মোহাম্মদ আলী বেলাল
22 ডিসেম্বর, 2016
বাসমাশিস ও এর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে সম্ভবতঃ আমার শেষ লিখা
এই লিখাটায় যে বিষয়গুলোর ইংগিত থাকবে-
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আপনাকে আবারও সালাম সেই বিখ্যাত উক্তির জন্য-“মাধ্যমিকশিক্ষা পঁচা মাল” প্রাথমিকের তবুও একটা মান আছে।
ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া,
ভিক্ষা চাইনা মা, তোর কুত্তা সামলা . . .
চামচা চেনার উপায়-
লাল সালুর বিখ্যাত চরিত্র মজিদের বৈশিষ্ট্য
জাতীয় পর্যায়ে ওপেন সিক্রেট বিষয়ে প্রমাণ প্রয়োজন হয় না।
পেশাজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
সহকারি শিক্ষক সমিতি যে দাবীটা করে তা নেতারা ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য নয় বরং স্বীকৃতিটা প্রয়োজন একটি স্বতন্ত্র শক্তিশালী সংগঠন বিনির্মাণের উদ্দ্যেশে, যার মাধ্যমে সকল ন্যায্য দাবী আদায় করা সম্ভব হবে।
বিগত ১০ বছরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের এবং প্রধান শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ২ বার আপগ্রেড করা হয়েছে বলতে পারেন তারা আন্দোলন করে সরকার থেকে আদায় করে নিয়েছে। আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন প্রতিটি উপজেলায় একজন শিক্ষা অফিসার পদ যারা এক সময় আমাদের সমস্কেলে ছিল ও একাধিক সহকারি শিক্ষা অফিসার পদ যারা আমাদের নিচের স্কেলে ছিল তাদের পদগুলো আপগ্রেড করে সকলের মধ্যে একটা প্রশাসনিক ব্যাল্যান্স মেইন্টেইন করা হয়েছে। অর্থাৎ সহকারি শিক্ষকদের চেয়ে প্রধান শিক্ষকদের স্কেল, প্রধান শিক্ষকদের স্কেলের চেয়ে সহকারি শিক্ষা অফিসারের স্কেল, ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের স্কেলের চেয়ে শিক্ষা অফিসারের স্কেল ক্রমানুসারে আপগ্রেড। শিক্ষকদের যারা মনিটরিং করবেন তাদের স্কেল শিক্ষদের চেয়ে আপগ্রেড হওয়া সুষ্ঠ প্রশাসনিক ব্যবস্থার পূর্বশর্ত, এখানে তাই আছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষানীতি ২০১০ -এর আলোকে পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ঠ, ৭ম, শ্রেণি অনেক বিদ্যালয়ে চালু করেছে কিছুদিনের মধ্যে তারা সহকারি শিক্ষক পদ ১০ম গ্রেডে উন্নিত করার আন্দোলনে যাবে যুক্তি ৬ষ্ঠ – ৮ম শ্রেণিতে যারা ক্লাস করেন তারা ১০ম গ্রেডে বেতন পায় তাহলে তারা কেন নয় ??? এবং এটা সম্ভব হবে তাদের স্বতন্ত্র সমিতি থাকার কারণে।
প্রাথমিক স্তরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে তাহলো এখানে এখন আর নানা ধরনের টিচার নেই সবাই সরকারি পক্ষান্তরে আমাদের মাধ্যমিক স্তরে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং এর ব্যবস্থা উপবৃত্তি কর্মকর্তাদের নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত ছিলনা । এদেরকে মূলত উপবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৫ বছরের জন্য, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে এদেরকে আবার ঐ প্রকল্পের অধীনে রাখা হয়। আমার জানামতে এদেরকে ৭/৮ বছর ধরে নিয়মিত বেতন দেওয়া হতনা, যার জন্য অনেকেই এই অনিশ্চিত চাকুরি ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে এখানেই রয়ে গেছে। এটি প্রমানের জন্য আমি কোন ডকুমেন্টারি শো করতে না পারলেও অন্ততঃ ৩ জন সাক্ষী দাঁড় করাতে পারব। এদের যে সময় নিয়োগ হয় তখন প্রকল্পের চাকুরির প্রতি ব্রিলিয়ান্টদের কোন আগ্রহ ছিল না, কেউ ৩য় শ্রেণির সরকারি চাকুরি পেলেও এখানে এপ্লিকেশন করতনা, যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপট আলাদা। অর্থাৎ বর্তমানে এরা এখন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এরপর উপজেলা পর্যায়ে একাডেমিক সুপার ভাইজার পদ ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদ প্রকল্পের অধীনে সৃষ্টি করা হয় এবং লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে এ পদগুলোকে আপগ্রেড করে রাজস্ব খাতে নিয়ে এসে শিক্ষকদের প্রমোশন / পদায়নের মাধ্যমে পূরণ করা অপরিহার্য।এ দাবীটা সহকারি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শুরু থেকেই করে আসতেছি কিন্তু দুঃখের বিষয় যখন আমরা এ দাবী সম্বলিত পোস্টার করলাম তখন ঢাকার কতিপয় অভিজাত কিন্তু বড়ই অসহায় মা’জুর সহকর্মী আমাদেরকে টিপ্পনি কেটেছে, এই বলে যে- আমরা সরকারি চাকুরি ছেড়ে . . . যেমন টিপ্পনি কেটেছিল আমাদের নেতা মোফাজ্জল স্যারকে নিয়ে, তার নাকি ২য় শ্রেণি গ্রেজেটেড হওয়ািই যোগ্যতা নেই; তিনি আমাদেরকে ১ম শ্রেণি এনে দিবেন কিভাবে ??? মোফজ্জল স্যার যে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন তা এ তথ্যটা থেকে বুঝা গিয়েছিল অর্থাৎ এ কথাটা ৮০০০ টিচারই জানত বা তাদেরকে জানানো হয়েছিল।
_________________________________________________________________________
বাসমাশিস -এর ২৫ তারিখের মিটিংয়ের
একটি পর্যালোচনা
_________________________________________________________________________
ইংরেজদের ১৯০ বছরেরের শাসনামলের কুফল আলোচনা করলে তাদের এদেশের সম্পদ লুটপাট, নিরীহ কৃষক, শ্রমিক অসহায় মানুষদের অমানসিক অত্যাচার নির্যাতন, জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির সকল উপাদান সৃষ্টি, তাদের শাসন শোষণ আরও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য তাদের অনুগত দাস সৃষ্টি ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলো অনিবার্যভাবে এসে যাবে।
আবার সুফল আলোচনা করলে এদেশে শিক্ষার প্রসার, জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার ইংরেজদের আগমনে দ্রুত বৃদ্ধিলাভ করেছিল এ দিকটা উঠে আসবে। ঠিক অনুরূপ তাদের দোসর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক / এডিবি শিক্ষার মানোন্নয়ণের নামে ব্যবসা ও শিক্ষা ব্যাবস্থা ধবংসের মাধ্যমে জাতির অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করার উদ্দ্যেশে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তা বাস্তবায়নে মাধ্যমিক পর্যায়ে উপজলা পর্যায়ে উল্ল্যেখিত পদগুলো সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা যদি স্বয়ং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ দেশের তথাকথিত শিক্ষাবিদ যারা মূলতঃ তাদের (ওয়ার্ল্ড ব্যাংক / এডিবি) দালাল তাদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে সাম্প্রতিক কালের উদ্বেগের কথা বিশ্লেষণ করি তাহলে তারা যে শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ করে মাধ্যমিক শিক্ষা ধ্বংস করতে পেরেছে তা বুঝতে কারো এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয়না। তবে এ জায়গাতে ইংরেজ শাসনের সুফলের মত মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃষ্ট উক্ত পদগুলোকে ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গিতে বিবেচনা করে মাধ্যমিক শিক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার মত মাঠ পর্যায়ের অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে পারলে মাধ্যমিক শিক্ষায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর জন্য উক্ত সকল পদগুলোকে রাজস্ব খাতে আপগ্রেড করে নিয়ে আসতে হবে। পেশাজীবী সংগঠনগুলোর এ জায়গাতে কাজ করতে হবে। এখানে অনিবার্যভাবে প্রশ্ন আসবে এখানে যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন তাদের কী হবে তাদেরকে মানবিক বিবেচনায় কীভাবে ধরে রাখা যাবে ??? এক্ষেত্রে আমার স্পষ্ট বক্তব্য- সরকারি কলেজে বিদ্যমান নীতি অনুসরণ করেই তাদেরকে ধরে রাখলে আমাদের কারো আপত্তি থাকবে না। অর্থাৎ বেসরকারি কলেজগূলো সরকারি করলে সেখানে অধ্যক্ষ / উপাধ্যক্ষ পদকে লেকচারার পদে প্রবেশ করানো হয় অর্থাৎ ৪র্থ গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে, অবশ্য একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক সুবিধা বহাল রাখা হয়। এখানেও তাদেরকে সহকারি শিক্ষকদের গ্রেডেই প্রবেশ করতে হবে এবং সিনিয়রিটি আমাদের সর্বশেষ ব্যাচ ২০১১ এর পর থেকে করতে হবে তবেই আমারা তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে পারব এর ব্যতিক্রম হলে আমরা মানব না, এর প্রতিবাদ করব প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি এদেরকে দিয়ে আমাদের বর্তমান টিচার সংকট নিরসন করা হয় তাতেও আমাদের আপত্তি থাকবে না। যদি উপবৃত্তি কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হতে পারে তাহলে এদের সবাইকে সহকারি শিক্ষক হিসাবে প্রবেশ করানো অসম্ভব কিছুনা ।
যেহেতু বাসমাশিস ও তার নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে আমার শেষ লিখা সেহেতু উত্থাপিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়াকে সমীচিন মনে করতেছি।
মিস্টার নাহিরুল ইসলাম স্যার বাসমাশিসের ৫ টি গৌরবময় কর্ম তুলে ধরে আমাদের অনূজ গিয়াস উদ্দিন স্যারকে যেভাবে আক্রমন করেছেন তাতে খুবই ব্যথিত হয়ে এধরণের সিদ্বান্ত নিয়েছি। কারণ ইতোপূর্বেও অনেক সন্মানীত সিনিয়র স্যারদের শ্লীলতাহানী করা হয়েছিল যারা কোন সুবিধাভোগ না করেই হাজার হাজার টাকা খরচ করেছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে।
প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েই শেষ করবো।
ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া,
ভিক্ষা চাই না মা, তোর কুত্তা সামলা . . .
ভিক্ষাবৃত্তি ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকে স্বীকৃত পেশা। মর্যাদার দিক থেকে চোর, ডাকা্ত, ঘুষখোর, পার্সেন্টেজ হোল্ডার, ও যেকোন ধরণের অসৎ পথে অর্থ উপার্জনকারীর পেশার চেয়ে উঁচু স্তরের হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এ পেশার লোকদেরকেই সমাজের সবচেয়ে নীচু স্তরের লোক ভাবা হয়। এরা সমাজে খুবই অসহায় প্রকৃতির লোক। এদেরকে কেউ যদি উচ্ছিষ্ট কিছু দান করে তা দেখে যদি অন্য কেউ জিজ্ঞেস করে তুমি এটা কী নিলে, কেন নিলে ? তখন সে বলে উঠে ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া ! এইরূপ বলার মধ্যেই তার অসাহত্ব ফুটে উঠে। তাদের অসহায়ত্ব চরমভাবে ফুটে উঠে যখন এরা বাড়ী বড়ী গিয়ে ভিক্ষা করে, তখন যদি কোন বাড়ীতে তাদের পোষ্য কুকুর মারাত্মকভাবে আক্রমণও করে তখন তারা বলে উঠে ভিক্ষা চাই না মাগো তোমার কুত্তা সামলাও। অবশ্য এক্ষেত্রে আমি বাড়ীর মনিবকে ১০০% দায়ী করব না। কারণ বেচারা নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে অর্থাৎ চোর, ডাকাত, অনাকাঙ্খিত কোন দুষ্টু লোকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই ইতর প্রাণীটিকে ভরন পোষন করেছে কোন নিরীহ বা কাংখিত মানুষ কে আক্রমন করার জন্য নয়। বেচারা কুত্তার বাচ্চা বেয়াক্কেল, কাণ্ডজ্ঞানহীন বিধায় এই অসহায় ভিক্ষুকটিকে আক্রমণ করে বসে। অবশ্য এর মনিব শিকল পড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারত।
মিস্টার নিহারুল ইসলাম স্যার বাসমাশিস এর ৫ অর্জন তুলে ধরে যেভাবে অনূজ গিয়াস উদ্দিন স্যারকে আক্রমন করেছেন এবং অন্যান্য সময় আমাকে এবং আমার সতীর্থদেরকে তাঁর সতীর্থরা যেভাবে আক্রমণ করেছেন তাতে আমি আমাকে ভিক্ষুক মনে করতে পারি নাই। মানে ভিক্ষুকের মত অসহায়। কেন ??? তাহলে মনোযোগ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন।
আপনি যদি কোন সমাজের সবচেয়ে শিক্ষিত / অশিক্ষিত অথবা ধনী / গরীব পরিবার কোনটি নির্ধারন করতে চান, তাহলে আপনাকে কী করতে হবে ? নিশ্চয়ই এর জন্য আপনাকে ঐ সমাজের একটা পরিবারকে ভিত্তি হিসাবে নির্বাচন করতে হবে। ধরুন মি “ক” এর পরিবারে ৯ জন মাস্টার্সধারী। এদের মধ্যে ৩ জন ক্যাডার জব, ৪ জন নন ক্যাডার জব করে বাকী ২ জন বড় ধরণর বেসরকারি জব করে বা ঐ পরিবার সর্ব সাকুল্যে ২০ কোটি টাকার মালিক। এখন এই পরিবারের সাথে তুলনা করেই আপনি যেকোন পরিবারের মান নির্নয় করতে পারবেন
অনুরূপ প্রজাতন্ত্রের সরকারি বেসরকারি ও প্রকল্পের অনেক রকম পেশার অনেক রকম অর্জন রহেছে। তার মধ্যে মিস্টার নিহারুল ইসলাম স্যারের উল্লেখিত ৫ টি অর্জন আসলে কী ধরণর অর্জন তা তুলনা করার জন্য এবং এই অর্জন দিয়ে কোন সহকর্মীকে এভাবে আক্রমন করার নৈতিক অধিকার হোল্ড করেন কি না তা যাচাই করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্যারদের এবং উপজেলা পর্যায়ে এদের প্রশাসনকে ভিত্তি হিসাবে তুলে ধরেছি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি রিপিট করার জন্য বা দীর্ঘ করার জন্য।
১। সহকারি শিক্ষকদের আপগ্রেড করেছে ২ ধাপ; পক্ষান্তরে আমাদের আপগ্রেড হয়নি
২ শিক্ষা অফিসার আমাদের সহকারিদের সমস্কেলে ছিল তারা এখন আমাদের চেয়ে আপগ্রেড পক্ষান্তরে আমরা সেই ১৯৭৩ সালের গ্রেডেই আছি ।
৩। সহকারি শিক্ষা অফিসার আমাদের নীচের গ্রেডে ছিল তারা এখন আমাদের গ্রেডে এবং আমাদের চেয়ে এক যুগ আগে গেজেটেড ও স্থায়ীকরণের কাজ সম্পন্ন করেছে
৪। তাদের নিয়োগ বিধিতে শিক্ষা অফিসার পদ আছে আমাদের নেই অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে মানে উপজেলা লেভেলে প্রশাসনিক কাঠামো আছে যা আমাদের নেই ।
৫ । তাদের আলাদা অধিদপ্তর আছে আমাদের নেই।
৬। তাদের আলাদা মন্ত্রণালয় আছে আমাদের নেই।
৭। তাদের শিক্ষা অফিসারের পদ প্রধান / সহ শিক্ষকদের চেয়ে আপগ্রেড। আমরা সহকারি শিক্ষক পদকে সহকারি শিক্ষা অফিসার পদ পেয়ে খুশিতে আটখানা। এই পদটাকে করনীকের পদ বলাতে খেপে গিয়েই গিয়াস স্যারকে এভাবে আক্রমণ করেছেন সম্ভবতঃ। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন তাহলে ডিসি, সচিবদের কাজ কিসের কাজ ?? আমি বিনয়ের সাথে বলব তাদের কাজও করনীকেরই কাজ অর্থাৎ কাজের ধরণ প্রায় একই। আমি বিণয়ের সাথে মিঃ এন আই স্যারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনি কি বিশ্বাস করেন না মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান ফিরিয়ে আনার জন্য উপজেলা লেভেলে মাঠ পর্যায়ে একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলা প্রয়োজন ? করলে একবারও কি ভেবে দেখেছেন কীভাবে সহকারি শিক্ষা অফিসাররা উপজেলা লেভেলে সরকারি স্কুলগুলো মনিটরিং করবেন ??
আমাদের প্রাপ্তির যে খতিয়ান আপনি তুলে ধরেছেন স্থায়ীকরণ , ২য় শ্রেণি গেজেটড) এটাকে আমি যখন প্রাঃ শিঃ অফিঃ সাথে তুলনা করি তখন এটাকে কোন অর্জন মনে করিনা। করলে ঐভাবে বলতে হবে ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া। আর সিনিয়র শিক্ষক পদ (৯ম গ্রেড) এটাকে এখনও চূড়ান্ত অর্জন বলা যাবেনা, যখন চূড়ান্ত হবে তখন চিৎকার করে বলব আপনাদের জন্য ৪/৫ বছর দেরীতে পেলাম যার জন্য আমাদের অধিদপ্তরটা ১ নম্বরে হওয়ার কথা। কিন্তু ২টা আলাদা হয়ে গেল আমাদেরটা হলনা। প্রাধান শিক্ষক পদকে ৪র্থ গ্রেডে নিয়ে গেছেন এটাকে অবশ্যই আমি অর্জন মনে করি এর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তবে এই অর্জনের জন্য বলির পাঠার মত বলি হিসাবে অধিদপ্তর চিরস্থায়ী ভাবে তাদেরকে দিতে হয়েছে। এই যখন সার্বিক প্রাপ্তির খতিয়ান তখন কোন সহকারি শিক্ষকের ছোটখাট টিপ্পনীতে খেপে গিয়ে ঐভাবে আক্রমণ করেন তখন সেই ভিক্ষুকের মত বলতে হবে ভিক্ষ চাই না মা তোর কুত্তা সামলা . . .
আমাদের পরিবারের তথাকথিত চামচা ও লাল সালুর মজিদ চরিত্রের সাদৃশ্যঃ
(এ চামচাদের কারণে সহকারি শিক্ষকগণ নির্ভয়ে সহকারি শিক্ষক সমিতি করতে পারেন না, যার জন্য আমরাও তাদের ছাড়া পূর্বের ন্যায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলণে যেতে পারিনা)
বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমগ্র পৃথীবিতে তাদের নিজস্ব একটা মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাহলো যেভাবেই হউক তুমি ক্ষমতা / অর্থ কুক্ষিগত কর, দেখবে সব কিছুই তোমার হাতের মুঠোয় এসে যাবে। এখানে নীতি নৈতিকতার কোন স্থান নেই। মনোবিজ্ঞানীদের মতে মানুষ ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচকের প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশী। নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি মানুষের কৌতুহল সব সময়ই বেশি অর্থাৎ মানূষ ভালোর চেয়ে খারাপটা বেশী গ্রহণ করে। মানব চরিত্রের এই অদ্ভুত বৈশিষ্টটাকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করে সমগ্র পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার জন্য, নিজেদেরকে বিশ্বের একমাত্র মোড়ল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ঐ পরাশক্তি হেন পদক্ষেপ নাই যা তারা প্রয়োগ করে নাই। এরা আই এস তৈরি করে, আবার সেই আই এস দমনের নামে টোটাল মধ্য প্রাচ্যটাকে ধবংসস্তুপে পরিণত করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচন পুর্ব বিশ্ববাসীকে মার্কিনীদের একটা ওপেন সিক্রেট বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, তা হলো তাদের জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে ব্যয় এক বিলিয়ন ডলার আর সামরিক খাতে ব্যয় নয়শত বিলিয়ন ডলার (শিক্ষা খাতেরচে’ ৯০০ গুণ বেশি ) যার অধিকাংশ খরচ করা হয় সি আই -এর মাধ্যমে সেকেণ্ড ও থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশগুলোতে অনুগত সরকার বসানো এবং নামানোর কাজে। তারা এ কাজটা একটা কৌশল অবলম্বন করে অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করে। এ উদ্দ্যেশে তারা টার্গেটের প্রত্যেকটা দেশে তাদের এজেন্ট তৈরি করে। এজেন্টের তালিকায় থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মালিক, সম্পাদক, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, এনজিও ব্যবসায়ী, নায়ক নায়িকা, কলামিস্ট, লেখক, কবি, শিল্পপতি, খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, নারী ও শিশু অধিকার কর্মী এবং টকশো’র মডারেটর যাদের সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামে খ্যাতি সম্পন্ন। জাতীয় পর্যায়ে এদের ইমেজ প্রশ্নাতীত বলতে পারেন তাদের প্রয়োজনেই তাদের ক্লিন ইমেজ তৈরি করা হয়। এদের কাজ হচ্ছে তাদর টিপস অনুযায়ী কাজ করা। এখন প্রশ্ন আসছে এজেন্টরা কীভাবে তাদের প্রভূদের টিপস অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে ? হ্যাঁ, তাদের কাজগুলোর ধরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি দুটো পন্থা দেখতে পাবেন।
প্রথমতঃ তারা সব সময় প্রভূদের নানা রকম স্তুতি বা প্রসংসায় ব্যস্ত থাকে। যেমন- আফ্রিকার জংগলে কোন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রাণী আহত হলে আরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে অথবা তারা যখন কোন পোষা জানোয়ারের বিনোদনের জন্য কোন পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায় তখন তারা জানোয়ারটিকে স্বাধীনভাবে চলতে দেয়, গলার শিকল ধরে উল্টো টান দেয় না, কারণ এতে তাদের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ভয় থাকে। তারা সুযোগ পেলেই প্রাসংগিক ও অপ্রাসংগিকভাবে প্রভূদের এ ধরণর পশুপ্রেম তুলে ধরে তাদের মানব প্রেমের গভীরতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। অর্থাৎ যারা পশুদের ক্ষেত্রে এতটা আন্তরিক (পাশবিক) তাহলে মানব প্রেমে কতটা মানবিক বুঝে নাও বিশ্ব !!! তারা এ খতিয়ান দিয়ে বিশ্ববাসীকে সব সময় বুঝাতে ব্যস্ত থাকে এই বলে যে, তাদের প্রভূরাই বিশ্বে একমাত্র মোড়লিপনা করার নৈতিক অধিকার রাখে।
দ্বিতীয়তঃ প্রভূদের যখন প্রয়োজন হবে কোন রাষ্ট্রের সরকার নামানো তখন তারা তাদের নির্দেশে সরকারের কোন ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসে পড়লেই এরা সদলবলে ঝাপিয়ে পড়ে সরকারের উপর। এক্ষেত্রে তাদের অস্ত্র হচ্ছে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নারী ও শিশু অধিকার, পরিবেশ রক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি। নানা পেশাজীবির নানা ধরণের এই পোষা এজেন্টদেরকে একত্রিত করা হয় সিভিল সোসাইটি নামের প্যাকেজে বা মোড়কে। তখন তারা সত্যিই সত্যিই সরকারের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে যায়। আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন ১/১১ ঘটনার সময় মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কারা এদেশে জাতীয় সরকার গঠন করতে চেয়েছিল ??? কারা তাদেরকে সহযোগিতা করেছিল ??? এছাড়া যখন ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনার পূর্বাপর ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করবেন তখন আপনার সামনে এদেশে ঐ মোড়ল রাষ্ট্রের এজেন্ট কারা ছিল বা আছে বুঝতে একটুও অসুবিধা হবে না। এই এজেণ্ট বা চামচাদের মধ্যে একমাত্র আই এস ছাড়া সবাই কাজগুলো স্বজ্ঞানে করে এবং এর বিনিময়ে তারা নানা রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার, বিদেশ সফর, ক্ষমতা অর্জন, অর্থনৈতিক সুবিধা, বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য বা প্রধান হওয়া সহ নানারকম স্বর্গীয় সুবিধাবলী। মোড়ল রাষ্ট্রটি যে শুধু সরকার পরিবর্তন করেই তাদের দাদাগিরি বজায় রাখে, তা না। তারা তাদের দাদাগিরি অটুট রাখার জন্য আরোও অনেক পন্থা অবলম্বন করে থাকে, যেমন- অবরোধ করে, কোন রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংসের মাধ্যমে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংস করার জন্য তারা প্রধান এজেণ্ট নিয়োগ করেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবিকে। এর পর দেশীয় শিক্ষাবিদদেরকে। সে যাই হউক এই এজেন্টদের চরিত্র নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে উল্টো তাকেই অপদস্ত হতে হয় যেমনটা হয়েছিল লাল সালুর শিক্ষিত যুবক। মজিদের ভণ্ডামী নিয়ে যখন শিক্ষিত যুবক প্রশ্ন তুললো, তখনই মজিদ আক্রমণ করে বসে- ঐ মিয়া তুমি নামাজ পড়ছ ??? তোমার দাড়ী কই ইত্যাদি।
ঠিক অনুরূপ আমরা যখন মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম তখন আমাদের পিছনে কারা কীভাবে বিরোধীতা করেছিল, তা অনেকবার লিখেছি। আমরা মিটিং ডাকলে এক সময় ৩/৪ হাজার শিক্ষক উপস্থিত হতেন। সেই জায়গা থেকে আমাদেকে কিভাবে দূর্বল করা হয়েছে আপনি চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলে সব পরিস্কারভাবে দেখতে পাবেন- কারা কিসের স্বার্থে কাদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে বুঝতে পারবেন।
আমরা আবারও কাজ করতে চাই সম্মিলিতভাবে, সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে। এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সহকারি শিক্ষকদেরকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সহকারি শিক্ষক সমিতি করতে দে’য়া। তাদের মন থেকে ট্রান্সফারের আতঙ্ক দূর করতে হবে। কে নিশ্চয়তা দিবে আমাদের সমিতি করার কারণে কাউকে পুর্বের মতো হয়রানীর শিকার হতে হবেনা ।
আমার বিশ্বাস এই নিশ্চয়তা পেলে সবাই বেরিয়ে আসবে তখন সব অর্জনই সম্ভব হবে। তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি এই শেষ লিখার শেষ অংশ লিখার পর কাউরোও সমালোচনা করবোনা।
________________________________________
শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
ডোমেইন, হোস্টিং সহ ইন্টারনেট জগতের যাবতীয় বিল নিজে নিজে পরিশোধের জন্য
২৫ ডলার একদম ফ্রি সহ নিয়ে নিন Payoneer -এর ইন্টারন্যশনাল মাস্টারকার্ড।
কীভাবে পাবেন Payoneer -এর ইন্টারন্যশনাল মাস্টারকার্ড ?
দেখতে ক্লিক করুন এই লেখা কিংবা ছবির উপর।
Leave A Comment