মোহাম্মদ আলী বেলাল
১ নভেম্বর ২০১

10868012_1392093861087132_6189505930094283671_n

মাউশি দখলের মহড়া, নাকি অক্ষমতা ঢাকার পুরোনো অপকৌশল ???
(ঠাকুর ঘরে কে রে ??? আমি কলা খাই না !!! এবং ভূতের মুখে রাম নাম) -এর গোপন রহস্যটা কী ???

সঙ্গত কারণেই সকল সহকারি শিক্ষকগণ পুর্ব ঘোষিত এই মিটিং শেষে আশাব্যঞ্জক ভাল কিছু শুনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। তারা শুনতে চেয়েছিলেন আগামী ১০/১২ কার্যদিবসের মধ্য টাইম স্কেল / সিলেকশন গ্রেড ও নিয়োগ বিধি কমপ্লিট করে সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টির মাধ্যমে ৯ম গ্রেড পাওয়া যাবে। নতুবা আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। কারণ , অচিরেই হয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ আল্লাহ করেন, আর মাত্র কয়েকটা দিন -এসব বলতে বলতে যখন ৩/৪ বছর পার করেছে তখন এরকম একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রত্যাশা তারা করতেই পারে। দূর্ভাগ্য জাতীর, দুর্ভাগা সহকর্মীরা প্রত্যাশিত কিছু পেলামনা বরং নতুন ষড়যন্ত্রের নতুন নাটক মঞ্চস্থ হতে দেখলো।

যাদের সহযোগিতায় নির্বাচিত নেতা হলেন, যাদের সহযোগিতায় সহকারি শিক্ষক সমিতির নেতাদের নানা ভাবে হয়রানী করে দুর্বল করে দিলেন, যাদের সহযোগিতায় নানা রকম বাণিজ্য করে মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা কামাই করলেন তাদেরকে হঠাৎ রাজাকার উপাধি দিয়ে দিলেন।
কিন্তু কেন ?
এর দু’টি কারণ থাকতে পারে।

প্রথমতঃ তাদেরকে রাজাকার বানিয়ে ঐ জায়গাগুলো থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে ঐ জায়গাগুলো দখল করে সর্বশেষ খায়েস পূরণের চেষ্টা

দ্বিতীয়তঃ নিজেদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করে মাধ্যমিক অধিদপ্তর কলেজকে চিরস্থায়ীভাবে দিয়ে দেওয়ার পথ সুগম করে দেওয়া, যাতে পরবর্তীতে সহকারি শিক্ষকদের চাপের মুখে একে অপরকে দোষারোপ করে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়। যেভাবে ২০১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে ফাইল চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়েও চাপা দেওয়া হত। দোষারোপ করা হত অমুকের কারণে হয় নাই। নিজেরা থাকতো ধোয়া তুলসি পাতা। এখানে সেই সফল পুরোনো পদ্বতিটা সফতার সাথে প্রয়োগ করলেন।

আপনারা দুইটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে গোপন রহস্যটি বের করতে পারবেন, যেমন-
১। যেহুতু বাসমাশিস নেতৃবৃন্দ নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে জেলা, বিভাগ অথবা কেন্দ্রে কোথাও কখনও তাদের দাবির কথা মিডিয়ায় প্রচার করে নাই, যেটা আমরা করেছিলাম। হঠাৎ কেন তারা প্রিন্ট মিডিয়ায় এ কথা প্রচার করল ??? এটা সেই ঠাকুর ঘরে কে রে ??? আমি কলা খাই না !!! কলা না খাওয়ার মত পূর্বাভাস হলো না ??? মিডিয়ায় তাদের দাবির কথা প্রচার করাকে ভূতের মুখে রাম নাম জঁপার মত মনে করি। কারণ আমি ১০ বছরের ইতিহাসে তা দেখিনি। এখানে আমি নিশ্চিত যে, আজ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কিডন্যাপ হওয়ার খবর তারা জানতেন এবং এই কাজটা করে দেওয়ার জন্যই তাদেরকে নির্বাচিত নেতা বানানো হয়েছিল।

২। আমাদের সকলেই কোন না কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু সরাসরি তা প্রকাশ করার কোন সুযোগ নাই । আমরা এ যাবতকাল পর্যন্ত যা দেখে এসেছি তা হল সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে একটা মিটিং করে বাসমাশিস সভাপতি ও সম্পাদক পদ নতুন নেতাদের দিয়ে সকলের সুযোগ সুবিধা বহাল রাখে। এখানে কেউ হঠাৎ আদর্শচ্যূত হয়না । এবার কেন অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে রাজনীতিকে টেনে আনা হল ??? তা-ও আবার অতি স্পর্শকাতর বিষয়ে নিয়ে আসা হল ??? আমার কাছে এর অর্থ হচ্ছে অধিদপ্তর চিরস্থায়ী ভাবে নিয়ে নেওয়ার পর যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাকে এ স্পর্শকাতর ঘটনার সাথে জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া যাবে। পুরো বিষয়টা মহাপরিকল্পনার বাস্তব রূপমাত্র, অন্যকিছুই না।

মোফাজ্জল স্যার রমজানের পূর্বেই এরকম একটা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। আমি পুর্বেই বুঝতে পেরেছিলাম, যার জন্য নির্বাচন বন্ধের জন্য রীট করে লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি।

আপনারাই বলুন এখন আমি একা কী করব ???

(চলবে)

মোহাম্মদ আলী বেলাল


header-2আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইটটি পূর্ণাঙ্গরূপে তৈরি করতে
যোগাযোগ করতে পারেন উপরের ঠিকানায ক্লিক করে।


________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________