মিডিয়ায় যে কোন ইস্যু পাইলে বাংলাদেশের জনগণ লাফ দিয়ে পড়ে।
আর সে ইস্যু দিয়ে যদি আওয়ামীলীগ, প্রশাসন বা সরকারের কোন অংশের সমালোচনা করা যায় তবে তো কথাই নাই। 
পাবলিক সেটা মাথায় নিয়ে নাচে।
আমি একটা সূত্র সব সময় শিক্ষা দেই-
কোন ঘটনা ঘটলে 
প্রথমে দেখবেন- কে ঘটাচ্ছে ?
আর দ্বিতীয়ত দেখবেন, যে ঘটাচ্ছে তার উদ্দেশ্য কি ?

বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে বেশিরভাগের আগমন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন অথবা বাম লেখক সংগঠন লেখক শিবির থেকে। এরাই বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা বা নিউজ পোর্টালের চীফ নিউজ এডিটর হিসেবে বসে আছে,
অথবা মিডিয়া যাদের পজিটিভ হাইলাইট করছে তারা ঐ সংগঠনগুলো থেকেই আগত।

সামনাসামনি বাংলাদেশের মানুষ এই বামপন্থীদের দুই চোখে দেখতে পারে না।
কিন্তু এই লোকগুলো যখন বিভিন্ন মিডিয়ার আড়ালে বসে নিউজ করে, মানবাধিকার কর্মী, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবাদী কর্মী, পরিবেশবাদী আইনজীবি, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা, গবেষনা সংস্থা, বুদ্ধিজীবি সংস্থার নাম দিয়ে আসে, তখন সেই নিউজ ও পলিসিগুলো জনগণ দেদারসে খায় এবং সেই অনুসারে মাইন্ড সেটআপ করে এবং সে অনুসারে মত প্রকাশ করে নিজেকে সুশীল দাবী করে।

প্রত্যক্ষভাবে দেখা যায়, 
বাংলাদেশের বাম সংগঠনগুলো কিন্তু আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে। 
সেই বাম সংগঠনগুলো যখন সরকারবিরোধী বিভিন্ন ইস্যু নেয়, তখন সেগুলো খুব একটা পাবলিক খায় না।
কিন্তু সেই সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যরা যখন মিডিয়া বা সংগঠনের আড়ালে বসে সরকারের বিরুদ্ধে খবর করে তখন সেগুলো পাবলিক চোখ বন্ধ করে গলধঃকরণ করে।
মানুষ বুঝে না, বাংলাদেশের বাম সংগঠনগুলো (ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন এবং লেখক শিবিরের একাংশ) হচ্ছে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের আখড়া। তারা নিজেদের পরিচয় বাদ দিয়ে যখন আর্টিফিসিয়াল ফেস হিসেবে মিডিয়ায় সাংবাদিক, পরিবেশবাদী কর্মী, মানবাধীকার কর্মী, আইনজীবি, দুর্নীতিবিরোধী কর্মী হিসেবে সামনে আসে তখন খুব সহজেই জনগণ তা ভক্ষণ করে। 
এক্ষেত্রে প্রতিক্ষেত্রে তারা সরকারের বিরোধীতার সুরকে কাজে লাগায়।
বিষয়টি অনেকটা নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মত, প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীত সমান প্রতিক্রিয়া আছে।
মানে ডেমোক্র্যাটরা তাদের ইস্যুগুলোকে সরকারবিরোধীতার রূপ দিয়ে জনগণের সরকারবিরোধীর সমর্থনকে তাদের পক্ষে নিয়ে আসে।
জনগণ তখন ভাবে, সরকারবিরোধীতা হচ্ছে, তাহলেই হবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে, সরকারবিরোধী ইস্যু হলেও তার নিয়ন্ত্রণ কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের হাতে। 
সরকার যদি গোপনে ডেমোক্র্যাটদের চাহিদাপূরণ করে দেয়, তখন কিন্তু তারা ঐ ইস্যুতে চুপ হয়ে যায়।
মাঝখান দিয়ে জনগনের সমর্থন ডেমোক্র্যাটরা ফাউ লাভ করে, কিন্তু আলটিমেটলি জনগণের কোন উপকার হয় না।

এই যে মিডিয়াতে যত ইস্যু দেখেন- আম নষ্টের ইস্যু, খেলাপী ঋণীদের বিশেষ সুবিধা বন্ধের ইস্যু, ‍নুসরাত-তনু ইস্যু, সিপিডি বা টিআইবি’র দুর্নীতি ইস্যু, পবা-বেলা-পিআইবি’র পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু এগুলো সব হলো ডেমোক্র্যাটদের বানানো ইস্যু। এগুলো উপর দিয়ে প্রকাশ পায় সরকারবিরোধীতা, সরকারের বিভিন্ন ফার্মের গাফেলতি প্রকাশ, দুর্নীতি চিহ্নিতকরণ।
বাস্তবতা হলো- এগুলো হলেও সরকারের কখন পতন হয় না বা সরকারের দুর্নীতি কমে না। কারণ এগুলোর কোনটার আসল উদ্দেশ্য জনকল্যান নয়, সরকারের বিরোধীতা নাম দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের গোপন উদ্দেশ্য হাসিল করা।
এর বিনিয়মও কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা পাচ্ছে, তারা প্রতিনিয়ত ডালপালা বিস্তৃতি করে শক্তিশালী হচ্ছে। ২০০৮ এ ক্ষমতা পায়নি, ২০১৮ তেও চেষ্টা করেছে। হয়ত ডাইরেক্ট ক্ষমতা পায়নি, এটা ঠিক। কিন্তু জনগণের মন-মগজে কারা অবিরাম ঢুকে পড়ছে। সরকারের পলিসির মধ্যে ডুকে পড়েছে। শিক্ষা সিলেবাসে ঢুকে পড়েছে। আইন ও বিচারবিভাগে ঢুকে পড়েছে, নিউজ মিডিয়ায় একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। শিল্প সংস্কৃতিতে তাদের পুরাতন প্রভাব আগেও ছিলো, এখনও আছে।

এতগুলো কথা বললাম-
‘জনগনের ব্লক’ তৈরী হওয়ার আগে প্রয়োজন বাংলাদেশের কতগুলো ব্লক সক্রিয় আছে তার সংখ্যা জানা, তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা। শুধু সরকারবিরোধীতার প্রলেপ দেখলেই লাফ দিয়ে পড়ে, অন্য কোন দলের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে কি না, সেটাও নিরূপন করা জরুরী। 
হয়ত ভাবতে পারেন, সাধারণ জনগণ এসব বুঝবে না। 
না বুঝুক। আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম- মাত্র ১০০ জন ‘জনগণের ব্লক’র পক্ষে এ্যানালিস্ট লিস্ট তৈরী হোক। তাহলেই যথেষ্ট।

 
==================
ব্যাকআপ পেইজ-
http://bit.ly/2y3086J
——————————–
ওয়েবসাইট-
http://bit.ly/2zyNAoR
——————————–
মূল পেইজ-
http://bit.ly/2xkma5m
——————————–
ফেসবুক পেইজ কোড-
249163178818686
==================

AliDropship is the best solution for drop shipping

________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________

ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন- 01711 353 363

এ্যাডভান্সড আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য টিপস / সমাধান সহ 418 পৃষ্ঠার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল- 1

এ্যাডভান্সড আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য টিপস / সমাধান সহ 418 পৃষ্ঠার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল- 2


header-2আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইটটি পূর্ণাঙ্গরূপে তৈরি করতে
যোগাযোগ করতে পারেন উপরের ঠিকানায ক্লিক করে।


====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================

 

AliDropship is the best solution for drop shipping