১৫ই মে সরকার নির্ধারিত আম পাড়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়েছে
এখন কেউ যদি আম পাড়ার পর দেখে ভেতরে আটি শক্ত হয় নাই,
তবে সেটা কি ব্যবসায়ীর দোষ ? না চাষীর দোষ ??

আর
আমি কাচা আম পছন্দ করি
কাচা-পাকা আম পছন্দ করি
কিন্তু আমাকে সে আম খেতে দিবেন না,
এটা কোথায় লেখা আছে ?

আবার
আটি শক্ত না হলে, আটি ছোট হলে আমটি খেতে অখাদ্য বা বিষাক্ত এমনও তো নয়। তাহলে কোন যুক্তিতে ছোট আটি দেখিয়ে আম ধ্বংস করা হচ্ছে।
যারা আম ধ্বংস করছেন, তারা এমন কোন দলিল দেখাতে পারেননি যে আমে কার্বাইড ব্যবহার হয়েছে, আর যদি হয়েও থাকে, তবে আমের স্লাইসে কতটুকু কার্বাইড মিশ্রিত আছে, সেটা পরীক্ষা করে না দেখা পর্যন্ত শুধু আটি নরম দেখে এত টন টন আম ধ্বংসকে কখন সাপোর্ট করা যায় না।

যে কাস্টমার তার দায়িত্ব হচ্ছে চেক করে নেয়া,
সে যদি চেক করে দেখে পাকা আম তবে সে দাম বেশি দিবে
আর যদি সে দেখে আধা কাচা আম তবে সে দাম কম দিবে, অথবা নিবে না
কিন্তু আম আধা কাচা, ছোট আটি হলে সেটা বুলডোজার দিয়ে পিষে ফেলতে হবে,
এ ধরনের আজগুবি নিয়ম দেশের সম্পদ ধ্বংস করা ছাড়া কিছু নয়।

এতদিন ফরমালিনের গুজব
এরপর শুরু করছিলো ইথোফেন-কার্বাইডের গুজব (ফুড-গ্রেডেড কার্বাইড ব্যবহার করলে সমস্যা নাই:https://bit.ly/2wgv84W)
এখন শুরু করছে অপরিপক্কের গুজব
আরে ভাই, যে ব্যবসায়ী তার মত সব আম আনার অধিকার আছে
আপনার পোষালে কিনবেন, নয়ত কিনবেন না
সে যদি ক্ষতিকারক কিছু না আনে, তবে সেটা বুলডোজার দিয়ে পিষে ফেলার অধিকার কারো নাই।

বাংলাদেশের আমের মার্কেটের দিকে যদি তাকান, তবে দেখবেন একেকবার একেকটা উঠে।
কখন- কাচা আম, এরপর কাচা-পাকা আম, এরপর স্বল্পকাচা-স্বল্পপাকা আম, এরপর পুরো পাকা আম। একটা সময় কাচা আম চাইলেও আপনি পাবেন না। একটা লোকের আমে যদি বিষাক্ত কিছু না থাকে, তবে সেটা ধ্বংস করার অধিকার কারো নাই।

আর সময় নির্ধারণ করাটাও ঠিক না।
কারণ সময় নির্ধারণ করে দিলে মার্কেটে সব আম একবারে আসবে,
তখন একসাথে অনেক আম উঠবে, কিন্তু দাম পরে যাবে।
কিন্তু আম শেষ হয়ে গেলে, বাকি সময় মানুষ আম পাবে না, তখন দাম চড়ে যাবে।
যেমন- এবার রোজার মাসে অনেকেই বলেছেন- তারা আম খেতে পারেন নাই। আর একবারে অনেক আম এনে আম নষ্ট করা বা দাম ফেলে দেয়ায় আলটিমেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তখন তারা আম চাষ ও ব্যবসা ছেড়ে দিবে, ফলে পার্শ্ববর্তী ভারতের আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের আমের মার্কেট উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

বাংলাদশের হাইকোর্টে জাস্টিসদের মধ্যে বিদেশী এজেন্ট ঢুকছে,
মিডিয়াতে তো আগে থেকেই ছিলো
আর প্রশাসন তাদের সাথে এক হয়ে এই দেশী সম্পদ ধ্বংসের উৎসবে নেমেছে।
তারা দেশী আম থেকে শুরু করে সকল উৎপাদনশীল খাত কথিত অভিজানের নামে ধ্বংস করতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের জনগণ যদি ‘দেশী উপৎপাদনশীল খাত ধ্বংস’র বিরুদ্ধে এখনই প্রতিবাদে না নামে , তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের কপালে বহু কষ্ট আছে।

==================
আরোও বিস্তারিত দেখতে
ক্লিক করুন নিচের লিংকে-
http://bit.ly/32qeKgi
==================
==================
ব্যাকআপ পেইজ-
http://bit.ly/2y3086J
——————————–
ওয়েবসাইট-
http://bit.ly/2zyNAoR
——————————–
মূল পেইজ-
http://bit.ly/2xkma5m
——————————–
ফেসবুক পেইজ কোড-
249163178818686
==================