জাতীয় শিক্ষাক্রমের পরিসর বা ক্ষেত্র কিংবা পরিধির তেমন কোন সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। যে কোন একটি বিষয়ের জন্য এটি প্রণীত হতে পারে। আবার একাধিক বিষয় নিয়ে একটি অথবা একাধিক শিক্ষাস্তরের জন্য একটি জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা যায়।
এর পরিসরের দিক নির্দেশনা নিম্নরূপঃ
১. জাতীয় শিক্ষাক্রম হচ্ছে শিক্ষার লক্ষ্য এবং তা অর্জনের বিশদ পরিকল্পনা।
২. শিক্ষাক্রম শুধু কর্মতৎপরতা নয়, কর্মতৎপরতার সামগ্রিক নীলনকশা এবং কর্ম সম্পাদনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াও বটে।
শিক্ষাক্রম পরিকল্পনার বিভিন্ন কার্যাদি-
ক. শিক্ষার্থীরা কি শিখবে, শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি করার নির্ণায়ক কি হবে?
খ. কত সময় ধরে শিখবে এবং শিক্ষাদানে শিখন সামগ্রী কি হবে?
গ. কে শেখাবে এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি হবে?
ঘ. শিক্ষার্থীর অর্জিত শিক্ষাকে কিভাবে পরিমাপ করা হবে, এসবই শিক্ষাক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে বিবৃত থাকতে হবে।
৩. শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অপরাপর কার্যাদি হলো-শিক্ষার পরিমাপগত ও গুণগত মান রক্ষার জন্য শিক্ষাক্রম, শিক্ষাসূচি, বিষয়বস্তু প্রণয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, তত্তাবধান, মূল্যায়ন, পরিবীক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বা যোগান অব্যাহত রাখা।
৪. এর উদ্দেশ্য, শিখন অভিজ্ঞতা, বিষয়বস্তু, শিক্ষা সামগ্রী প্রণয়ন, উপযোগ সরবরাহ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভৌত সুবিধাদি, শিক্ষাদান সহায়ক উপকরণ, শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির পরিমাপ ইত্যাদি যেন একীভূত ও অভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে পারলেই এটি একটি ব্যবস্থায় পরিণত হবে। সেজন্য এসব কিছুই শিক্ষাক্রম পরিসরের অন্তর্ভুক্ত।
৫. বর্তমানে শিক্ষাক্রম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উন্নয়নের জন্যই প্রণীত হয়ে থাকে। এছাড়া এর প্রকৃতি ও পরিসর যেসব বিষয় দ্বারা নির্ধারিত হয় তাহলো-
i) দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা।
ক. সামাজিক চাহিদা।
খ. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান।
গ. জনগণের মৌলিক ও ধর্মীয় চেতনা এবং বিশ্বাস।
ঘ. বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরে সমকালীন জীবন ধারণ ব্যবস্থা।
ii) প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা।
ক. সমাজের মানব সম্পদ ব্যবহারের ধরন।
খ. শিক্ষার্থীদের চাহিদা।
গ. সমাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
ঘ. ভবিষ্যৎ সমাজ নির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের রূপরেখা।
Leave A Comment