অনেকে জানতে চান যে, Blue Whale গেমটি সম্পর্কে তাই আপনাদের জন্য কালেক্ট করে একটু বিস্তারিত কথা না বললেই নয়।

সময় নিয়ে পড়ুন আর এই গেমের প্রভাবে প্ররোচিত হয়ে আত্মহন্তারক একসাথে দুই বোন- দুই তরুণীর আত্মহুতি দে’য়ার ভিডিও টি দেখে নিন নিচের লিংকে ক্লিক করে।

লিংক

তরুণ প্রজন্মের কাছে অনলাইনে গেম খেলা এক ধরণের নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান, লীগ অফ লেজেন্ডস কিংবা মিনি মিলিশিয়ার মতো গেমের মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকা তরুণ-তরুণীর সংখ্যা নেহাতই কম না। ঘরে বসে, ক্লাসের ফাঁকে, এমনকি বইখাতার মধ্যে ফোন লুকিয়ে রেখে গেম খেলা সেই ব্যক্তিটি কি কখনো ভাবতে পারবে এমন একটি গেম হতে পারে তারই মতো প্রায় ১৩০ জন তরুণের মৃত্যুর একমাত্র কারণ? ছেলেমেয়ের অনলাইন গেমের প্রতি নেশা নিয়ে যে বাবা-মায়েরা ইতোমধ্যে চিন্তিত ছিলেন, তাদের চিন্তার পারদ এবার আকাশ ছুঁয়ে যাবে বৈকি !

গল্প নয়, সত্যিই সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে রাশিয়াতে। ঘটেছে বললে হয়তো ব্যাপারটার গুরুত্ব ঠিক বোঝা যায় না, বলা ভালো ‘ঘটে চলেছে’ এমন একটি ঘটনা। পুরো বিষয়টির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিতর্কিত অনলাইন গেম যার নাম ‘দ্য ব্লু হোয়েল গেম’ বা ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’। বাংলা করলে নামটি দাঁড়াবে ‘নীল তিমি চ্যালেঞ্জ’।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই গেমটি।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারী গেমটি, গেমটির নিয়ম হলো সোশ্যাল গেমিং পেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নির্দেশ মোতাবেক ৫০ দিন ধরে বিভিন্ন টাস্ক পূরণ করতে হবে যার মধ্যে রয়েছে নিজেকে আহত করা, গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে হরর মুভি দেখা ইত্যাদি। শুরুর দিকের টাস্কগুলো বেশ সহজ এবং অন্যান্য গেমের চেয়ে আলাদা হওয়ায় মজা পেয়ে যায় প্লেয়াররা। এর মধ্যে ছিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের পাঠানো ভিডিও ও ছবি দেখা, ভোর ৪.২০ এ ঘুম থেকে উঠে ক্রেইনে চড়া ইত্যাদি। তবে প্লেয়ার যত উপরের লেভেলে পৌঁছায়, টাস্কও তত কঠিন হয়। ফাইনাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্লেয়ারকে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। ‘ব্লু হোয়েল’ কথাটিও এসেছে সমুদ্র তীরবর্তী নীল তিমি থেকে, যাকে আত্মহত্যার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি শুরু হয় ২০১৩ সালে, রাশিয়ায়। গেমটির সূত্রপাত ঘটে ‘ভিকোন্তাকে’ নামক সোশ্যাল নেটওয়ার্কে, যার পরিচালক ছিল ‘এফ৫৭’। এফ৫৭ মূলত ‘ডেথ গ্রুপ’ নামে পরিচিত। ২০১৫ সালে গেমটির জের ধরে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। প্রতিদিন ইন্সটাগ্রামে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটিতে কে কোন লেভেলে আছে তা পোস্ট করার রীতিমতো একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি একবার ডাউনলোড করার পর তা আর সহজে আনইন্সটল করা যায় না। আর মুহুর্মুহু আসা নোটিফিকেশন আপনাকে বাধ্য করবে গেমটিতে কী চলছে বা পেজটিতে কী হচ্ছে তা একবার ঢুঁ মেরে দেখে আসতে। প্রতিটি টাস্ক কমপ্লিট করে তার ছবি গেমিং পেজটিতে আপলোড করার নিয়মও রয়েছে। কাজেই সমবয়সী অন্যান্য তরুণ-তরুণীদের গেমটিতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া দেখে স্বভাবতই বাকিরাও তাতে অ্যাকটিভ হওয়ার একটি তাড়না অনুভব করেন। এভাবেই একের পর এক তরুণ-তরুণী যুক্ত হচ্ছেন আত্মঘাতী এই গেমটির সাথে।

 

 

গেমটি নিয়ে মাথা ব্যথার শুরু হয় তখনই, যখন তিন মাসের মধ্যে রাশিয়া এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৬ জন তরুণী আত্মহত্যা করে। ২০১৬ সালের এই ঘটনাটি প্রথমবার সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরেন রাশিয়ান এক সাংবাদিক। অল্প সময়ের মধ্যে এত জন সমবয়সীর আত্মহত্যার ঘটনায় টনক নড়ে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক পর্যায়েরও। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সাইবেরিয়ার দুই স্কুল ছাত্রী ইউলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এই দুটি ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়নি, বরং তাদের মধ্যকার যোগসূত্র খুঁজতে খুঁজতে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন সাপই বেরিয়ে আসে। আত্মহত্যার আগে ইউলিয়া তার সোশ্যাল পেইজে একটি তিমির ছবি পোস্ট করে এবং তার সাথে ক্যাপশন লিখে যায় ‘সমাপ্ত’। এই সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে যায় পুলিশ, আর খুব শীঘ্রই একটি-দুটি নয়, গোটা বিশ্বে প্রায় ১৩০টি আত্মহত্যার কেস এবং তার সাথে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটির সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নিশ্চিত হন তারা।

রাশিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও যে গেমটির প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে, তা টের পেয়ে অনলাইন জগতের উপর কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুলিশকে। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে আরও কিছু ভয়ংকর তথ্য। আর্জেন্টিনায় সান জোয়ান নামের ১৪ বছরের এক কিশোরকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ব্লু হোয়েল গেমটির প্রতি আসক্তি তাকে বাস্তব পৃথিবী থেকে একদম আলাদা করে দিয়েছিল। লা প্লাটায় ব্লু হোয়েল গেমটির টাস্ক কমপ্লিট করতে গিয়ে ১২ বছরের একটি মেয়ে নিজের হাত কেটে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে বলে পুলিশে রিপোর্ট করে মেয়েটির দাদা-দাদী। এ বছরের জুনের ২৭ তারিখে ১৬ বছরের এন্ট্রে রায়োস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। গেমটির ফাইনাল লেভেলে উঠে আত্মহত্যার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ৩১ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ছেলেটি শেষ পর্যন্ত গেমে জিতে গেলেও হেরে যায় জীবনের কাছে।

______________________________________________________

ইন্টারনেটের ভয়ানক  জগত ডার্ক ওয়েব- ডীপ ওয়েব  সম্পর্কে  জানতে ক্লিক করুন এখানে

______________________________________________________

 

ব্রাজিলের অবস্থাও বেশ খারাপ। রাজধানী সাও পাওলোতে মাসৌদ প্লাজা নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বেড়াতে আসে কয়েক জোড়া কপোত-কপোতী। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে লুইস নামের এক যুবক মাথায় গুলি করে মেরে ফেলে তার বান্ধবী কায়েনাকে এবং তার পরপরই নিজেও আত্মহত্যা করে একই উপায়ে। কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এর পিছনেও লুকিয়ে আছে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের কালো হাত। ১৭ বছরের বাউরু ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় যেখানে লেখা ছিল “সব দোষ ঐ নীল তিমির“। তার কয়েক মিনিট পরেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সে। সৌভাগ্যবশত দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মিলিটারি পুলিশ এবং মায়ের সহায়তায় রক্ষা পায় আরও বেশ কিছু তরুণের প্রাণ। গেমটির সাথে সম্পৃক্ত আরও অন্তত ২০ জন তরুণকে উদ্ধার করে গেমের দুনিয়া থেকে তাদের বের করে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৬ সালের ৩ জুন ইতালীতে একটি প্রেস কনফারেন্স ডেকে ব্লু হোয়েলের চ্যালেঞ্জগুলোকে ‘ব্যাড জোক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জাতীয় সংবাদপত্রগুলোতে অবশ্য এটিকে রাশিয়ান গেম হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এর কয়েকদিন পরেই ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের অংশ হিসেবে আত্মহত্যা করে লেগহর্ন নামের এক কিশোর। পত্রিকাগুলো এই আত্মহত্যার সাথে ব্লু হোয়েলের সম্পর্কের কথা জোর দিয়ে বললেও এটিকে ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি বলে পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বছরের ১৪ মে তদন্তের রিপোর্ট সহ সামনে আসে বিভিন্ন চ্যানেল। ধীরে ধীরে লেগহর্নের মতো ব্লু হোয়েল গেমের শিকার আরও বেশ কিছু হতভাগ্য শিশু-কিশোরের আত্মহত্যার খবর প্রচার পায় সর্বত্র।

এই গেম -এ কীভাবে একজন গেমার আসক্ত হয়ে পড়েন সে বিষয়টি জানাতে গিয়ে মরণ ফাঁদ থেকে বেঁচে যাওয়া ভারতের আলেকজান্ডার নামের এক তরুণ বলেন, এটা কোনও অ্যাপ নয়। নয় কোনও গেমও। এটা জাস্ট একটা লিঙ্ক। আর সেটা চালান একজন অ্যাডমিন। ওই গেম খেলতে যিনিই ঢোকেন, তাকে কয়েকটি টাস্ক দেন অ্যাডমিন। প্রত্যেক দিন সেই টাস্কগুলো শেষ করতে হয়। ওই গেম খেলতে ঢোকার পর কয়েকটা দিন কাটে মোটামুটি স্বাভাবিক ভাবেই। তখন অ্যাডমিন সকলের ব্যক্তিগত পরিচিতি ও ফটোগ্রাফ সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন অ্যাডমিন।

 

 

 

 

তিনি আরও জানান, এরপর থেকে অ্যাডমিন বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে শুরু করেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী খেলোয়াড়কে কবরস্থানে ঘুরে আসা থেকে শুরু করে নিজের হাত কাঁটতে হয়। ভয়ংকর সিনেমা দেখা, নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করতে করতে এক পর্যায়ে গিয়ে তাকে আত্মহত্যা করতে হয়।

এই গেমসের প্রভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় গেমটি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফট এবং ইয়াহুর মতো জনপ্রিয় সোশাল সাইটগুলি থেকে ব্লু  হোয়েল চ্যালেঞ্জ গেমটির লিঙ্ক মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

গেমটির এক নির্মাতাকে আটক করেছিল রাশিয়ার পুলিশ। এ ধরনের মরণ গেম তৈরির কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে ফিলিপ বোডিকিন নামের মনোবিজ্ঞানের ওই শিক্ষার্থী বলেন, যারা মারা যেতে চায় তাদের আত্মহত্যার পথকে সহজ করে দিতেই তৈরি করা হয়েছে এ গেম।

গেমটির বিভিন্ন স্টেজ দেখতে গিয়ে দেখা যায়, ৪৯তম পর্বে গেইমারকে নির্দেশনা দেওয়া হয় সকাল চারটা ২০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে, হরর ভিডিও দেখতে, অ্যাডমিনের পাঠানো গান শুনতে ও প্রতিদিন নিজের শরীরে একটা ক্ষত করতে। ৫০তম পর্বের নির্দেশনায় বলা হয়, উঁচু ভবনের ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে।

এভাবেই চলছে একের পর এক আত্মহত্যা, এই বিপুল সংখ্যক তাজা প্রাণের ঝরে পড়ার পিছনে কার হাত রয়েছে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় পুলিশ। আদাজল খেয়ে মাঠে নামা কর্তৃপক্ষ তখন খোঁজ পায় ফিলিপ বুদেকিনের। সাইকোলজির একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী তিনি, যাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার অসুস্থ ক্রেইজের সাথে জড়িত এই গেমটির উদ্ভাবক তিনি। রাশিয়ান এই গেম ডেভেলপার তার ভিক্টিমদের ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েস্ট’ বলে দাবি করেন এবং তিনি সমাজকে আবর্জনামুক্ত করছেন বলে জানান। রাশিয়ার তরুণীদের তিনি নিজের প্রেমের জালে এমনভাবে ফাঁসিয়েছেন যে, আত্মহত্যার পূর্বে তরুণীরা বুদেকিনের ঠিকানায় পাঠানো সুইসাইড লেটারে লিখে যায় ‘Happy to die’ ফিলিপ বুদেকিনের মতে তার ভিক্টিমরা পরবর্তীতে সমাজের ক্ষতি করবে এটি তিনি আগেই বুঝতে পেরেছেন, তাই ২০১৩ সাল থেকেই চলছে তার এই পরিষ্কারকরণ কর্মসূচি। গত জুন মাসে মস্কো থেকে ফিলিপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাইক্রিয়াটিস্টরা তাকে বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ফিলিপের গ্রেপ্তারে আশ্বস্ত হন অনেক অভিভাবক। তবে একটি পেজের একজন অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তার করে সমস্যার সমাধান করা আদৌ সম্ভব নয়। খুব দ্রুত রাশিয়ার সীমানা পার করে ইউরোপের অন্যান্য দেশ, এমনকি এশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ছে গেমটির প্রভাব। এখনই যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা জারি করা না হয়, তবে আমরাও হয়তো সম্মুখীন হবো এমনই কোনো বিকৃত মস্তিষ্কের মাস্টারমাইন্ডের ভয়ংকর কোনো ‘ক্লিনজিং’ কর্মসূচীর। কাজেই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়ার এখনই সঠিক সময়। এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সবাইকে।

 

গেমটি ডাউনলোড দিয়ে দেখার প্রয়োজন নেই। নিচে সম্পূর্ণ গেমটির ধাপগুলো দে’য়া হলো।
নিজ দায়িত্বে খেলুন।

Complete List Of Blue Whale Challenges
1. Carve with a razor “f57” on your hand, send a
photo to the curator.
2. Wake up at 4.20 a.m. and watch psychedelic and
scary videos that curator sends you.
3. Cut your arm with a razor along your veins, but
not too deep, only 3 cuts, send a photo to the
curator.
4. Draw a whale on a sheet of paper, send a photo
to curator.
5. If you are ready to “become a whale”, carve
“YES” on your leg. If not, cut yourself many times
(punish yourself).
6. Task with a cipher.
7. Carve “f40” on your hand, send a photo to
curator.
8. Type “# i_am_whale ” in your VKontakte status.
9. You have to overcome your fear.
10. Wake up at 4:20 a.m. and go to a roof (the
higher the better)
11. Carve a whale on your hand with a razor, send
a photo to curator.
12. Watch psychedelic and horror videos all day.
13. Listen to music that “they” (curators) send
you.
14. Cut your lip.
15. Poke your hand with a needle many times
16. Do something painful to yourself, make
yourself sick.
17. Go to the highest roof you can find, stand on
the edge for some time.
18. Go to a bridge, stand on the edge.
19. Climb up a crane or at least try to do it
20. The curator checks if you are trustworthy.
21. Have a talk “with a whale” (with another player
like you or with a curator) in Skype.
22. Go to a roof and sit on the edge with your legs
dangling.
23. Another task with a cipher.
24. Secret task.
25. Have a meeting with a “whale.”
26. The curator tells you the date of your death
and you have to accept it.
27. Wake up at 4:20 a.m. and go to rails (visit any
railroad that you can find).
28. Don’t talk to anyone all day.
29. Make a vow that “you’re a whale.”
30-49. Everyday you wake up at 4:20am, watch
horror videos, listen to music that “they” send you,
make 1 cut on your body per day, talk “to a
whale.”
50. Jump off a high building. Take your life.

 

 

গেমটিতে ব্যবহৃত একটি মিউজিক ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে

বলা হয়েছে এই ভিডিওচিত্রটিতে আত্মহত্যাকারী ছেলেটি নাকি ব্লু হোয়েলের শিকার

 
 

 

এটা মূলতঃ কোন গেম না, মনদিয়ে ভালো করে শুনুন . . .

এবার দেখুন, বাংলাদেশের রাজধানী শহর খোদ ঢাকাতে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দানকারী এই ব্লু হোয়েল নামক অনলাইন গেমের প্রভাবের শিকার আত্মহন্তারক একজন স্কুল ছাত্রী কিশোরীর খবর।

 

সর্বশেষ জানা যায়, শনিবার ঢাকার নিউ মার্কেট থানা এলাকার অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা নামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী এই গেম খেলেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার পড়ার কক্ষ থেকে। আত্মহত্যার আগে ‘ব্লু  হোয়েল’র কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আত্মাহুতি দেওয়া ঐ কিশোরীর নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা। ছিল তুখোড় মেধাবী। স্কুলের ফার্স্ট গার্ল হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। ওয়াইডব্লিউসিএ হাইয়ার সেকেন্ডারি গালর্স স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্মিলিত মেধা তালিকায় ছিল প্রথম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলে। তার বয়স ছিল মাত্র তেরো। পড়ছিল অষ্টম শ্রেণিতে। হলিক্রস স্কুলে ভর্তির পর থেকে বদলে যেতে থাকে সে। পড়াশোনার জন্য সে ব্যবহার শুরু করে ইন্টারনেট। কয়েক বছর আগে থেকেই এনড্রয়েড মোবাইল ফোনও ব্যবহার শুরু করে স্বর্ণা। ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার চলছিল। এরই মধ্যে সবার অজান্তে সে ঢুকে পড়ে ইন্টারনেটের এক নিষিদ্ধ গেমসে। নিহত কিশোরীর পিতার সন্দেহ, তার আদরের মেয়ে ঢুকে পড়েছিল ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস ব্লু হোয়েলে। গত বুধবার দিবাগত শেষ রাতে সে নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরদিন বৃহস্পতিবার ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় নিউ মার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসা ৫বি ফ্ল্যাট থেকে। ব্লু হোয়েলের কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া একটি চিরকূটও উদ্ধার করা হয়। তা এখন পুলিশের হাতে।

তাতে বড় করে লেখা, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়।’ লেখা শেষে গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্ন আঁকা।

সুব্রত জানান, ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়।’ এমনকি গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্নও আঁকা ছিল।




এ থেকে উত্তরণের উপায় কী ?

দেশের কিশোর-কিশোরীদের রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকারকেও ভারত সরকারের মতো পদক্ষেপই নিতে হবে বলে মনে করেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিম। তিনি বলেন, সরকারকে প্রথমে এই গেমসের ওয়েব লিঙ্কটি বন্ধ করে দিতে হবে। অভিভাবকদের সচেতনতায় সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে অভিভাবকদের উচিত হবে তার সন্তান প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। সে যাতে কোনোভাবেই এ ধরনের খারাপ কিছুতে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। গেমটি ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

 

অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি ইন্টারনেট গেইটওয়ে থেকে গেমটির লিঙ্ক মুছে ফেলার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের এ মৃত্যু ফাঁদ থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, এই গেমটি যারা তৈরি করেছেন তারা নিজেরই মানসিকভাবে অসুস্থ। তারা বেঁছে বেঁছে মানসিকভাবে অসুস্থ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করার মাধ্যমেই নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি হিপনোটাইস হতে না চায় তবে তাকে হিপনোটাইস করা যায় না। সুতরাং যে এই গেম দ্বারা প্রভাবিত হতে চায় বা যার জীবনের প্রতি ভালোবাসা কম সেই এ গেমের মাধ্যমে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হবে।

এ গেমের মাধ্যমে সন্তানকে মৃত্যুর পথ থেকে রক্ষা করতে হলে অভিভাবকদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সকল গেমের মধ্যেই দুটি দিক থাকে। একটি হচ্ছে অ্যাগ্রেসিভ ও অন্যটি অ্যাডিকশন। শিশুদের এসব বিজ্ঞান বর্হিভূত বিনোদনের দিকে ধাবিত হতে না দিয়ে তাদের সুস্থ ধারারা বিনোদন মাধ্যম দিতে হবে। আর কেউ যদি এই গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে তবে তার আচরণে আগে থেকেই কিছু আঁচ করা সম্ভব হবে। এক দিনেই কোনো মানুষ আত্মহত্যাকে বেঁছে নিতে পারে না। তাই শিশুর আচরণে কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতি নজরদারি বাড়িয়ে তাকে বিপথগামী হওয়ার পথ থেকে রক্ষা করতে হবে।

 

এবার দেখুন, বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাতে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দানকারী এই ব্লু হোয়েল নামক অনলাইন গেমের প্রভাবের শিকার আত্মহন্তারক একজন স্কুল ছাত্রী কিশোরীর আত্মহত্যার খবরটি যে ভূয়া তার প্রমাণ-

 

বিশেষ ঘোষণাঃ বাংলাদেশে কেউ এখনো পর্যন্ত “ব্লু হোয়েল” গেমে আসক্ত হয়ে সুইসাইড করেনি।

 

সম্প্রতি মিডিয়াতে “অপূর্বা বর্দ্ধন স্বর্ণা” নামে ১৪ বছরের একটি মেয়েকে নিয়ে কিছু ভুল তথ্য প্রকাশিত হলেও তার চাচী সহ পরিবারের সবাই এই ব্যাপারটি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

এমনকি তাকে শেষ গোসল দেওয়া তার কাকীমা “কেয়া চৌধুরী জুঁই” নিজেও নিশ্চিত করেছেন যে “অপূর্বার হাতে কিংবা শরীরের কোথাও কোন দাগ কিংবা ট্যাটু পাওয়া যায় নি।”

 

সব কথার শেষ কথাঃ

ব্লু হোয়েল নিয়ে কিছু কথা, যেগুলো না জানলেই বিনোদন মিস !!!!

১. গেইমটা মূলতঃ পিসি নির্ভর কিছু নির্দেশিত কর্মকাণ্ড’র সমষ্টি।
২. গেমটা রিয়েল আইপি ছাড়া লগইন করা যায় না।
৩. গেমটা অনলি ডার্ক ওয়েব / ডীপ ওয়েবে পাওয়া যায় (৯০% বাঙ্গালী হয়তো ডার্ক ওয়েব / ডীপ ওয়েবের নামই শুনে নাই !!! LOL)।
৪. ডার্ক ওয়েবে যেনতেন পাব্লিক ঢুকতেই পারবেনা (পারলেও লিংক -এর জন্য গুগলের হাত পা ধরা লাগবে )।
৫. ডার্ক ওয়েবে আপনি অত সহজে কোন স্ক্রীণশট নিতে পারবেন না ।
৬. ডার্ক ওয়েব -এর ওয়েব সাইট হয় লিংক নয়। ঐ ওয়েবে ডাইরেক্ট কোন লিংক নাই, যা আছে বা পাওয়া যায় তা কাউরো বোঝার সাধ্য নাই যে, আসলে সেটি কী ??? সেসব ওয়েব সাইট ব্রাউজ করতে ক্রোম, ফায়ারফক্সের বেইল নাইস !!! (মোবাইলের কথাতো বাদ-ই দিলাম )
৭. গেমটা বিট কয়েন নামক এক ধরণের ক্রিপ্টোগ্রাফ এক্সেঞ্জেবল অনলাইন কারেন্সির বিনিময়ে কিনতে হয় । ১ বিট কয়েন = ৫৭০+ ডলার
৮. এটা কোন .apk or .exe ফাইল না, ব্রাউজ করে খেলতে হয়।

______________________________________________

বিট কয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করতে পারেন এখানে
______________________________________________

খেলবেন ভায়া গেম ? মরার আগেই একবার মইরা কিডনী দুইটা বেচার চিন্তাভাবনা করেন। আজকালকার পোলাপাইন ফেসবুকে পোস্ট দেয় ১২ লেভেল পার করেছে , ২৬ লেভেলে আছে। আমার চুল, অরজিনাল কপি হইলে আপনার আইপি এমন ভাবে ওদের কাছে ধরা খেত যে আপনি চিন্তায়-ই মরে যেতেন। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার টাইমই পাইতো না !!!

প্রথমেই বলেছি যে, রিয়েল আইপি ওদের সার্ভারে হার্ডলী জমা হয়। বাংলাদেশে রিয়েল আইপি ব্যাবহারকারী ফ্রীল্যান্সার + PSN PADE ছাড়া কেও নেই বললেই চলে । এছাড়া সবাই অনটাইম আইপি ইউজার (বিশ্বাস না হলে ফোনের আইপি ডাটা অন অ়ফ করে দুই বার চেক করে দেখুন ) তাই বাংলদেশের কেও-ই নামায় নাই (টাকার পরিমাণ টা দেখে আসুন) তারপর নাহয় একবার ভাবুন অত টাকা খরচ করে কে মরতে যায় !!! যেখানে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে একটা টাকাও লাগেনা !!! যারা পোস্ট দিয়া চিল্লাচিল্লি করে প্লে স্টোর বা গুগল থেকে নামাইয়া ভাব মারে। যদি খেলতেই ইচ্ছে হয় তাহলে বলবো ভাইয়া ডার্ক ওয়েবে যাও, বিট কয়েন যোগাড় কর কিডনী বেচে, (প্রয়োজনে জিলা স্কুলের একজন স্যারের কাছে যাও, তার কাছে এই মুহূর্তে 900 ডলার সমপরিমাণ বিট কয়েন আছে) প্রোভাইডার থেকে রিয়েল আইপি কিনে, গেম টি খেলবা। ডেমো খেইলা চিল্লাচিল্লি- ল্যাদালেদি করে ফেসবুক দুর্গন্ধময় করিওনা। যারা পোস্ট দেয় তাদেরকে সংবর্ধনা দিন। হি হি হি হি . . . রিয়্যাক্ট দিন। ক’দিন ধরে এত পোস্ট দেখতাছি ফেসবুকে ব্লু হোয়েল নিয়া- যেন আত্মহত্যার জোয়ার বইছে; মনে লয় নিজেই সুইসাইড খাইয়া পইড়া থাকি . . .।।।

 

________
কৃতজ্ঞতাঃ
Roar Bangla

AliDropship is the best solution for drop shipping

________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________

ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন- 01711 353 363

এ্যাডভান্সড আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য টিপস / সমাধান সহ 418 পৃষ্ঠার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল- 1

এ্যাডভান্সড আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য টিপস / সমাধান সহ 418 পৃষ্ঠার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল- 2


header-2আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইটটি পূর্ণাঙ্গরূপে তৈরি করতে
যোগাযোগ করতে পারেন উপরের ঠিকানায ক্লিক করে।


====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================