পাথরময়। স্থানীয়ভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ “নারিকেল জিনজিরা” নামে পরিচিত।

ঊনিশ শতকের প্রথম দিকে এই দ্বীপে বসতি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই দ্বীপের স্থায়ী জনবসতি প্রায় ছয় হাজার। দ্বীপের বেশির ভাগ মানুষের পেশা মাছ ধরা ও মাছ শুকানো, কিছু মানুষ কৃষিকাজ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথেও জড়িত। অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিচিত্র ধরণের প্রবাল সহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু দ্বীপটিকে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে।

এই দ্বীপে ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল ও ১৫৭ প্রজাতির স্থলজ গুপ্তজীবি উদ্ভিদ রয়েছে। এখানে ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক- ঝিনুক ও ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ রয়েছে। ৪ প্রজাতির উভয়চর ও ২৯ প্রজাতির যাযাবর পাখি সহ মোট ১২০ প্রজাতির পাখি এবং ৪ প্রজাতির সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ মোট ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর উপস্থিতি চোখে পড়ে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র স্থান যেখানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সামুদ্রিক প্রবাল জন্মে। দ্বীপের জোয়ার ভাটা অঞ্চলে নিম্নবর্তী পাথরময় অঞ্চল হতে সাগরের তলদেশের বেশ কিছুদূর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রবাল জন্মে। সমুদ্রে বসবাসকারী এক ধরণের অতি ক্ষুদ্র প্রাণীর দেহের দেহাবশেষই হচ্ছে এই প্রবাল। এগুলো জমাট বাঁধার পর পাথরে রূপ নেয়। প্রবাল নানা ধরনের নানা রঙের হয়ে থাকে।

 

অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে স্পঞ্জ, পাথুরে কাঁকড়া, সন্যাসী কাঁকড়া, লবস্টার, ঝিনুক, সমুদ্র শশা, শঙ্খ শামুক ইত্যাদি সেন্টমার্টিন দ্বীপে পাওয়া যায়। এছাড়া দ্বীপ সংলগ্ন সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে প্রজাপতি মাছ, বোল মাছ, রাঙ্গা কৈ, ত সুঁই মাছ, লাল মাছ, নাক- কোরাল, উডুক্কু মাছ, সজারু মাছ, এ্যঞ্জেল ফিস, প্যারোট ফিস, সারজন ফিস, রাস মাছ, বিশেষ ধরনের বাইম মাছ ইত্যাদির উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এক একটা বাইম মাছের দৈর্ঘ্য দেড় থেকে তিন মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সেন্টমার্টিনের পার্শ্ববর্তী সমুদ্র এলাকায় বিচরণ করে ২ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী- পরপইস ও হ্যাম্পব্যাক ডলফিন। আপনার যাতায়াতের সময় ডলফিনগুলো আপনার চোখে পড়েও যেতে পারে। দ্বীপের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে- কেয়া, শেওড়া, ছাগল লতা, ক্ষুদ্রাকৃতির বিরল প্রজাতির পেঁয়াজ। দ্বীপের দক্ষিণ দিকে উচ্চমাত্রার লবণাক্ততা সহনশীল প্যারাবনের কিছু অংশ এখনোও অবশিষ্ট রয়েছে। এখানে আমরা ঘুরতে ঘুরতেই দেখা পেয়ে গেলাম জীবন্ত স্টার ফিস আর জেলী ফিস এর। প্রাণিবিদ্যার ম্যাডাম আগে থেকেই আমাদেরকে দিয়ে এক গ্যালন ক্লোরেফম বইয়ে নিয়েছিলেন। বিরল প্রজাতির কিছু পেলে যেন সংগ্রহ করে- সংরক্ষণ করে আনি কলেজের জন্য। সেমতে আমরা তাই করলাম।

উদ্ভিদ, প্রাণী এবং পরিবেশের অন্যান্য উপাদান সমূহের মধ্যেকার ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক নিয়েই গঠিত হয় কোন স্থানের প্ররিবেশ ব্যবস্থা। কিন্তু মানুষের অপরিকল্পিত কার্যকলাপের কারণে দেশজুড়ে পরিবেশ ব্যবস্থা দিন দিন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ আমাদের দেশের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে রক্ষা করতে ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হলে সরকারী ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও কিছু করনীয় রয়েছে, যা আমাদের দেশীয় রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে সেই সাথে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে আমাদের দেশের।

আমাদের এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে থাকা উচিত পরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে পরিকল্পিতভাবে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত। স্থানীয় জনগণের কাছে জানা যায়- রাতের বেলা সৈকতে সংশ্লিষ্ট হোটেল- মোটেল ও দোকানের অতিরিক্ত আলো এবং পর্যটকদের জ্বালানো আগুনের জন্য সামুদ্রিক কাছিমের আগমন দিনদিন কমে যাচ্ছে। যা সামুদ্রিক কাছিমের বংশ বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করছে। সামুদ্রিক কাছিম ও পরিয়ারী পাখিদের আবাসস্থলে পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, দ্বীপটির আশেপাশের কেয়াবন ধ্বংশ করে অবৈধ হোটেল-মোটেল, তৈরী করা, প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে সামুদ্রিক প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কেয়াফুল, ইত্যাদি ক্রয়- বিক্রয়, দ্বীপে মৎস আহরণের জন্য অবৈধ জাল ব্যবহার করা, নৌকা ও জাহাজের তেল ফেলে সমুদ্রের পানি দূষণ করা, নৌকার নোঙর ফেলে প্রবাল ধ্বংশ করা, প্রবাল ও শৈবালযুক্ত পাথরের উপর হাঁটাচলা করা, যেখানে সেখানে কাঁটা তারের বেড়ার উপস্থিতিতে জীবজন্তুর গমনাগমণে প্রতিন্ধকতা সৃষ্টি করা দ্বীপটির সৌন্দর্য্যকে ম্লান করে দেয় এবং জীব- বৈচিত্র ধ্বংশ করে দেয়। এই বিষয়ে সচেতন থেকে দেশের সরকার ও আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রাকৃতিক বন, প্রবাল-শামুক-ঝিনুক আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, বণ্যপ্রাণী শিকার বা হত্যা করা, উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট করা এবং মাটি ও পানির গুণাগুণ নষ্ট করতে পারে এমন যে কোন কাজ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসকল বিধিনিষেধ ও বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্রমাগতভাবে উক্ত দ্বীপসহ দেশের অন্যান্য জীব- বৈচিত্রময় এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক লীলা ভূমি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী লোক যা বা যারা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। উল্লেখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় আইনটি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে রক্ষা পাবে আমাদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সহ অন্যান্য পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ও আমাদের দেশ- বাংলাদেশ, প্রিয় মাতৃভূমি।

কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন, অবশ্যই যেই বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত

বর্তমান সময়ে যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যাবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এই সতর্কতাগুলো মাথায় রাখবেনঃ
১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন। অটো ওয়ালাদের কথামতো অটো নিলে ওরা আপনাকে উনাদের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাবে।
২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন।
৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।
৪. বীচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম।
৫. বীচে বসে কোন ম্যাসেজ বয়কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেননা, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন অথবা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। (ম্যাসেজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারে), ট্যুরিস্ট পুলিশ ম্যাসেজ বয়দের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিরক্ত করলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন।
৭. বীচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনারা ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন।
৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কি-না সেটা যাচাই করে নিবেন এবং মোবাইল নম্বর ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।
৯. বীচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন।
১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন।
১১. কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন।
১২. হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন।
১৩. স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
১৪. কক্সবাজার বীচ এলাকা ও এর আশপাশ নিরাপদ। তবে সন্ধ্যার পর ঝাঁউবন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় না যাওয়াই উত্তম।
১৫. জোয়ার-ভাটার সময় দেখে নিন। ভাটার সময় পানিতে নামবেন না। লাল পতাকা দেখলে বীচে গোসল পরিহার করুন।
১৬. যেকোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন ডিউটি অফিসার- ০১৩২০ ১৫৯ ০৮৭, এএসপি- ০১৩২০১৫৯২০৯,-কে।
কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান সমুহ নিচে দেয়া হলো।
০১. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
০২. কলাতলী সী বিচ
০৩. লাভনী পয়েন্ট সী বিচ
০৪. সুগন্ধা বিচ
০৪. ইনানী সী বিচ
০৫. হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড়
০৬. সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপ
০৭. সমুদ্র বিলাস, সেন্ট মার্টিন
০৮. সেন্ট মার্টিন উত্তর বিচ
০৯. ছেড়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন
১০. সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী
১১. শাহ পরীর দ্বীপ, টেকনাফ
১২. রামু রাবার বাগান,
১৩. রামু বৌদ্ধ মন্দির
১৪. রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, কক্সবাজার
১৫. নিভূতে নিসর্গ পার্ক, চকোরিয়া
১৬. ইনানী রয়েল রিসোর্ট
১৭. মাথিনের কূপ, টেকনাফ
১৮. রয়েল টিউলিপ সী পার্ল রিসোর্ট, ইনানী
১৯. মেরিন ড্রাইভ রোড, কক্সবাজার
২০. মারমেইড বিচ রিসোর্ট, কক্সবাজার
২১. শামলাপুর সমুদ্র সৈকত, টেকনাফ
২২. ডুলা হাজারা সাফারি পার্ক, চকোরিয়া
২৩. কুতুবদিয়া দ্বীপ, (বাতি ঘর)
২৪. দরিয়া নগর, কক্সবাজার
২৫. মাহাসিংদোগ্ৰী বৌদ্ধ মন্দির, কক্সবাজার
২৬. মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, কক্সবাজার
২৭. পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার, কক্সবাজার
২৮. বড়ঘোপ সমূদ্র সৈকত, কক্সবাজার
২৯. রাখাইন পাড়া, কক্সবাজার
৩০. মহেশখালী দ্বীপ / জেটি
৩১. বার্মিজ মার্কেট, কক্সবাজার
৩২. মাতামুহুরী নদী
৩৩. নাফ নদী সাইট
৩৪. এক গম্বুজ মসজিদ, কক্সবাজার
৩৫. কানা রাজার সুড়ঙ্গ, উখিয়া
৩৬. আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী
৩৭. বরইতলী মৎস্য খামার, কক্সবাজার
৩৮. রাডার স্টেশন, কক্সবাজার
৩৯. বীর কামলা দীঘি, টেকনাফ
৪০. লামারপাড়া বৌদ্ধবিহার, কক্সবাজার
৪১. লবণ রপ্তানি বাজার, কক্সবাজার
৪২. কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন, কক্সবাজার
৪৩ পাটুয়ার টেক বিচ, মেরিন ড্রাইভ
আপনার পেশা যাইহোক, ভ্রমণ হোক আপনার নেশা

মোহাম্মদ সাইফোদ্দৌলা
১৭ ই মে, ২০১১
দুপুর ১২:৪৯ -এ
প্রথম প্রকাশ করেছিলাম এখানে