ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কূলা

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯

ক্লাসের শেষ ঘন্টা বাজতেই বই খাতা বন্ধ করতে করতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দাপুটে ম্যাডাম জানতে চাইলেন-
আপনাদের মধ্যে ভালো ছবি আঁকতে পারেন কে ?

ম্যাডামের প্রশ্নটা করতে দেরী হয়েছে, কিন্তু আমাদের সাড়া দিতে মুহুর্ত দেরী হলোনা। দাঁড়িয়ে গেলেন দুইজন। আমার বাঁ পাশের একজন জিলান স্যার আর কয়েক বেঞ্চ পিছনে বাম পাশ থেকে একজন ম্যাডাম কেকা মনি শিকদার স্বপ্রতিভ দাঁড়িয়ে রইলেন। ম্যাডাম শুধু বললেন
ছুটির পর আমার সাথে দেখা করে যাবেন।

আমি ইচ্ছে করেই দাঁড়াইনি। চুপটি মেরে বসেই রইলাম। যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের অনেক প্রত্যাশা ম্যাডামের কাছে। একটু পরিচিত হবে, ম্যাডাম চিনবে, অনেক অনেক কাজে ইনভলব করবে, সর্বোপরি ম্যাডামের হাতে অনেক প্র্যাক্টিক্যাল নম্বর আছে না ! আমার হয়তো ওগুলোর দরকার নাই, তাই চুপ করে বসেই আছি।

ছুটির পর। বিকেল ৫:১০ মিঃ। লাইব্রেরীর ৩ তলা থেকে নেমে আসছি। গেইটের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন ঐ দু’জন স্যার-ম্যাডাম। আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করলেন
কই যান ?
বললাম লাইব্রেরী থেকে আসলাম। তা আপনারা এখনও এখানে কেন ?
উত্তর দিলেন ঐ যে ম্যাডাম ডেকেছিলেন !
বললাম ম্যাডাম কেন ডেকেছিলেন ?
হতাশার সুরে বিরক্তি ভরে জানালেন তার অন্য ক্লাশের জন্য কিছু ব্যক্তিগত কাজ করে দে’য়ার জন্য।
ভালো করে করে দেন নম্বর বেশী পাবেন, বলেই চলে আসলাম।

পরেরদিন। কেকা মনি জিজ্ঞেস করলেন-
আপনি কাল ম্যাডামের সাথে দেখা করলেন না কেন ? আপনি যা সুন্দর ছবি আঁকেন তাতে ম্যাডামের সাথে দেখা করা উচিত ছিলো, ম্যাডাম খুশীই হতেন।
বললাম ছবি আঁকতে পারি কিন্তু ভালোতো পারিনা।
বললেন ইইইস্।
বললাম হুমম ক’দিন যাক আমার এই কথার প্রমান পাবেন হাতে-নাতে।

৮/১০ দিন পর। নোটিস এল বিভিন্ন পর্ষদের সদস্য আহ্বান করে। জিলান, কেকা মনির পীড়াপিড়ীতে লাস্ট ডেট-এ দরখাস্ত জমা দিলাম। জমা দে’য়ার সময় কেকা মনি স্যারকে যথাসম্ভব আন্তরিক অনুরোধ করলেন স্যারকে। বললেন তাকে নে’য়া সম্ভব না হলেও জুলহাস স্যারকে যেন নে’য়া হয়, তাতে নাকী পর্ষদের লাভই হবে। শুনে ভালো লাগলো।

বার্ষিকী পর্ষদ। যথা সময়ে সাক্ষাতকার পর্ব। আমাকে দেখেই এক ম্যাডাম ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
আপনি না-কি চারুকলার শিক্ষক ? জোর করেই বললেন আপনি আমার পর্ষদে যোগ দেন। আমি আপনাকে নেব।
বললাম না ম্যাডাম আমি ওখানে স্বতস্ফুর্ত হতে পারবোনা।
মুচকী হেসে বললেন আমার নম্বরও পাবেননা।
একমাত্র আমিই শর্ত মোতাবেক কাগজপত্র, সিডি, সহ পূর্বের কাজের এক গাদা অভিজ্ঞতা বগলদাবা করে হাজির হলাম। সবগুলো স্যার-ম্যাডামই আমার কাণ্ড দেখে টাস্কী। ওখানেই নিশ্চিত করলেন- আমি মনোনীত।

বাইরে বেরুতেই সবাই ধরলেন।
কী কী কাজের কথা জিজ্ঞেস করলেন ?
কোন কথা না বলে শুধু কেকা মনিকে বললাম স্যাররা আমাকে নিবেননা।
রুমে চলে এলাম। দু’দিন আর ও মুখো হইনা। জানা আশংকা। এখানেও স্বজন প্রীতি চলছে। সুতরাং আমার ধারে কাটবেনা। হালকা একটু লজ্জিত হলাম, সাথে কেকা মনির উপর রাগও। কেন যে দরখাস্তটা জমা দিতে গেলাম !

ক’দিন পর। যাকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলাম, যার সাথে এত প্রেম তাকে পেলামনা। মেয়ের বাবা ডাকলেন ভালোবাসার মানুষটির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে- তার হাতে মেহেদী পড়াতে হবে, গেইট সাজাতে হবে। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলো। পর্ষদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে অথচ আমাকে ডাকা হলো পর্ষদ পরিচিতি অনুষ্ঠানের গেইট সাজাতে স্টেজ সাজাতে, পর্ষদ সদস্যদের পোশাক পরিকল্পনা করতে। আমি রাজী হলামনা। জেদ চাপলো মনে। প্রিন্সিপাল স্যার ডেকে বললেন
৩ দিন বন্ধ আছে এই ক’দিনে আপনাকে কাজ করতেই হবে।
স্যার আমি দুঃখিত। এই ছুটিতে আমি বাড়ী যাবো। এটা যে পর্ষদের কাজ তাদেরকে দেন ওরা করবে। এটা আমার কাজ না।
পরদিন চলে এলাম ঢাকা।

২ দিন পর। বার্ষিকী আহ্বায়ক স্যার জানালেন
দেখুন এটা ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট এখানে টিচারদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আপনি কাজটা করে দিন। নইলে আপনার উপর খড়ক নেমে আসতে পারে। আমরাও পারিনি প্রিন্সিপালের কথার উপর কথা বলতে। তার নির্দেশেই আপনাকে পর্ষদ থেকে বাদ দে’য়া হয়েছে। আপনার জায়গায় নে’য়া হয়েছে তার ভাতিজাকে।
গোপন কথাটা আজ জানলাম। আজ জানলাম এখানেও গ্রুপিং লবিং আছে।

বললাম স্যার আমি কাজ করে দেব। একটা শর্তে।
তিনি বললেন আমরা আপনার সব শর্ত মানবো।
কাজটা আমি একা করবো। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবেনা।
বললেন করুন।

মাত্র ৬০/৬২ ঘন্টা বাকী আছে অনুষ্ঠান শুরু হতে। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে একজনকে নিয়ে ছুটলাম কাঠ বাঁশ কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করতে। শহরটা আমার কাছে নতুন। কিচ্ছু চিনিনা। বৃষ্টিতে ভিজে বহু কষ্টে সূঁই-সূতা থেকে শুরু করে করাত-হাতুড়ী যন্ত্রপাতী উপকরণ সংগ্রহ করে সারা রাত অমানসিক পরিশ্রম করে কাজ শেষ করলাম। ভোরে এসে ঘুম দিলাম।

কখন যে অনুষ্ঠান প্রায় শেষের পথে টেরই পাইনি। দুইজন সহপাঠী এসে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন অনুষ্ঠানস্থলে। আমাকে কোলে করে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন স্টেজে। দেখেই আমার মনটা ভরে উঠলো। পরিচয় করিয়ে দিলেন। কিছু বলতে বললেন।

কী বলবো। ভেবে পাচ্ছিনা। সামনে ৬০০ চেয়ার। লোকে ভর্তি। ভয়ে আমার পা কাঁপছে।
শুকনো গলায় শুধু বললাম আমি কি সাকসেস ?
সবাই সমস্বরে জবাব দিলেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমাকে স্টেজে উঠানোর জন্য।
বললাম ভালোবাসার বস্তুটাকে না পেলাম অন্ততঃ তার সেবাতো করতে পারলাম !
ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কূলা. . .।

এখান থেকে
১১ ই অক্টোবর, ২০০৯
দুপুর ১২:৪৯
===========================================================
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
৪২৮ বার পঠিত
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

১. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩

তবুও তুমি আমার বলেছেন:

আমি আপনার মত লোকদের পছন্দ করি, অন্তর থেকে।

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

লেখক বলেছেন:

কিন্তু পছন্দ করার বিশেষ কারনটা জানতে পারলে আমার আরও ভালো লাগতো। কারন আমার মতো লোকেরা অর্ন্তমুখী-ঘরকুনো। আমরা স্টেজ, ক্যামেরা, পর্দার পিছনে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।

ধন্যবাদ জানবেন।

২. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: বৃক্ষ তোমার কিসে পরিচয়?

ফল ভাল হলে গাছের কদর এমনিতেই বাড়ে।

সো নো আপসেট, গো এহেড

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

লেখক বলেছেন:

আমাদের যে ফল ধরেনা কখনোও, পরিপক্ক হয়না। চাইমচামী না করলে কি ফল ধরে ? এদেশে হয়েছে কখনোও ?

এইমাত্র সংবাদ পেলাম আমার টিপি-১ (টিচিং প‌্র্যাক্টিস) এর দায়িত্বে পড়েছেন এমন একজন স্যার. . .। যারা ঐটা করতে পেরেছে তাদের কপালও খুলেছে।

৩. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

নাজমা শাহীন বলেছেন: বড়ই দুঃখের কাহিনী। পড়ে মনটা খারাপ হলো। আমরা কবে এই স্বজনপ্রীতি থেকে বের হয়ে যোগ্য মানুষদের মর্যদা দিতে শিখবো!

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

লেখক বলেছেন:

মর্যদার আশাও করতে পারিনা আমরা। চাই শুধুমাত্র সঠিক স্থানে যোগ্য ব্যক্তির প্রতিস্থাপন।

৪. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: নিজে একসময় এইসব কাজ করতাম।

স্কুলের, কলেজের, কোচিং সেন্টারের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডাক পড়ত।

আপনার মত কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, কিন্তু ঐসব কাজ করতে ভাল লাগতো বলেই যেতাম।

এসব কাজে payback বলে কিছু নেই।

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

লেখক বলেছেন:

একবার ভাবেনতো আপনাদের মতো এই আমরা কি কখনোও ফিডব্যাক আশা করি, করেছি কখনোও, করা মানায় আমাদের ?

৫. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩

লেখক বলেছেন:

আপনিও ধন্যবাদ জানবেন।

৬. ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৯

রুমমা বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া?শুভকামনা সবসময়ের জন্য।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩

লেখক বলেছেন:

আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দো’য়ায় খুউউব ভালো আছি। আপনার শারিরীক অবস্থা এখন কেমন ? জন্ডিস ভালো হয়েছে ?

আপনাকেও শুভকামনা।

৭. ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

রুমমা বলেছেন: আমিও এখন ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।নতুন কি কি কাজ করলেন?

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬

লেখক বলেছেন:

কিচ্ছু করার সময় পাইনা। প্রতিদিন ক্লাশ আর ক্লাশ, সঙ্গে ২/৩ টা করে এ্যাসাইনমেন্ট। জানটা লাইফ হয়ে গেল। এর মধ্যে ভারী কিছু করতে ইচ্ছে করেনা। হালকা পাতলা কিছু করলেও এখানে দে’য়ার এনার্জি পাইনা।

৮. ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২২

রুমমা বলেছেন: ছবি আকা নিয়ে একটা টিউটোরিয়াল দেননা ভাইয়া প্লিজ।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৪

লেখক বলেছেন:

হুমমম। মাথায় আছে। কিন্তু আমি যে গুছিয়ে লিখতে পারিনা। যেটুকুও পারি ধৈর্য্যে কুলায়না। লিখি লিখি করেই লেখা হয়ে উঠেনা। মনে হয় মাইকেলের মতো আমি শুধু বলি আর অন্য কেউ লিখে দিলে ভালো হতো।

তবে লিখবো। অনেকেই বলেছে। ফোনেও বলেছে। লিখবো।

৯. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৩৮

রুমমা বলেছেন: একদম ছোট ছোট করে পোস্ট করেন।আমি আছি পড়ার জন্য রেডি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫০

লেখক বলেছেন:

আচ্ছা আজ দুপুরের পর পাবেন আশা করছি। যদিও আজ অনেক অনেক কাজ। দম নেবার ফুরসত নেই। বিকেল ৫ টায় একটা মিটিং, ২ টা এ্যাসাইনমেন্ট, ২ টা পাঠ পরিকল্পনা আজই লিখতে হবে এবং তা কাল সকাল ৯ টার আগেই সাইন করিয়ে নিতে হবে। বুঝুন কেমন দৌঁড়ের উপর আছি !

১০. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০০

রুমমা বলেছেন: এত দৌঁড়ের উপর থেকেও যে বোনের কথা রাখছেন তাই অনেেেেেেেেেেেেেেেেেেেেক ধণ্যবাদ অগ্রিম।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৬

লেখক বলেছেন:

হুমমম। বোন বলে কথা। চেষ্টা করবো আপনাকে দে’য়া কথা রাখতে।

ভালো থাকবেন।

১১. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:০১

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কি এসাইনমেন্ট বলেন দেখি, কোন হেল্প করতে পারি কিনা!!! আপনি আমার কলেজের হলে আপনার & আমার দুজনেরই অনেক সুবিধা হতো। আপনার কাছ থেকে ছবি আঁকা শিখা যেত, আর আমি এসাইনমেন্ট এবং ক্লাস লেকচার খুব ভালো করে তুলি, আপনার উপকার হতো। ;;)

আমাদের কলেজের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ১২ই ডিসেম্বর, এই অনুষ্ঠানে আপনার কাজ করার সুযোগ থাকলে সেটা সেরা একটি কাজ হতো। শ্বেত পাথরে তৈরী ‘বাংলাদেশের মানচিত্র’ বানানোর কথা শুনলাম। বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকা হবে। কিন্তু, আমাদের কাজের সুযোগ নেই বেশি। :( চারুকলার একজন ভাইয়া আছেন, হাফিজ ভাই, উনিই হয়তো করবেন বেশির ভাগ কাজ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২১

লেখক বলেছেন:

টিপি-১ এ যাওয়া স্কুলের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা সহ ঐ স্কুলের বিস্তারিত বর্ণনা ও বিভিন্ন সুপারিশমালা সহ প্রতিবেদন, ঐ স্কুলের প্রতিদিনের রিফ্লেক্টিভ ডায়েরী, ঐ স্কুলের প্রতিদিনের পাঠদান সংশ্লিষ্ট ২ বিষয়ের পাঠ পরিকল্পনা করতে হয় প্রতিদিন এবং প্রণয়নকৃত পাঠ পরিকল্পনানুযায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ টি করে ক্লাশ নিতে হয়। এছাড়াও আছে যেকোন ২ জন ছাত্রের যেকোন সমস্যা নিয়ে কর্মসহায়ক গবেষণা করা ও তার বিস্তারিত বর্ণনা সহ প্রতিবেদন তৈরী করা।

এতকিছুর পরই এই সামান্য সময়ের জন্য হলেও এখানে একটু ঢুঁ মারি। আর একটু হলে আমি পাগল হয়ে যাবো।

১২. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৯

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: হুম, খুব বেশিই প্রেশার!!! :(:(:(:(:(

আমার ভদ্রলোক ও তো এই কাজই করছেন!!! :(:(:(:( তারও ব্যাস্ততা পাহাড় সমান!!! তাই মাঝে মাঝে কথা হয়না, তবে বেশিরভাগ সময়েই তিনি আমার কেয়ার নেন, ওনার হাজারো ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে তিনি আমার খবর নিতে চেষ্টা করেন। তবুও যেন আমার, তাঁর প্রতিটি মূহুর্ত চাই। সারাদিনের যত বার আমি তাকে চাই, না পেলে আমার কেন খুব খারাপ লাগে?!!! আমার সারাটা জুড়েই তিনি আছেন, তবু একটু গ্যাপ পড়লেই মনে হয় তাকে যেন আমি হারিয়ে ফেলছি!! কেন এমন হয়???!!!

উনি আমাকে খুবই ভালোবাসেন, যতটা আমি তাঁকে, তার চেয়েও তিনি অনেক বেশি। তবু, আমি তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজি আমার প্রতিটি মূহুর্তে।নইলে আমার ভাল্লাগেনা!!! আমি কি করবো!!!!

আমি এই রকম করতে করতে ‘পাগল’ হয়ে যাবো!!!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০২

লেখক বলেছেন:

তাহলে আপনার ভদ্রলোকটা কি আমার দোস্ত না-কি ?

ইইইস্ আন্নের ভদ্দরনোকটা আঁর হবার মুঞ্চায় !

১৩. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ভাল থাকুন ভাই :D

অনেক অনেক ভাল থাকুন ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৩

লেখক বলেছেন:

ধন্যবাদ।

বহুত বহুত ধন্যবাদ।

১৪. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০১

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: মরার এই বিএড ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হয়ে মরেছি, বিয়ে করারও সময় নাই। বিয়ে করে যে লোকটার কাছে চলে যাবো তারওতো উপায় নেই। তাঁর-ও ক্লাস করতে হবে, কোন ক্লাস মিস করা যাবেনা। আমার ও তাই, কোন ক্লাস মিস করা যাবেনা।

বলুনতো কি উপায়??!!!! :(:(:(:(:(:(:(

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৭

লেখক বলেছেন:

আমারও একই অবস্থা, মরারও টাইম নাই। তয় মনটা বেশী খারাপ লাগলে চইল্যা যাইতে পারেন তার কাছে। জায়গা এট্টু দিবেই।

ভালো থাকবেন।

১৫. ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪২

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: সেতো আমার একই শহরে থাকেনা। তার কাছে যেতে লাগবে ৫/৬ ঘন্টা। মানে যেতে-আসতে-তার কাছে কমপক্ষে ১ঘন্টা থাকলেও মোট সময় দরকার=১১-১৩ ঘন্টা। আর, আমাদের বিয়ে হয়নি এখনও, তার শহরে আমার কোন আত্নীয় থাকেনা, খুঁজলে বা সমস্যায় পড়লে ইন্টার মিডিয়েট পড়াকালীন কোন ফ্রেন্ড পাওয়া যেতেও পারে। কিন্তু, তাদের কেউ খুব ঘনিষ্ঠ নয়। একজন বান্ধুবী ছিলো খুব কাছের, সেও বিয়ের পর ঢাকায় চলে এসেছে। এবং, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিহীন।

এমন অবস্থায়, আমার ভালো মানুষটি আমার খুব মন খারাপ দেখে, আমার সাথে দেখা করলেও, আমাকে নিয়ে ঝামেলায় পড়ে যাবেন। আর, বিয়ে আমরা যেকোনো সময়েই করতে পারি। কিন্তু, একসাথে এই মুহূর্তে থাকা যাচ্ছেনা, এই ট্রেনিং কোর্সটির কারনেই, তা নিশ্চয়ই বুঝবেন। দুজন দু জায়গায়। আমাদের এই প্রবলেমটা আপনি এবং, এই কোর্সটি সিরিয়াসলী করুয়া যেকোনো মানুষই বুঝবেন।

আমার লোকটি একটু বেশিই ভালো মানুষ। নিজের সমস্ত ব্যাস্ততা ছাপিয়ে অন্য মানুষেরও কাজ করে দিচ্ছে। তার শরীরটার কোনও খেয়ালই রাখেনা। ঠিক মত খাওয়া নেই। ঘুম নেই। হোস্টেলের খাবারের মান নিয়েতো সবাইই কম বেশি অবগত আছেন। আবার, শরীর খারাপ লাগলেও সবসময় আমাকে বলেনও না। ভাল্লাগেনা!! বিয়েটা এই মুহুর্তে এই কারনেই দরকার। তার কাছে থাকাথাকির রেস্ট্রিকশন থাকবেনা কোনও। ছুটি পেলে যাওয়া যাবে, একটু সেবা করা যাবে।কিন্তু, বিয়ে করতে আসারও টাইম নেই!!! কোথায় রাখি এত দুক্কু!! :(:(:(:(

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:১১

লেখক বলেছেন:

তা এই কম্প্লেইনটা, দুঃখটা আমার বাড়ীতে এসে ঝাড়ছেন কেন ?

১৬. ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কি জানি কেন বলে ফেল্লাম!!! আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। সরি। আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। এখন মনে হচ্ছে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। নিজের কমেন্ট-টা মুছে দেবার উপায় খুঁজে, পেলাম না। কম্পিউটারের কাজ-কর্ম খুব কম পারিতো! ক্ষমা করবেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

লেখক বলেছেন:

না-না, বিরক্ত কেন ভালোইতো লাগে। চালিয়ে যান। সাফল্য আসবেই।

________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
_______________________________________________________________________

 
ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন-
01711 353 363
====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================

যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================

একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================

ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================

ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================

ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================

জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================

জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================