কাউরো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজেই কীভাবে পাসপোর্ট করবেন . . .

দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর অনেক জায়গায় বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি,অনিয়ম,হয়রানির অনেকগুলো ক্ষেত্রের মধ্যে পাসপোর্ট অফিস অন্যতম। একসময় দালা ছাড়া পাসপোর্ট ভাবাই যেতো না। কিন্তু বর্তমানে সেটার পরিবর্তন এসেছে।

এখন দালাল ছাড়াই নির্বিঘ্নে নিজে ঘরে বসেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন করার পর পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি ছাড়াই কাগজপত্র জমা দিয়ে আসতে পারবেন। যদিও বর্তমানে পাসপোর্টের সকল আঞ্চলিক অফিস এবং প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও এ মানুষের ভিড় আগের চেয়ে বেশি। কারণ এখন মানুষ অতিরিক্ত টাকা ছাড়াই নির্ধারিত ফি এর মাধ্যমে পাসপোর্ট সহজে পাচ্ছে। এরপরও যারা দালাল দিয়ে পাসপোর্ট করবেন সেটা তাদের ব্যর্থতা।
** পাসপোর্ট আবেদনের পদ্ধতি:-
প্রথমেই (Bangladesh e‑Passport Online Portal) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজের NID অনুসারে একটি একাউন্ট করে নিতে হবে। তারপর ৫ টি STEP অনুসরণ করে যেসব তথ্য চাইবে সেগুলো পূরণ করতে হবে। সাবমিটের পূর্বে অবশ্যই কোনো তথ্য ভুল হয়েছে কিনা সেটা বার বার চেক করে নেওয়া উচিত। কারণ সাবমিট করার পর কোনোভাবেই তা Edit করা যায় না।

পাসপোর্টের ভুল সংশোধন করে নিবেন যেভাবে

** 10 বছর মেয়াদী 48 পৃষ্ঠার পাসপোর্টের ফি ৫৭৫০/- এবং ৫ বছর মেয়াদী 48 পৃষ্ঠার পাসপোর্টের ফি ৪০২৫/-।
সাবমিট করার সময় ফি জমা দেওয়ার অপশনে offline সিলেক্ট করা উত্তম। Offline হলে দুইভাবেই টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকিং সিস্টেম উভয়ই।
পাসপোর্ট (2)
এপ্লাই করার পর- ৩ পৃষ্ঠার এপ্লিকেশন কপি ও ১ পৃষ্ঠার সামারি কপি প্রিন্ট করে নিতে হবে।
** পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পূর্বে যেসব কাগজপত্র/ Documents নিয়ে যেতে হবে-
১) এপ্লিকেশন প্রিন্ট কপি
২) সামারি কপি
৩/ চালান ফরম (ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধিত টাকার স্লিপ)
৪/ নিজের NID/Birth Certificate কপি
৫) NID Verification copy
৬) মা ও বাবার NID কপি
৭) পেশা Student দেওয়া হলে আইডি এবং শিক্ষাজীবনের যেকোনো একটি সার্টিফিকেট, Business দেওয়া হলে ট্রেড লাইসেন্স,Private Service হলে ID card এর কপি, Unemployment দেওয়া হলে কোনো ডকুমেন্ট লাগবে না।
৮) নাগরিকত্ব সনদ/জাতীয়তা সনদ
** পুলিশ ভেরিফিকেশনে যেসব কাগজপত্র লাগবে-
১) NID/Birth Certificate copy
২) বিদ্যুৎ বিল(যেকোনো বিলের কপি)
৩/ জায়গার খতিয়ান
৪/ জাতীয়তা সনদ

=====================
ই-পাসপোর্ট ফরম
সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে
মেসেজ করুন অথবা যোগাযোগ করুন-
ফোন : ০১৭১১ ৩৫৩ ৩৬৩ (হোয়াটস অ্যাপ)

মোহাম্মদ সাইফোদ্দৌলা
সিনিয়র শিক্ষক
বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া
saifoddowla@gmail.com
www.saifoddowla.com

ফী : ১৫০/- টাকা
=====================

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে নিজেই আবেদন করতে পারেন। ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) করতে হলে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে, যা সহজভাবে সম্পন্ন করা যায়। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো:

ধাপ ১: আবেদন ফর্ম পূরণ
১.১. ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ
প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে: https://www.epassport.gov.bd

১.২. রেজিস্ট্রেশন
যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারী হন, তাহলে “Create Account” বা “নতুন একাউন্ট তৈরি করুন” অপশনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনাকে নিচের তথ্য দিতে হবে:
– নাম
– ইমেইল আইডি
– মোবাইল নম্বর
– পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে

এরপর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) যাবে, যা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।

১.৩. ফর্ম পূরণ
লগইন করার পর আপনাকে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে নিচের তথ্যগুলো চাওয়া হয়:
– ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা)
– জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (NID)
– পেশাগত তথ্য (যদি প্রযোজ্য হয়)
– পাসপোর্টের ধরন নির্বাচন (৫ বছর বা ১০ বছরের মেয়াদ)

১.৪. ফর্ম সাবমিশন ও প্রিন্ট
আপনি যখন অনলাইনে ফর্ম পূরণ করবেন, তখন আপনাকে তা যাচাই করতে হবে। যাচাই করার পর ফর্মটি সাবমিট করে তার প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করুন। এটি পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।

ধাপ ২: পাসপোর্ট ফি জমা করা

২.১. ফি নির্ধারণ
Passport with 48 pages and 5 years validity

Regular delivery within 21 days: TK 4,025
Express delivery within 10 days: TK 6,325
Super Express delivery within 2 days: TK 8,625

Passport with 48 pages and 10 years validity

Regular delivery within 21 days: TK 5,750
Express delivery within 10 days: TK 8,050
Super Express delivery within 2 days: TK 10,350

Passport with 64 pages and 5 years validity

Regular delivery within 21 days: TK 6,325
Express delivery within 10 days: TK 8,625
Super Express delivery within 2 days: TK 12,075

Passport with 64 pages and 10 years validity

Regular delivery within 21 days: TK 8,050
Express delivery within 10 days: TK 10,350
Super Express delivery within 2 days: TK 13,800

২.২. ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি
আপনি নিচের যেকোনো মাধ্যম দিয়ে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন:
– ব্যাংক ডিপোজিট: নির্দিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি জমা দিতে পারেন।
– অনলাইন পেমেন্ট: ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন বিকাশ, নগদ), অথবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করতে পারেন।

ধাপ ৩: বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান
৩.১. নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিতি
আপনার ফর্ম এবং ফি জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি তারিখ দেওয়া হবে। সেই তারিখে নির্দিষ্ট পাসপোর্ট অফিস বা ই-পাসপোর্ট সেন্টারে উপস্থিত হতে হবে।

৩.২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বায়োমেট্রিক তথ্যের দিন আপনার সাথে নিচের কাগজপত্রগুলো নিয়ে যাবেন:
– প্রিন্ট করা আবেদন ফর্ম
-জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদ
– আগের পাসপোর্ট (যদি থাকে)
– পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ

৩.৩. বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া
সেন্টারে গিয়ে আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে:
– আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ)
– আপনার ছবি তোলা হবে
– স্বাক্ষর প্রদান

ধাপ ৪: পাসপোর্ট সংগ্রহ
৪.১. পাসপোর্ট প্রস্তুতির সময়
বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেওয়ার পর পাসপোর্ট প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় নেয়। সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে, যদি দ্রুত সেবা না নেন।

৪.২. এসএমএস নোটিফিকেশন
পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে আপনাকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে লগইন করেও আপনার পাসপোর্টের অবস্থা দেখতে পারবেন।



Akhanei৪.৩. পাসপোর্ট সংগ্রহ

এসএমএস পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রাপ্তি স্লিপ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
– সব সময় ফর্ম পূরণ করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।
– ফি জমা দেওয়ার পর রশিদটি সাবধানে রাখুন।
– ছবি তোলার দিন পরিষ্কার পোশাক পরিধান করবেন এবং মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে (ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি তোলা হয়)।

নিয়মিত ডেলিভারিতে ২১-৩৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট আপনার হাতে পেয়ে যাবেন।
Note: পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর Status Check করে প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট কোন পর্যায়ে আছে।

আপনি পুরো প্রক্রিয়াটি নিজে নিজেই সম্পন্ন করতে পারেন বা পারবেন, কোন মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই।