* হায়রে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধানের চলতি দায়িত্ব (চ.দা.)!
* কতই না সুখের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধানের চলতি দায়িত্ব (চ.দা.)! * আমি কেন পাইলাম না এমন চলতি দায়িত্ব (চ.দা.)!

ওহে পাঠক! বুঝলেন না কেন এই আহাজারি? তাহলে বলি- আমিও পদোন্নতিযোগ্য তালিকাভূক্ত একজন অধম। কিন্তু ভাগ্যের শিকা ছেঁড়েনি-তাই অমন সুখের চদাও কপালে জটেনি। আর যাদের কপালে জুটেছে তাদের কারও কারও সুখ দেখে আহাজারি না করে উপায় কী বলেন?

২০১৬ সালকে বিদায় দিয়ে বরণ করে নিয়েছি নতুন বছর ২০১৭ সালকে। সকালে ঘুম থেকে বেশ উৎসাহ আর নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে উঠলাম। যথারীতি সব কাজ সেরে চললাম স্কুলের পথে।পথে ভাবছি কত কাজ আজ স্কুলে, নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি, বই উৎসব, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাই বেশ মানসিক বল নিয়ে ঢুকলাম স্কুলে। কিন্তু বিধি বাম! ঢুকেই নতুন বছরের নতুন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে যেয়েই মেজাজটা গেল বিগড়ে। আরে এ কি কান্ড- দুদিন আগেও আমাদের সহকারি শিক্ষকদের নামের তালিকা যেমনটি ছিল, আজ তার থেকে দুটো নাম হারিয়ে গেছে।গেল কোথায় নাম দুটো? হাওয়া হয়ে গেল? না কী তারা মরে গেছে? পরে জানলাম আসলেও তারা মরে গেছে। মানে তারা মরেনি-মরেছে তার শিক্ষকতার মানসিকতা।

বিষয়টি খুলেই বলি- আমারা স্কুলের যে কজন সিনিয়র শিক্ষক/শিক্ষিকা পদোন্নতির তালিকায় ছিলাম তাদের দুজনকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে আমাদের বস মানে সহকারি প্রধান শিক্ষক বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর আমরা হয়েছি তাদের হুকুমের দাস। উনারা এখন ব্রাক্ষণ শ্রেণি আর বাকিরা নমশূদ্র শ্রেণির। যেহেতু উনারা বস হয়েছেন তাই সাধারণ শিক্ষকদের মত রোজ হাজিরায় স্বাক্ষর করবেন কেন? তাই উনারা নিজেদের নাম বাদ রেখেছেন।

এবার আপনারাই ভাবুন-কী অসম্ভব অপদার্থ আর অযোগ্য বস হয়েছেন শুধুমাত্র তালিকায় নামটি আগে থাকার সুবাদে। এই অপদার্থগুলো নিজেই জানে না যে, সে কে? বা তার আসল পরিচয় কী? তবে তাদের বিষয়টি হয়েছে এমন যে- “ছেলে হওয়ার খোঁজ নাই, হাজামের সাথে দোস্তি”। . . . নয়তো কী?

* এই অপদার্থগুলি কী জানে চলতি দায়িত্ব কাকে বলে? * ওরে আহাম্মক তোমরা যে আইনে স্বাক্ষর করছো না, আমরা কয়েকজনও যে সে আইনের মধ্যেই পড়ি।

* ছাগল দিয়ে যে হালচাষ হয় না, তা তোমরাই বোঝালে আরেকবার।তুমি কী ভুলে গেলে তোমার চ.দা.টা স্ববেতনে। তুমি কী জানো না আমাদের বেতন গ্রেড এক।তাহলে তুমি কেন নিজেকে ব্রাক্ষণ আর আমাকে নমশূদ্র ভাবছো কয়েক দিনের ব্যবধানেই?

* তুমি কী ভুলে গেছ? যে কোন সময় নিয়মতান্ত্রিক পদোন্নতি হলেই, তুমি আবারও ব্যাক টু দ্যা প্যাভেলিয়ন হতে পারো অথবা থাকতেও পারো। যদি এই আদেশ বাতিল হয়- তখন লজ্জা করবে না আবার হাজিরা খাতায় নাম লেখাতে, স্বাক্ষর করতে? না কি লজ্জাবোধের নূন্যতম সীমা পেরিয়ে গেছ তোমরা?

* ওরে নাচুনী বুড়ি! তুমিতো ছিলে ঝাঁকের কৈ, তা ঝাঁক ছেড়ে গেলা কই? তুমি তো আমার শত্রু নও। তাহলে কেন এমন কিছু করছো-যাতে তোমার আমার সম্পর্ক্য নষ্ট হয়?

* শোন হে অহংকারী! তুমি যা জানো না, আমি তা জানি! তুমি আমার থেকে শিখে নাও আজ- ২য় শ্রেণির সরিকারি কর্মকর্তা হলেই আর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার প্রয়োজন নাই, সেখানে তুমি-আমি সবাই গ্রেড পরিচয়ে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা।

* যদি বলো স্কুলের জন্য আলাদা নিয়ম-তাহলে তা প্রমাণ করো, নয়তো মাথা নিচু করে মেনে নাও, আমার যুক্তি।

প্রিয় পাঠক ও সহকর্মিগণ আমি ক্ষমাপ্রার্থি এইজন্য যে, যারা চলতি দায়িত্ব পেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও তারই সমকক্ষ আরেকজনকে হেনস্থা করার মানসিকতা পোষন করেন আমার এ পোস্টটি শুধুই তাদের জন্য। যাঁরা অন্যকে সম্মান করতে জানেন, সেইসব সম্মানিত সহকারি প্রধানদের জন্য নয়।


header-2আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইটটি পূর্ণাঙ্গরূপে তৈরি করতে
যোগাযোগ করতে পারেন উপরের ঠিকানায ক্লিক করে।


________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
________________________________________