Introduction to Computer and ICT

1.Ans:

ICT এর সংজ্ঞাঃ

যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরবরাহ করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক, তাই একে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা ICT বলা হয়।

2.Ans:

Computer কি?

কম্পিউটার একটি দ্রুত গতিসম্পন্ন এবং সঠিক Data manipulate করা electronic system অথাৎ– যার সাহায্যে সংগৃহীত তথ্যসমূহের গানিতিক, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ঘটানো যায় এবং বিশ্লেষিত ফলাফলকে প্রয়োজন অনুযায়ী উপস্থাপন করা যায় তাকে কম্পিউটার ( Computer ) বলে ।
কম্পিউটার শব্দটি উৎপত্তি ইংরেজি শব্দ compute থেকে, যার অর্থ হল গণনা করা।

কম্পিউটার শ্রেণীবিভাগঃ

কাজের ধরন ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. এনালগ কম্পিউটার।

২. ডিজিটাল কম্পিউটার।

৩. হাইব্রিড কম্পিউটার।

১.এনালগ কম্পিউটার(Analog Computer)

ইংরেজি Analogy শব্দ থেকে Analog কথাটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে সাদৃশ্য। এই কম্পিউটার কাজ করে এনালগ সংকেত ব্যবহার করে।এনালগ সংকেতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ওঠা–নামা করা। এই সংকেত কোন আদর্শমানের সাথে তুলনামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে।

২.ডিজিটাল কম্পিউটার(Digital Computer)

ডিজিট (digit) শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দের উথপতি। ডিজিটাল কম্পিউটারে বর্ণ , সংখ্যা , সংকেত , প্রতীক ইত্যাদি ইনপুট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত গাণিতিক নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং সূক্ষ্ম ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করে ।ডিজিটাল কম্পিউটার ০ (শূন্য) এবং ১ (এক) এ দুটি প্রতীক দিয়ে সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পাদন করে।

৩.হাইব্রিড কম্পিউটার(Hybrid Computer)

হাইব্রিড কম্পিউটার হচ্ছে অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় পদ্ধতির সমন্বয়। হাইব্রিড কম্পিউটারে উপাত্ত সংগৃহীত হয় অ্যানালগ প্রক্রিয়ায়। সংগৃহীত উপাত্ত সংখ্যায় রূপান্তর করে ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করা হয়। ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল প্রদান করা হয়। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এ হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। রোগীর রক্তচাপ, শরীরের তাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ইত্যাদি উপাত্ত অ্যানালগ অংশের সাহায্যে গ্রহণ করার পর উপাত্তগুলো ডিজিটালে রুপান্তরিত করে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করে রোগীর বর্তমান অবস্থা ফলাফল আকারে তুলে ধরা হয়। ক্ষেপনাস্ত্র, নভোযান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব হয় এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহারে।

ডিজিটাল কম্পিউটারকে আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।

১. মাইক্রো কম্পিউটার।

২. মিনি কম্পিউটার।

৩. মেইনফ্রেম কম্পিউটার।

৪. সুপার কম্পিউটার।

মাইক্রোকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

১. ডেক্সটপ

২. ল্যাপটপ

3.Ans:

Computer এবং ICT এর ব্যাবহারিক প্রয়োগ ঃ

বিজ্ঞান যেমন জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি আমাদের জীবনকে করেছে অনেক সহজ এবং গতিশীল। প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি। মূলত এর সবই বিজ্ঞানের অবদান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত এমন কিছু আবিষ্কার এর মদ্ধে বিখ্যাত কিছু আবিষ্কার হয়েছে,যা মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। তেমনি এক বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার। কম্পিউটার আবিষ্কার যেন মানুষের জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। যুগান্তকারী এই কম্পিউটারের আবিষ্কারক হাওয়ারড আইকেন। ডেস্কটপ কম্পিউটার সর্বপ্রথম মানুষের হাতে আসে ১৯৭৪ সালে। পরে ১৯৮১ সালে অ্যাডাম অসবর্ন ল্যাপটপ আবিষ্কার করেন।

কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।

ভূগোলে কমপিউটারের ব্যবহার:

জি আই এস এ কম্পিউটার: GIS প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের সাহায্যে মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।

বর্তমান সময়ে আইটির সাথে যুক্ত হয়েছে কমিউনিকেশন অর্থাৎ যোগাযোগ। আইটির সাথে কমিউনিকেশন যুক্ত হয়ে এমন এক প্রত্যয় গড়ে তুললো যা সকলের সামনে খুলে দিল এক নতুন দিগন্তের। তথ্যের সহজপ্রাপ্যতা, অবাধ প্রবেশাধিকার ইত্যাদি প্রত্যয় নিয়ে গড়ে উঠলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সাধারণত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যের আদান–প্রদান বা যোগাযোগ করাকেই বলা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) । আর এ কাজের জন্য নিত্যনতুন উদ্ভাবন করা হচ্ছে নানান ধরনের প্রযুক্তি পণ্য। এসব তথ্যকে নিয়ে যাচ্ছে মানুষের হাতের নাগালে, ফলে যোগাযোগ হয়ে যাচ্ছে সহজ থেকে সহজতর।

4.Ans:

তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব:

আধুনিক জীবন যাপনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে উন্নত,জীবনযাত্রাকে করছে সহজ। তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন স্তরে। জীবনের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির প্রয়োগ ব্যবসা–বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন এনেছে। যেকোনো ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য থাকে কম সময়ে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে তা ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া। পণ্যের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে কর্মী ব্যবস্থাপনা, কর্মীদের দক্ষতার মানোন্নয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন ও সেবার বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারের সমন্বিত এবং উদ্ভাবনী প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার উন্নয়নের পাশাপাশি মুনাফাও বাড়াতে পারে।

আইসিটির সহায়তায় ব্যবসায় নিম্নলিখিত সুবিধা অর্জিত হয়–

১. আইসিটি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কম সময়ে অধিক উৎপাদন করা যায়। তাতে উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়।

২. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্পর্কিত সব ধরনের যোগাযোগ দ্রুত সম্ভব হয়।

৩. ফ্যাক্সের মাধ্যমে জরুরি লিখিত তথ্য ও ছবি তাৎক্ষণিক পাঠানো যায়।

৪. ইমেইলের মাধ্যমে ব্যবসা সম্পর্কিত লিখিত যোগাযোগ দ্রুত সম্ভব হয়।

৫. ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যসেবার খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে কিংবা বিনা মূল্যে পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।

৬. বিভিন্ন ধরনের ডাটাবেইস সফটওয়্যার ব্যবহার করে পণ্যের মজুদ, কর্মীদের তথ্যাবলি, গ্রাহকের তথ্যাবলি এবং সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা যায়।

৭. ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মূল্য সরাসরি নিজের ব্যাংক হিসাবে সংগ্রহ করতে পারে।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।

5.Ans:

সুপার কম্পিউটারঃ

অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাণ্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্টঃ

প্রসেসিং ক্ষমতা বিশেষ করে হিসাব নিকাষের গতির উপর নির্ভর করে কোন নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর অগ্রগন্য কম্পিউটারগুলোকেসুপার কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। ১৯৬০ সালের দিকে কন্ট্রোল ড্যাটা কর্পোরেশন (সিডিসি) এর সেইমার ক্রে সর্বপ্রথম প্রাথমিক ভাবে সুপার কম্পিউটারের একটি ডিজাইন তৈরী করেন এবং তা পৃথিবার কাছে তুলে ধরেন। ১৯৭০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে সমান্য কয়েকটি প্রেসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও ১৯৯০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে হাজারে হাজারে প্রসেসর ব্যবহার হতো কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সুপার কম্পিউটারে প্রসেসরের এ সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।

সুপার কম্পিউটারগুলোতে অসংখ্য প্রসেসর নিয়ে কাজ করার জন্য সাধারণত দুটি পদ্ধতির একটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১ম পদ্ধতির নাম গ্রীড কম্পিউটিং এবং ২য় পদ্ধতির নাম ক্লাস্টার কম্পউটিং। গ্রীড পদ্ধতিতে বিশাল সংখ্যক কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতা সুষ্ঠভাবে বন্টিত অবস্থায় থাকে এবং প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারগুলোকে বৈচিত্রময় প্রশাসনিক কিছু উপায় মেনে পুনরায় আবার কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে খুবই নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বিশাল সংখ্যক প্রসেসর একত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রনাধীন অসংখ্য মাল্টি–কোর প্রসেসর সংযুক্ত করার মাধ্যমে চালিত উক্ত পদ্ধতিটির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল সুপার কম্পিউটার জাপানের K Computer, যা ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চালীত হয়।

কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া, জলবায়ু গবেষনা, তেল ও গ্যাসের উৎস চিহ্নত করতে, আনবিক মডেল পর্যবেক্ষণ যেমন কোন কেমিকেল কম্পাউন্ড, বায়োলজিক্যাল ম্যাক্রোমলিকিউল, পলমার এবং ক্রিস্টালের গঠন ও বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষনের ক্ষত্রে এবং বাহ্যিক সিমিউলেসন যেমন এয়ারপ্লেন সিমিউলেসন, নিয়ক্লিয় বোমা বিস্ফোরণ সিমিউলেসন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষনার ক্ষত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

সুপার কম্পিউটার একসাথে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রসেসর চালিয়ে থাকে। যা অপটিকেল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত দ্রুত গতির সারি সারি সাজানো ৭২টি রেক বা কেবিনেটে বিন্যস্ত অবস্থায় রাখা আছে

Software

1.Ans:

সফটওয়্যার কি ঃ

সফটওয়্যার হল কিছু প্রোগ্রামের কালেকশন। যা কম্পিউটার বা কোনো ইলেকটরোনিক্স যন্ত্র কে নির্দেশ করে কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, কিংবা এক বা একাধিক লোক কোনও একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বা কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য একে ব্যাবহার করে।

সফটওয়্যার এর প্রকারভেদঃ
প্রধানত তিন প্রকারঃ
১. সিস্টেম সফটওয়্যার
২. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার
৩. প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার

কয়েকটি সফটওয়্যার এর নামঃ

১. ফটোশপ

২ . কে এম পি ভিডিও প্লেয়ার

৩. মাইক্রোসফট অফিস

2.Ans:

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্যঃ

হার্ডওয়্যার:

১. কম্পিউটারের সকল প্রকার যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলা হয়।

২. কম্পিউটারের কোনো হার্ডওয়্যারই একইভাবে বিচ্ছিন্নভাবে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারে না।

৩. হার্ডওয়্যারগুলোর পারস্পরিক সংযোগের মাধ্যমে একটি কাজ শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত সম্পন্ন করে ।

৪. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলোর উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ, স্থায়ী স্মৃতী, অস্থায়ী স্মৃতি, বিভিন্ন প্রকার কার্ড/ এ্যাডাপ্টর বসানোর ঘর বা স্নট এবং পাওয়ার বোর্ড, হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশ বসানোর জন্য ব্যবহৃত সার্কিট বোর্ড বা মাদার বোর্ড ইত্যাদি।

৪. এ ছাড়া রয়েছে প্রতিটি যন্ত্রের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবল ও বিভিন্ন প্রকার খুচরা যন্ত্রাংশ।

৫. কম্পিউটারের সঙ্গে বাইরে থেকে সংযুক্ত অনেক রকম ইনপুট ও আউটপুট যন্ত্রাদি ব্যবহৃত হয়।

৬. বহুল ব্যবহৃত ইনপুট যন্ত্রাদির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কী–বোর্ড, মাউস,স্ক্যানার,গ্রাফিক্স,গ্রাফিক্স ট্যাবলেট, ওসিআর,ওএমআর,ডিজিটাল ক্যামেরা,ভিসিয়ার/ভিসিপি/ভিসিড/ডিভিডি ইত্যাদি।

সফটওয়্যারঃ

১. কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কে একত্র করে কাজের উপযোগী করে।

২. এপ্লিকেশন সফটওয়ার চালানোর জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে।

৩. কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং হার্ডওয়ার এর মাঝে সমন্বয় সাধন করে।

৪. আপনার দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা অনুযায়ী হার্ডওয়ার কে পরিচালনা করে।

৫. কম্পিউটার কে , কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এসব আদেশ দেয়ার জন্য সিস্টেম সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।

3.Ans:

ফার্মওয়্যার (Firmware) কি?:

মাদারবোর্ডের রমে যে প্রোগ্রাম লেখা থাকে তাকে ফার্মওয়্যার বলে। পাওয়ার সুইচ চাপলে পিসি অন হবে; ডিলিট, F2 চাপলে বায়োস সেটিং চালু হবে এইসব তথ্য ফার্মওয়্যার–এ লেখা থাকে স্থায়ীভাবে যা ব্যবহারকারী সহজেই পরিবর্তন করতে পারে না। আর অপারেটিং সিস্টেম সহায়ক মেমোরিতে(ইউএসবি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক প্রভৃতি) লেখা হয় যা ব্যবহারকারী সহজেই পরিবর্তন করতে পারে।

ফার্মওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মদ্ধে পার্থক্য;

ফার্মওয়্যার:

১. ফার্মওয়্যার এক ধরনের প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার এর মেমোরিতে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করা থাকে।

২. ফার্মওয়্যার কম্পিউটার এর ROM নামক প্রথমিক স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে ।

৩. ফার্মওয়্যার সাধারণ ভাবে পরিবর্তন করা যায় না ।

৪. ফার্মওয়্যার বেশ কিছু ক্ষেত্রে হার্ডওয়ারের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয় ।

৫. ফার্মওয়্যার বিদ্যুৎ প্রবাহ সক্রিয় করলে চালু হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করলে তা বন্ধ হয়ে যায় ।

সফটওয়্যারঃ

১. কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কে একত্র করে কাজের উপযোগী করে।

২. এপ্লিকেশন সফটওয়ার চালানোর জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে।

৩. কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং হার্ডওয়ার এর মাঝে সমন্বয় সাধন করে।

৪. আপনার দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা অনুযায়ী হার্ডওয়ার কে পরিচালনা করে।

৫. কম্পিউটার কে , কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এসব আদেশ দেয়ার জন্য সিস্টেম সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।

4.Ans:

system software এবং application software এর মদ্ধে পার্থক্য:

সিস্টেম সফ্‌টওয়্যারঃ

১ কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফ্‌টওয়ারকে কার্যকর করার নিমিত্তে ব্যবহৃত সাহায্যকারী পোগ্রাসমুহকে বলে সিস্টেম সফ্‌টওয়্যার।

২ সিস্টেম সফ্‌টওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও সফ্‌টওয়্যারকে ণিয়ন্ত্রণ, তত্ত্ববধান ও পরিচালনা করা যায়।

৩ সিস্টেম সফ্‌টওয়্যার কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে।

৪ সিস্টেম সফ্‌টওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটার পরিচালিত হয়।

৫ এছাড়াও সিস্টেম সফ্‌টওয়্যার ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামিং নির্দেশনা অনুবাদ, কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফ্‌টওয়্যার এর ত্রুটি নিরসন ইত্যাদি কাজ করে থাকে।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে

১. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলতে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বোঝায় যা মানুষকে কোন বিশেষ ধরনের কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে।

২. একটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যেটা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনা (এক বা একাধিক)করতে ব্যবহারকারীকে সহায়তা করে থাকে।

৩. একে শুধু এপ্লিকেশন বা এপ (app) ডাকা হয়।

৪. কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন তাই অপারেটিং সিস্টেম, সিস্টেম ইউটিলিটি, প্রোগ্রামিং ভাষা, ইত্যাদির চেয়ে আলাদা।

৫. অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম সাধারণত ব্যবহারকারীকে টেক্স্‌ট, সংখ্যা কিংবা ছবি নিয়ে বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ দেয়। উদাহরণ হতে পারে একাউন্টিং সফটওয়্যার, অফিস সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, বিভিন্ন মিডিয়া প্লেয়ার (ভিডিও এবং অডিও)।

5.Ans:

প্যাকেজ সফটওয়্যার:

নির্দিষ্ট কাজের উদ্দেশ্যে তৈরী ও ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে বলে প্যাকেজ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম । যেমন এমএস ওয়ার্ড প্রোগ্রামের সাহায্যে স্প্রেডশীট এনালিসিসের কাজ করা যায়। এমএস একসিস প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায়।প্যাকেজ সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের দিক লক্ষ রেখে বিভিন্ন বা অপশন সংযোজিত থাকে । ব্যবহারকারী কেবলমাত্র তার প্রয়োজন অনুযায়ী কমান্ড প্রয়োগ করে কিংবা অপশন সিলেক্ট করে কাংখিত কাজ সম্পন্ন কর থাকে।

কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার:

কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কম্পিউটার ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরী সফটওয়্যারকে বলে কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার । যেমন: ফার্মসমূহে ব্যবহৃত সফটওয়্যার। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ইত্যাদি প্রতিষ্টানে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার।

6.Ans:

Computer language কিঃ

কম্পিউটারের বিভিন্ন Application বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম তৈরির জন্য যে ভাষা বা ল্যাংগুয়েজ ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে বলে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ। যে ল্যাংগুয়েজ কেবলমাত্র কম্পিউটার বুঝে।

যেমনঃ machine language, Low level language, COBOL, Basic, Pascal, FORTRAN।

কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ প্রকারভেদঃ

সাধারানত কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১. নিম্ন স্তরের ভাষা ।

২. উচ্চ স্তরের ভাষা ।

১. নিম্ন স্তরের ভাষা : যে স্তরের ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম মেশিননির্ভর তাদের নিম্ন স্তরের ভাষা বলা হয়। যেমন– মেশিনের ভাষা, অ্যাসেম্বলি ভাষা।

২. উচ্চ স্তরের ভাষা : যে স্তরের ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম মেশিননির্ভর নয় তাদের উচ্চ স্তরের ভাষা বলা হয়। যেমন– C, Pascal, QBASIC, Fortran ইত্যাদি।

7.Ans:

নিম্ন স্তরের ভাষাঃ

সুবিধা :
১. এর সাহায্যে সরাসরি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।

২. দ্রুত কাজ করে।

৩. মেশিন ভাষা অপেক্ষা সহজসাধ্য।

৪. প্রোগ্রাম লিখতে সময় কম লাগে। ৫. অল্প মেমোরির প্রয়োজন হয়।

অসুবিধা :
১. মেশিন ভাষার তুলনায় সহজ হলেো এতে প্রোগ্রাম করা সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য।

২. কম্পিউটারের ভিতরের সংগঠন জানতে হয়।

৩. এক মডেলের কম্পিউটারের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে চলে না।

৪. যেহেতু একে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করতে হয় তাই প্রোগ্রাম চলতে সময় বেশি লাগে।

উচ্চ স্তরের ভাষাঃ

সুবিধা :

১. প্রোগ্রাম লেখা সহজসাধ্য।

২. প্রোগ্রাম লিখতে সময় কম লাগে।

৩. ভুল হবার সম্ভাবনা কম।
৪. ক্রুটি দূর করা খুব সহজ।
৫. কম্পিউটারের ভিতরের সংগঠন সম্পর্কে ধারণা থাকার প্রয়োজন নেই।
৬. এক মডেলের কম্পিউটারের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য মডেলের কম্পিউটারে চলে।

অসুবিধা :
১. সরাসরি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করা যায় না।
২. রূপান্তর করা প্রয়োজন বলে ধীরে কাজ করে।
৩. বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়।

8.Ans:

অনুবাদক প্রোগ্রাম:

যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারের উৎস প্রোগ্রাম (যে ভাষায় প্রোগ্রামটি লেখা হয়) কে যন্ত্র ভাষায় অনুবাদ করে বস্তু প্রোগ্রামে রূপান্তর করে সে প্রোগ্রামকে অনুবাদক প্রোগ্রাম বলে। যেমন কিউ বেসিকে একটি প্রোগ্রাম লেখা হলো কিন্তু কম্পিউটার এ প্রোগ্রামটি বুঝবে না, এ প্রোগ্রামটিকে অনুবাদ করে মেশিনের ভাষায় (বাইনারিতে) বুঝিয়ে দিতে হয়। এ অনুবাদের কাজে অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়।
অনুবাদক প্রোগ্রামগুলো হলো
১. কম্পাইলার
২. ইন্টারপ্রিটার ও
৩. অ্যাসেম্বলার।
নিম্নে এদের বর্ণনা দেয়া হলো :
১. কম্পাইলার :

কম্পাইলার উচ্চ স্তরের ভাষার উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করে। কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে এক সঙ্গে পড়ে এবং এক সঙ্গে অনুবাদ করে। ভিন্ন ভিন্ন উচ্চ স্তরের ভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কম্পাইলার লাগে। কোনো নির্দিষ্ট কম্পাইলার একটি মাত্র উচ্চ স্তরের ভাষাকে মেশিন ভাষায় পরিণত করতে পারে। যেমন যে কম্পাইলার BASIC কে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করতে পারে তা FORTRAN কে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করতে পারে না।
কাজ :
১. উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করা।
২. প্রোগ্রামকে লিংক করা।
৩. প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে তা জানানো।
৪. প্রয়োজনে বস্তু বা উৎস প্রোগ্রামকে প্রিন্ট করা।
২. ইন্টারপ্রিটার :

ইহা ব্যবহারে প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন করা ও প্রোগ্রাম পরিবর্তন করা সহজ হয়। কারণ ইন্টারপ্রিটারের প্রোগ্রাম আকারে ছোট বলে মেমরি বাঁচে। তাছাড়া ছোট কম্পিউটারে ইন্টারপ্রিটার ব্যবহৃত হয়। ইহা এক লাইন করে পড়ে ও অনুবাদ করে।
কাজ :
১. উচ্চ স্তরের ভাষাকে মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করা।
২. ইহা এক লাইন পড়ে ও অনুবাদ করে।
৩. ইহা প্রতিটি লাইনের ভুল প্রদর্শন করে অনুবাদ কাজ বন্ধ করে দেয়।
৪. ডিবাগিং ও টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে।
৩. অ্যাসেম্বলার :

ইহা অ্যাসেম্বলার ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করে। এটি মেশিন ভাষায় লেখা হয়।
কাজ :
১. নেমোনিক কোডকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করে।
২. প্রত্যেক নির্দেশ ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা, ঠিক না থাকলে ঠিক করা।
৩. সব নির্দেশ ও ডাটা প্রধান মেমরিতে রাখে।

Number System and Digital Logic

1.Ans:

টিকাঃ

বাইনারি কোডঃ

আমরা তো দৈনন্দিন জীবনে নানা হিসাব–নিকাশের জন্য দশভিত্তিক (decimal) সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহার করে দুইভিত্তিক বা বাইনারি (binary) সংখ্যা পদ্ধতি। দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিতে আছে মোট দশটি অঙ্ক 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 আর বাইনারিতে দুটি, 0 আর 1। আমরা এই অধ্যায়ে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির কিছু মৌলিক জিনিস দেখব আর বাইনারি থেকে ডেসিমাল এবং ডেসিমাল থেকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করা শিখব। ডেসিমালে আমরা গণনা করি এভাবে: 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12, … 19, 20, 21, …, 98, 99, 100, 101 …। দেখো, যখনই আমরা ডান দিকের ঘরে (এককের ঘরে) দশটি অঙ্ক ব্যবহার করে ফেলি, তখন তার বাঁয়ে দশকের ঘরের অঙ্কের মান এক বাড়াই (আর যদি না থাকে তাহলে 1 বসাই বা0-এর সঙ্গে 1 যোগ করি আর কি, কারণ 9 আর 09 কিন্তু একই কথা, তাই 09-এর পরবর্তি সংখ্যা হচ্ছে 10), আবার দশকের ঘরে 0 থেকে 9 সব অঙ্ক ব্যবহার করে ফেলার পরে শতকের ঘরের অঙ্কের মান এক বাড়াই (আর যদি না থাকে তাহলে 1 বসাই বা 0-এর সঙ্গে 1 যোগ করি আর কি)। তেমনই বাইনারিতে আমরা গণনা করব এইভাবে: 0, 1, 10, 11, 100, 101, 110, 111, 1000, 1001, 1010, 1011 …। যেহেতু অঙ্ক মাত্র দুটি, তাই দুটি অঙ্কের ব্যবহার হয়ে গেলেই বাঁ দিকের ঘরে এক বসাতে হয় বা 0-এর সঙ্গে 1 যোগ করতে হয় (বাঁ দিকে তো আমরা ইচ্ছামত শূন্য বসাতে পারি)।

BCD কোডঃ

BCD এর পূর্ণ অর্থ Binary Coded Decimal, এই কোড পদ্ধতি বাইনারী বিট ও ডেসিম্যাল ডিজিটের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী কোড এবং এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ডেসিম্যাল ডিজিটকে এনকোড করার জন্য ৪বিট বাইনারী সংখ্যা প্রয়োজন। উদাহরণসরূপ (35)10 কে BCD তে এনকোড করলে পাই(00110101)BCD  যেখানে (35)10 এর সমতূল্য বাইনারী সংখ্যাটি (100011)2 হবে। উল্লেখিত উদাহরণটি হতে ইহা স্পষ্ট যে, কোন দশমিক সংখ্যাকে BCDকোডে রূপান্তর করতে সাধারণ বাইনারী রূপান্তরের তুলনায় অধিক সংখ্যক বিট প্রয়োজন। ডিজিটাল সিস্টেমে ইনপুট এবং আউটপুট অপারেশনে BCDকোড ব্যবহৃত হয়।

অ্যাসকি কোডঃ

অ্যাস্কি বা ASCII, আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা অনু্যায়ী /’æski/। এর পূর্ণরূপ হল American Standard Code for Information Interchange। কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগের যন্ত্র সহ অন্যান যেসব যন্ত্রে বর্ণভিত্তিক (Text Based) ইন্টারফেস দরকার হয় তাতে ব্যবহারের জন্য ইংরেজি ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একধরনের character encoding এই অ্যাস্কি। ইংরেজি ছাড়াও অন্যান ভাষার সুবিধা দিতে পারে যেসব আধুনিক character encoding তাদেরও অনেকে ঐতিহাসিক দিক থেকে অ্যাস্কির সাথে কোনভাবে সম্পর্কিত।

অ্যাস্কি নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৬০ সালে, ১৯৬৩ সালে প্রথম সংষ্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ তে বড়সড় ধরনের পরিমার্জন করা হয়। সর্বশেষ সংষ্করণ প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। সর্বশেষ প্রকাশিত সংষ্করণ অনুযায়ী অ্যাস্কি কোডের ধারণক্ষমতা ১২৮ টি বর্ণ, তার মধ্যে ৯৫টি ছাপারযোগ্য বর্ণ এবং ৩৩টি নিয়ন্ত্রণ সংকেত (control characters) হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।

ইউনিকোডঃ

বিশ্বের সকল ভাষার বর্ণমালা এবং চিহ্নসমূহকে একটিমাত্র কোড পদ্ধতির আওতাভূক্ত করতে Unicode পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এর উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। ইউনিকোড পদ্ধতির স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ এবং উন্নয়নের জন্য বিশ্বের একমাত্র অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Unicode Consortium বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। এটি বহুল প্রচলিত 16 বিট কোড এবং এর মাধ্যমে সর্বমোট 216 = 65536 টি অদ্বিতীয় ক্যারেকটার কম্পিউটারে উপস্থাপন করা যায়।

2.Ans:

ডেটা ও ইনফরমেশনের পার্থক্যঃ

ডেটাঃ

ডেটা হচ্ছে তথ্যের উপাদান। সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো নয়। এমন এক বা একাধিক বর্ণ, শব্দ, সংখ্যা, চিহ্ন, চিত্র, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার জন্য যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপাদান কম্পিউটারে ইনপুট আকারে দেয়া হয় তাকে উপাত্ত বা ডেটা বলে। যেমন– রোল নম্বর, ছাত্রের নাম, বোর্ডের নাম, জিপিএ ইত্যাদি।

ইনফরমেশন : ডাটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে অর্থবহ যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে। অর্থাৎ ইনফরমেশন হলো কম্পিউটারের সাহায্যে ডাটাকে প্রয়োজনমতো প্রক্রিয়াকরণ করে যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। যেমন– একজন শিক্ষার্থী বাংলায় ৭০ নম্বর, ইংরেজিতে ৮০ পেল। সে মোট ১৫০ নম্বর পেল। এখানে ১৫০ নম্বর  হলো তথ্য। এটি একটি সামষ্টিক ধারণা, যা কোন বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পারে।

3.Ans:

বাইনারি সংখ্যা কিঃ

আমরা তো দৈনন্দিন জীবনে নানা হিসাব–নিকাশের জন্য দশভিত্তিক (decimal) সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহার করে দুইভিত্তিক বা বাইনারি (binary) সংখ্যা পদ্ধতি। দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিতে আছে মোট দশটি অঙ্ক 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 আর বাইনারিতে দুটি, 0 আর 1।

দশমিক সংখ্যা কিঃ

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট দশটি অংক রয়েছে, এরা হলো 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9

4.Ans:

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি:

হেক্সাডেসিমাল সংথ্যা পদ্ধতিতে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, A,B,C,D,E,F মোট ১৬ টি সংখ্যা ব্যবহার করে সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশ করা হয়। কম্পিউটারে ডেসিমাল সংখ্যা ব্যবহার করি। পরে উহা বাইনারী কোডে রুপান্তরিত হয়। কম্পিউটারের কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে বাইনারী কোডগুলো হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি:

এই পদ্ধতিতে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭ মোট ৮ টি সংখ্যা ব্যবহার করে সংখ্য প্রকাশ করা হয়। তাই এই সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত ৮। যেমন : (৪৫)৮, (৫৬০)৮ ইত্যাদি।

5.Ans:

সংখ্যা পদ্ধতিঃ

গনার ইতিহাস চর্চা করলে আমরা দেখতে পাই অতীতকালের মানুষ নিজের আঙুল অথবা নুড়ি ও পাথরের সাহায্যে গুহার গায়ে আঁকা কেটে গণনা করত। সভ্যতার উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ গনার বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করলো। এই গনার পদ্ধতিকে দুইভাবে ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা–

Non-Positional Number System ( নন– পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম )

Positional Number System ( পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম )

Non-Positional Number System (নন– পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম)

প্রচিন কালে মানুষ গনার জন্য গুহার গায়ে আঁকা কেটে গণনা করতো। এই প্রকার গনার ক্ষেত্রে সংখ্যার মান তার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না। তাই এই প্রকার সংখ্যা পদ্ধতিকে Non-Positional Number System ( নন– পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম ) বলে।
যেমন–

১ এর জন্য I

২ এর জন্য II

৩ এর জন্য III

৪ এর জন্য IIII

৫ এর জন্য IIIII

৬ এর জন্য IIIIII

Positional Number System (পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম)

এই প্রকার Number system এর ক্ষত্রে কতগুলি চিহ্ন ও সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। অনেকগুলি সংখ্যা পরপর একত্রিত হয়ে একটি সঠিক মানের সংখ্যা গঠন করে এবং প্রত্যেকটি সংখ্যার মান তার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।

যেমন– 234 এই সংখ্যাটি 2,3 ও 4 দ্বারা গঠিত।

এই সংখ্যাটিকে 324,432,342 ইত্যদি ভাবে লিখতে পারি। এতে সংখ্যাটির মানের পরিবর্তন হয়।

যে নাম্বার সিস্টেমে অঙ্কের অবস্থান পরিবর্তন করলেই সংখ্যাটির মানের পরিবর্তন হয় তাকে Positional Number System (পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম) বলে।

বর্তমানে প্রায় সমস্ত গনার কাজে Positional Number System (পজিশনাল নাম্বার সিস্টেম) ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটারে সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য মূলত চারতিভাগে সংখ্যা পদ্ধতি ভাগ করা হয়।
যথা —

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (Decimal Number system)

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি(Binary Number System),

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (Octal Number System) এবং

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি (Hexadecimal Number System)

Hardware, Memory, InputOutput Device

1.Ans:

Microcomputer এর ব্লক চিত্রঃ

মাইক্রোকম্পিউটার এর কাজ:

মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–
১. সুপার মাইক্রো (super micro)
২. ডেস্কটপ (desktop)
৩. ল্যাপটপ (laptop)
১. সুপার মাইক্রো (super micro) : সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
২. ডেস্কটপ (desktop) : এটি সহজে ব্যবহার ও ডেস্কে স্থাপন করা যায়। যেমন–আইবিএম পিসি, এ্যাপল মেকিনটোশ।
৩. ল্যাপটপ (laptop) : ডেক্সটপ থেকে ছোট কম্পিউটারগুলো সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। এটি lap (কোল) এর উপরtop (উপর) রেথে কাজ করা যায়। ল্যাপটপ দুইশ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন–নোট বুক (note book) ও পিডিএ (pda)।
মাইক্রোকম্পিউটার এর মূলনীতিঃ

মাইক্রোকম্পিউটার হল এমন এক ধরণের কম্পিউটার যেখানে একটি মাইক্রোপ্রসেসর সিপিইউ হিসেবে কাজ করে। মেইনফ্রেম কম্পিউটার এবং মিনি কম্পিউটারের তুলনায় এটি ছোট আকারের হয়ে থাকে।

মিনিকম্পিউটারের সূচনার পর মাইক্রোকম্পিউটার ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।মিনিকম্পিউটারের অনেক আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশের পরিবর্তে মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহার শুরু হয় মাইক্রোচিপের।

মাইক্রোপ্রসেসর এবং সেমিকন্ডাক্টর মেমোরীর মূল্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ায় মাইক্রোকম্পিউটারের মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। যার ফলে এটি ব্যবহার করা সবার জন্য সহজ হয়ে উঠে।

এছাড়াও অন্য যে সব কারণে মাইক্রোকম্পিউটার জনপ্রিয় হয়ে উঠে সেগুলো হলো:

অত্যন্ত কম দামের ৭৪০০ সিরিজের চিপের কারণে কিবোর্ডের মত ইনপুট যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হয় যা ব্যবহারকারীরা সহজেই গ্রহণ করে।

স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য অডিও ক্যাসেটের ব্যবহার করা হয়, যা পূর্বের কম্পিউটারের ন্যায় প্রতিবার চালুর হওয়ার পর পুনরায় তথ্য প্রদানের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।

RAM এর দাম কমে যায় এবং ভিডিও প্রদর্শনী ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়।

এ সকল কারণে মাইক্রোকম্পিউটার ১৯৭০ এবং ১৯৮০‘র দশকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অনেক কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছোট ছোট ব্যবসায়ীক প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে মাইক্রোকম্পিউটার বাজারজাত করা শুরু করে। ১৯৭৯ সালে বিভিন্ন নামকরা কোম্পানি হিসাব সংরক্ষন, তথ্য ব্যবস্থাপনা, মুদ্রন ইত্যাদি ব্যবসায়ীক প্রয়োজনীয়তার মেটানোর জন্য কম্পিউটারের সিস্টেম ডিজাইন করে। যার কারণে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মিনিকম্পিউটার ক্রয় করার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়।

মাইক্রোকম্পিউটারের এ জনপ্রিয়তা অনেক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। সময়ের চাহিদায় এ ধারা অব্যাহত থাকে। যা কারণে মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য নিত্য নতুন সফটওয়্যার তৈরি হতে থাকে।

3.Ans:

Memory কিঃ

ডাটা সংরক্ষনের জন্য ব্যবহ্রত মাধ্যম বা ধারককে কম্পিউটারের মেমরী বলে।

মেমরির প্রকার:

কম্পিউটারে তিন ধরনের স্মৃতি আছেঃ–
ক) প্রধান স্মৃতি(Main Memory)
খ) সহায়ক স্মৃতি(Scondary Memory)
গ) ক্যাশ মেমরি(Cache Memory)

8.Ans:

ক্যাশ মেমরি:

প্রসেসররের সাথে থাকা মেমোরি কে ক্যাশ মেমরি বলে। প্রসেসর যখন কাজ করে তখন ডাটা এই মেমোরি তে সংরক্ষিত থাকে। তাই ক্যাশ মেমরি যত বেশি হবে, প্রসেসর তত দ্রুত কাজ করবে।

15.Ans:

ইনপুট ইউনিট/ডিভাইস Input unit/Device:
ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে বাহির থেকে কমিপউটারে তথ্য সরবরাহ করা হয় এবং কার্য্য সমপাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কিবোর্ড,মাউস, লাইট প্রেন্ট, ডিজিটাইজার, জয়স্টিক এবং ট্রাকবল, টাচস্কীন।

12.Ans:

RAM ও ROM এর মধ্যে পার্থক্য:

RAM:

RAM কে সাধারণত সহায়ক স্মৃতি বলা হয়। উদাহরণ দিচ্ছি ছোট করে। যোগ করছেন ১৩ আর ১৯ দুটি সংখ্যার। এখন যখন ৯+৩ করবেন তখন তার নিজে উত্তর বসানোর সময় লিখবেন ২ হাতে বা মনে রাখবেন ‌১। এখন কম্পিউটারের বেলাতে এই ১ বা ১০ যেটা হাতে বা মনে রেখেছেন সেটা কোথায় রাখবে? হ্যাঁ, সেটা সে RAM এ সংরক্ষণ করবে। আবার যখন প্রয়োজন তখন ঐখান থেকে দেখে নিবে আর কাজ শেষে মুছে দিবে।

ROM :

ROM মূলত এমন একটা মেমরি যাতে ডাটা স্থায়ী ভাবে সংরক্ষিত থাকে। যেমন CD/DVD ডিস্ক। এতে একবার মাত্র ডাটাকে লিখে পরে শুধু Read বা পড়া হয়। তেমনি যেসকল মেমরি শুধু মাত্র একবার সংরক্ষণের সুবিধা দেয় এবং পরবর্তীতে তা শুধু ঐ সংরক্ষণকে পড়া বা ব্যবহারের কাজ করে থাকে তাকেইROM বলা হয়।

CPU and Microprocessor

1.Ans:

(ALU) এর কাজ :
এরিথমেটিক লজিক ইউনিট সিপিইউ– এর অন্তর্ভূক্ত। এটি কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান সাংগঠনিক অংশ। এ অংশটি বিভিন্ন ধরনের গানিতিক কাজ ( যেমন– যোগ,বিয়োগ,গুন, ভাগ), যুক্তিমূলক কাজ যেমন– (AND, OR, NOT ) ইত্যাদি এবং উপাত্ত সঞ্চালনের কাজ (যেমন কোন রেজিষ্ট্রার পরিস্কারকরন) করে থাকে।

2.Ans:

Microprocessor এর গঠন:

মাইক্রোপ্রসেসর হলো প্রোগ্রামযোগ্য ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ, যা কম্পিউটার সহ নানা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়। একটি microcontroller (কখনও কখনও সংক্ষিপ্ত μC, দে বা MCU) একটি একক সমন্বিত বর্তনী একটি প্রসেসর কোর, মেমরি, এবং প্রোগ্রামেবল ইনপুট / আউটপুট যন্ত্রানুষঙ্গ ধারণকারী ছোট কম্পিউটার. তাছাড়াও ফ্ল্যাশ বা OTP রম আকারে প্রোগ্রামের মেমরি হয় প্রায়ই চিপ, যেমন RAM উপস্থিত সাধারণত অল্প পরিমান সহ. Microcontrollers এমবেডেড অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা অন্যান্য সাধারণ উদ্দেশ্যে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত microprocessors থেকে বিপরীতে মধ্যে নির্মিত হয়.

4.Ans:

Register কি:

একটি কম্পিউটার এর মদ্ধে Register হচ্ছে ছোট ছোট ডাটা জমা রাখার একটি জায়গা এবং মিচ্রপ্রসেসর এর একটি অংশ ।

Register এর নামঃ

Timer register, ADC register, PORT register, TRIS register ইত্যাদি।

5.Ans:

Instruction কি:

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করবে এর নির্দেশনাকে কে Instruction বলে।

6.Ans:

সিপিইউ CPU কি:

সিপিইউ মানে “সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট” (Central Processing Unit)। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা সকল কাজ নির্দেশ অনুযায়ী সম্পাদন করে ফলাফল বের করে। সিপিইউ বলতে মূলতঃ প্রসেসরকেই বোঝানো হয়। প্রসেসর হল অসংখ্য একটি ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যুক্ত ডিভাইস যা লজিক গেইট ব্যবহার করে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করে তুলনামুলক তথ্য বের করতে পারে। প্রসেসরের মাঝে এই কাজ সম্পাদন করার জন্য যে অংশ থাকে তার নাম এএলইউ।

সিপিইউ CPU এর কাজ :

সিপিইউ যে আকারেরই হোক না কেন তাদের কাজ হল নির্দেশিত নির্দেশনাগুলো নির্বাহ করা যাকে প্রোগ্রাম বলা হয়। নির্দেশনাগুলো কম্পিউটারের স্মৃতিতে রাখা হয়। তিন ধাপে প্রায় প্রত্যেকটি সিপিইউ কাজ করে সেগুলো হল নির্দেশনা আনায়ন, নির্দেশনার অর্থোদ্ধার এবং নির্বাহ করা।

কোন নির্দেশনা নির্বাহ করার পর,পরবর্তী নির্দেশনার ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়া পুনরায় হয়, সাধারনত পরবর্তী নির্দেশনা আনায়ন করার মধ্য দিয়ে এটা শুরু হয়। যদি কোন জাম্প নির্দেশনা নির্বাহ করা হয়, প্রোগ্রাম কাউন্টার পরিবর্তন করা হয় যাতে এটি নির্দেশনার ঠিকানা বহন করে (যেখানে জাম্প করতে হবে) এবং প্রোগ্রামটি নির্বাহ চালিয়ে যেতে থাকে। জটিল নকশার সিপিইউগুলোতে একাধিক নির্দেশনা আনায়ন, অর্থোদ্ধার ও নির্বাহ করা হয় একই সাথে। বনর্নার এই অংশে “ক্লাসিক আরআইএসসি পাইপলাইন” কি তাকে বুঝানো হচ্ছে, যেটা কিনা অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশে খুবই সাধারন মানের সিপিইউতে ব্যবহৃত হয় (প্রায়শই এক মাইক্রোকন্টোলার হিসেবে অভিহিত করা হয়)। এটিতে সিপিইউ ক্যাশ থাকে না।

কিছু নির্দেশনা নিজের কাজের জন্য প্রোগ্রাম কাউন্টার ব্যবহার করে সরাসরি ফলাফলের ডেটা উৎপাদন না করে, এধরনের নির্দেশনাগুলোকে সাধারনত “জাম্প” বলা হয় এবং প্রোগ্রামকে সহজতর করে লুপ, শর্তারোপিত নির্বাহ এবং কার্য সাধনের উপস্থিতির মত আচরন করে। কিছু প্রসেসরে, অন্যান্য নির্দেশনাগুলো বিটসের অবস্থা পরিবর্তন করে “ফ্ল্যাগস” রেজিষ্টারে। এই ফ্ল্যাগগুলো দিয়ে প্রোগ্রামের আচরন পরিবর্তন করা যায়।

Operating system and utility software

1.Ans:

Operating system:

অপারেটিং সিস্টেম (OS) হচ্ছে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পদ ব্যবস্থাপনাকারী কতগুলি কম্পিউটার প্রোগ্রামের সমষ্টি।

operating system এর কাজঃ

অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ও ব্যহারকারীদের ইনপুট নেয় এবং বিভিন্ন টাস্ক ও কম্পিউটারের আভ্যন্তরীণ সিস্টেম সম্পদগুলি বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা করে ব্যবহারকারী ও অন্যান্য প্রোগ্রামকে সেবা প্রদান করে। মেমরি বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ, সিস্টেম অনুরোধগুলির অগ্রাধিকার নির্ণয়, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ও ফাইল সিস্টেম ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমের কাজ। উইন্ডোজ, লিনাক্স, ইউনিক্স, ম্যাক ওএস ও অ্যানড্রয়েড প্রচলিত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলি চালাবার জন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যবহারকারীর কাছে অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে দৃশ্যমান রূপ হল কম্পিউটারের ইন্টারফেস।

2.Ans:

time sharing operating system:

একই সময়ে একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন টার্মিনাল এ অবস্থিত অনেক মানুষ,একই সময় ভিন্ন ভিন্ন কাজ করার কৌশলকে time sharing operating system।

Real time operating system:

একটি রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS) বাফার বিলম্ব ছাড়া বাস্তব সময়ে তথ্য প্রক্রিয়ার করার পদ্ধতিকে রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)হয়।

3.Ans:

লিনাক্স operating system এর চারটি ওপেন সোর্স Distribution এর নাম :

Fedora (Red Hat), openSUSE (SUSE),Debian এবং Ubuntu .

4.Ans:

operating systemএর প্রকারঃ

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কার্যক্ষমতা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ সম্বলিত প্রোগ্রাম সমূহকে Operating/System Software বলে। অপারেটিং সিস্টেম সমূহ সিস্টেম সফটওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত। Windows XP, Windows Vista, Windows-7, Linux ইত্যাদি Operating/System Software এর উদাহরণ।

5.Ans:

ইউটিলিটি প্রোগ্রাম :

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বিল্ট–ইন অনেকগুলো প্রোগ্রামই রয়েছে, যেগুলো অনেক সময়ে ব্যবহারকারীর সব চাহিদা পূরণে সক্ষম নয়। এসব প্রোগ্রামে আরও বাড়তি ফিচার দাবী করে থাকে ব্যবহারকারীরা।যেগুলো উইন্ডোজ আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই। এগুলোকে ইউটিলিটি প্রোগ্রাম বলে। যেমন টেরাকপি, বিনস,ফেন্সেস,প্রোসেস ম্যানেজার,জাম্পলিস্ট এক্সটেন্ডার ইত্যাদি।

6.Ans:

ওপেন সোর্স Operating System এর নাম :

Fedora (Red Hat), openSUSE (SUSE),Debian এবং Ubuntu .

7.Ans:

ফাইল ম্যানেজারঃ

ফাইল ম্যানেজার হচ্ছে কম্পিউটার এর ফাইল/ফোল্ডারগুলো ভিউতে দেখার জন্য একটি সফটওয়ার ।যেটা দিয়ে ফাইল ডিটেইলস দেখতে পারবেন,রিনেম ও ডিলিট করতে পারবেন, এমনকি ফাইল এর এট্রিবিউটও পাল্টাতে পারবেন। এছাড়াও ফাইল সেন্ড করা, অডিউ ও ভিডিউ প্লে করা যায় ।

Computer Communication and Network , Telecommunication

1.Ans:

Network কি:

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যাতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার একসাথে যুক্ত থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা ফাইল,প্রিন্টার ও অন্যান্য সম্পদ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারেন, একে অপরের কাছে বার্তা পাঠাতে পারেন এবং এক কম্পিউটারে বসে অন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালাতে পারেন।

নেটওয়ার্ক এর বাংলা অর্থ বিস্তীর্ণ জালিকা ।

বিভিন্ন প্রকার network:

একটি নেটওয়ার্কে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় ।

১. LAN ( Local Area Network )

২. MAN ( Metropolitan Area Network)

৩. WAN ( Wide Area Network)

2.Ans:

LAN এবং WAN এর মদ্ধে পার্থক্যঃ

Local Area Network (LAN):

একই বিল্ডিং এর মাঝে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্রকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এই নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার গতি ১০এমবিপিএস। এই নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইসগুলো হলো রিপিটার, হাব, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস ইত্যাদি।

WAN(Wide Area Network) : দূরবর্তী ল্যানসমূকে নিয়ে গড়ে উঠা নেটওয়ার্ককে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫৬ কেবিপিএস থেকে ১.৫৪৪ এমবিপিএস। ওয়্যানের গতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। এ ধরনের নেটওয়ার্কে ব্যবহিত ডিভাইসগুলো হলো রাউটার,মডেম, ওয়্যান সুইজ ইত্যাদি।

3.Ans:

সংজ্ঞাঃ

হাব

হাব হলো একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট রিপিটার। এটি কাজ করে ইলেকট্রিক সিগন্যাল নিয়ে। নেটওয়ার্ক এড্রেস কিংবা নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের ম্যাক এড্রস নিয়ে হাবের মাথাব্যাথা নেই। এটিও কাজ করে ওএসআই মডেলএর ফিজিক্যাল লেয়ারে।

ব্রিজ

ব্রিজ এমন একটি ডিভাইস যা একাধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্টকে যুক্ত করে থাকে।  এটি প্রতিটি সেগমেন্ট বিভিন্ন ডিভাইসের হিসেব রাখার জন্য ব্রিজিং টেবিল তৈরি করে। ইহা ওএসআই মডেল এর ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে।

সুইজ

সুইজ হলো একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট ব্রিজ।ইহা প্রতিটি নোডের ম্যাক এড্রেস এর তালিকা সংরক্ষন করে। ইহা ওএসআই মডেল এর ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে।

রাউটার

এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং। আর রাউটিং এর জন্য ব্যবহুত ডিভাইস হলো রাউটার। ইহা ওএসআই মডেল এর নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে।

গেটওয়েঃ

বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কসমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহিত ডিভাইসটি হলো গেটওয়ে। ইহা প্রটোকলকে ট্রান্সলেশন করে থাকে। ইহা ওএসআই মডেল এর ৭ লেয়ারেই কাজ করে।

4.Ans:

নেটওয়ার্ক টপোলজি কি:

একটি নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট যেমন– ক্যাবল,পিসি,রাউটার ইত্যাদি যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে। নেটওয়ার্ক টপোলজি মূলত নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল লে–আউট বর্ণনা করে থাকে। নেটওয়ার্ক টপোলজিকে ফিজিক্যাল টপোলজিও বলা হয়।

LAN টপোলজি:

Star: এই টপোলজিতে নেটওয়ার্ক কম্পোনেন্ট গুলো একটি কেন্দ্রীয় একসেস পয়েন্টে সংযুক্ত থাকে।

Bus: নেটওয়ার্ক কম্পোনেন্ট গুলো একটি প্রধান সংযোগকারী তার বা ডেটা পাথের সাথে যুক্ত থাকে যাকে বলা হয় “বাস” বা “ব্যাকবোন”।

Ring: এতে নেটওয়ার্ক কম্পোনেন্ট গুলো, একটি কম্পোনেন্ট সরাসরি দুটি কম্পোনেন্টের সাথে এবং নিজেদের মধ্যে একটি আবদ্ধ চক্রে সংযুক্ত থাকে।

Mixed: ব্যপক ভাবে বিস্তৃত রিং টপলোজি ব্যবহার করে এরূপ আমরা একটি অফিস কমপ্লেক্সের কথা ভাবতে পারি যেখানে এই টপোলজির মাধ্যমে অফিসটির প্রতিটি বিল্ডিং মূল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে একটি করে বড় আকারের বাস টপোলজি থাকতে পারে যা ঐ বিল্ডিং গুলোর প্রতিটি ফ্লোরে অবস্থিত ষ্টার টপোলজিকে সংযুক্ত করে, আবার এই বাস টপোলজি গুলো মূল কমপ্লেক্সের রিং টপোলজির সাথে যুক্ত। এই ধরনের টপোলজিকে বলা হয় মিক্সড বা মিশ্র টপোলজি।

দিন দিন প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে টপলোজির এই সংজ্ঞাগুলো প্রায়শই অকেজো মনে হয়। যখন ৫ টি কম্পিউটার একই কো–এ্যাক্সিয়াল ক্যাবল দিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করে তখন তাকে খুব সহজেই বাস টপলোজি হিসাবে শ্রেণীকরণ করা যায়। এখন আবার সেই একই কম্পিউটার গুলো যদি একটি সুইচ বা হাব এর সাহায্যে ক্যাট–৫ ক্যাবল দ্বারা যুক্ত থাকে? হাব এর মাধ্যমে প্রতিটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে যা অনেকটা ষ্টার টপলোজির মত, কিন্তু হাব একটি শেয়ারকৃত মাধ্যম, অনেকটা বাস টপলোজির মত। একটি সুইচে প্রতিটি কম্পিউটার এক একটি সতন্ত্র সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে, যা অনেকটা ষ্টার টপোলজির মত মনে হয়, কিন্তু সুইচে সবকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সুইচের মূল সংযোগ সূত্রকে শেয়ার করে, অনেকটা বাস টপোলজির মত। এই ধরনের ভুল ধারনা দূর করার জন্য অনেকে নেটওয়ার্ক টপোলজির সংজ্ঞা এইভাবে প্রদান করেন যাতে শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল লে–আউট বুঝা যায় আর ডিভাইসগুলো পরষ্পরের সাথে কিভাবে সংযুক্ত তার একটি পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়।

5.Ans:

optical fiber ক্যাবল এর সুবিধাঃ

অপটিক্যাল ফাইবার(ইংরেজি: Optical fiber) একধরনের পাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ, সাধারণত কাঁচ অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়, যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। ফাইবার অপটিকস ফলিত বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সেই শাখা যা এই অপটিক্যাল ফাইবার বিষয়ে আলোচনা করে। অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে লম্বা দুরত্বে অনেক কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের আরো অনেক সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– এই ব্যবস্থায় তথ্য পরিবহনে তথ্য ক্ষয় কম হয়, তড়িৎ–চুম্বকীয় প্রভাব থেকে মুক্ত ইত্যাদি। অপটিক্যাল ফাইবার সাধারণত টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া আলোকসজ্জা, সেন্সর ও ছবি সম্পাদনার কাজেও বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।

6.Ans:

ফাইবার অপটিকসঃ

ফাইবার অপটিকস শব্দটি দুইটি শব্দের নিয়ে গঠিত হলেও ব্যাপারটি কিন্তু এতো সোজা না । ফাইবার শব্দটির বাংলা অর্থ তন্তু আর অপটিকস শব্দটির অর্থ আলোক সংক্রান্ত বিজ্ঞান ।তাহলে আমরা ফাইবার অপটিকস শব্দটির মাধ্যমে এটা বুঝতে পারি, একটা তন্তুর মধ্যে দিয়ে আলো আনা–নেয়ার যে বিজ্ঞান ।আরও ভালোভাবে বলতে গেলে যে সুক্ষ কাচের তন্তুর মধ্যে দিয়ে তথ্য আদান–প্রদান করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকেই ফাইবার অপটিকস বলে ।আজ আমরা অসাধারন এই প্রযুক্তি যাঁদের অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে,সেই সব ব্যাক্তির নাম এবং এর আবিষ্কারের ইতিহাস জানবো ।পরের পর্বে আমরা এই প্রযুক্তির বিস্তারিত কৌশল জানবো।
সেই ১৮৮০ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল আমাদের মাঝে একটি নতুন যন্ত্রর পরিচয় করেন তাঁর নাম “ফটোফোন” ।এই ফটোফোন কাচ এবং সেলেনিউম ডিটেক্টরের মাধ্যমে আলোর মধ্যে দিয়ে শব্দ তরঙ্ঘ পাঠাত । কিন্তু আলোর মধ্যে দূরে শব্দ তরঙ্গ পাঠানোতে একটু অসুবিধা ছিল ।পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের মধ্যে এই শব্দ দূরবর্তী স্থানে পাঠালে তা ক্রমশই দুর্বল হয়ে যায়–বিভিন্ন কারণে।পরবর্তীতে একজন ইংরেজ বিজ্ঞানী জন এ বেয়ার্ড ১৯৩০ সালে এবং একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী হান্সেল্ টেলিভিশন ইমেজকে দূরবর্তী কোথায় পাঠানোর পেটেন্ট পান ।এর কয়েক বছর পর একজন জার্মান বিজ্ঞানী লাম্ম খুব সফল ভাবে একটি একক কাচের তন্তুর মধ্যে দিয়ে ছবি পাঠান দূরবর্তী কোন জায়গায় ।ঐ সময় পর্যন্ত আলোক তন্তুর ব্যাপারটি শুধু মাত্র গবেষনাগারেই সীমাবদ্ধ ছিল ।পরবর্তীতে ১৯৫১ সালে বিজ্ঞানী হেল্ল,হপকিন্স এবং কাপানে এই আলোকে কয়েকটা তন্তুর মধ্যে দিয়ে সফলভাবে পাঠাতে সমর্থ হন ।১৯৫৮ সালে চার্লেস তওনেস এবং আরথার সচাওলও আলোককে বর্ধিত করে দূরবর্তী স্তানে পাঠানোর কাজে সফল হন –যেখানে তাঁরা আলোককে লেজার রশ্মি তে পরিবর্তন করেন। তার দুই বছর পর থেওদর মাইমান প্রথম আলোক মেসর বানাতে সক্ষম হন ।১৯৬০ সালে লেজার রশ্মি আবিষ্কার হয় ।এই লেজার রশ্মি উচ্চ তরঙ্গতে ,উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং অধিক সংকেত পাঠাতে পারত ।এই লেজর রশ্মির আবিষ্কার অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরত্তপুর্ন ভুমিকা পালন করে ।১৯৬৭ সালে কাও এবং বুখাম যোগাযোগ বাবস্ততার জন্য আবরণ যুক্ত ফাইবার কাবল ব্যাবহারের জন্য প্রস্তাব করেন ।১৯৭০ সালে বেল কমিনাকাতিওন ল্যাব র তেতে সফল ভাবে ১ বিলিয়ন তথ্য ৬০০ মাইল দূরে ফাইবার কাবল এর মাধ্যমে পাঠাতে সক্ষম হন ।১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দিকে এই কাবল এর ব্যাপক উন্নতি হয় ।পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে ।

7.Ans:

packet-switching:

কোন বার্তা প্রেরণের পুরবে তাকে দুই ভাবে বিভক্ত করে যে প্রোটোকল এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় এবং তার গন্তব্যে বিভিন্ন রুট অনুসরণ করতে পারে তাকে packet-switching বলে।

circuit switching:

সার্কিট সুইচিং দুটি ডেডিকেটেড নোড একটি নেটওয়ার্কের যোগাযোগের চ্যানেল স্থাপন করা যা একটি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বাস্তবায়নের একটি পদ্ধতি।

8.Ans:

network interface card কাকে বলেঃ

কোন কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক মিডিয়ার সাথে সংযোগ দেয়ার জন্য বিশেষ ইন্টারফেসের দরকার হয়। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এই ইন্টারফেসের কাজ করে। বিভিন্ন মিডিয়ার জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কানেক্টর দিয়ে এসব কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হয়। অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যোগাযোগের জন্য NIC বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যাকে বলা হয় ড্রাইভার। প্রতিটি NIC এর একটি বিল্ট–ইন ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস থাকে। একে বলা হয় মিডিয়া এক্সেস কন্ট্রোল বা ম্যাক অ্যাড্রেস এবং এই অ্যাড্রেস প্রত্যেকটি কার্ড এর জন্য ভিন্ন। বর্তমান কম্পিউটারগুলোতে NIC ইন্সটল করাই থাকে অথবা মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ট–ইন অবস্থায় পাওয়া যায়।

Bandwidth:

Bandwidth (ব্যান্ডউইথ) বলতে একটি নেটওয়ার্ক বা মডেম কানেকশনের মধ্য দিয়ে কি পরিমাণ ডাটা প্রেরিত হচ্ছে তা বোঝায়। এটি সাধারণত “বিটস পার সেকেন্ড” বা bps দ্বারা পরিমাপ করা হয়। ব্যান্ডউইথকে একটি হাইওয়ের মধ্য দিয়ে কার…চলাচল দ্বারা তুলনা করলে ব্যাপারটি সহজে বোঝা যায়। এখানে হাইওয়ে হচ্ছে নেটওয়ার্ক আর কার হচ্ছে প্রেরণকৃত ডাটা। হাইওয়ে যত বেশি প্রশস্থ তত বেশি কার একসাথে চলাচল করতে পারে। তার মানে তত বেশি কার একসাথে নিজের গন্তব্যে পৌছাঁতে পারে। একই নিয়ম কম্পিউটার ডাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যত বেশি ব্যান্ডউইথ বেশি ডাটা বা তথ্য একসাথে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রেরণ করা যায়।

মডেম কিঃ

Modem এর পূর্ণ নাম হল Modulation demodulation . অতএব বলা যায় যে Modem হলModulation demodulation Device, যার মাধ্যমে কোন ডাটাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানন্তরের কাজ সম্পন্ন করা হয় ।

জিপিআরএস:

জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস। দ্বিতীয় প্রজন্ম বা টুজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ধরনের নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকলে মোবাইলে G আইকন দেখা যায়। বর্তমানে প্রচলিত মোবাইল ইন্টারনেট–সুবিধাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ধীরগতির।

এজ (ইডিজিই—এনহ্যান্সড ডেটা রেটস ফর জিএসএম ইভাল্যুয়েশন)। এই প্রযুক্তি কখনো কখনো এনহ্যান্সড জিপিআরএস নামেও ব্যবহূত হয়। এটি থ্রিজির পূর্ববর্তী প্রযুক্তি এবং একে জিপিআরএসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ২০০ কেবিপিএস গতিতে তথ্য আদান–প্রদান করা যায়। এই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকলে মোবাইল ফোনে E আইকন দেখায়।

Internet and Email

1.Ans:

ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমম্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।আনেক গুলো কম্পউটার এক সাথে যুক্ত করে একটি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করে আর একটি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করাই হলো ইন্টারনেট।তাই একে ইন্টারনেটওয়ার্কিং ও বলা হয়।

১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেল্–স এর UCLA ল্যাবরেটরিতেএটি সর্বপ্রথম আরপানেট(Arpanet-Advanced Research Projects Administration Network) দিয়ে যাত্রা সুরু করে।

ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধাঃ

সবকিছুরই ভাল মন্দ দিক থাকে তেমনই ইন্টারনেটের ভাল মন্দ দিক আছে আমাদের যুব সমাজ এই ইন্টারনেটের সুবিধা থেকে অসুবিধা বা মন্দ দিক গ্রহন করছে যেমন ধরুন ইন্টারনেটের কিছু কিছু ওয়েব সাইটে আমাদের দেশের মেয়েদের ছবি ও মোবাইল নম্বার এড করে দিয়ে তাদের বেকায়দায় ফেলছে এটার প্রতিফলন মেয়েরা ভোগ করছে এমনকি তাদের পরিবাররাও এর শিকার হচ্ছে। আমরা কি এর থেকে দুরে থাকতে পারি না এই কুফল থেকে সরে এসে ইন্টারনেটের সুফল ভোগ করার চেষ্টা করি। তাহলেই এর ডিজিটার বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা সার্থ হবে।

2.Ans:

ইমেইল কিঃ

ইলেকট্রনিক মেইলের সংক্ষিপ্ত রূপ হল ইমেইল যা এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মানুষ পরস্পর পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। যদিও মূলত এটি একটি টেক্সট বেসড কমিউনিকেশান সিষ্টেম কিন্তু প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে আজ এর মাধ্যমে এটাচমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন ফরমেটের ফাইল, ছবি কিংবা চলমান ভিডিও পাঠানো সম্ভব।

ইমেইল এড্রেস কিঃ

ইমেইল এড্রেস হচ্ছে প্রপকের ঠিকানা, যার কাছে বার্তা প্রেরণ করা হয়।

3.Ans:

ওয়েব পেজ কি ?

উত্তর: ইন্টারনেট তথা ওয়েবে যে কেউ তার প্রয়োজনীয় তথ্য, অডিও, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি জমা রাখতে পারে। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এগুলো জমা রাখা যায়। ওয়েবে এরুপ তথ্য রাখার স্পেস বা পেজকে ওয়েব পেজ বলা হয়। এটি এক বা একাধিক পৃষ্ঠার হতে পারে। প্রথমে যে পেজটি দেখা যাবে তাক হোম পেজ বলা হয়। ইন্টারনেটে সার্বক্ষনিক যুক্ত কোন বড় কম্টিউটারকে সার্ভার বলা হয়, এতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকার বিনিময়ে স্পেস বা জায়গা পাওয়া যায় যাতে ওয়েবসাইট রাখা যায়। ওয়েব পেজের অবশ্যই ঠিকানা থাকে, একে URL বলা হয়। একটি URL-এ একাটই ওয়েব পেজ থাকতে পারে। কোন ওয়েব পেজ যে বিষয়ে সেই বিষয়ে কেউ সার্চ ইন্জিনে সার্চ করলে সেই পেজটিকে খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।

ইন্টার নেটে একটি ওয়েব পেজ খুলতে যা যা দরকার হয়:

১. ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে হবে,

২. ডোসেইন নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে,

৩. কোন সার্ভরে ওয়েব পেজটি টাকার বিনিময়ে রাখতে হবে,

৪. ওয়েব পেজটিকি আরো বেশি প্রচানমুখী করার জন্য সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন করা যে

WWW কি?

WWW – World Wide WebWWW হচ্ছে একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা সারা বিশ্বে ছড়ানো। WWW কেই বলা হয়ে থাকে Web.
এই ওয়েবে কম্পিউটারগুলো একটি অপরটির সাথে কিছু নিয়ম ও ভাষা ব্যাবহার করে যোগাযোগ করে থাকে।
W3C (The World Wide Web Consortium) এই ভাষা এবং নিয়মগুলো তৈরী করে যাচ্ছে।

Hypertext কি :

Hypertext হচ্ছে একটি সফটওয়্যার সিস্টেম যা সংশ্লিষ্ট তথ্য ও গ্রাফিক্স, পর্দায় বিষয় সংযোগ করে একটি সফটওয়্যার সিস্টেম.

4.Ans:

internet প্রোটকল:

প্যাকেট–সুইচড্ কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে এই প্রোটকল টি মূলত প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য ডেভেলপ করা হয়internet প্রোটকল বলে। বেশীরভাগ ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক প্রোটকল যেমন ইমেইল, ফাইল ট্রান্সফার প্রোটকল (FTP), টেলনেট এবং হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রোটকল (HTTP)।

internet এর কিছু প্রোটকলঃ

Asynchoronous Transfer Mode (ATM): এ প্রটোকলের ভিত্তি হল একটি নির্দিষ্ট আকারের বা সাইজের প্যাকেট বা গুচ্ছাকারে ডেটার আদান প্রদান। এই নির্দিষ্ট প্যাকেট আকারের ডেটা পাঠানোর ফলে একক কোন ডেটা, বরাদ্দকৃত ব্যান্ডউইথ্ আটকে রাখে না।

DECnet: এই প্রোটকলটি ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন কর্তৃক ডেভেলপ করা। এটি PDP ও VAX সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

Ethernet: সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ইথারনেট বা ল্যান (LAN) স্ট্যানডার্ড প্রোটকলটি জেরক্স্, ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন এবং ইন্টেল কর্পোরেশন সম্মিলিত ভাবে ডেভেলপ করে।

Fibre Distributed Data Interface (FDDI): অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য

Token Ring: আই.বি.এম কর্তৃক ডেভেলপকৃত একটি ল্যান (LAN) প্রোটকল জেখানে ডেটা প্রেরণ করার পূর্বে সিস্টেমকে অবশ্যই সেই “টোকেন” নেটওয়ার্কের সদস্য হতে হবে।

Transmission Control Protocol/Internet Protocol (TCP/IP): কতকগুলো কমিউনিকেশন প্রোটকলের সম্মিলিত সংগ্রহ যা হোস্ট্ সিস্টেম কে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। এটি সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক প্রোটকলের মধ্যে একটি এবং TCP ও IP প্রোটকলের সমন্বয়ে গঠিত।

5.Ans:

ইন্টারনেটের এর সামাজিক প্রভাব:

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ প্রযুক্তির বিভিন্ন উপকরণ ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদির দিকে ব্যাপকহারে ঝুকে পড়েছে। বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকরীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেন বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারের মাধ্যমে। বর্তমান সময়টা হচ্ছে ইন্টারনেটের। আর ইন্টারনেট বলতেই এখন এক কথা সর্বপ্রথম যে সাইটটির নাম চলে আসে তা হলো ফেসবুক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের ধারণা নিয়ে চালু হওয়া ফেসবুক পাল্টে দিয়েছে ইন্টারনেট বিশ্বকে।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাপনের ধারণাটি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকায়নের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধারায় যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন অনুষঙ্গ। আর ক্রমেই বিশ্ব হয়ে উঠছে ইন্টারনেট নির্ভর। ইন্টানেটের বিস্তার গত এক দশকে পৃথিবীর আর্থ–সামাজিক অবস্থায় নিয়ে এসেছে বড় ধরণের পরিরর্তন। পাশ্চাত্যের দেশগুলো প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি অগ্রসর হলেও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই এশিয়ার দেশগুলো। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় এক–তৃতীয়াংশ মানুষ যুক্ত রয়েছে ইন্টারনেটে। আর এর বড় একটি অংশই রয়েছে এশিয়ার।

Web Development

1.Ans:

HTML কি:

HTML একটা কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ, যা পৃথিবীর বিশাল তথ্য–ভান্ডারকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। একটা ওয়েব পেজের মূল গঠন তৈরি হয় HTML দিয়ে। HTML কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, একে Hyper Text Mark Up Language বলা হয়। Mark Up Languageএক সেট Mark Up ট্যাগের সমন্বয়ে গঠিত হয়। একটা ওয়েব পেজের বিভিন্ন অংশ ব্রাউজারের মাধ্যমে কিভাবে প্রদর্শিত হবে, তা HTML এ Mark Up ট্যাগ সমূহ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয় ।

HTML Tag কিঃ

HTML এর পুরো শব্দসমুহ হল Hyper Text Markup Language। ইহা কতগুল tag এর সমণ্বয়ে গঠিত। এই টেগুলো থেকে প্রয়োজনীয় টেগসমুহ সুবিধামত সাজিয়ে web page তৈরি করা হয়

<!DOCTYPE html>
<html>
<body>

<h1>My First Heading</h1>

<p>My first paragraph.</p>

</body>
</html>

কোডঃ HTML5

১। উল্লেখ্যঃ <! DOCTYPE html>ট্যাগ HTML5 এর জন্য এই DOCTYPE হয় ব্যবহার করা হয় । কোডিং শুরু হবে <html> ট্যাগ দিয়ে , আর শেষ হবে</ html> ট্যাগ দিয়ে এর ভিতরেই কোডিং করতে হবে ।
২। <html> এবং </ html> ট্যাগ এর মধ্যে দেওয়া তথ্যগুলো আপনার ওয়েব পাতা বর্ণনা করে । কি কি তথ্য উপাদান দিয়ে আপনার ওয়েব সাইটটি তৈরি করা হয়েছে তার বরনা করে ।
৩। <body> এবং </ body> ট্যাগ এর মধ্যে থাকা তথ্যগুলো ব্রাউজারে দৃশ্যমান হবে । জি, আমরা শুধু <body> এবং </ body> ট্যাগ এর মধ্যে থাকা তথ্য গুলো ব্রাউজারে দেখতে পাই ।

৪। <h1> এবং </ H1> ট্যাগ মধ্যে লেখা একটি শিরোনাম হিসেবে প্রদর্শিত হয় আমরা যাকে টাইটেল বলি ইংরেজিতে , এছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ও এর ব্যবহার করা হয় , যেটা আমরা পরে শিখব ।

৫ । <p> এবং </ P> ট্যাগ মধ্যে লেখা একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে প্রদর্শন করা হয় , একে প্যারাগ্রাফ ট্যাগ বলা হয় । কোন তথ্যকে প্যারা করে সাজিয়ে লিখতে গেলে এই ট্যাগ ব্যবহার করা হয়

*** কোডগুলো আপনার নোটপ্যাড++ এ ওপেন করুন । নিজে নিজে লিখে চেস্টা করতে থাকুন । লেখা হলে সেভ করুন । তারপর রান অপশন এ গিয়ে যেকোন একটি ব্রাউজার দিয়ে রান করে দেখুন আপনার কোডিং কেমন হল ।

HTML Attributes কি:

আমরা যে সকল ওয়েব পেজ দেখি সেখানে তো অনেক লেখা, উপাদান বা অনেক তথ্য সাজানো থাকে। তা কিন্তু এমনিতেই সাজানো থাকে না। কোন উপাদান কি ভাবে সাজানো থাকবে, দেখতে কি রকম হবে, ওয়েব পেজ এর কোথায় ও কতটুকু জায়গা নিয়ে বসবে এ সকল বিষয় গুলোই হচ্ছে Attributeবা বৈশিষ্ট্য।

যেমনঃ

<a href=”http://techtweets.com.bd”>This is a new Tech Blog</a>

এখানে a Element বা Link Element এ Attribute ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে, Attribute name হচ্ছে href এবং value হচ্ছে http://techtweets.com.bd

Value গুলো সব সময় Double Quote এর মধ্যে লেখা হয়। আর সব সময় ছোট হাতের অক্ষরে লেখা হয়।

কিছু Attribute globally নির্ধারন করা যায় এবং যেকোন Element এ ব্যবহার করা যায়। আবার কিছু কিছুAttribute নির্দিষ্ট Element এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

নিছে HTML Attribute গুলো দেওয়া হলঃ

প্রথমে প্রধান HTML Attribute গুলোঃ

Attribute Value(মান) বর্ননা।
class classname এটি Element এর জন্য Class name ঠিক করে।এটি CSS বা Style Shit এর জন্য ববহার করা হয়।
Id id প্রত্যেকটা Element এর জন্য একটি  id ঠিক করে।
Style style_definition inline style দেওয়া হয়। (inline style সম্পর্কে পরে বলব)
Title text একটা Element এর জন্য অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

3.Ans:

CSS কীঃ

Cascading Style Sheet এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে CSS । সহজ ভাষায় ওয়েব পেজের বিভিন্ন উপাদানের গঠন, আকার, আকৃতি, অবস্থান, রং, গতিশীলতা ইত্যাদি নির্ধারণের সহজ কৌশল হচ্ছে CSS ।

CSS এর Syntax:

h1{color:yellow;text-align:center;}
h2{color:yellow;text-align:rignt;}
p{color:white;margin-left:25px;}

উপরে h1 (Selector) {Declaration (property):(value);}

তাহলে আমরা কি দেখছি CSS Syntax দু ধরনের হয়।

Selector (যা দিয়ে HTML এর কোড নির্দেশ করে)।

Declaration (যেটা {second bracket} দ্বারা আবদ্ধ property ও value সহ CSS কোডিং)।

আর একটু পরিষ্কার করছি —
h1 (selector)
{
color(property):yellow(value);text-align(property):center(value);
}

আশা করি করো বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।

আর মনে রাখতে হবে যে property এর পর কোলন (:) এবং value এর পর সেমিকোলন(;) অবশ্যই দিতে হবে।

4.Ans:

ওয়েব হোস্টিংঃ

খুব সহজ ভাষায়, ইন্টারনেট ওয়েবসাইটের একটি বিরাট ইন্টারকানেকশন হয়, সব যা তথ্য বা অনলাইন অভিজ্ঞতা কিছু সাজানোর প্রস্তাব. যারা ওয়েবসাইটের প্রতি এক, এটি তৈরি করা হয় একবার, এটা দর্শক দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে কোথাও সংরক্ষণ করা হয়েছে. ওয়েবসাইট জমা করা এবং দর্শকদের উপলব্ধ তথ্য তৈরীর প্রক্রিয়া ওয়েব হোস্টিং বলা হয়.

ওয়েব হোস্টিং সার্ভিসঃওয়েব হোস্টিং এর ছয় প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়: ভাগ (ভার্চুয়াল হিসাবে পরিচিত),উত্সর্গীকৃত, ভিপিএস, রিসেলার, আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা এবং মেঘ. এখানে মিল ও পার্থক্য এ সংক্ষিপ্ত বর্ণন.

ভাগ (ভার্চুয়াল) hosting: এই “সর্বনিম্ন স্তর” ওয়েব হোস্টিং এর, প্রাথমিকভাবে ছোট ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত. পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে সার্ভার অনেক ওয়েবসাইটের হোম; সবচেয়ে সহজ সাইট অনেক স্টোরেজ স্পেস লাগতে বা কম্পিউটার সম্পদ অনেক ব্যবহার করবেন না, কারণ এটা একই মেশিনে অনেক সাইট ঘর জ্ঞান করে তোলে. আপনি একটি শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে, আপনি সার্ভার ভাগ করছি – এবং মালিক এবং যে সার্ভার অপারেটিং খরচ – যার সাইট এটি উপর অবস্থিত হয় অন্যান্য গ্রাহকদের সঙ্গে. শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ ব্যান্ডউইথ এবং স্টোরেজ বিভিন্ন পর্যায়ে পাওয়া যায়, আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করে. শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্রাথমিক সুবিধা আপনি যে দাম দিতে বেশ কম হয়, আর প্রায়ই কম $10 প্রতি মাসে. সম্ভাব্য অপূর্ণতা সার্ভারের জন্য উপলব্ধ ক্ষমতা এবং ব্যান্ডউইথ শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে যে, তাই আপনার প্রতিবেশী সাইট যারা সম্পদ অনেক ব্যবহার করা হলে, আপনার সাইট এর কর্মক্ষমতা ফলে ভুগতে পারে.

ডেডিকেটেড হোস্টিং: এই “উচ্চ স্তর” of web hosting, এবং এটি একটি খুব ব্যস্ত ওয়েবসাইট বা বেশী ছোট একটি সংখ্যা সঙ্গে কোম্পানি জন্য এর বেশিরভাগই. আপনি নিজেই নিজের না, কিন্তু আপনি“মালিক” স্টোরেজ স্পেস এবং সম্পদ সব, তাই আপনি স্টোরেজ স্পেস বা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে আপনার সাইট এর কর্মক্ষমতা আঘাত হানার অন্যান্য গ্রাহকদের সম্পর্কে উদ্বেজক ছাড়া তবে আপনি চান সার্ভার ব্যবহার করতে পারেন. ডেডিকেটেড হোস্টিং মেশিন মেমরি পদ আপনার চাহিদা করার জন্য কনফিগার করা যেতে পারে, স্টোরেজ এবং ব্যান্ডউইথ. প্রাথমিক সুবিধা আপনি সেট আপ এবং আপনি নির্বাচন ঠিক হিসাবে আপনার সার্ভার কাজ করতে পারে না, এমনকি সম্পূর্ণ “রুট সঙ্গে” প্রবেশাধিকার আপনি যদি চান (প্রবেশাধিকার যে টাইপ ভার্চুয়াল গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ করা হয় না, সার্ভার সেটিংস পরিবর্তন মেশিনে একটি সাইটের সাথে প্রতি ক্লায়েন্ট প্রভাবিত করতে পারে যেহেতু). সম্ভাব্য অপূর্ণতা মূল্য, আপনি সার্ভারের অপারেশন মোট ব্যয় করছি, কারণ, সাধারণত চেয়ে বেশি যা রান রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যান্ডউইথ $100 সার্ভার প্রতি.

VPS (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) hosting: এই “পার্থক্য splits” ভার্চুয়াল এবং ডেডিকেটেড হোস্টিং এবং প্রায়ই শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে সরাতে আপ করতে চান তাদের গ্রাহকদের দ্বারা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয় মধ্যে. আপনি এখনও অন্যান্য ক্লায়েন্টদের সাথে একটি সার্ভার ভাগ করা হয়, আপনি অন্য কারো সাথে ভাগ করা হয়, যা কম্পিউটার এর স্টোরেজ এবং সম্পদ আপনার নিজের ডেডিকেটেড ভাগ আছে কিন্তু তাই প্রতিটি মেশিনের compartmentalized হয়. এটা যে “ভার্চুয়াল প্রাইভেট বলা হচ্ছে কেন” – এটি সত্যিই একটি প্রাইভেট সার্ভার নয়, যখন কারণ, এটা এক মত কাজ করে. প্রধান সুফল ভাল পারফরম্যান্স (আপনি আপনার সাইটে প্রভাবিত প্রতিবেশীদের আছে সম্ভবত না, যেহেতু), আপনার ভিপিএস সেট আপ করা হয় উপায় উপর আরো নিয়ন্ত্রণ, এবং একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের তুলনায় কম দাম. সম্ভাব্য অপূর্ণতা একটি VPS এখনও আপনার প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে যে, এবং আপনি এখনও পুরো রুট এক্সেস আছে না যে আপনি একটি ডেডিকেটেড মেশিন সঙ্গে পেতে.

রিসেলার হোস্টিং: এই মূলত আপনি অন্যদের আপনার স্থান কিছু জিনিস কিনে বিক্রি করে দেওয়া নির্মিত একটি ভার্চুয়াল হোস্টিং অ্যাকাউন্ট. সাধারণত হোস্টিং সরঞ্জাম প্রদান রিসেলার প্রস্তাব কোম্পানি আপনার নিজের “হোস্টিং কোম্পানি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য এটি সহজ করতে,” অনলাইন সিস্টেম সহ সেট আপ করুন এবং সার্ভারে প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে, আপনার নিজের নাম আপনার বিল ক্লায়েন্ট, এবং এটি আপনি সত্যিই তাদের হোস্ট হয় প্রদর্শিত করা.

Colocation হোস্টিং: উপরে পরিকল্পনা সব সঙ্গে, যদি আপনি “ভাড়া করছেন” আপনার হোস্ট থেকে সার্ভার. আপনি আপনার ওয়েব সার্ভার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান তাহলে আপনি আপনার নিজের মেশিন এবং হার্ডওয়্যার ক্রয় করতে পারেন, এবং তারপর “colocate” কখনও কখনও একটি সার্ভার খামার বলা কি তাদের. যে ক্ষেত্রে, আপনি সার্ভার অপারেশন জন্য স্থান এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন সব ভাড়া করছেন(যেমন ঠান্ডা হিসাবে, ক্ষমতা, সংযোগ এবং নিরাপত্তা) কিন্তু আপনি হার্ডওয়্যার নিজেই জন্য দায়ী. এটা অপারেশন আপনার বেস যে এর নিকট একটি কোম্পানির সঙ্গে colocate সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ, আপনি মেশিনে প্রযুক্তিগত কাজ করতে হবে, যেহেতু (কিছু হোস্টের একটি যোগ ফি জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে, যদিও). Colocation প্রাথমিকভাবে প্রধান অনলাইন অপারেশন এবং উপর–কর্মীদের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বড় সংস্থাগুলো জন্য একটি বিকল্প; কোম্পানি তাদের নিজস্ব আভ্যন্তরীণ তথ্য কেন্দ্র এড়ানোর জন্য এটি নির্বাচন করুন.

ক্লাউড হোস্টিং: এই তালিকা থেকে একটি অপেক্ষাকৃত নতুন সংযোজন, এবং এটি বিভিন্ন স্থানে কম্পিউটারের একটি বৃহৎ নম্বর ব্যবহার করে একটি হোস্টিং কোম্পানি জড়িত থাকে, তারা এক বিরাট সার্ভারের হলে অভিনয়. প্রাথমিক সুবিধা একটি অপেক্ষাকৃত কম খরচে গতি এবং অতিরেক বৃদ্ধি করা হয়. সম্ভাব্য অপূর্ণতা আপনার সাইট মেঘ জুড়ে হোস্ট করা হয় যখন অনেক হোস্ট প্রয়োজন নিরাপত্তা গতি পর্যন্ত হয় না হয়, এবং তারা সাইট অবস্থিত যে একটি সার্ভার সঙ্গে লেনদেন করছেন হিসাবে সমর্থন একই পর্যায়ের প্রদান করতে সক্ষম হয় না.

5.Ans:

HTML এ কোডিংঃ

(i) এক্সটারনাল লিঙ্কঃ

এখন HTML এর মধ্যে এক্সটার্নাল CSS ব্যবহার করে একটি ওয়েভ পেইজ তৈরী করা যাক ।

১) নোটপ্যাড প্রোগ্রামটি খুলুন ।
২) এখন নিচের মত কোড গুলো লিখুন।

h1{font-size:100px;}
p{font-size:15px;}

৩) এখন ফাইল টিকে mystyle.css নামে সেইভ করুন।
৪) পুনরায় নোটপ্যাড প্রোগ্রামটি খুলুন ।
৫) এখন নিচের মত কোড গুলো লিখুন।

<html>
<head>
<title>External css</title>
<link rel=”stylesheet” type=”text/css” href=”mystyle.css”>
</head>
<body>
<h1>the heder is 100px</h1>
<p>this paragraph is 15px</p>
</body>
</html>

(ii) HTML টেবিল :

টেবিল হল Horizontal সারি এবং vertical কলামের বিন্যাস। এটা tabular data প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপুর্ন। ডকুমেন্টের এলিমেন্ট নিয়ন্ত্রনের জন্য ওয়েব ডিজাইনারদের কাছে এটা আরো বেশি গুরুত্বপুর্ন । সারি এবং কলামের ইন্টারসেকশনকে cell বলে। সকল এইচটিএমএল টেবিল <table> ট্যাগ দিয়ে শুরু হয় এবং </table> ট্যাগ দিয়ে শেষ হয়।

১.<tr> ট্যাগ Horizontal সারি নিদের্শ করে।

২<td> ট্যাগ ঐ Horizontal সারির data cell নিদের্শ করে।

৩ <th> ট্যাগ data cell এর টেবিল heading হিসাবে কাজ করে।

৪ <tfoot> ট্যাগ টেবিলের footer যোগ করার জন্য ব্যবহার হয়।

1.<table border=”1″>

2.<tr><td>Row 1 Cell 1</td><td>Row 1 Cell 2</td></tr>

3.<tr><td>Row 2 Cell 1</td><td>Row 2 Cell 2</td></tr>

4.</table>

output:

Row 1 Cell 1 Row 1 Cell 2
Row 2 Cell 1 Row 2 Cell 2

(iii)HTML ডিরেক্টরী লিঙ্কঃ

<img src=”/desktop/newfolder/image.jpg” alt=”an_image”/>

এই ভাবে HTML ডিরেক্টরী লিঙ্ক করা হয়।

(iv)স্টাইল গ্রউপিং সেটঃ

এ পদ্ধতিতে HTML এর জন্য প্রয়োজনীয় Selector এবং Declaration সমূহ আলাদা স্ক্রিপ্টে রাখা হয় এবং স্ক্রিপ্টটিকে বা স্টাইল শীটটিকে style.css বা এর অনুরূপ নামে save করা হয়। <head>………….</head> এর মধ্যে <link rel=”stylesheet” type=”text/css” href=”css.css”> যুক্ত করে এক্সটার্নাল স্টাইল শীট এর সাথে এইচ টি এম এল এর লিংক তৈরি করা হয়।

(v)HTML অ্যানিমেশন :

নিচের code টি notepad++ এ কপি করে animation.html নামে desktop এ সেভ করে web browser এ রান করলে “Some..Scrolling..Text” টির অ্যানিমেশন দেখা যাবে।

<!DOCTYPE html>

<html>

<head>

<title>hellow</title>

</head>

<body>

<marquee behavior=”alternate”>Some..Scrolling..Text</marquee>

</body>

</html>

Computer and Society

1.Ans:

ই–কমার্স কিঃ

ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই–কমার্স বা ই–বানিজ্য একটি বানিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বানিজ্য কাজ পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।

ই–কমার্সের ব্যবহারঃ

মূল্য পরিশোধ।

পণ্য নিলাম।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর পণ্য ও সেবার মূল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষন।

টিকেট ক্রয়।

পণ্য ও সেবা অর্ডার ও বুকিং দেয়া।

অনলাইন বিজ্ঞাপন বানিজ্য। ইত্যাদি।

পণ্য ও সেবা কেনা/ বেচা।

ই–কমার্সের সুবিধা সমূহঃ

গ্রাহকদের ক্ষেত্রেঃ

১. ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পন্য অর্ডার করা যায়।

২. অনলাইনের মাধ্যমেই মূল্য পরিশোধের সুযোগ পাওয়া যায়।

৩. মূল্য পরিশোধের জন্য ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ডসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায়।

৪. পন্যের দ্রুত ডেলিভারি পাওয়া যায়।

৫. পন্য হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধেরও সুযোগ রয়েছে।

৬. পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিশ্রম কম হয় এবং প্রচুর সময় বাঁচানো যায়।

ই কমার্সের অসুবিধা সমূহঃ

ই–কমার্স এর তেমন কোন অসুবিধা নেই। তবে
১.বিল পরিশুদের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকুন,
২.পন্য ক্রয় করার পরে আপনার ঠিকানায় আসার পর যদি সেই পন্য আপনার চাহিদা মত না হয়। তা হলে আপনি একটু বিড়বনার মধ্যে পরবেন তাই পন্য ক্রয় করার সময় ভাল ভাবে যেনে শুনে পন্য ক্রয় করবেন। ইত্যাদি অসুবিধা থাকতে পারে।

  1. Ans:

এম কমার্স কিঃ

মোবাইল ফোন বাবএর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে তাকে এম–কমার্স বলে ।

এম কমার্স এর জনপ্রিয়তাঃ

অদূর ভবিষ্যতে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, কিছু কিনতে গেলে আপনাকে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করতে হবে না,তখন মোবাইল ফোন থাকলে প্রয়োজনীয় সবকিছু এর মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার কয়েকটা উন্নত দেশে ইতিমধ্যেই এ রকম মোবাইল কমার্স শুরু হয়ে গেছে। এসব দেশের মানুষজন এখন অনেক কিছুই কিনছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বিল পরিশোধের পাশাপাশি গাড়ি চালকেরা পার্কিং ফি দিচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে। আয়ারল্যান্ড,সুইডেন ও ইংল্যান্ডের গাড়ি চালকেরা এখন পার্কিং মিটারে পয়সা ফেলছে না। বরং তারা গাড়ি পার্কিং করার জন্য মোবাইলের মাধ্যমে টেক্স মেসেজ পাঠাচ্ছে। ফলে পয়সা ফেলার কোন ঝামেলা তাদের পোহাতে হচ্ছে না। জাপান মোবাইল কমার্সে একধাপ এগিয়ে গেছে। সেখানকার একটি কোম্পানির নাম ডুকোমা ইনক। এ কোম্পানির কাস্টমারের সংখ্যা হচ্ছে দুই লাখ যারা ক্রেডিট কার্ড বা মানিব্যাগ নিয়ে ঘোরে না। তাদের সাথে যে মোবাইল ফোনটা আছে সেখানেই সব ব্যবস্থা আছে। তারা ২০০০ রকমের পণ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারছে। কারণ এদের ফোনে বিল্ট ইন ক্রেডিট কার্ড বসানো আছে। ফলে আলাদাভাবে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ঘোরার ঝামেলা তাদের নেই। এ কোম্পানি এখন আরেকটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা হল লাইনে না দাঁড়িয়ে মোবাইলের মাধ্যমে যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট কিনবে। রিংটোন ডাউনলোড করার ব্যাপারটা এখন মোবাইলে বেশি ঘটছে। মানুষ কল কম করছে কিন‘ রিংটোন ডাউনলোড করছে বেশি। অর্থাৎ মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে গান কিনছে এবং সেই সাথে তারা এটাও বোঝাচ্ছে যে সুযোগ থাকলে তারা মোবাইলের মাধ্যমে অনেক কিছুই কিনতে আগ্রহী। এভাবেই হয়েছে মোবাইল কমার্সের সূত্রপাত যা আমাদের দেশেও শুরু হয়েছে। রিংটোনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে গেছে আমেরিকার মানুষ। ২০০৪–০৬ সালে আমেরিকার গ্রাহকরা প্রতিবছর শুধু রিংটোনের পেছনে খরচ করেছে প্রায় ২২৩–২৩০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে যেভাবে মোবাইলে ভিডিও ক্যামেরা, সাধারণ ক্যামেরাসহ এমপিথ্রি প্লেয়ার আগে থেকেই সেট করা থাকে ভবিষ্যতে এটার সম্প্রসারণ ঘটবে। ফলে মিউজিক কোম্পানিগুলো ছাড়াও অন্যান্য কোম্পানি নিঃসন্দেহে মোবাইল কমার্সে জড়িয়ে পড়বে। আগামীতে প্রায় সব দেশে ফাস্টফুড থেকে শুরু করে সিনেমার টিকিট পর্যন্ত কেনা সম্ভব হবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ফোন প্রস‘তকারক কোম্পানির ভেতর দ্বিতীয় ও খুব জনপ্রিয় মটোরোলা মোবাইলে ক্রেডিট কার্ড সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মোটোরোলা মাস্টারকার্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বব্যাপী তাদের কর্মকাণ্ড শুরু হবে। এখন ক্রেডিট কার্ড মেশিনে না ঢুকিয়ে সরাসরি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সেটা করা যাবে। মোবাইলে ক্রেডিট কার্ডের সিস্টেমটা ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে ম্যাকডোনাল্ড কোম্পানি এবং সেভেন ইন্ক নামে আমেরিকার ৫৩০০ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। অন্যদিকে রাস্তার ইলেকট্রনিক বিজ্ঞাপনে যেমন কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে কারো চোখ পড়ল এবং পছন্দ হল। তখন কেউ মোবাইলটা বিজ্ঞাপনের সামনে ধরলে ফোনের স্ক্রিনে বিজ্ঞাপনদাতার ওয়েবসাইট খুলে যাবে। কেউ চাইলে তখন কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে কোকাকোলা কিনতে পারবে। ভবিষ্যতে এরকম হাজার হাজার জিনিসের বিজ্ঞাপন থাকবে যেখানে অনায়াসেই মোবাইল কমার্স করা যাবে। আমেরিকাতে ব্যাপারটা ঘটতে শুরু করেছে। স্পিষ্ট কোম্পানির কাস্টমাররা তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোম্পানির ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছে। সেই সাথে কিনছে নানাপ্রকার প্রযোজনীয় পণ্য। কোম্পানি তাদের কাস্টমারদের ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ নেটওয়ার্কের খুব নিরাপদ এবং গোপন জায়গায় সংগ্রহ করছে যাতে কাস্টমাররা কোন ভোগান্তির শিকার না হয়।

4.Ans:

কম্পিউটার ব্যবহারে সামাজিক প্রতিক্রিয়াঃ

কম্পিউটার প্রযুক্তির ছোয়াতে বিশ্ব এখন অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। কম্পিউটার আমাদের কাজকে সংক্ষিপ্ত ও সহজতর করে দিয়েছে। কম্পিউটার একটি কাজ এক সেকেন্ডের এক শত কোটি ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে করতে পারে,এর মাধ্যমে হয় না এমন কাজ খুব কমই আছে। কম্পিউটার মানে হাজার হাজার কাজের ব্যাপার,আমরা যেমনি ভাবে ফোন থেকে ফোনে, মোবাইল থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারি,তেমনি কম্পিউটারের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যোগাযোগ করা যায়।কম্পিউটারের বিস্তারের ফলে নতুন করে কর্ম সংস্থানের সুযোগ হচ্ছে, দূর হচ্ছে দেশের বেকারত্ব সমস্যা। মানুষ এখন ঘরে বসেই দেশের বাহিরে চাকুরী করতে পারছে এবং সে ঘরে বসেই বেতন পাচ্ছে। তবে কম্পিউটার শুধু বেকারত্ব সমস্যা দূরীভূতই করেনি, বেকারত্ব সমস্যা বাড়িয়েও দিয়েছে অনেক বেশী। কম্পিউটারের বদৌলতে অনেক ব্যাপারে লোক তার কর্ম হারিয়েছে, যেমনঃ পূর্বে অফিসে ফাইল পওর হিসেব নিকাশে অনেক লোকের প্রয়োজন হত কিন্তু প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে দু’এক জনেই করতে পারে, যার ফলে কমে যাচ্ছে কর্মসংস্থান।

তাছাড়া ডিজিটালের ফলে প্রতিদিন অফিস,স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,রাজপথ,মহাসড়ক ইত্যাদি কম্পিউটার ভিত্তিকসিসিটিবি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ত্রন করতে পারা যায়, যার ফলে কমে যাচ্ছে দুর্নীতি–অপরাধ।তবে এতেও কর্ম সংস্থান হ্রাস পাচ্ছে, কারণ পূর্বে এসব নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত লোক অথবা পুলিশের প্রয়োজন হত। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নিজেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। আগে চাকরানি ভোর ছয়টায় মুনিবের দরজা খুলে দিত আর এখন ভোর ছয়টা হলেই কম্পিউটার দরজা খুলে দেয়।

তবে উপকারের পাশা–পাশি সমাজের ক্ষতির দিকটিও চলে এসেছে বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আধুনিক অশ্লীল ছবি এবং তা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে সারা বিশ্বে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। দেশ–বিদেশের অশ্লীল সাইট গুলো উন্মুক্ত হওয়ায় অল্প বয়সের একজন বালকও জড়িয়ে পরছে এসব অশ্লীসতাই। এ জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইভটিজিং তথা নারী নির্যাতন।

Computer Troubleshooting

1.Ans:

দুনিয়াতে একজন মানুষের রোগ–চিন্তা–চাহিদা অর্থ্যাৎ সব কিছু মিলিয়ে সমস্যার যেমন শেষ নেই তেমনিই একটি কম্পিউটারের বেলায় সমস্যার কোন অভাব নাই।আর এই জন্য computer এর ক্ষেত্রে প্রথমে trouble খুজতে হবে এবং সেটি কি সমস্যা তা বুঝেই Shooting করাকে computer troubleshootingবলে।

2.Ans:

কম্পিউটাররের ক্ষতিসাধনকারী নিয়ামক সমূহঃ

কম্পিউটাররের ক্ষতিসাধনকারী নিয়ামক সমূহ এর সবচেয়ে বর নিয়ামক হল ভাইরাস ।

যেমনঃ

ম্যাক্রো ভাইরাসঃএটি একটি সাধারণ শ্রেণীর ভাইরাস যা ডাটা ফাইলকে আক্রমণ করে। এই ভাইরাস তৈরি করা খুবই সহজ। এই ভাইরাস মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল সমূহে আক্রমণ করে বেশি। বর্তমান সময়ে এই ধরণের ভাইরাস প্রায়ই দেখা যায়। এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ওর্য়াড ফাইলটি চালু করলে কিছু আজেবাজে লেখা দেখা যায় মূল ফাইলের সংরক্ষিত লেখা সমূহের বদলে।

বুট সেক্টর ভাইরাসঃ এটির নাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে এটি কি ধরণের ভাইরাস এবং এটির কাজ কি। এক জাতীয় ভাইরাস সরসরী কম্পিউটারের বুট সেক্টর নিজেদের কোড দ্বারা পরিবর্তন করে এবং অপারেটিং সিষ্টেমের একটি অংশ হয়ে যায়!। এগুলো মেমোরীতে নিজেদের স্থাপন করে। এরপর বুট সেক্টরকে ডিস্কের অন্য স্থানে সরিয়ে রেখে নিজের কোড দিয়ে বুট সেক্টরকে প্রতিস্থাপন করে। এ জাতীয় ভাইরাস কম্পিউটারের বুটিং সিস্টেম ধ্বংস করে দেয়।

ফাইল ভাইরাসঃ এই ভাইরাসটি অতি “জনপ্রিয়!”। মানে প্রায় সব পিসিতে এই ভাইরাস প্রায়ই দেখা যায়। এই ভাইরাস এক্সিকিউটেবল প্রোগ্রাম ফাইলসমুহকে আক্রমণ এবং এক্সটেনশন যুক্ত ফাইলসমুহকে আক্রান্ত করে । আক্রান্ত প্রোগ্রাম রান করলে প্রথমে ভাইরাস রান করে অরিজিনাল প্রোগ্রামের নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরে প্রতিলিপি তৈরি করার জন্য এর কোডকে অন্য ফাইল এ কপি করে।

প্রোগ্রাম ভাইরাসঃ এইসব ভাইরাস তাদের ভাইরাস কোড এক্সিকিউটেবল ফাইলের প্রথমে বা শেষে যুক্ত করে এবং মূল প্রোগ্রামের কোন বিশেষ অংশকে নিজস্ব কোড দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে।

ওভার রাইটিং ভাইরাসঃ এই ভাইরাসটি আক্রান্ত ফাইলগুলোকে তার নিজস্ব কোড দ্বারা ওভার রাইট করে এতে ওই প্রোগ্রামের আর কোন কাজ থাকে না । মানে আক্রান্ত প্রোগ্রামটি নষ্ট হয়ে যায়।

  1. Ans:

কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্কতাঃ

চলন্ত অবস্থায় সিপিইউতে ঝাঁকুনি দেবেন না। এতে বিদ্যুতিক শক লাগতে পারে কিংবা হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য কম্পোনেন্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্পিকার অথবা ইউপিএস মনিটরের কাছাকাছি আনবেন না। এতে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বাধার সৃষ্টি হতে পারে।
পিসি চালু রেখে কিছু পান করবেন না বা ধুমপান করবেন না। কারণ তরল কী–বোর্ডে পড়ে যেতে পারে অথবা ধোঁয়ার ক্ষুদ্র কণিকা ঢুকে পড়তে পারে কম্পিউটারে।

________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
_______________________________________________________________________

 
ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন-
01711 353 363
====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================

যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================

একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================

ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================

ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================

ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================

জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================

জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================