বি. এড. -এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- “কোথায় লেখা আছে” ? আবার “কোথায় লেখা নেই” ?
জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি নিয়ে বিশ্লেষণ ও আলোচনা- সমালোচনা।
==============================================================
১. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন স্যার
24 August 2016
“বি. এড. এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা- কোথায় লেখা আছে ?”
________________________________
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে একদিকে হাই কোর্টে মামলার সমস্যা অন্যদিকে কিছু শিক্ষকের মনগড়া মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হোসেন দেলোয়ার স্যারের একটি status আমি পড়েছি। দয়া করে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিবেনঃ
১/ এখন পর্যন্ত পদোন্নতির যে বিধিমালা আছে তাতে লেখা আছে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেতে হলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা এবং বি. এড. থাকতে হবে। এখানে বি. এড. -এর তারিখের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। পূর্বে বি. এড. -এর তারিখ ধরে পদোন্নতি হলেও বিষয়টি নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। এখন যেহেতু চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তখন নীতিমালার বাহিরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
২/ নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা ২০১১ যাহা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জারি করেছে এবং যার আলোকে জ্যেষ্ঠতা তালিকা করেছে মাউশি। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের তারিখ হতে গণ্য করা হবে এবং যোগদানের তারিখ একই হলে সেক্ষেত্রে জন্মতারিখ বিবেচনা করা হবে।
৩/ খসড়া জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ৫৭নং- কোচতুরি দত্ত মজুমদার হাই কোর্টে মামলা করে ইতোমধ্যেই যোগদান -এর তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা গণনা করে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কয়েক মাস পূর্বে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান স্কুল এ্যান্ড কলেজ -এ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
৪/ ২০০৬ সালে মাউশির তৎকালীন উপপরিচালক জনাব রেজাউল করিম স্যারের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা বি. এড. -এর তারিখ হতে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা গণনা করার জন্য বিভিন্ন স্কুলে একটি চিঠি পাঠান। বিষয়টি রেজাউল করিম স্যারের নজরে আসলে তিনি চিঠিটি ভূয়া বলে দাবি করেন। উক্ত চিঠির তারিখ এবং স্মারক নং মাউশির কোনো ফাইল নোটে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমি নিজ দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ করছি।
৫/ নিয়োগবিধি বা পদোন্নতির কোনো বিধিমালা মাউশি তৈরি করতে পারেনা। যেমনঃ বর্তমানে আমাদের নিয়োগ বিধিমালা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় -এর অনুমোদনের পর P. S. C. অনুমোদন দিবে। তারপর সচিব কমিটির অনুমোদন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সুতরাং রেজাউল করিম স্যারের ওই চিঠি যে ভুয়া এটাই তার প্রমাণ।
৬/ জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ -এ আরো উল্লেখ আছে- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিষয়ক কোনো অধ্যাদেশ, আদেশ, পরিপত্র ইতিপূর্বে যাহাই জারি হোক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
৭/ আমার শেষ প্রশ্ন- মনে করেন একজন সহকারী শিক্ষক ১৯৯১ সালে যোগদান করে ১৯৯৬ সালে বি. এড. করলেন। অন্য একজন শিক্ষক বি. এড. সহ ১৯৯২ সালে যোগদান করলেন। শিক্ষকদের তথ্য দেয়ার সময় ১৯৯১ সালের শিক্ষক বি. এড. -এর সন উল্লেখ করবেন ১৯৯৬। আর ১৯৯২ সালের শিক্ষক বি. এড. -এর সন উল্লেখ করবেন ১৯৯১। জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে বি. এড. -এর তারিখ গণ্য করা হলে এক্ষেত্রে কার প্রমোশন আগে হবে ? জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে বি. এড. -এর তারিখ হতে গণনা করা হবে- এ ধরণের কোনো পরিপত্র কিংবা বিধিমালা কেউ যদি দেখাতে পারেন, তবে আমি ঐদিনই চাকুরী ছেড়ে দেব। আর যদি দেখাতে না পারেন, তবে দয়া করে নিজের ইচ্ছেমত রচনা লিখবেন না।
বিষয়টি আমি চ্যালেঞ্জ করলাম।
১৯৮৬ সালে এনাম কমিটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের পদকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
—————————————————————————————————————–
২. অালমগীর কবির স্যার
19 September 2016
আবার কোথায় লেখা নেই ?
________________________________
১৩/০৮/১৯৮৫ সালের “এনাম কমিটি” সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, পদ বিভাজন অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পদ সৃষ্টি করেন।
সহকারী শিক্ষক হিসাবে ঘোষনা করলেও জুনিয়র শিক্ষকদের জন্য নিম্নোক্ত আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে।স্বারক নং- শা৫/ওপি-২/৮৪/৪৪- শিক্ষ তাং ১২/০১/১৯৮৬ইং।
সেখানে বলা হয়েছে ” মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তরাধীন সরকারী হাই স্কুলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাতক ডিগ্রীধারী জুনিয়র শিক্ষক/ শিক্ষিকাগনকে বি,এড,পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার তারিখ হইতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে প্রযোজ্য বেতন ও ভাতাদি পাইবেন।”
এখন প্রশ্ন হলো জুনিয়র শিক্ষক কারা?
১৯৭৭ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী—
ক) ৩২৫ টাকা স্কেলে যারা মাতৃভাষা শিক্ষক ছিলেন। তারা এইচএসসি ও পিটিআই পাশ। যা ১৬তম গ্রেড।জুনিয়র শিক্ষক।
খ)৩৭০ টাকা স্কেলে যারা সংগীত শিক্ষক ছিলেন।তারা স্নাতক ও পিটিআই পাশ। যা ১৪ তম গ্রেড। জুনিয়র শিক্ষক।
৬২৫ টাকা স্কেলে যারা সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তারা স্নাতক ডিগ্রীসহ বিএড পাশ। যা ১০ তম গ্রেড। যাকে আমরা ফিডার পোষ্ট বা মূল পদ বলি।
অতএব, জেষ্ট্যতার ক্ষেত্রে বিএড এর তারিখ হতে গননা করা হবে, এ ধরনের কোন পরিপত্র কিংবা বিধিমালা না থাকলেও ফিডার পোষ্ট বা মূল পদে যোগদানের সময় অবশ্যই তাকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীসহ বিএড/ ডিপ্লোমা/ বিপিএড ডিগ্রী আবশ্যক।
—————————————————————————————————————–
৪. মোঃ রেজাউল ইসলাম খান স্যার
19 September 2016
৯১ এর পূর্বের, ৯১ ব্যাচের ও ৯১ ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালাকে এক বানিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি না করাই শ্রেয়।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে একদিকে মামলাজনিত সমস্যা অন্যদিকে কিছু শিক্ষকের মনগড়া মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।জনাব Abdul Maleque Ratan স্যারের “জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নিকট প্রস্তাবঃ” ও “বয়সভিত্তিক পদোন্নতি শিক্ষকদের জন্য অপমানজনক!” নামের status গুলি আমি পড়েছি।অনেকেই জেনে বা না জেনে নানারুপ মন্তব্য করে চলেছেন। আমার মনে হয়েছে- সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার প্রয়োজন। আমি যেটা বলতে চাইছি সে তথ্যের কিছু ভুলও থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত করে বলতে চাই এর কোন কিছুই আমার মন গড়া নয়। তাই কোন কিছুতে অমিল হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবুও এ পোস্টটা দেওয়ার উদ্দেশ্য সবাইকে কিছুটা হলেও সঠিক বিষয়টি জানানো বা ভ্রান্ত ধারণার থেকে ফিরিয়ে আনা।
যাই হোক আসল কথায় আসি। একে তো ফেসবুকের আবেদন নিয়ে মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কোন মাথাব্যথার কারণ নেই, তারপর সে আবেদনটি মাউশি/শিক্ষামন্ত্রণালয়ে করাটাও আরেকটি বোকামীর পরিচয়। জনাব Abdul Maleque Ratan স্যার আপনাকে বলছি-
(১) নিয়োগবিধি বা পদোন্নতির কোনো বিধিমালা মাউশি, শিক্ষামন্ত্রণালয়,বাশমাসিস বা সকল শিক্ষক সম্মিলিতভাবেও তৈরি করতে পারেনা অথবা পারবেন না ।তবে প্রচলিত কোন বিধিতে ভুল-ত্রুটি বা আপত্তিকর কিছু পরিলক্ষিত হলে, সেক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা যায়।দেশে বর্তমানে প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতির বিধিমালা অনুসারে পদোন্নতি দেওয়ার পর- সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর অনুমোদনের পর P. S. C. অনুমোদন দিবে। অতপর সচিব কমিটির অনুমোদন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। যদি কোন পদোন্নতির সর্বশেষ প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ ও পদোন্নতির বিধিমালা অনুসরণ করে করা না হয় সেক্ষেত্রে আইনগতভাবে তা কখনওই অনুমোদন পাবে না। আর বর্তমানে প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ ও পদোন্নতির বিধিমালা যদি কেও একজন বা কোন একটি গ্রুপের অপছন্দ হয়, তাহলে (আইনের আশ্রয়) কোর্টের রায়ের বিকল্প কোন পথ খোলা থাকে না।
এক্ষণি হয়তো মনে পরবে-তাহলে তো নিয়োগভিত্তিক দাবিতে যে ৭৫ জন ১ম রীট করেছিলেন, তারা তো রায় পেয়েই গেছে-তাই না? তবে এই রায় নিয়ে এত আটখানা হওয়ার কোন কারণ নেই- জেনে রাখুন রীটের বিবাদী একদিনের জন্যও কোর্টে হাজিরা দেন নাই, ফলে সে রায়টি ছিল একতরফা।(মানে কোন মামলার বিবাদী পর পর তিনদিন অনুপস্থিত থাকলে বাদী একতরফাভাবে রায় পান।) আরে ভাই একারণেই তো হাজার অনুরোধ করেও পরের বয়সভিত্তিক আপীলকারি ১১ জনকে থামানো যায় নি। কারণ এই ১১ জন সংখ্যায় কম হলেও তাদের বড় শক্তি হল- তারাই সঠিক ও বর্তমান প্রচলিত আইন অনুসারে আপীল করেছেন। আর সে কারনেই তো তাদেরকে থামানোর এত তোড়জোড়। নইলে পরের আপীলের রায় বের হলে, গোপন বাসনা ভেস্তে যাবে যে!
(২) এবার বলি পরবর্তী আপীলকারী ১১ জনের জেতার সম্ভাবনা কতটুকু? জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ – তে পরিষ্কার উল্লেখ আছে- “জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিষয়ক কোনো অধ্যাদেশ, আদেশ, পরিপত্র ইতিপূর্বে যাহাই জারি হোক না কেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে।” ১ম রীটকারিদের বেলায়, জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ কে উপস্থাপন করা হয় নি। অর্থাৎ সংখ্যায় যতজনই হোক না কেন ১ম রীটকারিরা পুরাতন জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১০ নিয়ে অন্যায় আবদার করেছেন, আর বিবাদী উপস্থিত না থাকায় একতরফা রায় পেয়েছে, যা পরের রায়ে বাতিল হবেই ( ই প্রত্যয় যুক্ত করেই বলছি),যদি প্রচলিত আইন নতুন করে সংশোধন করা না হয়।সেটা জেনেই তো- শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে নতুন করে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও গায়ের জোরে কখনও কখনও কিছু করা যায় হয়তো।
(৩) মাউশি যে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতির তালিকা তৈরি করেছিল, সেটা মটেও কারো মনগড়া ছিল না, সেটা তৈরি করা হয়েছিল নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা ২০১১ এর আলোকে। যা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জারি করেছিল এবং সে আলোকেই জ্যেষ্ঠতা তালিকা করেছে মাউশি।মাউশি এই তালিকাটি তৈরি করেছিল P. S. C. এর আদেশক্রমে। মানে P. S. C. আমাদের পদোন্নতি দিতে প্রস্তুত ছিল-তাহলে কেন তা হলো না? একটাই উত্তর ১ম রীটকারীদের সাধারণ শিক্ষদের প্রতি অতি-ভালবাসার কারণে। কিন্তু দোষী হলেন ওরা ১১ জন। হায়রে পিছনের খেলোয়াড়! কার দোষ কার ঘাড়ে চাপাও তুমি?
(৪) জনাব Abdul Maleque Ratan স্যার আপনাকে আবারও বলছি- অনর্থক সাধারণ শিক্ষকদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না। কারণ আপনি নিজেও জানেন না হয়তো কাদের মেধাক্রম আছে, কাদের নেই। আমার জানাটুকু বলছি- ৯১ ব্যাচের আগের প্রায় সকলেরই পদোন্নতি হয়ে গেছে, তাদের যে কয়জনের পদোন্নতি হয় নি, সেটা ছিল তাদের পদোন্নতির সঠিক যোগ্যতা অর্জনের ঘাটতি।তাদের কেও কেও ৯৩/৯৪ বা আরও পরে বিএড করেছেন, সম্ভবত দু-একজন এখনও করেন নি, আবার এমনও আছে যে তাদের দু-চার জন চাকরির সাধারণ যোগ্যতা স্নাতক পাশ করেছেন ২০০০ সালের পরে।কারণ তাদের অনেকেই আত্নীকৃত শিক্ষক আছেন।তাদের সময় বিএড অর্জনের তারিখকে অগ্রগন্য করা হয়েছে। সে আলোকেই তাদের পদোন্নতি হওয়ার কথা। কিন্তু সামনে চলে এলো ৯১ ব্যাচ, যেহেতু সারাদেশে অনেক পোস্ট খালি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
(৫) সকলেরই জানা আছে, ১৯৯১ সালে ডবল শিফটের সকল স্কুলেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে গেল জানুয়ারী মাসেই, কিন্তু নতুন শিক্ষক দেওয়া সম্ভব হয় নি। ফলে ৯১ ব্যাচের শিক্ষকদের বেলায় লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা ও তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা পাশের সনদের ফলাফল বিবেচনা করে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে স্কুলগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিচালনার প্রয়োজনে তড়িঘড়ি করে ‘মে’ মাস নাগাদ নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই ৯১ ব্যাচটির সেই অর্থে কোন মেধাক্রম নাই। আবার যেহেতু বিএড অজর্নের জন্য নিয়োগের পরবর্তী ৫ বছর নির্ধারণ করা হল এব্ং যোগদানের ব্যাপ্তিকাল বিভিন্ন এলাকার দূরুত্ব বিবেচনায় অনেকটা দীর্ঘ ছিল। ফলে এমন নানাবিধ সমস্যা থাকায় ২০১০ এর বিধিমালা সংশোধন করে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ তৈরি করা হয়। এ বিধিমালা অনুসারে- যেহেতু ৯১ ব্যাচের মেধাক্রম করা হয়নি- তাই বিএড অর্জন ও যোগদানের তারিখ কে গৌণ ধরে জন্মতারিখকে প্রাধান্যতা দেওয়া আছে। তবে দুই বা ততোধিক শিক্ষকের জন্মতারিখ যদি একই হয় তবে তাদের ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ তাতেও না হলে বিএড অর্জনের তারিখকে গণ্য করতে বলা হয়েছে।
(৬) এর মানে এই নয় যে, পরে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৯১ এর পরবর্তী অন্যান্য ব্যাচগুলোর কোন মেধাক্রম নাই।খুব সাধারণ কথা লিখিত পরীক্ষার ফলাফল মানেই মেধাক্রম তৈরি হওয়া। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমগ্র দেশের সকল অঞ্চলের সমতা রক্ষার্থে জেলা কোটা অনুসরণ করা হয়। তাই বলে কখনই কোন নিয়োগের পরীক্ষার মেধাক্রম তাদের নিয়োগপত্রে বা ফলাও করে আলাদাভাবে প্রচার করা হয় না।
আর দেশে সর্বশেষ প্রচলিত “জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমাল” অনুসারে কোন পদোন্নতি অপমানজনক হতে পারে না।তাই ৯১ এর পূর্বের, ৯১ ব্যাচের ও ৯১ ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য- জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালাকে এক বানিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি না করাই শ্রেয়।
—————————————————————————————————————–
৫. জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা- ২০১১ দেখতে ক্লিক করুন এখানে
এবার আপনি নিজেই বুঝে নিন আপনার মতো করে।
ধন্যবাদ।
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
ডোমেইন, হোস্টিং সহ ইন্টারনেট জগতের যাবতীয় বিল নিজে নিজে পরিশোধের জন্য
২৫ ডলার একদম ফ্রি সহ নিয়ে নিন Payoneer -এর ইন্টারন্যশনাল মাস্টারকার্ড।
কীভাবে পাবেন Payoneer -এর ইন্টারন্যশনাল মাস্টারকার্ড ?
দেখতে ক্লিক করুন এই লেখা কিংবা ছবির উপর।
________________________________________
শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________
আপনার ব্লগ দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আপনার বয়স সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পেতে ক্লিক করে সহযোগিতা নিন এখান থেকে
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
Leave A Comment