পুরো লেখাটি না পড়ে, দয়াকরে কেউ নাক সিঁটকাবেননা।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদ নিয়ে মানুষের কতই’না জল্পনা-কল্পনা। যেহেতু চাঁদ ছিল মানুষের অধরা,তাই তার প্রতি আকর্ষণটাও অনেক বেশী। চাঁদের মাটিতে সত্যিই মানুষের পা পড়েছে কিনা,তা নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। আসলে মানুষ কি সত্যিই গিয়েছিল চাঁদে? নাকি আমরা পড়েছি আমেরিকার ফাঁদে?
তথাকথিত ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে বিশ্বে এক বিরল সম্মানের আসনে বসেছে আমেরিকা। কিন্তু সত্যিই কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে? রাশিয়া,চীন,জাপান, ফ্রান্স ও ভারতের মতো উন্নত দেশ-গুলোর বিজ্ঞানীরা বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ চাঁদে অবতরণ করতে পারেনি।
আজ থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে মানুষ চাঁদে অবতরণের একটা চমৎকার নাটক আছে।যা আমরা সবাই মোটামুটি পড়েছি।গোটা বিশ্বকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ধাপ্পা’টা দিয়েছিল আমেরিকা।মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ মানবসভ্যতাকে চূড়ান্ত বোকা বানাতে ঘোষণা করেছিল নিল আর্মস্ট্রং,বাজ অলড্রিনরা চাঁদের মাটিতে নেমেছেন- ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই।‘অ্যাপোলো-১১’ মহাকাশযানের দুই মহাকাশচারী আর্মস্ট্রং-অলড্রিনের ‘পদচিহ্ন’ আঁকা হয়েছে চাঁদের বুকে।ঘোষণার বেশ কয়েক দিন পর মানবসভ্যতার সেই ‘প্রথম চন্দ্র-বিজয়’-এর ভিডিওটা বের হলো যা একেবারেই ‘ডক্টরড’ বানানো। মনেহয় যেন,হলিউডের কোনো স্টুডিওয় শ্যুট করা হয়েছিল। বিশ্ববাসীকে বোকা বানানোর জন্য। সেই শতাব্দী-সেরা চিত্রনাট্য। সেই জুলাইয়ে তাঁরা মানুষকে ‘এপ্রিল ফুল’ বানিয়েছিল।
আজ আপনাদের সামনে চাঁদে অবতরণের নাটক নিয়ে সত্য তুলে ধরতে চাই। আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আর কতদিন রাখা হবে।বলা হয় ১৯৬৯ সালে মানুষ চাঁদে পদার্পণ করে।কিন্তু এটা আমি কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না।
এখন হয়তো আপনারা বলবেন,আপনার এই মহাসত্য বিশ্বাস হলো না কেন?
প্রথমেই আমি বলব,এটা মহাসত্য নয়।বরং এটা হচ্ছে গত শতাব্দীর অন্যতম মহামিথ্যা।
সবার আগে এই এই লিংকের ভিডিওটি দেখুন।
দেখার পর আমার কিছু প্রশ্ন শুনুনঃ-???
১. চাঁদের আকাশে কোনো তারা দেখা যায়নি কেন?
২. মডিউলটি চন্দ্রপৃষ্ঠের যেখানে অবতরণ করে সেখানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে গর্তের কোনো চিহ্ন নেই কেন?
৩. চাঁদে বাতাস নেই অথচ দেখা যাচ্ছে আমেরিকার পতাকা উড়ছে কেন? নাসার দাবি এই যে, দীর্ঘদিন ভাঁজ করা অবস্থায় থাকার ফলে ছবিতে পতাকা ওই রকম দেখাচ্ছে। একেবারেই আজগুবি হাস্যকর কথা।
৪. চাঁদ থেকে সংগৃহীত পাথর কি সত্যি চাঁদের পাথর ছিল?
৫. ফুটেজে দেখা যায় দুটি বস্তুর ছায়া পরস্পরকে ছেদ করেছে, অথচ আলোর উৎস হওয়ায় তা সমান্তরাল হওয়ার কথা।
৬. কেন লুনার মডিউলের পায়াতে চাঁদের ধুলো জমেনি, যা রকেটের কারণে হতে পারত।
৭. কেন চাঁদের মাটিতে একেক বস্তুর ছায়া একেক রকম, যেখানে আলোর উৎস শুধুমাত্র সূর্য।
৮. ছবিতে চাঁদের আকাশে কেন তারা দেখা যাচ্ছে না?
৯. কেন অভিযানের টেলিমেট্রি ডাটা খুঁজে পাওয়া যায় না (নাসা বলছে হারিয়ে গেছে)। এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিভাবে হারালো?
১০. কেন বিভিন্ন স্থানে তোলা ছবির ব্যাক গ্রাউন্ড দেখতে একই রকম (যেন সিনেমার সাজানো সেট)
১১. কেন ক্যামেরার ক্রস হেয়ার ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন বস্তু দিয়ে, যা বাস্তবে কখনোই সম্ভব নয়।
১২. কীভাবে নভোচারীরা ভ্যান হেলেন বেল্ট-এর মারাত্মক রেডিয়েশন থেকে বেঁচে গেলেন,যেখানে মরণ নির্ঘাত।
আমার আরো কিছু যুক্তি আছে,যা সাধারণ চোখে ধরা পড়বে না।
যেমনঃ-
এখন তো প্রযুক্তি অনেক উন্নত,তো এখন আর চাঁদে যাওয়া হচ্ছে না কেন? চাঁদে গেল ভালো কথা,তারা ফিরে এল কিভাবে ?চাঁদে Apollo গেল যে শক্তি বলে, সেই বল তো ফিরার সময়ও থাকা উচিত! তাহলে এটা কি অসম্ভব না?
আমি আপনাদের এবার ছবি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবো।প্রতিটি ছবি খুব সূক্ষ্মভাবে দেখবেন। নাসার প্রকাশিত প্রতিটি আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাজ অলড্রিন আর নীল আর্মস্ট্রংকে। আর্মস্ট্রং পতাকা গাঁথছেন আর অলড্রিন দাঁড়িয়ে আছেন।
A লক্ষ করুন….
সূর্যই যদি একমাত্র আলোর উৎস হয়, তবে আর্মস্ট্রং-এর থেকে অলড্রিন-এর ছায়া কি বড় হওয়া সম্ভব?
এবার এই ছবি দেখেন।
B-তে Aldrin এর SpaceSuit-এ একটা ছায়া দেখা যাচ্ছে। সূর্য একমাত্র উৎস হলে তো ছায়া আরও Dark হতো, তাইনা?
C-তে দেখুন যত দূরত্ব বাড়ছে, মাটি তত Fade হয়ে যাচ্ছে । যেখানে বায়ু নেই, সেখানে এটা অসম্ভব।
D-তে দেখেন, হেলমেটের মধ্যে লাল চিহ্নিত গোল –ওটা কি ? নাসাও বলতে পারেনি,তাঁরা এড়িয়ে গেছে।
পরের ছবিতে আসা যাক।
E-তে কোন ছায়া দেখছেন ??
নাসা বলেছে, Spaceship ফ্লাই করার সময় এটা Shadow . কিন্তু পৃথিবীতে বিমান বা অন্য কিছু ওড়ার সময়ও এত Dark ছায়া পড়ে না।
K-টা পুরাই অন্ধকার, কিন্তু আমেরিকার পতাকা দেখা যাচ্ছে।
আর J-তে তো তারা দেখি না!
ক্যামেরা যদি বুকেই বাধা থাকে, তবে
L-কখনই ছবিতে আসবে না, ভেবে দেখুন।
M-এর ছায়া আসমান্তরাল, একটু আগেই বলেছিলাম। কিন্তু এটা হতে পারে না।
N-এ খেয়াল করুন, আমি যদি বলি আলোটা Spacesuit থেকেই আসছে !
দেখুন, Q-চিহ্নিত স্থান আর গোল দাগ করা স্থানের মাটির কত পার্থক্য !!
R -এ একটা C অক্ষর দেখা যায় । এটা ওদের শুটিং-এর সুবিধার্থে করা।
S-দেখুন, যেখানে পানি নেই, সেখানে এত সুন্দর করে সিনেমা সাজিয়েছে; বোঝায় যায় এটা পানির মিশ্রণ ছাড়া অসম্ভব।
আপনার হয়তো আমার এসব কথস বিশ্বাস হয় না? তাইলে লিংকের এই ভিডিওটি দেখেন।
১৯৭৪ সালে একজন আমেরিকান লেখক, বিল কেসিং তার ” We Never Went To The Moon” বইয়ে এমন অনেক যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
যাহোক,এবিষয়ে আপনাদের কারও যদি যুক্তি থাকে,যে মানুষ চাঁদে গেয়েছে। তাহলে কমেন্ট বক্সে দয়াকরে জানাবেন। আমরা এই বিষয়ে যুক্তি/তর্ক/আলোচনা করতে চাই….!!!
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই,চাঁদে অবতরণ পৃথিবীর মানুষের জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আনেনি।অন্তত এখন পর্যন্ত নয়।সুতরাং দয়াকরে কেউ আবার এই প্রশ্ন করবেন না,যে মানুষ কি চাঁদে যেতে পারবে না? আমার লেখার কোনো অংশে আমি একথা একবারও বলিনি।যে মানুষ চাঁদে যেতে পারবে না,মানুষ চাঁদে যেতে পারে,নাও যেতে পারে,এ নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।তবে এখনো পর্যন্ত যে যায়নি আমি সেটাই প্রমাণ করেছি।
শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
Leave A Comment