যারা Networking নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান বা
Networking শেখার জন্য অতিরিক্ত আগ্রহী তারা
সম্পূর্ণ বাংলায় লেখা এই কোর্সটিতে চোখ রাখুন।

ক্যারিয়ারের ক্ষেত্র

কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে আইএসপি অর্থাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলোতে। এছাড়া মোবাইল কোম্পানি, ব্যাংক, এয়ারলাইন, ট্রাভেল এজেন্সি, শেয়ার মার্কেট, মাল্টিন্যাশনাল ও ন্যাশনাল কোম্পানি, বায়িং হাউজে অর্থাৎ যেখানে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় সেখানেই রয়েছে চাকরির সুযোগ। দিনে দিনে এই চাকরির বাজারটি  আরো বিস্তৃত হচ্ছে।
 
তো চলুন, আজকে প্রথম পর্বে প্রবেশ করা যাক।

তার আগে চলুন জেনে নে’য়া যাক আমাদের আজকের বিষয়গুলি-

  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্কের শ্রেণিবিভাগ
  • তথ্যাবলী আদান প্রদানের মাধ্যমগুলি
  • ব্যাণ্ডউইডথ
  • নেটওয়ার্ক টপোলজী
  • নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট কিছু যন্ত্রপাতি
  • প্রটোকল
  • আইপি এড্রেস
  • ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা
  • মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক
  • সেলফোন নেটওয়ার্কের স্থাপত্যকর্ম (Architecture Of Cell Phone Network)
  • মোবাইল ফোন ব্যবস্থাপনার জেনারেশনগুলো
 
নেটওয়ার্ক কী ?
একাধিক কম্পিউটার যখন একসাথে  যুক্ত হয়ে তথ্য আদান প্রদান করে তখন থাকে নেটওর্য়াক বলে। অর্থাৎ যখন কোন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার পরস্পপ সংযুক্ত হয়েতথ্যের আদান প্রদান বা রিসোর্স শেয়ার করে তখন তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক স্থাপন করার জন্য ন্যূন্যতম দু’টি কম্পিউটার প্রয়োজন।
চিত্রঃ
নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ
নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো এবং সার্ভিস প্রদানের উপর ভিত্তি করে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমনঃ
ক) পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক
খ) ক্লায়েণ্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক
গ) হাইব্রীড নেটওয়ার্ক
ক) পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কঃ
 পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কে প্রতিটি পিসি বা ওয়ার্কস্টেশন রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে। ভিন্ন ভিন্ন পিসি’র ডাটার নিরাপত্তা বিধান করবে সেই পিসি নিজে। এই ধরণের নেটওয়ার্কে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকেনা। প্রতিটি পিসি’র ব্যবহারকারী নিজেই ঠিক করে নেবে তার কোন কোন রিসোর্স সে নেটওয়ার্কে শেয়ার করতে দিবে। পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কের সবগুলো পিসি’র গুরুত্ব সমাম। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন ব্যবস্থা নেই।
চিত্রঃ
খ) ক্লায়েণ্ট সার্ভার নেটওয়ার্কঃ
 কেন্দ্রীয় ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন পরিচালনা করা এবং নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য একটি উপযুক্ত নেটওয়ার্ক হচ্ছে ক্লায়েণ্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক। এধরণের নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারে রিসোর্স থাকে, আর নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার সেসব রিসোর্স ব্যবহার করে। যে কম্পিউটারটি রিসোর্স শেয়ার করে সেটি হচ্ছে সার্ভার, যেসব কম্পিউটার সেই রিসোর্সগুলো ব্যবহার করে তারা হচ্ছে ক্লায়েণ্ট।
নেটওয়ার্কের সমস্ত রিসোর্স সার্ভারে জমা থাকায় কেন্দ্র থেকে রিসোর্স ম্যানেজ করা যায়। সব ব্যবহারকারী একই সার্ভারে লগইন করে এবং সার্ভারের সিকিউরিটি পলিসি মেনে চলে বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ক্লায়েণ্ট সার্ভার নেটওয়ার্ককে সার্ভার বেজড নেটওয়ার্কও বলা হয়।
চিত্রঃ
গ) হাইব্রীড নেটওয়ার্ক 
পেয়ার টু পেয়ার এবং ক্লায়েণ্ট সার্ভার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তা-ই হাইব্রীড বা মিশ্র নেটওয়ার্ক।
চিত্রঃ
আকার ও বিস্তৃতির উপর নির্ভর করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বর্তমানে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ
  • PAN (Personal Area Network)
  • LAN (Local Area Network)
  • MAN (Metropolitan Area Network)
  • WAN (Wide Area Network)
Personal Area Network (PAN) :
 কোন ব্যক্তির নিকটবর্তী বিভিন্ন ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে Personal Area Network (PAN) বলে। PAN এর ব্যপ্তি বা পরিসীমা সাধারণতঃ 10 মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। Laptop, PDA, Portable Printer, Mobile Phone ইত্যাদি PAN -এ ব্যবহৃত ডিভাইসের উদাহরণ। বাড়ী, অফিস, গাড়ী কিংবা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত যেকোন স্থানে PAN তৈরি করা যেতে পারে।
চিত্রঃ
Local Area Network (LAN) :
একাধিক ব্যক্তির কাজের সমন্বয় সাধন ও গতি বৃদ্ধির জন্য একই ভবণের বা একই কক্ষের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্রকে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকার বেশ কিছু কম্পিউটারগুলোর মধ্যে যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয় তাকেই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN বলে।
LAN -এর মূল উদ্দেশ্য ডিভাইসগুলোর মধ্যে তথ্য ও রিসোর্স শেয়ার করা। ছোট- মাঝারী অফিসে LAN তৈরি করে প্রিণ্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি ডিভাইসের জন্য সময়, অর্থ, ও গতি সাশ্রয় করা যেতে পারে। LAN -এর ট্রান্সমিটিং মিডিয়া হিসেবে সাধারণতঃ UTP ক্যাবল ব্যবহার করা হয়, তবে High Speed Data Transmission -এর জন্য ফাইবার অপটিকস ক্যাবল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার গতি ১০ Mbps পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই নেটওয়ার্ক এ ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো হলো রিপিটার, হাব, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস ইত্যাদি।
Metropolitan Area Network (MAN) :
কোন বিভাগীয় শহর, মেট্রোপলিটন শহর বা একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি Local Area Network বা LAN -এর সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় Metropolitan Area Network বা MAN । এধরণের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেশ উচ্চ গতি সম্পন্ন বিভিন্ন নেটওয়ার্ক তাদের তথ্য শেয়ার করতে পারে। এ ধরণের  নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল বা ১০০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। MAN -এর তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ক্যাবল এর পাশাপাশি মাইক্রোওয়েভ মিডিয়াও ব্যবহার হতে পারে। এই নেটওয়ার্কর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড গিগাবিট পার সেকেন্ড। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।
চিত্রঃ
Wide Area Network (WAN) :
দূরবর্তী LANবা MAN সমূহকে নিয়ে বা বিস্তৃত ভৌগলিক এলাকায় অবস্থিত LAN বা MAN সমূহকে নিয়ে গড়ে উঠা বিশাল নেটওয়ার্ককে Wide Area Network বা WANবলে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫৬ Kbps থেকে ১.৫৪৪ MBps। ওয়্যানের গতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। WAN -এর ট্রান্সমিটিং মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার হতে পারে Microwave, Satellite বা Optical Fiver Cable. এ ধরণের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো হলো রাউটার, মডেম, ওয়্যান সুইচ ইত্যাদি।
চিত্রঃ
তথ্যাবলী আদান প্রদানের মাধ্যমগুলি (Medium lf Data Communication):
 Data Communication বা ট্রান্সমিশন অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা পরিবহণের জন্য কোন না কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। কোন নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ নেটওয়ার্ক মাধ্যম বা মিডিয়ার সাহায্যে যুক্ত থাকে। এই নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্য দিয়েই ডেটা প্রবাহিত হয়।
Data Communication বা নেটওয়ার্ক মিডিয়াকে প্রধানতঃ 2 ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ
1. Cable Media
2. Wireless
নেটওয়ার্ক ক্যাবল বা ক্যাবল মিডিয়াঃ
ক্যাবল বা তার বলতে আমরা এমন একটি বস্তুকে বুঝি যা দুইটি প্রান্তকে সংযুক্ত করে। এটি একটি কঠিণ বস্তু যার মধ্য দিয়ে ডেটা সিগন্যালগুলো উৎস থেকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়, অর্থাৎ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের ডাটা পাঠানোর জন্য যে ক্যাবলগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোকেই নেটওয়ার্ক ক্যাবল বলে ।
নেটওয়ার্কিং করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে 3 ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ
  • ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Twisted Pair Cable)
  • কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (Co-Axial Cable)
  • ফাইবার অপটিক ক্যাবল (Optical Fiber Cable)

ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল

ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে একসাথে কয়েক জোড়া ব্যাবল পাকানো অবস্থায় থাকে যার মধ্যদিয়ে ডেটা সিগন্যাল প্রবাহিত হয়। ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দুই ধরণের হয়ে থাকে।
  • শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Shielded Twisted Pair (STP) Cable)
  • আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Unshielded Twisted Pair (UTP) Cable)

 

শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Shielded Twisted Pair (STP) Cable)

শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের প্রতি এক জোড়া তার প্যাঁচানো অবস্থায় থাকে অন্য একটি শক্ত শিল্ড বা আবরণের ভেতর। ফলে এই তার অনেক সুরক্ষিত থাকে। শিল্ড সাধারণতঃ এ্যালুমিনিয়াম বা পলিয়েস্টারের হয়ে থাকে। শিল্ডের প্রতিটি জোড়া তার আবার প্লাস্টিক জ্যাকেটের মাঝে সুরক্ষিত থাকে।

শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে প্রতিটি ট্যুইস্ট বা জোড়া একটি করে  শক্ত আচ্ছাদনের ভেতর থাকে বলে ইলেকট্রিক ইন্টারফারেন্স অনেক কম থাকে। এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫০০ Mbps হয়ে থাকে। কোথাও বলা হয়েছে STP ক্যাবলের ব্যাণ্ডউইডথ সাধারণতঃ 16 Mbps.

চিত্রঃ 

 

আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Unshielded Twisted Pair (UTP) Cable):

বর্তমান নেটওয়ার্ক বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ক্যাবল হচ্ছে আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল Unshielded Twisted Pair (UTP) Cable. UTP মূলতঃ চার জোড়া তামার তার মোড়ানো এবং এর উপর প্লাস্টিক আবরণে মোড়ানো থাকে।

মূলতঃ আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে পেয়ারের বাইরে অতিরিক্ত কোন শিল্ডিং থাকে না কেবল বাহিরে একটি প্লাষ্টিকের জেকেট থাকে। বিভিন্ন স্ট্যাণ্ডার্ডের UTP ক্যাবল রয়েছে। যেমনঃ CAT- 5, CAT- 6, CAT- 7. UTP ক্যাবলের ব্যাণ্ডউইডথ সাধারণতঃ 10 Mbps. কোথাও বলা হয়েছে এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সফার রেট ১৬ Mbps.

চিত্রঃ

 

কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (Co-Axial Cable)

কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করে তামার সলিড একটি তার। এ তারটিকে ঘিরে জড়ানো থাকে প্লাস্টিকের ফোমের ইনস্যুলেশন। এই ইনস্যুলেশনের উপর আবার আরেকটি পরিবাহী তার প্যাঁচানো থাকে বা তারের এক ধরণের জালী দ্বার আবরণ দে’য়া থাকে। এই তার বা জালী ভেতরের Electrical Interference থেকে ভেতরের সলিড কপারকে প্রতিরক্ষা দেয় যাতে ডেটা বা সিগন্যাল সাবলীলভাবে চলাচল করতে পারে। বাইরের পরিবাহককে প্লাস্টিক জ্যাকেট দ্বারা ঢেকে রাখা হয়। কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলনামূলক বেশি হয়। তবে এই ডেটা ট্রান্সফার রেট তারের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে সাধারণতঃ 1 কিঃ মিঃ দূরত্ব পর্যন্ত ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট 200 Mbps পর্যন্ত হতে পারে এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম লস অপেক্ষাকৃত অনেক কম।

কোন কোন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।

যেমনঃ
৫০ ওহম (আরজি- ৮, আরজি- ১১ আরজি- ৫৮),
৭৫ ওহম (আরজি-৫৯) এবং
৯৩ ওহম(আরজি- ৬২)।

এ ক্যাবলের দাম অনেক কম। তামার তৈরি বলে ইএমআই সমস্যা রয়েছে।

 

ফাইবার অপটিক ক্যাবল
এই ক্যাবলে তামার তারের চেয়ে কাঁচকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স নেই। এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীড অনেক বেশী; কারণ, এই ক্যাবলে ডেটাসমূহ ইলেক্ট্রিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল হিসেবে চলাচল করে। এটির মাধ্যমে ডেটাসমূহ আলোকের পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলণ পদ্ধতিতে উৎস থেকে গন্তব্যে গমনাগমন করে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বা ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সিলিণ্ডার আকৃতির। এটি তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। যেমনঃ কোর, ক্ল্যাডিং ও জ্যাকেট। বর্তমানে ব্যবহৃত ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যাণ্ডউইডথ 100 Mbps থেকে 2 Gbps পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ফাইবার অপটিক ক্যাবল দুই ধরণের হয়ে থাকে। সিঙ্গল মোড ফাইবার এন্ড মাল্টিমোড ফাইবার। এটির প্রধান অসুবিধা হলো দাম তুলনামূলক অনেক বেশী এবং ইনস্টল করা কিছুটা কঠিন।
Wireless Media (ওয়্যারলেস মিডিয়া)
এই ধরণের মাধ্যম হলো বায়ুমণ্ডল, পানি এবং মহাশূণ্যে বায়ুমণ্ডলের উপরে আরোও অন্যান্য স্তর। এই মাধ্যাম ভৌত কোন মাধ্যম ছাড়াই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সংকেত প্রেরণ করে। এ মাধ্যমে ডেটা ইলেক্ট্রাম্যাগনেটিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে এ্যাণ্টেনা থেকে বিকিরণ হয়। দূরবর্তী এবং দূর্গম স্থানসমূহের মধ্যে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস মিডিয়া ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে এখন বেশিরভাগ কমিউনিকেশন ডিভাইস বহণযোগ্য। যেমনঃ মোবাইলফোন।
নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থিত ডিভাইসের জন্য ক্যাবল মিডিয়া উপযুক্ত। তবে মোবাইল ডিভাইস বা বহণযোগ্য ডিভাইসের মধ্যে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস মিডিয়া ব্যবহার করা বেশি উপযোগী।
তিন ধরণের ওয়্যারলেস মিডিয়া ডেটা কমিউনিকেশনে বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
ক) রেডিও ওয়েভ
খ) মাইক্রো ওয়েভ
গ) ইনফ্রারেড
ক) রেডিও ওয়েভ
 3 কিলোহার্টজ থেকে 300 কিলো হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সীর বেতার তরঙ্গকে রেডিও ওয়েভ বলা হয়। রেডিও ওয়েভ এক ধরণের ইলোট্রোম্যাগনিটিক রেডিয়েশন। রিডিও ওয়েভের মাধ্যমে ব্যবহৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সমিট করা হয় েইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেক্ট্রাম ব্যবহার করে, যাকে বলা হয় Radio Frequency (RF). এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংকেত প্রেরণের গতিবেগ প্রায় 24 Kbps যা 1 কিঃ মিঃ দূরত্ব থেকে 100 কিঃ মিঃ দূরত্ব পর্যন্ত এলাকায় বিস্তার লাভ করে।
 চিত্রঃ
খ) মাইক্রোওয়েভ
1 GHz থেকে 40 GHz ফ্রিকোয়েন্সীর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গকে মাইক্রোওয়েভ বলা হয়। কাইক্রোওয়েভ একমূখী এবং ছোট আকারের কেন্দ্র অভিমুখে সিগন্যাল পাঠানো যায়। এজন্য প্রেরক ও গ্রাহক এ্যাণ্টেনাকে পরস্পরমুখী করে বসাতে হয়। েএই ফ্রেকোয়েন্সীতে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট হওয়ায় এক মাইক্রোওয়েভ নাম দেওয়া হয়েছে। এর ফ্রিকোয়েন্সী রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী থেকে অনেক বেশি হওয়ায় পারফরমেন্স ও গতি বেশি পাওয়া যায়। মাইক্রোওয়েভ যোগাযোগের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের মধ্যে কোন বাধা থাকতে পারবেনা। মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন দু’ধরণের।
যথাঃ
ক) টেরিস্টোরিয়াল মাইক্রো ওয়েভ
খ) স্যাটেলাইট মাইক্রো ওয়েভ
ক) টেরিস্টোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ
টেরিস্ট্রিয়াল মােইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনে লাইন অফ সাইট ট্রান্সমিশন ঘটে। এ ধরণের প্রযুক্তিতে ভূ-পৃষ্ঠেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার দৃষ্টি রেখায় যোগাযোগ করে। মাঝখানে কোন বাধা না থাকলে টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল 1 থেকে 50 মাইল পর্যন্ত যেতে পারে।
খ) স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
 স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ মহাকাশে থেকে পৃথিবীকে ঘিরে প্রতিনিয়ত পরিভ্রমণ করতে থাকে। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ জনীত বলের কারণে এটা ঘুরতে থাকে। তাই এটাকে মহাকাশে রাখার জন্য কোন জ্বালানী বা শক্তি খরচ করতে হয়না। পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে প্রায় 36000 কিঃ মিঃ দূরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি পৃথিবীর গতির সাথে সাথে প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকে এবং এজন্য পৃথিবীর সাপেক্ষে আপাত দৃষ্টিতে স্থীর মনে হয়। ভূ-পৃষ্ঠ হতে স্যাটেলাইটে ডেটা গ্রহণ-প্রেরণ করার জন্য VSAT (Very Small Aperture Terminal) এ্যাণ্টেনা ব্যবহার করা হয়।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য সাধারণতঃ11GHz- 14GHz ফ্রিকোয়েন্সীর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। ভূ-পৃষ্ঠ হতে স্যাটেলাইটে কোন সিগন্যাল প্রেরণ করাকে বলা Up- Link এবং স্যাটেলাইট হতে ভূ-পৃষ্ঠে সিগন্যাল গ্রহণ করাকে বলা হয় Down- Link. একটি স্যাটেলাইট গোটা পৃথিবীর 1/3 অংশ স্থান জুড়ে সিগন্যাল আদান প্রদান করতে পারে।
গ) ইনফ্রারেড

300 GHz হতে 400 THz পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সীকে বলা হয় ইনফ্রারেড। ইনফ্রারেড খুই নিকটবর্তী ডিভাইসের মধ্যে ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য উপযোগী। এই প্রযুক্তিতে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার জন্য ইনফ্রারেড মানের আলো (LED- Light Emitting Diode বা ILD- Interjection Laser Diode) ব্যবহার করা হয়। মাঝে কোন বাধা না থাকলে এ ধরণের ট্রান্সমিশন সিগন্যাল সর্বোচ্চ 30 মিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ইনফ্রারেড সিগন্যালের অসুবিধা হচ্ছে এটি ঘরের দে’য়াল বা শক্ত কোন বাধা ভেদ করতে পারেনা । বিভিন্ন রিমোট কণ্ট্রোল সিস্টেমে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয়।

ব্যাণ্ডউইডথঃ
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে Bandwidth বলে। এই Bandwidth –কেই ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এই ব্যাণ্ডওয়াইডথ সাধারণতঃBit Per Second (bps) –এ হিসেব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেণ্ডে যে পরিমাণ বিট ট্রান্সমিট করা হয় তাকে bps বা Bandwidth বলে। এই ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
যথাঃ
ক) ন্যারো ব্যাণ্ড
খ) ভয়েস ব্যাণ্ড
গ) ব্রডব্যাণ্ড
ক) ন্যারো ব্যাণ্ড
ন্যারোব্যাণ্ড সাধারণতঃ 45 থেকে 300 bps (Bit Per Second) পর্যন্ত হয়ে থাকে । এই ব্যাণ্ড ধীর গতির ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। টেলিগ্রাফীর ক্ষেত্রে এই ব্যাণ্ড ব্যবহার করা হয়।
খ) ভয়েসব্যাণ্ড
এই ব্যাণ্ডের ডাটা গতি 9600 bps বা 9.6 Kbps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণতঃ টেলিফোনে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে কম্পিউটার ডাটা কমিউনিকেশনে কম্পিউটার থেকে প্রিণ্টারে ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিংবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যাণ্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গ) ব্রডব্যাণ্ড
 ব্রডব্যাণ্ড উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা স্থানান্তর ব্যাণ্ড যার গতি কমপক্ষে 1 Mbps হতে অত্যন্ত উচ্চ গতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণতঃ কো-এ্যাক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে ডাটা স্থানান্তরে ব্রডব্যাণ্ড ব্যাবহার করা হয়। তাছাড়া WiMax, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রেও এই ব্যাণ্ড ব্যবহার করা হয়।
নেটওয়ার্ক টপোলজি

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতি বা ক্যাটালগকে টপোলজি বলে। নেটওয়ার্ক ডিজাইনের ক্ষেত্রে টপোলজি বিশেষ ভূমিকা রাখে। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো কীভাবে সংযুক্ত আছে, ক্যাবলগুলো কীভাবে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত আছে তার ক্যাটালগই টপোলজির মূল বিষয়।

টপোলজি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে।
যেমনঃ
1. Ring Topology
2. Mesh Topology
3. Star Topology
4. Tree Topology
5. Bus Topology
এছাড়াও আছেঃ
A. Line Topology
B. Full Connected Topology
1. Ring Topology
এক্ষেত্রে কম্পিউটারগুলো নোড (কম্পিউটার যে বিন্দুতে যুক্ত থাকে তাকে নোড বলে) এর মাধ্যমে বৃত্তাকার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার সংথ পাঠালে তা পরবর্তী নোডের দেকে প্রবাহিত করে। এভাবে তথ্যের একমুখী প্রবাহ পুরো বৃত্তাকার পথে ঘুরে আসে। এ ধরণের কম্পিউটারগুলো সরাসরি পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকেনা বিধায় নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার অন্য যেকোন কম্পিউটারে সরাসরি সংকেত পাঠাতে পারেনা। এজন্য নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার সংকেত পূণঃপ্রেরণের ক্ষমতা হারালে কিংবা ত্রু টি দেখা দিলে পুরো নেটওয়ার্কটিই অকেজো হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ কম্পিউটারটি অপসারণ করে পূণরায় সংযোগ সম্পন্ন করতে হয়।
 চিত্রঃ
2. Mesh Topology
এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই সংগঠনে যেকোন দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংকেত আদান প্রদান করা যায়।
চিত্রঃ
3. Star Topology
স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কভূক্ত সকল কম্পিউটার থেকে ক্যাবল বের হয়ে এসে কেবল একটিমাত্র কেন্দ্রীয় স্থানে যুক্ত হয়। এই কেন্দ্রীয় স্থানে এসব ক্যাবল একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত হয়। কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসাবে হাব / সুইচ হতে পারে। স্টর টপোলজির সুবিধা হল নেটওয়ার্কভূক্ত কোন কম্পিউটার নষ্ট / সমস্যা হলে শুধুমাত্র ঐ নির্দিষ্ট কম্পিউটারটি নেটওয়ার্ক সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়, অন্যান্য সকল কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক সচল থাকে। তবে কেন্দ্রীয় ডিভাইস নষ্ট / সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্কটিই অচল হয়ে পড়ে।
চিত্রঃ
4. Tree Topology
মূলতঃ স্টার টপোলজি সম্প্রসারিত রূপই হলো ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাধিক হাব ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারগুলোকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট। ট্রি টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারের সাথে আবার তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারের হোস্ট হিসেবে কাজ করে।
চিত্রঃ
5. Bus Topology
বাসটপোলজিতে একটি সংযোগ লাইন সাথে সবগুলো নোড যুক্ত থাকে। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডে সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। প্রেরিত ডাটা প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রত্যেকটি কম্পিউটার ডাটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। কেবলমাত্র যে কম্পিউটার ডাটা প্রাপক সেই কম্পিউটারই উক্ত ডাটা গ্রহণ করে। কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে কাজ করতে কোন অসুবিধা হয়না। সহজেই যেকোন কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।
চিত্রঃ
A. Line Topology
B. Full Connected Topology
নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট কিছু যন্ত্রপাতি (Different Types of Networks Device)
  • Modem
  • Network Interface Card (NIC)
  • Hub
  • Switch
  • Router, Etc
  • Repeter
  • Bridge
  • Getway
Modem (মডেম)

মডেম এমন একটি ডেটা কমিউনিকেশন ডিভাইস যা ডেটাকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কোন একটি মাধ্যমের সাহায্যে পৌঁছে দেয়। Modem শব্দটি Modulator ও DeModulator –শব্দদুটি একত্রিত সংক্ষিপ্ত রূপ। মডুলেটর ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগ সিগন্যালে এবং ডিমডুলেটর এনালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে। সাধারণতঃ কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের জন্য মডেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মডেমকে ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।

 চিত্রঃ
Network Interface Card (NIC)
কোন কম্পিউটারকে কোন নেটওয়ার্ক মিডিয়ার সাথে সংযোগ দে’য়ার জন্য বিশেষ একটি ইন্টারফেসের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এই ইন্টারফেসের কাজটি করে। এটি নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টর বা ল্যান কার্ড নামেও পরিচিত।
 চিত্রঃ
Hub
হাব হলো একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট রিপিটার। হাব হচ্ছে নেটওয়ার্কভূক্ত কম্পিউটারসমূহকে পরস্পর কানেক্ট বা সংযুক্ত করার জন্য একটি সাধারণ কানেক্টিং পয়েণ্ট বা রিপিটার হিসেবে কাজ করে। হাব –এ অনেকগুলো পোর্ট থাকে। একটি পোর্টের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়।
এটি কাজ করে ইলেকট্রিক সিগন্যাল নিয়ে। নেটওয়ার্ক এড্রেস কিংবা নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের ম্যাক এড্রেস নিয়ে হাবের মাথাব্যাথা নেই। এটিও কাজ করে ওএসআই মডেল -এর ফিজিক্যাল লেয়ারে।
হাব –এর অন্তর্ভূক্ত যেকোন কম্পিউটার থেকে কোন ডাটা প্রেরণ করলে তা সব পোর্টের কাছেই পৌঁছায়। ফলে নেটওয়ার্কভূক্ত সকল কম্পিউটার উক্ত ডাটা গ্রহণ করতে পারে। হাব –এ দাম কম এবং সুইচের তুলনায় ডাটা ট্রান্সফার রেটও কম।
Switch
সুইচ হলো একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট ব্রিজ।এটি প্রতিটি নোডের ম্যাক এড্রেস এর তালিকা সংরক্ষন করে। এটি ওএসআই মডেল এর ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে।
Router
এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং। আর রাউটিং এর জন্য ব্যবহুত ডিভাইস হলো রাউটার। ইহা ওএসআই মডেল এর নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে।
রিপিটার
রিপিটার হলো এমন একটি ডিভাইস যা সিগন্যালকে এমপ্লিফাই করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ১৮৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার আগেই আপনি একটি রিপিটার ব্যবহার করে সেই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই করে দিলে সেটি আরো ১৮৫ মিটার অতিক্রম করতে পারে। এটি কাজ করে ওএসআই মডেল এর ফিজিক্যাল লেয়ারে।
ব্রিজ
ব্রিজ এমন একটি ডিভাইস যা একাধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্টকে যুক্ত করে থাকে।  এটি প্রতিটি সেগমেন্ট বিভিন্ন ডিভাইসের হিসেব রাখার জন্য ব্রিজিং টেবিল তৈরি করে। ইহা ওএসআই মডেল এর ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে।
গেটওয়ে
বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কসমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহিত ডিভাইসটি হলো গেটওয়ে। ইহা প্রটোকলকে ট্রান্সলেশন করে থাকে। ইহা ওএসআই মডেল এর ৭ লেয়ারেই কাজ করে।
প্রোটোকলঃ
 নেটওয়ার্কভূক্ত কম্পিউটারগুলো ডাটা আদান পদানের পদ্ধতি যে প্রকৃয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে বলা হয় প্রোটোকল। সকল নেটওয়ার্কের অপারেটিং সিস্টেম কিংবা বিভিন্ন হার্ডওয়্যার সামগ্রী একই ধরণের হয়না।
অপারের্টিং সিস্টেম কিংবা হার্ডওয়্যারের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও যেকোন দু’টি কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা আদান প্রদান সম্ভব হয় প্রোটোকলের মাধ্যমে।
এক কথায় প্রোটোকল হচ্ছে ডাটা ট্রান্সমিশনের সুনির্দিষ্ট রীতিনীতি।
_________________________
বাকী অংশ আগামীকাল
_________________________
________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
_______________________________________________________________________

বাসমাশিস -এর ২৫ তারিখের মিটিংয়ের
একটি পর্যালোচনা

_______________________________________________________________________

ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন-
01711 353 363
====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================