বি. এড. -এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- “কোথায় লেখা আছে” ? আবার “কোথায় লেখা নেই” ?
জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি নিয়ে বিশ্লেষণ ও আলোচনা- সমালোচনা।
==============================================================

 

১. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন স্যার
24 August 2016

mofazzal

“বি. এড. এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- কোথায় লেখা আছে ?”
________________________________

 

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে একদিকে হাই কোর্টে মামলার সমস্যা অন্যদিকে কিছু শিক্ষকের মনগড়া মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হোসেন দেলোয়ার স্যারের একটি status আমি পড়েছি। দয়া করে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিবেনঃ

১/ এখন পর্যন্ত পদোন্নতির যে বিধিমালা আছে তাতে লেখা আছে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেতে হলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা এবং বি. এড. থাকতে হবে। এখানে বি. এড. -এর তারিখের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। পূর্বে বি. এড. -এর তারিখ ধরে পদোন্নতি হলেও বিষয়টি নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। এখন যেহেতু চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তখন নীতিমালার বাহিরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।

২/ নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা ২০১১ যাহা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জারি করেছে এবং যার আলোকে জ্যেষ্ঠতা তালিকা করেছে মাউশি। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের তারিখ হতে গণ্য করা হবে এবং যোগদানের তারিখ একই হলে সেক্ষেত্রে জন্মতারিখ বিবেচনা করা হবে।

৩/ খসড়া জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ৫৭নং- কোচতুরি দত্ত মজুমদার হাই কোর্টে মামলা করে ইতোমধ্যেই যোগদান -এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা গণনা করে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কয়েক মাস পূর্বে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান স্কুল এ্যান্ড কলেজ -এ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

৪/ ২০০৬ সালে মাউশির তৎকালীন উপপরিচালক জনাব রেজাউল করিম স্যারের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা বি. এড. -এর তারিখ হতে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা গণনা করার জন্য বিভিন্ন স্কুলে একটি চিঠি পাঠান। বিষয়টি রেজাউল করিম স্যারের নজরে আসলে তিনি চিঠিটি ভূয়া বলে দাবি করেন। উক্ত চিঠির তারিখ এবং স্মারক নং মাউশির কোনো ফাইল নোটে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমি নিজ দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ করছি।

৫/ নিয়োগবিধি বা পদোন্নতির কোনো বিধিমালা মাউশি তৈরি করতে পারেনা। যেমনঃ বর্তমানে আমাদের নিয়োগ বিধিমালা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় -এর অনুমোদনের পর P. S. C. অনুমোদন দিবে। তারপর সচিব কমিটির অনুমোদন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সুতরাং রেজাউল করিম স্যারের ওই চিঠি যে ভুয়া এটাই তার প্রমাণ।

৬/ জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ -এ আরো উল্লেখ আছে- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিষয়ক কোনো অধ্যাদেশ, আদেশ, পরিপত্র ইতিপূর্বে যাহাই জারি হোক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

৭/ আমার শেষ প্রশ্ন- মনে করেন একজন সহকারী শিক্ষক ১৯৯১ সালে যোগদান করে ১৯৯৬ সালে বি. এড. করলেন। অন্য একজন শিক্ষক বি. এড. সহ ১৯৯২ সালে যোগদান করলেন। শিক্ষকদের তথ্য দেয়ার সময় ১৯৯১ সালের শিক্ষক বি. এড. -এর সন উল্লেখ করবেন ১৯৯৬। আর ১৯৯২ সালের শিক্ষক বি. এড. -এর সন উল্লেখ করবেন ১৯৯১। জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে বি. এড. -এর তারিখ গণ্য করা হলে এক্ষেত্রে কার প্রমোশন আগে হবে ? জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে বি. এড. -এর তারিখ হতে গণনা করা হবে- এ ধরণের কোনো পরিপত্র কিংবা বিধিমালা কেউ যদি দেখাতে পারেন, তবে আমি ঐদিনই চাকুরী ছেড়ে দেব। আর যদি দেখাতে না পারেন, তবে দয়া করে নিজের ইচ্ছেমত রচনা লিখবেন না।

বিষয়টি আমি চ্যালেঞ্জ করলাম।

১৯৮৬ সালে এনাম কমিটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের পদকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

—————————————————————————————————————–

২. অালমগীর কবির স্যার
19 September 2016

alamgir
 
‘‘বি. এড. -এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- কোথায় লেখা আছে’’ ?
আবার কোথায় লেখা নেই ?
________________________________

 

গত ২৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মোফাজ্জেল স্যারের ফেসবুকের আইডিতে একটা Status পড়ার সুযোগ হয়েছিল। শিরোনাম ছিল ‘‘ বি এড এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা কোথায় লেখা আছে’’? প্রথম ২৪ আগস্ট ফেসবুকে লেখাটি দেখার পর আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে উত্তর দেওয়ার উপলব্ধি মনে করি নাই। কিন্তু আবার ঐ একই লেখা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে ফেসবুকে শিক্ষক বাতায়ন- এ দেওয়া। সেখানে মোফাজ্জেল স্যার লিখেছেন, দয়া করে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন : ‘‘ বি এড এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা কোথায় লেখা আছে’’? মোফাজ্জেল স্যার দ্বিতীয় বার অনুরোধ না করলে হয়তো আমার লেখার সুযোগ হতো না। আপনার তথ্য সমৃদ্ধ লেখার মাঝে আমি কিছুটা বাসত্মবতা খুঁজে পেয়েছি, আবার বেশিরভাগ জায়গায় আমার নিজের অজ্ঞতার কারনে বুঝতে সমস্যা হয়েছে। অনেক সময় সরকারী মাধ্যমিক স্কুল কেন্দ্রিক কেহ কোন লেখা ফেসবুকে স্টাটাস দিলে আমি চেষ্টা করি আমার জানা মতে কিছু একটা লিখতে, হতে পারে সহমত, আবার নাও হতে পারে । আমার জানার মাঝে বা বোঝার মাঝে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। কোন মানুষই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয়, মানুষের জানার বা শেখার শেষ নাই। আমার চাকুরীর জীবনে ইতোপূর্বে পদোন্নতি বিষয়ে যেটা দেখেছি, সে আলোকেই লেখার চেষ্টা করছি। আমি মোফাজ্জেল স্যারের মত চ্যালেঞ্জ করছি না বা বলছি না ঐ দিনই চাকুরী ছেড়ে দেব। চেষ্টা করব না নিজের ইচ্ছামত রচনা লিখতে। আমি পাঠকের কাছে অবশ্যই আশা করব, আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
 
আমি একজন শিক্ষক হিসেবে মনে প্রাণে কামনা করি যে সকল সহকারী শিক্ষক/শিক্ষকারা ১৯৯১ সালের পূর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানকৃত বি এড/বি পি এড ডিগ্রী অর্জন করে কর্মরত আছেন, অনেকেরই ২৭ থেকে ৩৮ বছর একই পদে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর মধ্যে অনেকেই ২/১ বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন, অবসরে যাওয়ার পূর্বে ঐ শিক্ষক/শিক্ষকারা পদোন্নতি পেলে যেমন কিছুটা সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন, তেমনি সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমাদের সিনিয়র কলিক পদোন্নতি পেয়েছেন এবং সন্তানরাও বলতে পারবে আমার মা অথবা বাবা চাকুরীর শেষ জীবনে এসে একটা পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু কেন ! সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পদোন্নতি বিড়ম্বনা—-? যেখানে প্রায় ৪৫০ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক,সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। পদোন্নতি দিলে সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের যদিও আর্থিক কোন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবেন না, পাবেন সামাজিক পদ মর্যাদা। সবাই চাকুরীর শেষ প্রান্তে একটু সামাজিক পদ মর্যাদা নিয়ে অবসরে যেতে চান।যারা পদোন্নতি পাবেন, তাঁরা বর্তমান সবাই ৭ম গ্রেডে বেতন উত্তোলন করছেন (২৯০০০/= টাকার স্কেল)। আর পদোন্নতি হবে ৯ম গ্রেডে (২২০০০/= টাকার স্কেলে)।
 
১। পদোন্নতি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন ১৮ জানুয়ারি, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ। এস. আর. ও নং-১৭-আইন/২০১০-০৫.০৩০.১৭৪.০১.০০.০০৬.২০১০।
– গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩৩ এর শর্তাশে প্রদত্ত এর ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি, উক্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪০(২) এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে Bangladesh Civil Service Recruitment Rules,1981 এর অধিকতর সংশোধন করিলেন।-
{২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যমত্ম নিমেণর বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিÿক,সহকারী প্রধান শিÿÿকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন হয়েছে}।
যথাঃ
 
(1)Assistant District Education officer , Not exceeding 30 years, relax-able up to 37 years for departmental candidates. 80% by promotion from among st the Subject Teacher, Assistant Teacher and physical Education Teacher of government High schools. For promotion:- Diploma in Education or B. Ed or B.P.Ed degree with 7 years experience in the feeder post.
 
(2) Assistant Headmaster, Not exceeding 30 years, relax able up to 37 years for departmental candidates. 80% by promotion from among st the Subject Teacher, Assistant Teacher and physical Education Teacher of government High schools. provided that only male teachers are considered for promotion.For promotion:- Diploma in Education or B. Ed or B.P.Ed degree with 7 years experience in the feeder post.
 
(3)Assistant Headmistress, Not exceeding 30 years, relax able up to 37 years for departmental candidates. 80% by promotion from among st the Subject Teacher, Assistant Teacher and physical Education Teacher of government High schools. provided that only female teachers are considered for promotion. For promotion:- Diploma in Education or B. Ed or B.P.Ed degree with 7 years experience in the feeder post.
 
এখানে উলেস্নখ্য সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেতে হলে ৭ বছরের অভীজ্ঞতা ও বিএড/বিপিএড ডিগ্রি থাকতে হবে। আত্বীকৃত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বেলায় এসএসসি/ এইচএসসি/ ডিপ্লোমা/বিএ/ কামিল পাশ কেহ সরকারী স্কুলে কর্মরত থাকলে সেখান থেকে ৭ বছর চাকুরী করলেই ৭ বছরের অভীজ্ঞতা বোঝায় না। বোঝায় বিএড/বিপিএড ডিগ্রীসহ ৭ বছরের অভীজ্ঞতা। সে আলোকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে ২০১০ সালের পদোন্নতির বিধিমালার আলোকে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের সুপারিশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে =৩৮০ জনকে পদোন্নতি দিয়েছেন। বিগত দিনের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যে পদোন্নতি হয়েছে, তার প্রমান সেখানেও ‘‘ বি এড এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা ধরে পদোন্নতি দিয়েছেন।
 
১৯৯১ সালের পূর্ব পর্যন্ত সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ফিডার পদ) হিসেবে চাকুরীতে প্রবেশের নুন্যতম শিক্ষাগত য্যেগ্যতা ছিল স্নাতক বিএড/বি পি এড ডিগ্রি (আত্বীকৃত শিক্ষক ব্যতীত )। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে স্মারক নং ২৬৬৩-সম- তারিখ ৪/২/১৯৯০-তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও (ক্লাসিকাল শিক্ষক ছাড়া) নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বিএড/বিপিএড ছাড়া অন্যরা আবেদন করতে পারবেন না। ঐ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বিএড/বিপিএড ডিগ্রিধারী। সম্ভবত নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বিএড/বিপিএড ডিগ্রিধারী প্রার্থী প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন আবেদন না পাওয়ায় । ঠিক তার পরের বছরই ১৯৯১ সালে স্মারক নং ৩৯০২-সম ৭এ – ৫সম/৯০ তারিখ ১২/৩/৯১ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বি এড/বিপিএড অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যোগ্যতা সম্পন্ন যে সকল প্রার্থী অত্র অধিদপ্তর কর্তৃক ১৯৯০ সনের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক যথারীতি আবেদন করিয়াছেন তাহাদের পূণরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই। যাদের শিক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি/ডিপ্লোমা নাই,তবে এই জাতীয় শিক্ষক /শিক্ষিকাকে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে শিক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি/ডিপ্লোমা অর্জন করতে হইবে। যেটা সর্বশেষ ২০১২ সালের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষাকাদের বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
 
১৯৯১ সালের পূর্বে যারা আত্বীকৃত শিক্ষক তাঁদের মধ্যে যাদের নুন্যতম যোগ্যতা স্নাতক বিএড/বিপিএড ছিল তাঁরা (আত্বীকরণের তারিখ) তখন থেকেই ফিডার পদের অধিকারী। অনেক শিক্ষক/শিক্ষিকারা আত্বীকরণের সময়ে এসএসসি/এইচ এসসি/ডিপ্লোমা/বিএ /কামিল পাস, কিন্তু উক্ত সময়ে বিএড/বিপিএড না থাকায় বা পরে থাকায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পদোন্নতির সময়ে আত্বীকরণের সময় যোগদানের সিনিয়র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আত্বীকরণের সময়ে যাঁদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগতা সস্নাতক বিএড/বিপিএড ছিল না,তাদেরকে সহকারী শিক্ষক ( ফিডার পদ)এর নিম্নে স্কেলে আত্বীকরণ করা হয়েছিল।
 
স্কুল আত্বীকরণের সময় যদি একজন শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা যোগ্যতা বা নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকে , তবে তাকে তার নিচের পদে ( ১০ম গ্রেডের নিচে ১১দশ গ্রেড) বা (১১শ গ্রেডের নিচে ১২শ)দেওয়া হয়েছে। সূত্র : আত্বীকরণ বিধি – ১৯৮৩ ,তারিখ : ২০ শে এপ্রিল ,১৯৮৩। সাবেক মহাপরিচালক নাইয়ার সুলতানা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ২৯/০৮/১৯৯৯ ইং সেখানে আত্বীকৃত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে উল্লেখ আছে :- আত্বীকরণের তারিখে প্রয়োজনীয় শিক্ষগত যোগ্যতা বিহীন সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা যদি সাময়িক নিয়োগের তারিখ হইতে ৩ বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেন তবে ইফেকটিভ সার্ভিসসহ তাদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। আর যদি উক্ত ৩ বছর সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয়তা শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হন তবে পরবর্তী প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের তারিখ হইতে সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসেবে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।
 
এখানে আরো উল্লেখ্য, সূত্র : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্র নং (১) শিম/শ-১০/২ পদোন্নতি-১৬/৯২(অংশ-১)/১৪, তাং-১২-১ -২০০৩ (২) শিম/শ-১০/২ পদোন্নতি-১৬/৯২(অংশ-১)/৩৭, তাং-২১-১ -২০০৩ (৩) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং-৭-এ/১২সম/৯৮/৬৩৮-সম, তাং ২৯-১-২০০৩।বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয় ,স্মারক নং – বাসককস/ইউ-১/জ্যেষ্ঠতা -১/২০০২/৬৯০/১(৩), তারিখ ০৬/০২/২০০৩ খ্রিঃ, মিঞা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ,- যুগ্ম-সচিব( সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্বে) স্বাক্ষরিত,সরকারী মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে পদোন্নতি প্রদান প্রসংগে-
 
যে সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা বি এড পাশ করে চাকুরীতে যোগদান করেছেন তাদের যোগদানের তারিখ হতে এবং যারা যোগদানের পরে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের বি এড পাশের তারিখ হতে এবং বি এড পাশের তারিখ একই হলে যোগদানের তারিখের ভিত্তিতে এবং যোগদানের তারিখ একই হলে বয়সের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত কমিশন গ্রহন করেছেন। আশাকরি মোফাজ্জেল স্যার আপনার উত্তর এখানে নিহিত আছে। { ১৯৯১ সাল থেকে যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মধ্যে যাদের বিএড নেই তাদের ৫ বৎসরের মধ্যে বি এড করার শর্ত,এখানে ৫ বছরের মধ্যে বি এড করলেই যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা পাইবেন। সুত্রঃ মহামান্য হাইকোটে,রীট পিটিশন নং ৫৬৬৭/২০১৫, রায় তারিখ: ০৭/১২/২০১৫}।
 
মাউশি স্মারক নং ১ আই-৩/১এম-৮৯/১৭৯১৬/৩৫০সম তাং-১৭/৯/১৯৯০ মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মোঃ দলিল উদ্দিন মণ্ডল স্বাক্ষরিত বি এড পাশের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে। এছাড়াও মাউশি স্মারক নং ৭এ/১২-সম/৯৮(অংশ-১)২৫৫৬(১০)-সম,তাং-০৮/০৫/২০০৬ ,খুরশীদ আলম,পরিচালক (মাধ্যমিক) স্বাক্ষরিত। মাউশি স্মারক নং ৭এ/১২-সম/৯৮(অংশ-১)৬৭৭৭৭(১০)-সম,তাং-২১/০৫/২০০৮ প্রফেসর আ ন ম শরীফ,পরিচালক (মাধ্যমিক) স্বাক্ষরিত। মাউশি স্মারক নং ওম/১৪-সম-২০০৬/৮৫৩০/৩-সম, তাং -২৮/০৬/২০০৯ মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মোঃ ফরিদউদ্দীন স্বাক্ষরিত । সকল অফিস আদেশে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয় ,স্মারক নং – বাসককস/ইউ-১/জ্যেষ্ঠতা -১/২০০২/৬৯০/১(৩) , তারিখ ০৬/০২/২০০৩ খ্রিঃ, এর আলোকে বি এড পাশের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে সুস্পষ্ঠ লেখা আছে।
 
২। ২ নং পয়েন্টে মোফাজ্জেল স্যার লিখেছেন ২০১১ সালের জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালার আলোকে মাউশি তালিকা করেছেন,আপনার তথ্য সঠিক নহে। যদি ঐ আলোকে সকলের যোগদানের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করত, তবে ১৯৯১ সালের কিছু সংখ্যক সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকারা সংক্ষুব্ধ হয়ে মহামান্য হাই কোটে রীট পর্যন্ত করতেন না। বিষযটি আপনার অজানা নয়, যেহেতু বিষয়টি আপনার লেখার মধ্যে তুলে ধরলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হতো, বিষয়টি সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জানা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারন অনেকেই ১৯৯১ ব্যাচকে মামলাবাজ বলে ফেসবুকে এলোমেলো কথা লেখে থাকেন। যারা লেখেন তাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু মামলাবাজ শব্দটি লিখতে পারেন। প্রকৃত ঘটনা জানলে হয়তো মামলাবাজ কথাটি লেখা থেকে বিরত থাকতেন। গত ২৫/০৩/২০১৫ তারিখে মাউশি যে জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছেন— সেখানে মোট ১০১৯ জন সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকার নামের তালিকা। এখানে উল্লেখ্য ক্রমিক নং ১ থেকে ৩২১=৩২১ জন এদের পদোন্নতির জ্যেষ্ঠতার তালিকার প্রকাশ করেছেন যোগদানের ভিত্তিতে, অন্যদিকে ৩২২ থেকে ১০১৯ =৬৯৮ জন এদের পদোন্নতির জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রকাশ করেছেন বয়সের ভিত্তিতে । মোফাজ্জেল স্যার আপনাদের (১৯৯১ পূর্বে) ৩২১ থেকে পরবর্তী তালিকা যোগদানের আলোকে হলে বর্তমান এ সমস্যার সম্মুখীন হয়তো ১৯৯১ ব্যাচের অনেক শিক্ষকদের পোহাতে হতো না। ২০১১ প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্ঠ উল্লেখ্য আছে (২) বিভিন্ন পদের সমন্বিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির প্রারম্ভিক পদে নিয়মিত যোগদানের তারিখের ভিত্তিতে সমন্বিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হইবে। নিয়ম সবার জন্য সমান, যোগদানের আলোকে হলে সবাই যোগদানের আলোকেই জ্যেষ্ঠতা পেতেন। স্বীকার করেন আর নাই করেন, দুই রকম নিয়মের জ্যেষ্ঠতার তালিকা (কাহারও যোগদানের আলোকে আবার কাহারও বয়সের আলোকে) এখানেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
 
৩। ৬ নং পয়েন্টে আপনি যা উল্লেখ করেছেন ততটুকুর সাথে আরো কিছু লেখা যোগ করলে লেখাটা আরো মান সম্মত হতো। যেটা আপনি এড়িয়ে গেছেন। আপনি ৬ নং পয়েন্টে লিখেছেন তা হলো :- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ – আরো উল্লেখ আছে – জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিষয়ক কোন অধ্যাদেশ , আদেশ, পরিপত্র ইতিপূর্বে যাহাই জারি হোক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে। যেহেতু আপনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ২০১১ সালের ০৩ মে প্রজ্ঞাপন তুলে ধরেছেন, সেহেতু আপনার উচিত ছিল বিষয়টি সুস্পষ্ঠভাবে লেখা, এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের উদ্বৃতি কখনও আংশিক দিতে নাই,দিলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
 
১। প্রজ্ঞাপন ৩ মে, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ। এস. আর. ও নং-১০৮-আইন/২০১১-০৫.১৭১.০২২.০১.০০.০১০.২০১০। – গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩৩ এর শর্তাশে প্রদত্ত এর ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি, উক্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪০(২) এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে নিম্নরুপ বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন, বিধিমালার অংশ বিশেষ— ২০১১ সালের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে ৩। বিধিমালার প্রাধান্য:- অন্য কোন বিধিমালা, আদেশ, নির্দেশ, পরিপত্র ইত্যাদিতে যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই বিধিমালার বিধানসমূহ সকল নন ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাইবেঃ তার পরের অংশ আপনি আর লেখার প্রয়োজন মনে করেন নাই-। পরের অংশ হলো-
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি সংক্রান্ত বিধিমালা থাকে তবে তাহাদের ক্ষেত্রে উক্ত বিধিমালার বিধান কার্যকর হইবে। আর সেই পদোন্নতি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন ১৮ জানুয়ারি, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ। এস. আর. ও নং-১৭-আইন/২০১০-০৫.০৩০.১৭৪.০১.০০.০০৬.২০১০।
 
৪। ৭ নং পয়েন্টে আপনি ১৯৯১ ও ১৯৯২ ব্যাচের উদাহরণ টেনেছেন, আপনি হয়তো যুক্তি দেখাচ্ছেন ১৯৯২ ব্যাচের একজন ১৯৯১ ব্যাচের আগে বিএড,তবে সে কী আগে পদোন্নতি পাবেন ? এখানে পদোন্নতি হবে ব্যাচের ভিতর থেকে। ১৯৯২ ব্যাচ কখনও ১৯৯১ ব্যাচের আগে পদোন্নতি হবে না।২০১১ বিধিমালায় সুস্পষ্ঠ উল্লেখ আছে — কোন একটি নির্দিষ্ট পঞ্জিকা বৎসরের নিয়মিত ভিত্তিতে ধারাবাহিক ব্যবস্থায় উচ্চতর পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ ঐ পঞ্জিকা বৎসরে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর জ্যেষ্ঠতা পাইবেন। (উল্লেখ্য এখানে আত্বীকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কোন কিছু লেখা নাই)।
 
৫।মোফাজ্জেল স্যার খসড়া জ্যেষ্ঠতা তালিকায় ৫৭ নং – কস্তরী দত্ত মজুমদার হাই কোটে মামলা করে যে রায় পেয়েছেন, সেটা শুধুমাত্র তাঁর জন্য প্রযোজ্য। এটা ১৯৯১ সালের পূর্বে সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কস্তরী দত্ত মজুমদারের হাই কোটের রিট নং ৭৬৯৭/২০১১ ও ৯২১০/২০১১ তারিখের রিট ১১/১/১৯৮৬ সালের রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের আলোকে জ্যেষ্ঠতায় জুনিয়র শিক্ষকগণ বি এড পাশের তারিখ হতে ফিডার পদে অর্থাৎ ১০ম গ্রেডের অধিকারী হবেন, এই প্রজ্ঞাপনের আলোকে রিট দুটো ১৩/৮/২০১২ তারিখে কার্য তালিকা থেকে স্থগিত করা হয়। এর পর সুপ্রিম কোটে আপিল করলে,আপিল বিভাগ হাইকোটের তৃতীয় বেঞ্চে প্রেরণ করেন, ঐ বেঞ্চ থেকে শুধু তার জন্য ৫/১২/১৯৯৪ সালের ৩৩৯ নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করার জন্য শুধু তাঁর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন, যা অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সে আলোকেই যোগদানের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা গণনা করে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে কয়েক মাস পূর্বে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা সংযুক্ত বিজ্ঞান স্কুল এ্যাণ্ড কলেজে- সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এটা শুধু আপিলকারীর কস্তরী দত্ত মজুমদারের জন্য প্রয়োজ্য,অন্যদের জন্য নহে।
 
উপরের বিভিন্ন সূত্র ও প্রজ্ঞাপনের আলোকে বলা যায় সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত যত সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি হয়েছে, সবগুলোই যোগদান থেকে জ্যেষ্ঠতা যদি ঐ সময়ে বিএড ডিগ্রী থাকে, আর যদি ঐ সময়ে বিএড ডিগ্রী না থাকে তবে বিএড পাশের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা।
 
আশাকরি এখন আর কাহারও কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়, ‘‘ বি এড এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- কোথায় লেখা আছে’’?
—————————————————————————————————————–

৩. অলোক তরফদার স্যার
alok

১৩/০৮/১৯৮৫ সালের “এনাম কমিটি” সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, পদ বিভাজন অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পদ সৃষ্টি করেন।

সহকারী শিক্ষক হিসাবে ঘোষনা করলেও জুনিয়র শিক্ষকদের জন্য নিম্নোক্ত আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে।স্বারক নং- শা৫/ওপি-২/৮৪/৪৪- শিক্ষ তাং ১২/০১/১৯৮৬ইং।

সেখানে বলা হয়েছে ” মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তরাধীন সরকারী হাই স্কুলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাতক ডিগ্রীধারী জুনিয়র শিক্ষক/ শিক্ষিকাগনকে বি,এড,পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার তারিখ হইতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে প্রযোজ্য বেতন ও ভাতাদি পাইবেন।”
এখন প্রশ্ন হলো জুনিয়র শিক্ষক কারা?

১৯৭৭ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী—
ক) ৩২৫ টাকা স্কেলে যারা মাতৃভাষা শিক্ষক ছিলেন। তারা এইচএসসি ও পিটিআই পাশ। যা ১৬তম গ্রেড।জুনিয়র শিক্ষক।

খ)৩৭০ টাকা স্কেলে যারা সংগীত শিক্ষক ছিলেন।তারা স্নাতক ও পিটিআই পাশ। যা ১৪ তম গ্রেড। জুনিয়র শিক্ষক।
৬২৫ টাকা স্কেলে যারা সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তারা স্নাতক ডিগ্রীসহ বিএড পাশ। যা ১০ তম গ্রেড। যাকে আমরা ফিডার পোষ্ট বা মূল পদ বলি।

অতএব, জেষ্ট্যতার ক্ষেত্রে বিএড এর তারিখ হতে গননা করা হবে, এ ধরনের কোন পরিপত্র কিংবা বিধিমালা না থাকলেও ফিডার পোষ্ট বা মূল পদে যোগদানের সময় অবশ্যই তাকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীসহ বিএড/ ডিপ্লোমা/ বিপিএড ডিগ্রী আবশ্যক।

—————————————————————————————————————–

৪. মোঃ রেজাউল ইসলাম খান স্যার
19 September 2016

rezaul

৯১ এর পূর্বের, ৯১ ব্যাচের ও ৯১ ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালাকে এক বানিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি না করাই শ্রেয়।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে একদিকে মামলাজনিত সমস্যা অন্যদিকে কিছু শিক্ষকের মনগড়া মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।জনাব Abdul Maleque Ratan স্যারের “জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নিকট প্রস্তাবঃ” ও “বয়সভিত্তিক পদোন্নতি শিক্ষকদের জন্য অপমানজনক!” নামের status গুলি আমি পড়েছি।অনেকেই জেনে বা না জেনে নানারুপ মন্তব্য করে চলেছেন। আমার মনে হয়েছে- সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার প্রয়োজন। আমি যেটা বলতে চাইছি সে তথ্যের কিছু ভুলও থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত করে বলতে চাই এর কোন কিছুই আমার মন গড়া নয়। তাই কোন কিছুতে অমিল হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবুও এ পোস্টটা দেওয়ার উদ্দেশ্য সবাইকে কিছুটা হলেও সঠিক বিষয়টি জানানো বা ভ্রান্ত ধারণার থেকে ফিরিয়ে আনা।
যাই হোক আসল কথায় আসি। একে তো ফেসবুকের আবেদন নিয়ে মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কোন মাথাব্যথার কারণ নেই, তারপর সে আবেদনটি মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ে করাটাও আরেকটি বোকামীর পরিচয়। জনাব Abdul Maleque Ratan স্যার আপনাকে বলছি-
(১) নিয়োগবিধি বা পদোন্নতির কোনো বিধিমালা মাউশি, শিক্ষামন্ত্রণালয়,বাশমাসিস বা সকল শিক্ষক সম্মিলিতভাবেও তৈরি করতে পারেনা অথবা পারবেন না ।তবে প্রচলিত কোন বিধিতে ভুল-ত্রুটি বা আপত্তিকর কিছু পরিলক্ষিত হলে, সেক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা যায়।দেশে বর্তমানে প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতির বিধিমালা অনুসারে পদোন্নতি দেওয়ার পর- সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর অনুমোদনের পর P. S. C. অনুমোদন দিবে। অতপর সচিব কমিটির অনুমোদন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। যদি কোন পদোন্নতির সর্বশেষ প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ ও পদোন্নতির বিধিমালা অনুসরণ করে করা না হয় সেক্ষেত্রে আইনগতভাবে তা কখনওই অনুমোদন পাবে না। আর বর্তমানে প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ ও পদোন্নতির বিধিমালা যদি কেও একজন বা কোন একটি গ্রুপের অপছন্দ হয়, তাহলে (আইনের আশ্রয়) কোর্টের রায়ের বিকল্প কোন পথ খোলা থাকে না।
এক্ষণি হয়তো মনে পরবে-তাহলে তো নিয়োগভিত্তিক দাবিতে যে ৭৫ জন ১ম রীট করেছিলেন, তারা তো রায় পেয়েই গেছে-তাই না? তবে এই রায় নিয়ে এত আটখানা হওয়ার কোন কারণ নেই- জেনে রাখুন রীটের বিবাদী একদিনের জন্যও কোর্টে হাজিরা দেন নাই, ফলে সে রায়টি ছিল একতরফা।(মানে কোন মামলার বিবাদী পর পর তিনদিন অনুপস্থিত থাকলে বাদী একতরফাভাবে রায় পান।) আরে ভাই একারণেই তো হাজার অনুরোধ করেও পরের বয়সভিত্তিক আপীলকারি ১১ জনকে থামানো যায় নি। কারণ এই ১১ জন সংখ্যায় কম হলেও তাদের বড় শক্তি হল- তারাই সঠিক ও বর্তমান প্রচলিত আইন অনুসারে আপীল করেছেন। আর সে কারনেই তো তাদেরকে থামানোর এত তোড়জোড়। নইলে পরের আপীলের রায় বের হলে, গোপন বাসনা ভেস্তে যাবে যে!
(২) এবার বলি পরবর্তী আপীলকারী ১১ জনের জেতার সম্ভাবনা কতটুকু? জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ – তে পরিষ্কার উল্লেখ আছে- “জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিষয়ক কোনো অধ্যাদেশ, আদেশ, পরিপত্র ইতিপূর্বে যাহাই জারি হোক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে।” ১ম রীটকারিদের বেলায়, জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ কে উপস্থাপন করা হয় নি। অর্থাৎ সংখ্যায় যতজনই হোক না কেন ১ম রীটকারিরা পুরাতন জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১০ নিয়ে অন্যায় আবদার করেছেন, আর বিবাদী উপস্থিত না থাকায় একতরফা রায় পেয়েছে, যা পরের রায়ে বাতিল হবেই ( ই প্রত্যয় যুক্ত করেই বলছি),যদি প্রচলিত আইন নতুন করে সংশোধন করা না হয়।সেটা জেনেই তো- শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে নতুন করে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও গায়ের জোরে কখনও কখনও কিছু করা যায় হয়তো।
(৩) মাউশি যে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতির তালিকা তৈরি করেছিল, সেটা মটেও কারো মনগড়া ছিল না, সেটা তৈরি করা হয়েছিল নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা ২০১১ এর আলোকে। যা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জারি করেছিল এবং সে আলোকেই জ্যেষ্ঠতা তালিকা করেছে মাউশি।মাউশি এই তালিকাটি তৈরি করেছিল P. S. C. এর আদেশক্রমে। মানে P. S. C. আমাদের পদোন্নতি দিতে প্রস্তুত ছিল-তাহলে কেন তা হলো না? একটাই উত্তর ১ম রীটকারীদের সাধারণ শিক্ষদের প্রতি অতি-ভালবাসার কারণে। কিন্তু দোষী হলেন ওরা ১১ জন। হায়রে পিছনের খেলোয়াড়! কার দোষ কার ঘাড়ে চাপাও তুমি?
(৪) জনাব Abdul Maleque Ratan স্যার আপনাকে আবারও বলছি- অনর্থক সাধারণ শিক্ষকদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না। কারণ আপনি নিজেও জানেন না হয়তো কাদের মেধাক্রম আছে, কাদের নেই। আমার জানাটুকু বলছি- ৯১ ব্যাচের আগের প্রায় সকলেরই পদোন্নতি হয়ে গেছে, তাদের যে কয়জনের পদোন্নতি হয় নি, সেটা ছিল তাদের পদোন্নতির সঠিক যোগ্যতা অর্জনের ঘাটতি।তাদের কেও কেও ৯৩/৯৪ বা আরও পরে বিএড করেছেন, সম্ভবত দু-একজন এখনও করেন নি, আবার এমনও আছে যে তাদের দু-চার জন চাকরির সাধারণ যোগ্যতা স্নাতক পাশ করেছেন ২০০০ সালের পরে।কারণ তাদের অনেকেই আত্নীকৃত শিক্ষক আছেন।তাদের সময় বিএড অর্জনের তারিখকে অগ্রগন্য করা হয়েছে। সে আলোকেই তাদের পদোন্নতি হওয়ার কথা। কিন্তু সামনে চলে এলো ৯১ ব্যাচ, যেহেতু সারাদেশে অনেক পোস্ট খালি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
(৫) সকলেরই জানা আছে, ১৯৯১ সালে ডবল শিফটের সকল স্কুলেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে গেল জানুয়ারী মাসেই, কিন্তু নতুন শিক্ষক দেওয়া সম্ভব হয় নি। ফলে ৯১ ব্যাচের শিক্ষকদের বেলায় লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা ও তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা পাশের সনদের ফলাফল বিবেচনা করে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে স্কুলগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিচালনার প্রয়োজনে তড়িঘড়ি করে ‘মে’ মাস নাগাদ নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই ৯১ ব্যাচটির সেই অর্থে কোন মেধাক্রম নাই। আবার যেহেতু বিএড অজর্নের জন্য নিয়োগের পরবর্তী ৫ বছর নির্ধারণ করা হল এব্ং যোগদানের ব্যাপ্তিকাল বিভিন্ন এলাকার দূরুত্ব বিবেচনায় অনেকটা দীর্ঘ ছিল। ফলে এমন নানাবিধ সমস্যা থাকায় ২০১০ এর বিধিমালা সংশোধন করে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ তৈরি করা হয়। এ বিধিমালা অনুসারে- যেহেতু ৯১ ব্যাচের মেধাক্রম করা হয়নি- তাই বিএড অর্জন ও যোগদানের তারিখ কে গৌণ ধরে জন্মতারিখকে প্রাধান্যতা দেওয়া আছে। তবে দুই বা ততোধিক শিক্ষকের জন্মতারিখ যদি একই হয় তবে তাদের ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ তাতেও না হলে বিএড অর্জনের তারিখকে গণ্য করতে বলা হয়েছে।
(৬) এর মানে এই নয় যে, পরে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৯১ এর পরবর্তী অন্যান্য ব্যাচগুলোর কোন মেধাক্রম নাই।খুব সাধারণ কথা লিখিত পরীক্ষার ফলাফল মানেই মেধাক্রম তৈরি হওয়া। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমগ্র দেশের সকল অঞ্চলের সমতা রক্ষার্থে জেলা কোটা অনুসরণ করা হয়। তাই বলে কখনই কোন নিয়োগের পরীক্ষার মেধাক্রম তাদের নিয়োগপত্রে বা ফলাও করে আলাদাভাবে প্রচার করা হয় না।
আর দেশে সর্বশেষ প্রচলিত “জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমাল” অনুসারে কোন পদোন্নতি অপমানজনক হতে পারে না।তাই ৯১ এর পূর্বের, ৯১ ব্যাচের ও ৯১ ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালাকে এক বানিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি না করাই শ্রেয়।

—————————————————————————————————————–

 

৫. জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা- ২০১১ দেখতে ক্লিক করুন এখানে

 

 

এবার আপনি নিজেই বুঝে নিন আপনার মতো করে।
ধন্যবাদ।


________________________________________


আপনার ব্লগ দেখতে ক্লিক করুন এখানে

আপনার বয়স সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পেতে ক্লিক করে সহযোগিতা নিন এখান থেকে


====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১