আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ টি নাম -এর
আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ English Translation
1 Allah (الله) আল্লাহ (মহিমাময় আল্লাহ) The Greatest Name
2 Ar-Rahman (الرحمن) আর রাহমানু -(অসীম দয়াময়) The All-Compassionate
3 Ar-Rahim (الرحيم) আর রাহীমু -(পরম দয়ালু) The All-Merciful
4 Al-Malik (الملك) আল-মালিকু-(অধিপতি) The Absolute Ruler
5 Al-Quddus (القدوس) আল-কুদ্দুস -(অতি পবিত্র) The Pure One
6 As-Salam (السلام) আস সালামু -(শান্তিদাতা) The Source of Peace
7 Al-Mu’min (المؤمن) আল মু,মিন -(নিরাপত্তা বিধায়ক) The Inspirer of Faith
8 Al-Muhaymin (المهيمن) আল-মুহাইমিনু-(রক্ষক) The Guardian
9 Al-Aziz (العزيز) আল আয়ীযু-(পরাক্রমশালী) The Victorious
10 Al-Jabbar (الجبار) আল জব্বারু-(প্রবল) The Compeller
11 Al-Mutakabbir (المتكبر) আল মুতাকাবরিক-(মহিমান্বিত) The Greatest
12 Al-Khaliq (الخالق) আল খালিকু -(সৃষ্টকর্তা) The Creator
13 Al-Bari’ (البارئ) আল বারিউ-(উদ্ভাবনকর্তা) The Maker of Order
14 Al-Musawwir (المصور) আল মুসাওবিরূ-(রূপদাতা) The Shaper of Beauty
15 Al-Ghaffar (الغفار) আল গাফফার-(অতি ক্ষমাশীল) The Forgiving
16 Al-Qahhar (القهار) আল কাহ্হারু-(মহাপরাক্রান্ত ) The Subduer
17 Al-Wahhab (الوهاب) আল ওযাহাহাবু-(মহাদাতা) The Giver of All
18 Ar-Razzaq (الرزاق) আর রাযযাকু-(রিজিকদাতা) The Sustainer
19 Al-Fattah (الفتاح) আল ফাত্তাহু-(বিজয়দাতা) The Opener
20 Al-`Alim (العليم) আল আলিমু-(সর্বজ্ঞ) The Knower of All
21 Al-Qabid (القابض) আল কবিযু -(সংকোচনকরী) The Constrictor
22 Al-Basit (الباسط) আল বাসিতু-(সম্প্রসারনকারী) The Reliever
23 Al-Khafid (الخافض) আল খফিযু -(অবলম্বনকারী) The Abaser
24 Ar-Rafi (الرافع) আর রাফি’উ-(উন্নতিদাতা) The Exalter
25 Al-Mu’izz (المعز) আল মু’ইয়যু-(সম্মানদাতা) The Bestower of Honors
26 Al-Mudhill (المذل) আল মুযিল্লু-(অপমানকারী) The Humiliator
27 As-Sami (السميع) আস সামী’উ -(সর্বশ্রোতা) The Hearer of All
28 Al-Basir (البصير) আল বাসীরু -(সর্বদ্রষ্টা) The Seer of All
29 Al-Hakam (الحكم) আল হাকামু -(মিমাংসাকারী ) The Judge
30 Al-`Adl (العدل) আল আদলু-(ন্যায়নিষ্ঠ) The Just
31 Al-Latif (اللطيف) আল লতীফু -(সুক্ষ্ণদর্শী) The Subtle One
32 Al-Khabir (الخبير) আল খাবীরু-(সম্যক অবহিত) The All-Aware
33 Al-Halim (الحليم) আল হালীমু -(পরম সহনশীল) The Forbearing
34 Al-Azim (العظيم) আল আযীমু-(মহীমাময়) The Magnificent
35 Al-Ghafur (الغفور) আল গাফূরু-(অতি ক্ষমাশীল) The Forgiver and Hider of Faults
36 Ash-Shakur (الشكور) আশ শাকূরু-(গুণগ্রাহী) The Rewarder of Thankfulness
37 Al-Ali (العلى) আল আলীযু-(মহান) The Highest
38 Al-Kabir (الكبير) আল কবীরু-(গুণগ্রাহী) The Greatest
39 Al-Hafiz (الحفيظ) আল হাফীযু-(মহারক্ষক) The Preserver
40 Al-Muqit (المقيت) আল মুকীত-(শান্তিদাতা) The Nourisher
41 Al-Hasib (الحسيب) আল হাসীবু-(হিসাব গ্রহণকারী) The Accounter
42 Al-Jalil (الجليل) আল জলীলু-(মহিমান্বিত) The Mighty
43 Al-Karim (الكريم) আল কারীমু-(অনুগ্রনকারী মহামান্য) The Generous
44 Ar-Raqib (الرقيب) আর রাকীরু-(তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ) The Watchful One
45 Al-Mujib (المجيب) আল মজীবু-(আহবানে সাড়াদাতা) The Responder to Prayer
46 Al-Wasi (الواسع) আল ওয়াসীউ-(সর্বব্যাপী) The All-Comprehending
47 Al-Hakim (الحكيم) আল হাকিমু-(প্রজ্ঞাময়) The Perfectly Wise
48 Al-Wadud (الودود) আল ওয়াদুদু-(প্রেমময়) The Loving One
49 Al-Majid (المجيد) আল মাজীদু-(গৌরবময়) The Majestic One
50 Al-Ba’ith (الباعث) আল বাঈসু-(পুনরুত্থানকারী) The Resurrector
51 Ash-Shahid (الشهيد) আল সহীদু-(প্রত্যক্ষদ্রষ্টা) The Witness
52 Al-Haqq (الحق) আল হাককু-(সত্য) The Truth
53 Al-Wakil (الوكيل) আল ওয়াকীলু -(কর্ম বিধায়ক) The Trustee
54 Al-Qawiyy (القوى) আল কবিয্যু-(শক্তিধর) The Possessor of All Strength
55 Al-Matin (المتين) আল মাতীনু -(মহাপরাক্রমশালী) The Forceful One
56 Al-Waliyy (الولى) আল ওয়ালীযু-(অভিভাবক) The Governor
57 Al-Hamid (الحميد) আল হামীদু-(প্রশংসিত) The Praised One
58 Al-Muhsi (المحصى) আল মুহসী-(পরিব্যাপ্তকারী) The Appraiser
59 Al-Mubdi’ (المبدئ) আল মুবদিউ-(আদি স্রষ্টা) The Originator
60 Al-Mu’id (المعيد) আল মুঈদু-(পুন:সৃষ্টিকারী ) The Restorer
61 Al-Muhyi (المحيى) আল মুহয়ী -(জীবনদাতা) The Giver of Life
62 Al-Mumit (المميت) আল মুমীতু-(মৃত্যুদাতা ) The Taker of Life
63 Al-Hayy (الحي) আল হায়ুউ-(চিরঞ্জীব) The Ever Living One
64 Al-Qayyum (القيوم) আল কায়্যুমু-(বিশ্বধাতা) The Self-Existing One
65 Al-Wajid (الواجد) আল ওয়াজিদু -(সর্বপ্রাপক) The Finder
66 Al-Majid (الماجد) আল মজিদু -(মহীমান ) The Glorious
67 Al-Wahid (الواحد) আল ওযাহীদু -(একক) The One, the All Inclusive, The Indivisible
68 As-Samad (الصمد) আস সামাদু-(অমুখাপেক্ষী) The Satisfier of All Needs
69 Al-Qadir (القادر) আল কাদিরু-(ক্ষমতাবান) The All Powerful
70 Al-Muqtadir (المقتدر) আল মুকতাদিরু-(প্রবল) The Creator of All Power
71 Al-Muqaddim (المقدم) আল মুকাদ্দিমু-(অগ্রবর্তীকারী) The Expediter
72 Al-Mu’akhkhir (المؤخر) আল মুআখখিরু-(পশ্চাদবর্তীকারী) The Delayer
73 Al-Awwal (الأول) আল আউয়ালু-(আদি) The First
74 Al-Akhir (الأخر) আল অখিরু-(অন্ত) The Last
75 Az-Zahir (الظاهر) আল যাহিরু-(ব্যাক্ত) The Manifest One
76 Al-Batin (الباطن) আল বাতিনু-(গুপ্ত) The Hidden One
77 Al-Wali (الوالي) আল ওয়ালী-(কার্যনির্বাহক) The Protecting Friend
78 Al-Muta’ali (المتعالي) আল মুতাআলী-(সর্বোচ্চ) The Supreme One
79 Al-Barr (البر) আল বাবরু-(কৃপাময়) The Doer of Good
80 At-Tawwab (التواب) আত তওওযাবু-(তওবা কবুলকারী) The Guide to Repentance
81 Al-Muntaqim (المنتقم) আল মুনতাকিমু-(দন্ডবিধায়ক) The Avenger
82 Al-’Afuww (العفو) আল আফুওযু-(ক্ষমাকারী) The Forgiver
83 Ar-Ra’uf (الرؤوف) আর রাউফু-(দয়াদ্র) The Clement
84 Malik-al-Mulk (مالك الملك)মলিকুল মুলকি -(বিশ্বের অধিপতি) The Owner of All
85 Dhu-al-Jalal wa-al-Ikram (ذو الجلال و الإكرام) যুল জালালি ওয়াল ইকরাম-(মহিমান্বিত ও মহানুভব) The Lord of Majesty and Bounty
86 Al-Muqsit (المقسط) আল মুকসিতু-(ন্যায় পরায়ণ) The Equitable One
87 Al-Jami’ (الجامع) আল জামিউ-(একত্রকারী) The Gatherer
88 Al-Ghani (الغنى) আল গানীউ-(অভাবমুক্ত) The Rich One
89 Al-Mughni (المغنى) আল মুগনী-(অভাব মোচনকারী) The Enricher
90 Al-Mani’(المانع) আল মানিউ-(বারনকারী) The Preventer of Harm
91 Ad-Darr (الضار) আদ দাররু-(অকল্যাণকারী ) The Creator of The Harmful
92 An-Nafi’ (النافع) আন নাফিউ-(কল্যাণকারী) The Creator of Good
93 An-Nur (النور) আন নুরু-(জ্যোতি) The Light
94 Al-Hadi (الهادي) আল হাদী-(পথ প্রদর্শক) The Guide
95 Al-Badi (البديع) আল বাদীউ-(প্রথম উদ্ভাবক) The Originator
96 Al-Baqi (الباقي) আল বাকী-(চিরস্থায়ী) The Everlasting One
97 Al-Warith (الوارث) আল ওয়ারিসু -(স্বত্বাধিকারী) The Inheritor of All
98 Ar-Rashid (الرشيد) আর রাশীদু-(সুপথনিদের্শক) The Righteous Teacher
99 As-Sabur (الصبور) আস সাবুরূ-(ধৈর্যশীল) The Patient One
الله
আল্লাহ
অর্থ: আল্লাহ
ফজিলত: প্রত্যহ ১০০০ বার এই নামের যিকির করলে ঈমান দৃঢ় ও মযবুত হয়।
الرحمن
আর রাহমান
অর্থ: পরম দয়ালু
ফজিলত: প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার পড়লে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর থেকে সব ধরনের কঠোরতা ও অলসতা দূর হয়ে যাবে।
الرحيم
আর-রহী’ম
অর্থ: অতিশয়-মেহেরবান
ফজিলত: প্রত্যেক নামাযের পর ১০০ বার করে পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্ পৃথিবীর সকল বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
الملك
আল-মালিক
অর্থ: সর্বকর্তৃত্বময়
ফজিলত: ফযরের নামাজের পর অধিকহারে পাঠ করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে ধনবান করে দিবেন।
القدوس
আল-কুদ্দুস
অর্থ: নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
ফজিলত: প্রত্যহ শেষ রাতে (উয়া কুদ্দূসু) নামুটি ১০০০ বার পড়লে রোগ ব্যধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
السلام
আস-সালাম
অর্থ: নিরাপত্তা-দানকারী, শান্তি-দানকারী
ফজিলত: এই নামটি ১১৫ বার কোন রুগির উপর পরে ফু দিবে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থতা ও আরোগ্য দান করবেন।
المؤمن
আল-মু’মিন
অর্থ: নিরাপত্তা ও ঈমান দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন ভয়-ভীতির সময় ৬৩০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি এ নামটি পাঠ করবে বা লিখে নিজের সাথে রাখবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা করবেন।
المهيمن
আল-মুহাইমিন
অর্থ: পরিপূর্ন রক্ষণাবেক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি গোসল করে ১১৫ বার এ নামটি পরবে, গোপন বিষয়াদি উপর অবগত হবে। সর্বদা পরলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
العزيز
আল-আ’জীজ
অর্থ: পরাক্রমশালী, অপরাজেয়
ফজিলত: ৪০ দিন পর্যন্ত যে ব্যক্তি এ নামটি ৪০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সম্মানী ও অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন।
الجبار
আল-জাব্বার
অর্থ: দুর্নিবার
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতি দিন সকাল-বিকাল ২২৬ বার পড়লে যাবতীয় জুলুম থেকে মুক্তিপাবে।
المتكبر
আল-মুতাকাব্বিইর
অর্থ: নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
ফজিলত: এই নাম সর্বদা পড়লে মান সম্মান বৃদ্ধি পায় ও উন্নতি লাভ হয়।
الخالق
আল-খালিক্ব
অর্থ: সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ১০০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ সকল বিপদআপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
البارئ
আল-বারী
অর্থ: সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী
ফজিলত: বন্ধ্যা নারী যদি সাতদিন রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করার পর (ইয়া বারী-উল মুছউইর) ২১ বার পাঠ করবে, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ তার পুত্র সন্তান লাভ হবে।
المصور
আল-মুছউইর
অর্থ: আকৃতি-দানকারী
ফজিলত: বন্ধ্যা নারী যদি সাতদিন রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করার পর (ইয়া বারী-উল মুছউইর) ২১ বার পাঠ করবে, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ তার পুত্র সন্তান লাভ হবে।
الغفار
আল-গফ্ফার
অর্থ: পরম ক্ষমাশীল
ফজিলত: জুম্মার নামাযের পর ১০০ বার পড়লে গুনাহ মাফ হয় ও অভাব দূর হয়।
القهار
আল-ক্বাহার
অর্থ: কঠোর
ফজিলত: ক্রমাগত আল্লাহ্র এই নাম পাঠ করলে, পার্থিব ভালবাসা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন এবং পরিবর্তে আল্লাহ্র ভালবাসা আপানার হৃদয়ে সহজাত হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্
الوهاب
আল-ওয়াহ্হাব
অর্থ: সবকিছু দানকারী
ফজিলত: চাশতের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে ১০০ বার পড়লে অর্থ ও প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
الرزاق
আর-রজ্জাক্ব
অর্থ: রিযকদাতা
ফজিলত: ফজরের নামাযের পূবে এই নামের যিকির করলে রিযিক বৃদ্ধি পায়।
الفتاح
আল ফাত্তাহ
অর্থ: বিজয়দানকারী
ফজিলত: ফযরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭০ বার এই নাম পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর ঈমানের জ্যোতি দ্বারা আলোকিত হবে।
العليم
আল-আ’লীম
অর্থ: সর্বজ্ঞ
ফজিলত: এ নাম সর্বদা পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় গুনাহ মাফ হয় ও মনের কপাট খুলে যায়।
القابض
আল-ক্ববিদ্ব’
অর্থ: সংকীর্ণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ৪০ দিন এই নামটি ৪ টুকরা রুটির উপর লিখে খাবে, তিনি ক্ষুদা, পিপাসা ও ব্যথা বেদনা থেকে রক্ষা পাবে।
الباسط
আল-বাসিত
অর্থ: প্রশস্তকারী
ফজিলত: প্রতিদিন নামাজের পর মুনাজাত করে ১০ বার আল্লাহ্র এই নাম পাঠ করেন, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে ধনী বনিয়ে দিবেন এবং কখন কার মুখাপেক্ষী হবে না।
الخافض
আল-খফিদ্বু
অর্থ: অবনতকারী
ফজিলত: প্রত্যহ ৫০০ বার এ নামের পাঠ করলে আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রয়োজন পূর্ণ করবেন ও সকল সমস্যা দূর করে দিবেন।
الرافع
আর-রফীই’
অর্থ: উন্নতকারী
ফজিলত: ১০০ বার পড়লে, আল্লাহ্ আপানকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সমগ্র সৃষ্টির স্বাধীনতা প্রদান করা হবে। ইনশাআল্লাহ্
المعز
আল-মুই’জ্ব
অর্থ: সম্মান-দানকারী
ফজিলত: প্রতি সোমবার ও শুক্রুবার মাগরিব নামাজ পরে এই নাম্ ৪০ বার পড়লে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ও সকলের নিকট সম্মানের পাত্র হয়।
المذل
আল-মুদ্বি’ল্লু
অর্থ: (অবিশ্বাসীদের) বেইজ্জতকারী
ফজিলত: নামাযের পর সেজদায় গিয়ে ৭৫ বার পড়ে দোয়া করলে শত্রুতা হতে মুক্তি পাওয়া যায় ।
السميع
আস্-সামিই’
অর্থ: সর্বশ্রোতা
ফজিলত: শুক্রুবার চাশতের পর ৫০০/১০০/৫০ বার পড়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
البصير
আল-বাছীর
অর্থ: সর্ববিষয়-দর্শনকারী
ফজিলত: জুম্মার নামাযের পর ১০০ বার পড়লে দৃষ্টিতে আলো ও অন্তরে জ্যোতি সৃষ্টি হবে।
الحكم
আল-হা’কাম
অর্থ: অটল বিচারক
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে পাঠ করবে, আল্লাহ্ তালা তার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দিবেন।
العدل
আল-আ’দল
অর্থ: পরিপূর্ণ-ন্যায়বিচারক
ফজিলত: শুক্রবার রাতে বিশ টুকরা রুটির উপর লিখে খেলে আল্লাহ্ তায়ালা সৃষ্টজীবকে তার অনুগত করে দিবেন।
اللطيف
আল-লাতীফ
অর্থ: সকল-গোপন-বিষয়ে-অবগত
ফজিলত: যে ব্যক্তি ১৩৩ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার খাদ্যে বরকত হবে এবং তার সব কাজ সুন্দরভাবে পূর্ণ হবে।
الخبير
আল-খ’বীর
অর্থ: সকল ব্যাপারে জ্ঞাত
ফজিলত: ৭ দিন পর্যন্ত এ নাম পড়তে থাকলে গোপন তথ্য অবগত হওয়া যায়।
الحليم
আল-হা’লীম
অর্থ: অত্যন্ত ধৈর্যশীল
ফজিলত: যে ব্যক্তি এই নামটি কাগজে লিখে, পানিতে এটি ডুবিয়ে রেখে এবং সে পানি শস্য ক্ষেত্রে অথবা কোন জিনিসের উপর ছিটিয়ে দিবে, আল্লাহ্ তায়ালা তার ফসল নষ্ট করবেনা, বরং সংরক্ষন করবেন।
العظيم
আল-আ’জীম
অর্থ: সর্বোচ্চ-মর্যাদাশীল
ফজিলত: নিয়মিত এ নামের যিকির করলে তার মর্যাদা, সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ হবে।
الغفور
আল-গফুর
অর্থ: পরম ক্ষমাশীল
ফজিলত: অধিকহারে এই নাম পাঠ করলে, সব রোগবালাই, দুঃখ ও দুর্দশা অপসারণ করা হয়, আল্লাহ্র দোয়া তার সম্পদ এবং সন্তানাদির উপর পরবে। ইনশাআল্লাহ্
الشكور
আশ্-শাকুর
অর্থ: গুনগ্রাহী
ফজিলত: কোন ব্যক্তি যদি, আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক সমস্যার সম্মুখিন হন, ৪১ বার আল্লাহ্ এর এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্ শীঘ্রই উদ্ধার প্রদান করবেন। ইনশাআল্লাহ্
العلي
আল-আ’লিইউ
অর্থ: উচ্চ-মর্যাদাশীল
ফজিলত: এ নাম সর্বদা পাঠ করলে ও লিখে সঙ্গে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ মর্যাদার উচ্চতা, সচ্ছলতা ও উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ করবে।
الكبير
আল-কাবিইর
অর্থ: সুমহান
ফজিলত: কোন ব্যক্তি কে যদি তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে ৭ দিন রোযা রেখে এবং প্রতি দিন এই নাম ১০০০ বার পাঠ করলে, আল্লাহ্ তার পদ কে সম্মান এবং মর্যাদা দিয়ে পুনরায় ফিরিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ্
الحفيظ
আল-হা’ফীজ
অর্থ: সংরক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রেখে দিবে, ইনশাআল্লাহ্ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদে থাকবে।
المقيت
আল-মুক্বীত
অর্থ: সকলের জীবনোপকরণ-দানকারী
ফজিলত: ৭ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সে পানি শিশুকে খাওয়ালে তার কান্না বন্ধ হয়।
الحسيب
আল-হাসীব
অর্থ: হিসাব-গ্রহণকারী
ফজিলত: কোন ব্যক্তি যদি কোন মানুষ বা কোন জিনিস কে ভয় পান, তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু আট দিনের জন্য রাতে ও সকালে ৭০ বার এবং ৭০ বার (হাসবিয়াল্লাহুল-সাসিবু) পাঠ করলে, আল্লাহ্ তার ভয় ও মন্দ জিনিসের বিরুদ্ধে সুরুক্ষা প্রদান করবে। ইনশাআল্লাহ্
الجليل
আল-জালীল
অর্থ: পরম মর্যাদার অধিকারী
ফজিলত: এই নামটি মেশক ও জাফরান দিয়ে লিখে নিজের কাছে রাখবে বা ধুয়ে খেলে, তার সম্মান, মহিমা এবং মর্যাদা দিবে। ইনশাআল্লাহ্
الكريم
আল-কারীম
অর্থ: সুমহান দাতা
ফজিলত: ঘুমানোর পূবে এ নামের যিকির করলে আলেম ও সৎ লোকের মর্যাদা লাভ হয়।
الرقيب
আর-রক্বীব
অর্থ: তত্ত্বাবধায়ক
ফজিলত: এই নাম ৭ বার প্রতিদিন পাঠ করলে এবং নিজের ও তার পরিবারের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্ ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে আপনাকে এবং আপনার সম্পদ রক্ষা করবেন। ইনশাআল্লাহ্
المجيب
আল-মুজীব
অর্থ: জবাব-দানকারী, কবুলকারী
ফজিলত: সর্বদা এই নাম পাঠ করলে আল্লাহ্ তায়ালা তার দোয়া কবুল করেন আর নামটি লিখে নিজের কাছে রাখলে সে বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
الواسع
আল-ওয়াসি’
অর্থ: সর্ব-ব্যাপী, সর্বত্র-বিরাজমান
ফজিলত: অধিক পরিমাণে এ নামের যিকির করলে আল্লাহ্ তায়ালা তাকে প্রকাশ্য ও ভিতরগত অমুখাপেক্ষিতা ও বরকত দান করবে।
الحكيم
আল-হাকীম
অর্থ: পরম-প্রজ্ঞাময়
ফজিলত: ক্রমাগত এই নাম পাঠ করলে, আল্লাহ্ তায়ালা তার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দিবেন।
الودود
আল-ওয়াদুদ
অর্থ: (বান্দাদের প্রতি) সদয়
ফজিলত: ১০০ বার পড়ে খাদ্যে ফু দিয়ে স্বামী স্ত্রী থেলে তাদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
المجيد
আল-মাজীদ
অর্থ: সকল-মর্যাদার-অধিকারী
ফজিলত: প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার পড়ে শরীরে ফু দিলে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
الباعث
আল-বাই’ছ’
অর্থ: পুনুরুজ্জীবিতকারী
ফজিলত: নিদ্রার পূর্বে বুকের উপর হাত রেখে ১০০০ বার পড়লে জ্ঞান ও হেকমত বৃদ্ধি পায়।
الشهيد
আশ্-শাহীদ
অর্থ: সর্বজ্ঞ-স্বাক্ষী
ফজিলত: এ নামের যিকির বেশী বেশী পড়লে অন্তরের খারাপ বাসনা দূর হয়।
الحق
আল-হা’ক্ব
অর্থ: পরম সত্য
ফজিলত: যদি, পরিবারের কোন সদস্য নিখোঁজ বা পলাতক বা জিনিসপত্র চুরি হয়ে থাকলে, চারকোণ বিশিষ্ট কাগজের চতুষ্কোণে নামটি লিখে সেহরীর সময় হাতের তালুর উপর রেখে আকাশের দিকে উঠিয়ে দোয়া করবে, ইনশাআল্লাহ্ যে কোন ব্যক্তি অথবা জিনিস পাওয়া যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
الوكيل
আল-ওয়াকিল
অর্থ: পরম নির্ভরযোগ্য কর্ম-সম্পাদনকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি বিপদ আপদের সময় ভয়ে অধিক হারে এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
القوي
আল-ক্বউইউ
অর্থ: পরম-শক্তির-অধিকারী
ফজিলত: জুম্মার পর এ নামের যিকির করলে যুলুম থেকে বাচা যায়।
المتين
আল-মাতীন
অর্থ: সুদৃঢ়
ফজিলত: যে কোন ভদ্রমহিলা এর বুকের দুধের না থাকলে এক টুকরো কাগজের উপর আল্লাহ্ এর এই নাম লিখে পানিতে ডুবিয়ে রেখে তারপর এটি পান করলে তার বুকের মধ্যে দুধ আসবে ইনশাআল্লাহ্
الولي
আল-ওয়ালিইউ
অর্থ: অভিভাবক ও সাহায্যকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক হারে এই নামটি পড়বে সে সৃষ্ট জীবের গোপন তথ্য সম্পর্কে জানবে।
الحميد
আল-হা’মীদ
অর্থ: সকল প্রশংসার অধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ৯৩ বার নির্জনতায় নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ সকল অসৎ স্বভাব দূর হয়ে যাবে এবং তার থেকে উত্তম কার্যাবলী প্রকাশ পাবে।
المحصي
আল-মুহছী
অর্থ: সকল সৃষ্টির ব্যপারে অবগত
ফজিলত: যে ব্যক্তি রুটির ২০ টি টুকরোর উপর প্রতিদিন ২০ বার এই নামটি পড়ে ফু দিবে এবং খাবে তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সৃষ্টি জগত তার অনুগত হয়ে যাবে।
المبدئ
আল-মুব্দি’
অর্থ: প্রথমবার-সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি সেহরীর সময় গর্ভবতি নারীর পেটের উপর হাত রেখে ৯৯ বার এই নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ না তার গর্ভপাত হবে, না সময়ের আগে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবে।
المعيد
আল-মুঈ’দ
অর্থ: পুনরায়-সৃষ্টিকর্তা
ফজিলত: কোন ব্যক্তি হারিয়ে গেলে যখন গৃহের সকল ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বে তখন হারানো ব্যক্তিকে ফেরত আনার জন্য গৃহের ৪ কোণে ৭০ বার নামটি পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ হারানো ব্যক্তি ৭ দিনের মধ্যে ফেরত আসবে অথবা তার কোন খবর পাওয়া যাবে।
المحيي
আল-মুহ’য়ী
অর্থ: জীবন-দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে সে অধিক হারে পাঠ করবে অথবা কোন রোগীর উপর ফু দিবে তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সুস্থ হয়ে যাবে।
المميت
আল-মুমীত
অর্থ: মৃত্যু-দানকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি আত্মার নিয়ন্ত্রনে না থাকে সে শয়ন কালে বক্ষদেশে হাত রেখে এই নামটি পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। আল্লাহ্ চান তো তার নফস বাধ্য ও অনুগত হয়ে যাবে।
الحي
আল-হাইয়্যু
অর্থ: চিরঞ্জীব
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০০০ বার এই নামটি পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্ সে কখনও অসুস্থ হবেনা।
القيوم
আল-ক্বাইয়্যুম
অর্থ: সমস্তকিছুর ধারক ও সংরক্ষণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি এই নামটি শেষ রাতে অধিকবার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ মানুষের হৃদয়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
الواجد
আল-ওয়াজিদ
অর্থ: অফুরন্ত ভান্ডারের অধিকারী
ফজিলত: খাওয়ার সময় পড়লে ওই খাদ্য কলবের শক্তি ও নূর সৃষ্টির সহায়ক হবে।
الماجد
আল-মাজিদ
অর্থ: শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি নির্জনতায় এই নামটি অধিক পাঠ করলে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তরের ভিতর আল্লাহ্ এর জ্যোতি প্রকাশ হতে শুরু করবে।
الواحد
আল-ওয়াহি’দ
অর্থ: এক ও অদ্বিতীয়
ফজিলত: প্রত্যহ ১০০০ বার পাঠ করলে মন থেকে ভয় ভীতি দূর হয়ে যাবে।।
الصمد
আছ্-ছমাদ
অর্থ: অমুখাপেক্ষী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ভোর রাতে অথবা কিছু রাত থাকতে সেজদায় মাথা রেখে ১১৫ অথবা ১২৫ বার এই নামটি পড়বে, তার বাহ্যিক ও ভিতরগত ভাবে সত্যবাদিতা লাভ হবে এবং কোন অত্যাচারি দ্বারা পিষ্ট হবেনা।
القادر
আল-ক্বদির
অর্থ: সর্বশক্তিমান
ফজিলত: যে ব্যক্তি ওজু করার সময় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধৌত করার সময় প্রতিটি জোড়ার উপর এই নামটি পড়বে, সে কখন জালিমের থাবায় আবদ্ধ হবেনা। কোন শত্রু তার উপর বিজয় লাভ করতে পারবেনা।
المقتدر
আল-মুক্ব্তাদির
অর্থ: নিরঙ্কুশ-সিদ্বান্তের-অধিকারী
ফজিলত: যদি কেউ এই নামটি সর্বদা পড়ে তবে তার উদাসীনতা স্মরনের দ্বারা পরিবর্তিত হবে। যে ব্যক্তি নিদ্রা থেকে উঠার পর ২০ বার এই নামটি পড়বে, তবে তার সব কাজ ঠিক এবং সমাধান হয়ে যাবে।
المقدم
আল-মুক্বদ্দিম
অর্থ: অগ্রসারক
ফজিলত: যে ব্যক্তি যুদ্ধের সময় অধিক হারে পরবে অথবা লিখে নিজের কাছে রাখবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সামনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা দান করবেন এবং শত্রুদের থেকে নিরাপদ রাখবেন।
المؤخر
আল-মুয়াক্খির
অর্থ: অবকাশ দানকারী
ফজিলত: প্রতিদিন ১০০ বার আল্লাহ্ এর নাম পাঠ করলে, তিনি দুর্মূল্য এবং আল্লাহর প্রিয় হয়ে যাবেন । ইনশাআল্লাহ্
الأول
আল-আউয়াল
অর্থ: সর্বপ্রথম
ফজিলত: কোন ব্যক্তি পুত্র সন্তান এর ইচ্ছা পোষণ করলে, ৪০ দিনের জন্য ৪০ বার নামটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ্ তার উদ্দেশ্য পুরন হবে।
الأخر
আল-আখির
অর্থ: অনন্ত, সর্বশেষ
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০০ বার পরবে, তার অন্তর থেকে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কিছুর ভালবাসা দূর হয়ে যাবে।
الظاهر
আজ-জ’হির
অর্থ: সম্পূর্নরূপে-প্রকাশিত
ফজিলত: প্রত্যহ ইশরাক এর পর ৫০০ বার পড়লে চোখের দৃষ্টি শক্তি ও অন্তরে নূর লাভ হয় ।
الباطن
আল-বাত্বিন
অর্থ: দৃষ্টি হতে অদৃশ্য
ফজিলত: প্রত্যহ ৩৩ বার পড়লে গোপন রহস্য জানা যাবে। তার অন্তরে আল্লাহ্র ভালবাসা সৃষ্টি হবে।
الوالي
আল-ওয়ালি
অর্থ: সমস্ত-কিছুর-অনিভাব্ক
ফজিলত: এ নামের নিয়মিত যিকির করলে আল্লাহ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে ।
المتعالي
আল-মুতাআ’লি
অর্থ: সৃষ্টির গুনাবলীর উর্দ্ধে
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিক বার পরবে, ইনশাআল্লাহ্ তার সমস্যা দূর হবে।
البر
আল-বার্
অর্থ: পরম-উপকারী, অণুগ্রহশীল
ফজিলত: কোন ব্যক্তি ৭ বার আল্লাহ্র এই নাম পাঠ করে সন্তান জন্মের পর তার সন্তানের উপর ফুঁ দিলে, আল্লাহ্ বিপর্যয় থেকে তার সন্তান কে সুরক্ষা করবে। ইনশাআল্লাহ্
التواب
আত্-তাওয়াব
অর্থ: তাওবার তাওফিক দানকারী এবং কবুলকারী
ফজিলত: চাশতের নামাযের পর সেজদায় গিয়ে এ নামটি ৩০০ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ তার সত্য তওবা লাভ হবে। যে ব্যাক্তি এ নামটি বার বার পাঠ করবে, তার সকল কর্ম সহজ হবে। যদি কোন অত্যাচারীর উপর ফুঁ দেয়া হয় তবে ইনশাআল্লাহ্ তা থেকে মুক্তি লাভ হবে।
المنتقم
আল-মুনতাক্বিম
অর্থ: প্রতিশোধ-গ্রহণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি ন্যায়ের উপর থাকে এবং শত্রু থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা না থাকে, সে তিন জুম্মা পর্যন্ত অধিকহারে (ইয়া মুনতাক্বিমু) পড়বে, আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তার থেকে প্রতিশোধ নিয়ে নিবেন।
العفو
আল-আ’ফঊ
অর্থ: পরম-উদার
ফজিলত: যার প্রচুর গুনাহ আছে, সে লোকটি প্রতিনিয়ত এ নামটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
الرؤوف
আর-রউফ
অর্থ: পরম-স্নেহশীল
ফজিলত: যে ব্যক্তি দশবার দুরুদ শরীফ এবং দশবার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশালাআল্লাহ তার ক্রোধ দূর হয়ে যাবে। অন্য রাগান্বিত ব্যাক্তির উপর ফুঁ দিলে তবে তার রাগ দূর হবে।
مالك الملك
মালিকুল-মুলক
অর্থ: সমগ্র জগতের বাদশাহ্
ফজিলত: যে ব্যক্তি (ইয়া মালিকাল মুলক) সর্বদা পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে লোকদের থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। সে কার মুখাপেক্ষী থাকবে না।
ذو الجلال والإكرام
যুল-জালালি-ওয়াল-ইকরাম
অর্থ: মহিমান্বিত ও দয়াবান সত্তা
ফজিলত: যে ব্যক্তি অধিকহারে পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মান এবং সৃষ্টজগত থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন।
المقسط
আল-মুক্ব্সিত
অর্থ: হকদারের হক-আদায়কারী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি এ নামটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়বে, শয়তানের আনিদিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি ৭ বার পড়ে তবে সে উদ্দেশ্য অর্জন হবে।
الجامع
আল-জামিই’
অর্থ: একত্রকারী, সমবেতকারী
ফজিলত: যার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, সে চাশতের সময় গোসল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ্র এই নাম ১০০ বার পাঠ করলে তার পরিবারের হারানো সদস্য শিগ্রই খুঁজে পাবেন। ইনশাআল্লাহ্
الغني
আল-গণিই’
অর্থ: অমুখাপেক্ষী ধনী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি প্রতিদিন ৭০ বার এই নামটি পড়বে, আল্লাহ তাআলা তার অর্থ-সম্পদ বরকত দান করবেন। ইনশাল্লাল্লাহ সে কারো মুখাপেক্ষী হবে না।
المغني
আল-মুগণিই’
অর্থ: পরম-অভাবমোচনকারী
ফজিলত: যে ব্যাক্তি শুরু ও শেষে ১১ বার দুরুদ শরীফ পড়ে এগার শত এগার বার ওযীফার ন্যায় এ নামটি পড়বে, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে বাহিরগত ও ভিতরগত ধনী করে দিবেন।
المانع
আল-মানিই’
অর্থ: অকল্যানরোধক
ফজিলত: যদি স্ত্রির সাথে ঝগড়া-বিবাদ অথবা তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে বিছানায় শোয়ার সময় ২০ বার এ নামটি পড়বে, ইনশাল্লাহ ঝগড়া-বিবাদ ও তিক্ততা দূর হয়ে যাবে এবং পরস্পর ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে।
الضار
আয্-যর
অর্থ: ক্ষতিসাধনকারী
ফজিলত: সকাল সন্ধা এ নামের যিকির করলে সকল ভাল কাজে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।
النافع
আন্-নাফিই’
অর্থ: কল্যাণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন পরিচিত স্থানে পোঁছাবে এবং শুক্রবার রাতে যে ব্যক্তি নৌকা অথবা অন্য কোন যানবাহনে আরোহণের পর অধিকহারে পড়তে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ ইচ্ছানুযায়ী কাজ হবে।
النور
আন্-নূর
অর্থ: পরম-আলো
ফজিলত: যে ব্যক্তি জুমার রাতে সাত বার সুরা নুর এবং এক হাজার বার এ নামটি পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর আল্লাহর জ্যোতি দারা আলকিত হয়ে যাবে।
الهادي
আল-হাদী
অর্থ: পথ-প্রদর্শক
ফজিলত: যে ব্যক্তি হাত উঠিয়ে আকাশ পানে মূখ করে এ নামটি অধিক হারে পড়বে, অবশেষে মুখমন্ডলে হাত মুছে নিবে, ইনশাআল্লাহ্ তার পূর্ণ হেদায়েত লাভ হবে, আর মারেফাত পন্থীদের মধ্যে অন্তভুক্ত হয়ে যাবে।
البديع
আল-বাদীই’
অর্থ: অতুলনীয়
ফজিলত: যে ব্যক্তি কোন দুশ্চিন্তা বিপদাপদ অথবা কোন সমস্যা সম্মুখে আসে, সে ১০০০ বার এ নামটি পড়বে ইনশাআল্লাহ্ সমস্যার সমাধান লাভ হবে।
الباقي
আল-বাক্বী
অর্থ: চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর
ফজিলত: জুম্মার রাতে যে ব্যক্তি এ নামটি ১০০ বার পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সব ধরনের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে নিরাপরাদ রাখবেন।
الوارث
আল-ওয়ারিস’
অর্থ: উত্তরাধিকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূর্যোদয়ের পূর্বক্ষণে ১০১ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ সে যাবতীয় দুঃখ- বেদনা, চিন্তা- ভাবনা, কঠোরতা ও বিপদ থেকে মুক্তি থাকবে।
الرشيد
আর-রাশীদ
অর্থ: সঠিক পথ-প্রদর্শক
ফজিলত: যে ব্যক্তি নিজের কোন কাজ বা উদ্দেশ্য সমাধানের কোন তদবির বুঝে না আসে, মাগরিব ও এশার মাঝে সে (আর-রাশীদু) নামটি ১০০০ বার পড়বে, তবে ইনশাআল্লাহ্ স্বপ্নে তদ্বির দেখা যাবে, অথবা অন্তরে ঢেলে দেয়া হবে।
الصبور
আস-সবুর
অর্থ: অত্যধিক ধৈর্যধারণকারী
ফজিলত: যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এ নামটি একশত বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ্ সেদিন সে সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে ও বরকত লাভ হয়। শত্রু ও হিংসুকদের মুখ বন্ধ থাকবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুণবাচক আমলটি করার তাওফিক দান করুন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
► রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
________________________________________
শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.saifoddowla.com
________________________________________
আপনার ব্লগ দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আপনার বয়স সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পেতে ক্লিক করে সহযোগিতা নিন এখান থেকে
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
Leave A Comment