1

 

বাপরে বাপ ঘুরে এলাম ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।

ইন্টারনেটের লুকায়িত অধ্যায় দি ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব রেভেলডঃ ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার অংশ ! কীভাবে যাবেন ??? গিয়ে কী কী করবেন ??? কোথায় কী কী খাবেন . . .
কথা না কইয়া চুপিচুপি এইদিকে- এইহানে আসেন শিখা’য়া দিত্যাছি . . .

 

(বি.দ্র. আপনার পিসি, কিংবা নিজের সুরক্ষাজনিত কারণে অনুরোধ করছি, পুরো লেখাডা আগে পড়ুন, হ্যারবাদে নাহয় এ্যাকে এ্যাকে স্টেপগুলো ফলো করে আইসিটি’র ক্যারানীগিরী ফলাইতে যাইয়েন। আবারও কইত্যাছি এইড্যা কিন্তুক ফেসবুকে কী বোর্ডের 100 টি ব্যবহার জাতীয় টিপস না। সিরিয়াস কিছু করতে গিয়্যা আফনের কুনু বিফদাফদের জন্য কইলাম আমি দায়ী না)

 

বাইসাব, ইন্টারনেটতো আফনেরা সবাই ইউজ্যায়্যা থাহেন। কিন্তু আফনে কি জানেন, ইন্টারনেটে এমন একটা অধ্যায়, এমন আরোও একটা দুনিয়া আছে যেমন একটা আণ্ডারগ্রাউন্ড সাইটে ঢুকে যেখানে ট্যাকার বিনিমিয়ে কিলার ভয়াবহ প্রফেশনাল কিলার ভাড়া পাওন যায় !!! যা হয়তো আপনি এহনোও ব্যবহার করেননি কিংবা জানেনই না- আজই প্রথম জানলেন !!!

কীহ ! বিশ্বাস খাচ্ছেননা !!! আমারও তখন বিশ্বাস হয়নাইক্যা। এমনই এক সাইটে ঢুকে দেখি কিলার তার নিজের সর্ম্পকে বর্ণনা দিচ্ছে এভাবে-
“ আমাকে তুমি স্ল্যাট নামে ডাকতে পার। আমি তোমার শত্রুকে প্রফেশনাল ওয়েতে শেষ করে দিতে পারব। আমি তার সাথে তোমার সমস্যা জানতে আগ্রহী নই। তুমি শুধু আমাকে টাকা দিবে আর আমি তাকে শেষ করে দিব। টার্গেটের বয়স কমপক্ষে ১৮ হতে হবে, টার্গেট পুরুষ না মহিলা তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি গর্ভবতী মহিলাকে টার্গেট হিসেবে নেই না, আমি টার্গেটকে অত্যাচার করি না, টার্গেট যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হয় তাহলে বাড়তি চার্জ লাগবে, আর বাড়তি চার্জের বিনিময়ে আমি পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনার মত করে সাজাতে পারব। ডাউনপেমেন্টের চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টার্গেটের জন্য বাড়তি ৫০০০ ডলার ট্রাভেল চার্জ লাগবে কাজ হয়ে গেল আমি তোমাকে টার্গেটের ছবি তুলে পাঠাব”

6

তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের লগে লগে প্রসার ঘটেছে ইন্টারনেটের, আর তা আজ মহাসমুদ্রের ন্যায় বিশাল এক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, এর সাথে তাল মিল্যা’য়া সক্ষমতা বেড়েছে সার্চ ইঞ্জিনগুল্যার। বিশেষ করে গুগল -এর নাম বলাই লাগবে, যা এখন বিশ্বব্যাপী অন্যতম একটি বিশ্বস্ত ব্র্যাণ্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা গুগল ছাড়া এক মুহূর্তও চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু এই গুগলের সামর্থ্য কতটুকু, তা কি আফনে জানেন ? আপনি জাইন্যা টাসকী খাবেন যে, আফনে ইন্টারনেটে যখন কোন বিষয়ে সার্চ দেন আর গুগল তার লক্ষ লক্ষ ফলাফল আমনের সামনে আলাদীনের চ্যারগের লাহান হাজির করে তা ইন্টারনেটে থাকা গোটা তথ্যের মাত্র ৫ – ১০ শতাংশ থেকে পাওয়া। বাকি ৯০ – ৯৫ শতাংশ তথ্যই লুকায়িত আছে ডার্ক ওয়েব বা ব্ল্যাক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব নামক অদৃশ্য এক ওয়েবে। যা গুগল জানেইনা। মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশের মইধ্যে থেকেই সার্চ দিয়ে সে তার ফলাফলকে গ্রাহকের সামনে হাজির করে। বাকি ৯০ শতাংশই চিরকালই আপনার অজানাই থেকে যায় !!!

5

ডীপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই সমস্ত অংশ যেগুলো যা আমনের সচরাচর ব্যবহার করা সার্চ ইঞ্জিনগুলো খুঁজেই পায়না। কিন্তুক আপনি যদি এগুল্যার ঠিকানা ভালোয় ভালোয় জানেন তাইলেই কেবল আপনি এই অংশে যেতে পারবেন। অনেক ব্যবহারকারী ইতোমধ্যেই ইন্টারনেটের এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার সাথে পরিচিত। এ্যাক জরীপ থেকে জানা গ্যাছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য এই ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই অদৃশ্য ওয়েব হল মহাসাগর পরিমাণ আর আমাদের ব্যবহার করা সচরাচর দৃশ্যমান ইন্টারনেটের ডেটা হল অসীম মহাসাগরের বুকে ভেসে থাকা এক টুকরো বরফের ল্যাহান।

আইজক্যার লেহাডা মনদিয়্যা পড়তে থাকুন, ইট্টু পরেই পরিচয় করায়্যা দিতাছি ইন্টারনেটের সেই পালা’য়া থাকা অবৈধ অধ্যায় ডীপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব এর সাথে। ধৈর্য ধরেন, শিখায়াও দিমু ক্যামতে সেইখানে যাওন যায় আর সেইখানে গিয়া কী কী পাওন যায় !!!

 

গোটা ইন্টারনেটকে মোট দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

নাম্বার ওয়ান- সার্ফেস ওয়েব (Surface Web),
নাম্বার ট্যু- ডীপ ওয়েব (Deep Web), এবং ডীপ ওয়েবের একটা অংশ
নাম্বার থ্রী- ডার্ক ওয়েব (Dark Web)।

তো চলে আগ বাডি প্রথমে কথা বলে নেই সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে।

 

সার্ফেস ওয়েব (Surface Web)

আমনেরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তারা নিশ্চয়ই সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে জানেন। যদি না জেনে থাকেনতো আরোও একবার ঝালাই করে নিচ্ছি। সার্ফেস ওয়েব হলো ঐ ওয়েব, যেটি দুনিয়া জুড়ে প্রত্যেকটি সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকে। যেটি ব্যবহার করে আফনে এই লেখাডা পড়ছেন, যেটি ব্যবহার করে আমি এই লেখাডা লিখেছি এবং ভবিষ্যতেও আমি আফনে ব্যবহার করেত থাকবো সেইড্যাই হলো সার্ফেস ওয়েব।

2

মানে, আফনেযে আমার এই লেখাডা পড়ছেন এটিও সার্ফেস ওয়েব এর একটি অংশ। তো সার্ফেস ওয়েব এমন ইন্টারনেট যেটি দুনিয়া জুড়া যেকোনো ইউজার যেকোনো সময় কোন প্রকার স্পেশাল অনুমতি ছাড়া অ্যাক্সেস নিতে পারে এবং সার্ফেস ওয়েবের প্রায় সকল তথ্য আমনে গুগল সার্চ করে পেয়ে যেতে পারেন মানে যেসকল তথ্য গুগল সার্চ থেকে পাওয়া যায় বা আফনে যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে যে ওয়েব সাইটগুলো খুলতে পারেন তারা প্রত্যেকেই এই সার্ফেস ওয়েবের এক একটি অংশ। এমনিভাবে আপনার নিত্যদিনের নিউজ আপডেট সাইটগুল্যা, প্রযুক্তি বিষয়ক সাইটগুল্যা, গান ডাউনলোড সাইটগুল্যা ইত্যাদি সবগুল্যাই সার্ফেস ওয়েবের অংশ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই সার্ফেস ওয়েব গোটা ইন্টারনেটের দুনিয়ার মাত্র ৫% জুড়ে রয়েছে ! আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বাইসাব এতো কেবল জানার শুরুমাত্র . . .

 

ডীপ ওয়েব কী (Deep Web)

যে সকল সাইটগুল্যা আমার মতো আম পাবলিক মানে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত না, যেগুলোর ক্রিয়েটর বা প্রতিষ্ঠাতারা চান না যে তাদের সাইটগুল্যা কেউ সার্চ করে খুঁজে পাক সেগুলোকেই ডীপ ওয়েব বলে। এটা সাধারণ ভাষায়, আরেকটু ভিত্রে গ্যালে বোঝা যায়- যে সকল সাইট বা অনলাইন কনটেন্টকে লুকিয়ে রাখা হয় সার্চ ইঞ্জিন বা আপনার আমার মত সাধারণ মানুষ থেকে সেগুলোকেই ডীপ ওয়েব বলে।

একটা গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে, সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের প্রায় ৯৫% অংশ হলো এই ডীপ ওয়েব। তো এখন এই ডীপ ওয়েবে কী কী সংরক্ষিত রয়েছে সে বিষয়ে প্রথমে জেনে নিই। অনলাইনে আপনার যত স্টোরেজ রয়েছে যেখানে আফনের সকল ডাটা স্টোর করা রয়েছে। যেমন কথা বলি গুগল ড্রাইভ নিয়ে বা ড্রপ বক্স নিয়ে। আবার বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে যতোগুলো গবেষণা তথ্য বা গোপন তথ্য স্টোর করা রয়েছে বা ব্যাংক -এর যতগুলো তথ্য বা ডাটাবেজ রয়েছে অথবা সরকারের যে গোপন প্রজেক্টগুলো সংরক্ষিত রয়েছে এই সবই হলো ডীপ ওয়েবের অংশ। অর্থাৎ খাঁডি বাংলা ভাষায় বলতে গেলে যে তথ্যগুল্যা আফনে গুগল সার্চ করে কখনোও খুঁজে পাবেন না সেটিই হলো ডীপ ওয়েবের তথ্য।

3

ডীপ ওয়েব থেকে আপনি যদি কোন তথ্য অ্যাক্সেস করতে চান তবে আপনার প্রয়োজন পড়তে পারে একটি বিশেষ ওয়েব ব্রাউজার ও অ্যাড্রেস। একটি বিশেষ সাইট একটি বিশেষ সার্ভারের জন্য একটি বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেস এবং ওয়েব অ্যাড্রেসের সাথে আপনার প্রয়োজন একটি বিশেষ অনুমতি, যেন আপনি ঐ ওয়েবসাইটটির অমুক তথ্য অ্যাক্সেস করার উপযোগী। অনুমতি গ্রহণ করার জন্য আপনাকে হয়তো কোন লগইন আইডি বা পাসওয়ার্ড প্রবেশ করাতে হতে পারে অথবা সেটি যেকোনো ধরণের অথেন্টিকেশন হতে পারে। কিন্তু আপনি বিশেষ ওয়েব অ্যাড্রেস ছাড়া কখনই ডীপ ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেননা ডীপ ওয়েবের কোন তথ্যই গুগল বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকেনা- করতে পারেনা। তো আপনি যতই সার্চ করতে থাকুননা কেন, আমার গুগল ড্রাইভে কী সেভ করা আছে তা আপনি কখনই দেখতে বা অ্যাক্সেস করতে পারবেন না, পারবেন কি ???

আপনি তখনই সেই ফাইলগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন যখন আমি আপনাকে ঐ ফাইল গুলোর বিশেষ লিঙ্ক আপনার সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি ডীপ ওয়েব সম্পর্কে খুব ভালোভাবে না হলেও মোটামুটি আপনি কিছুটা বুঝে গেছেন এবং নিশ্চয়ই ডীপ ওয়েবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও বুঝতে চেষ্টা করছেন। কেননা, অনেক সময় আমাদের ইন্টারনেটে ফাইলতো রাখতে হয়, কিন্তু আমরা চাই সেটা শুধু নির্দিষ্ট কিছু লোকের জন্যই প্রাপ্য হোক। উদাহরণ স্বরূপ যদি কোন কোম্পানির কোন ডাটাবেজ হয় তবে সেই কোম্পানিটি অবশ্যই চাইবে যে সেই ডাটা গুলো শুধুমাত্র তার নির্বাচিত ইউজাররা অ্যাক্সেস করুক। তাছাড়া গোপন তথ্য ইন্টারনেটের সবার জন্য প্রাপ্য রাখাটাও অনেক ঝুঁকির ব্যাপার।

সহজ ভাবে বলতে গেলে ডিপ ওয়েব হল ইন্টারনেটের একটা অংশ যা কিনা সার্চ ইঞ্জিনে সূচীবদ্ধ করা হয়নি। এর কারণ হল সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সার্চ তদারকি করে এক ধরনের ভার্চ্যূয়াল রোবট তথা ক্রলার দিয়ে। এই ক্রলারগুলো ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল ট্যাগ দেখে ওয়েবসাইটগুলোকে লিপিবদ্ধ করে। তাছাড়া কিছু কিছু সাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিনে লিপিবদ্ধ হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট যায়। যে সমস্ত সাইট এডমিন চান না যে তাদের সাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পাক, তারা রোবট এক্সিকিউসন প্রটোকল ব্যবহার করেন যা ক্রলারগুলোকে সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া বা লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত রাখে। কিছু সাইট আছে ডাইনামিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই ধরণের সাইটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব, আর ক্রলার এর পক্ষে এইসব করা সম্ভব হয় না। কিছু সাইট আছে যেগুলোতে অন্য সাইট থেকে লিংক নেই। এগুলো বিচ্ছিন্ন সাইট, এগুলোও সার্চে আসে না। তাছাড়া বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলজি এখনো তার আঁতুড় ঘর ছাড়তে পারেনি। সার্চ ইঞ্জিনগুলো টেক্সট বাদে অন্য ফরম্যাটে থাকা (যেমনঃ ফ্ল্যাশ ফরম্যাট) ওয়েবপেজ খুঁজে পায় না। ম্যাকফি এ্যাণ্টিভাইরাস কোম্পানী -এর নিরাপত্তা গবেষকে বিশ্লেষক কেজায়া মিউনজ ডার্ক ওয়েব সম্বন্ধে বলেছেন “ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব অনেক তথ্য নিয়ে তৈরী যা প্রযুক্তিগত কারণে সার্চ ইঞ্জিনে দ্বারা আপডেট করা যায় না”।

ডীপ ওয়েব ১৯৯৪ সালে শুরু হয় এবং তখন এটি হিডেন ওয়েব হিসাবে পরিচিত ছিল। ২০০১ সালে এর নাম ডীপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব রাখা হয়। নানা সময়ে বিশ্ব ইন্টারনেটের নানা গ্রুপ এমন একটি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে যেখানে তারা খুব গোপনে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে। সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, হ্যাকার, এমনকী খোদ প্রশাসনই এমন এক ব্যবস্থা চেয়েছে যেখানে গোয়েন্দারা খুব গোপনে নিজেদের ভেতর তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে অথবা চুরি যাওয়া তথ্য ফিরে পেতে দর কষাকষি করতে পারবে অপরাধীদের সাথে। তাছাড়া বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানকার অনলাইন সেন্সরশীপ খুবই কড়া, ফলস্বররূপ ভিন্নমতাবলম্বীদের এমন এক ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে হয়েছে যেখানে সরকার তদারকি করতে পারবেনা। আর এভাবেই উৎপত্তি হয়েছে এই অজানা অংশের। সাথে সাথে এটা প্রলুব্ধ করেছে ওই সমস্ত অপরাধীদের যারা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মূল নেটে আলোচনা করতে সাহস পায় না।

কীভাবে কাজ সম্পাদন করেঃ

টর (TOR) বা টিওআর (দি অনিয়ন রাউটার- The Onion Router) হল ডার্ক বা ডিপ ওয়েবে যাওয়ার প্রধান ওয়েব ব্রাউজার বা পোর্টাল যেইটাই বলেননা কেন। এটি ব্যবহারকারীর তথ্যকে ইনক্রিপ্ট করে এবং একটি স্বেচ্ছাসেবক সার্ভারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের নেটওয়ার্কে পাঠায়। এই পদ্ধতিতে এটি প্রায় অসম্ভব ব্যবহারকারীদের অথবা তাদের তথ্য ট্র্যাক করা।

টর যে কোন পিসিতে ব্যবহার করা যায়। ম্যাকিণ্টোস এমনকি আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনের যেকোন মোবাইল ডিভাইস দিয়েও টর ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এখানে দৃশ্যমান ওয়েব এর মত কোন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না, কারণ এখানে গুগলের মত কোন সার্চ ইঞ্জিন নেই যেটি মুহুর্তের মধ্যে সব কিছু আপনাকে খুঁজে দেবে। এর পরিবর্তে এটি উইকি এবং বিবিএস এর মত ইণ্টিগ্রেটেড লিঙ্ক রয়েছে যা ডীপ ওয়েব এর লোকেশন দেখাবে। এই সাইটগুলির এড্রেসগুলো সাধারণত উদ্ভট প্রকৃতির হয়ে থাকে, যেমনঃ- sdjsdhsjhsuyumnsdxkxcoioiydsu67686hsjdhjd.onion। ইন্টারনেটে প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢোকা যায় না। কারণ, এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে, এরা কোন নিয়মকানুনের ধার ধারেনা- গ্রাহ্য করে না। আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট অদ্ভূত প্রকৃতির যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা ভীষণ কঠিন। বিশেষ কিছু জ্ঞান (যেমন প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি) না থাকলে এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করা যায় না। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত (TLD) টপ লেভেল ডোমেইন (যেমন ডট কম ) ব্যবহার না করে “শেইডো টপ লেভেল ডোমেইন” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে বিটনেট, অনিয়ন, ফ্রিনেট প্রভৃতি। ডার্ক ওয়েব -এর ডোমেইনগুলো ডট কম এর পরিবর্তে ডট অনিয়ন হয়। ডার্ক ওয়েব -এর লিঙ্কগুলো উদ্ভট হওয়ায় এখানে উল্লেখযোগ্য সময় কাটালে কোন লিঙ্ক থেকে কোন লিঙ্কের পেজ আসবে, তা আর মনে রাখা সম্ভব হবে না।

ডিপ ওয়েবে কী কী পাওয়া যায় বা কী হয় এখানেঃ

কী হয় তা খুঁজতে গিয়েতো আমার মাথা নষ্ট হবার যোগাড় হইলো ভায়া। কী হয় তা জানতে না চেয়ে বরং বলুন কী হয় না এখানে !!! যা কিছুকে রক্ষা করা হয় কপিরাইট দিয়া সবই এখানে পাওয়া যায়। পাওয়া যায় ড্রাগস, আর্মস, এমনকী ভয়াবহ পেশাদার খুনী পর্যন্তও। আপনি ভুল শোনেন নাই, আমি ঠিকই বলছি, একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছি একজন মুখোস পড়া ব্যক্তি, হাতে ভয়ানক একটা ছোরা নিয়ে ছবি দিয়ে রেখেছে, ক্যাপশনে লিখেছে- “I Can Kill Anyone For Money”।  আরেক বিজ্ঞাপনে দেখলাম ইরাক যুদ্ধে ব্যাবহৃত শর্টগান ! বিক্রি করতে চাচ্ছে, তাও ওদের ভাষায় Cheap Rate -এ !!!!!!!!   নানা রকম হ্যাকিং টিউটোরিয়াল, বিভিন্ন পাইরেটেড টুলস কী নাই এখানে !!! এবার একটু থামি, আরোও একবার ইট্টু বুঝা’য়া বলি ডীপ ওয়েব বিষয়ডা কী। অনলাইনে যা কিছু আছে তার পরিমাণ কল্পনা করা আমার আপনার ধারণার বাইরে, এর মধ্যে কিছু লিখে সার্চ করলে যতগুলো ফলাফল তথ্য আসবে তা ঘেটে দেখতে গেলেই আমার আফনেরযে কয়বছর টাইম লাগবে তা আমরা নিজেও জানি না। বাট, মজার বিষয় হলো মোট তথ্য বা ফাইলের শতকরা ১% নাকি আমরা দেখতাছি।  বাকি ৯৯% ভাগই লুকানো অবস্থায় থাকে। এগুলোই ডার্কওয়েবের এলিমেণ্টস আরকী।

ইন্টারনেটের এই দুনিয়াডা সবচেয়ে আলাদা। ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন, অন্ধকারাচ্ছন্ন।  যা কখনো কেউ কল্পনা করেনি তাই পাওয়া যাবে এখানে। উইকিলিকস ঘোষণা করল- এ বছর তারা আরো নতুন কিছু ডেটা প্রকাশ করবে, কিন্তু এখানে ঢুকে হয়তো দেখা যাবে উইকিলিকস -এর এই সমস্ত কথিত নতুন ডেটা এই ডার্ক ওয়েবে আছে বেশ ক’বছর আগে থেকেই। যেকোন বইয়ের একদম লেটেস্ট এডিশন যা কিনা সারফেস ওয়েবে কপিরাইট ল’এর কারণে নেই তা এখানে দেদারসে আদান প্রদান হচ্ছে। আরো আছে বিকৃত রুচির বিনোদন। শিশু পর্ণোগ্রাফি থেকে শুরু করে নানা ধরনের ভিডিও যা কিনা সারফেস ওয়েবে নেই, তা এখানকার হট টপিকস। এমন কিছু সাইট আছে যেখানে মারিজুয়ানা, হেরোইন থেকে শুরু করে সব ধরণের মাদক হোম ডেলিভারী দে’য়া হয়। ডার্ক ওয়েব -এর মূল ব্যবহারকারী মূলত মাদকাসক্তরাই। আবার কিছু সাইট আছে যেখানে কট্টরপন্থী গ্রুপগুলো শিক্ষা দিচ্ছে কীভাবে গোলা বারুদ বানাতে হয়, কিছু সাইটেতো রেডিমেড অস্ত্রই বিক্রি হয়। একে ৪৭ থেকে শুরু করে রকেট লাঞ্চার, মর্টারের মত অস্ত্রও কিনতে পাওয়া যায়। আরব-বসন্তের সময় বিপ্লবকারীরা এই ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই যোগাযোগ করত। ডার্ক ওয়েবে নানা ধরণের মেইল সার্ভিস, চ্যাট সার্ভিস আছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে আফনে অনেক কিছুই করতে পারবেন। কীভাবে অবৈধ সঙ্গীত ডাউনলোড, যেখানে বিনামূল্যে সর্বশেষ সিনেমা দেখা, বা কীভাবে অল্প অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত মাদক অর্ডার দেয়া যায়।এছাড়াও অস্ত্র পাচার, ভাড়াটে হত্যাকারী, পতিতা, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি সব এই ডার্ক ওয়েবকে সব চেয়ে বড় ব্ল্যাক মার্কেটে পরিণত করেছে। এসব অনিয়ন নেটওর্য়াকে থাকা ব্ল্যাক মার্কেটগুলোর ভেতর সবচেয়ে জনপ্রিয় হল সিল্ক রোড। ফোর্বসের হিসেবে এখানে গত বছর ২২ মিলিয়ন ডলারের বেচা-কেনা হয়েছিল। মাইক্রোসফট, অ্যাপেলের প্রোডাক্ট এখানে ৮০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্টে পাওয়া যায়। জনপ্রিয় মাদক দ্রব্য ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য তারা মূলতঃ একটি ইউজারবেজ এ বিক্রয় করে। সালফিউরিক অ্যাসিড, তরল পারদ, চোরাই ক্রেডিট কার্ড, চেক, নকল বিল, কয়েন, পাথর জাতীয় জুয়েলারি, চুরির স্বর্ণ এধরণের সব কিছুর জন্যই আলাদা আলাদা বিভাগ আছে। ডিপ ওয়েব -এর সর্বাধিক লেনদেন সাধারণত বিটকয়েন -এর মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে থাকে। ১ বিটকয়েন হল ৯ মার্কিন ডলার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ। বিটকয়েন নামক এই ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে সব কেনা যায়। সারফেস ওয়েবে যেসব হ্যাকিং টেকনিক দেখতে পান তা হল এই ডার্ক ওয়েব থেকে লীক হওয়া ১% তথ্যের অংশ বিশেষ। এখানকার হ্যাকাররা খুবই ভয়ংকর এবং প্রোগামিং -এ তাদের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু সব ডিপ ওয়েবসাইট আবার খারাপ না। যেমনঃ উইকিলিকস সাইটটি জনগণের সামনে আসার আগে ডিপ ওয়েবেই ছিল। এমনকী এখনও কেউ যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উইকিলিকস -এ প্রকাশ করতে চায়, তাহলে তা ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব এর মাধ্যমেই করা সম্ভব। মোদ্দাকথা এটি এমনই এক অন্ধকার জগত যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার আগে অন্ততঃ দু’বার ভেবে নিতে হবে।

_________________________________________

বিট কয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
__________________________________________

 

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কেন এদরকে খুঁজে পাচ্ছে নাঃ

ডার্ক ওয়েব -এ ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়ন মূলত মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। অনিয়নে সাধারণ কোন ব্রাউজার দিয়ে ঢোকা যায় না। এজন্য ব্যবহার করতে হবে টর ব্রাউজার। টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে ফেলে আর এর ফলে কারো পক্ষে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ যখন টর দিয়ে কোন সাইটে ঢুকতে যাবে তখন টর ব্রাউজার তার এই রিকোয়েস্ট কঠিন এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠানো সেই ডেটা আর ডেটা থাকে না, সেটি দুর্বোধ্য এক স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়। এবার অনিয়ন প্রক্সি এই ডেটা নিয়ে মূল ইন্টারনেটমূখো হয় যেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দে’য়া সদস্যদের অনিয়ন রাউটারগুলো অপেক্ষা করছে। অনিয়ন রাউটারে প্রবেশের আগে অনিয়ন নেটওয়ার্কের প্রবেশপথে এই ডেটা আবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়। নেটওর্য়াক থেকে বের হওয়ার সময় আরো একবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়। পথিমধ্যে অনিয়নের বেশ কিছু রাউটারের ভেতর দিয়ে এনক্রিপশন হয় যেখানে এক এক রাউটারে এনক্রিপশন আউটপুট এক এক রকম এবং কোন রাউটারই জানে না যে ডেটা কোন রাউটার থেকে আসছে। সবশেষে ডেটা যখন প্রাপকের হাতে গিয়ে পৌঁছায় তা তখন ডিএনক্রিপশন প্রসেসের মাধ্যমে আদি অবস্থানে ফিরে আসে। এই রকম অনেকগুলো লেয়ার বা খোসা থাকার কারণেই এই নেটওর্য়াকের নাম অনিয়ন নেটওর্য়াক। এখন এই ডেটা চালাচালির সময় কেউ যদি এই ডেটা চুরি করতে সক্ষমও হয় তার পক্ষে এটা বের করা সম্ভব হবে না যে এটার প্রেরক কে বা প্রাপকইবা কে। কেননা অনিয়ন রাউটারগুলো নিজেরাই এটা জানে না। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি দুই প্রান্তেই নজরদারী করতে পারে তাহলে সে বুঝতে পারবে সেন্ডার আর রিসিভার -এর লোকেশন কোথায়। এই ধরণের দুর্বোধ্য সিস্টেমের কারণেই এই সমস্ত নেটওর্য়াক সব সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। গত কিছুদিন আগে সিল্ক রোডের উদ্ভাবক, রস উলব্রিচ্যাট এফবিআই কর্তৃক গ্রেফতার হয়। কিন্তু এফবিআই সিল্ক রোড নষ্ট করে দিলেও ডার্ক ওয়েব এর কিছুই করতে পারেনি। তবে সিল্ক রোড ২.০ খোলার প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে ডার্ক ইউজারদের।

খারাপ ভালো সবটাই জানতে হয় সবসময় । কোথায় থামতে হবে সেটুকু অনুভব করতে পারাটা মানুষ হওয়ার অন্যতম শিক্ষা। নিজেকে বাঁচানোর জন্য হলেও বিপদ সম্পর্কে জানতে হয় । অমঙ্গলকে না চিনলে মঙ্গলের সাক্ষাত পেয়েও তাকে হারাতে হয়। বিজ্ঞান যেভাবে এগুচ্ছে তাতে করে হয়ত এই অন্ধকার জগতের রহস্য একদিন সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয়ে যাবে। এখন শুধু সময় পেরোনোর অপেক্ষা।

 এখনোও বুঝেননাই ?

ভাই রে, আপনার খাটের তলায় ইট দে’য়া না লোহা দে’য়া তাতো আমার জানার কথা না, সেটা তো থাকে ঢাকা, সেইটারে দেখতে হলে আমারে বিছানার পর্দা ওঠাতে হবে । তেমনি ধরেন আমেরিকার একটা সাইট আছে, যেটাতে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন মিসাইলের তথ্য, কেমনে ব্যাবহার করা হবে, কই ফেলা যাবে, এসব তথ্য রাখা আছে। আমেরিকান সরকার কি চাইবে যে কেউ খুঁজে পাক সেই তথ্য ? উঁহু, সেটারে রাখা হবে অন্ধকারে, বা ডার্ক ওয়েবে। বুঝছেন ?

খারাপ দিকঃ

  • বেআইনী জিনিষ পত্র অনেকটা খোলাখুলি ভাবেই রাখা আছে এখানে। চিন্তা করতে পারেন অস্ত্র, বোমা বানানোর সিস্টেম, মাদক দ্রব্য সব যদি অনলাইনে কিনেই নিতে পারেন, তাহলে অবস্থা কী ভয়ানক হবে ?
  • খুব সুরক্ষিত তথ্য বা কপিরাইট প্রোটেক্টেড অনেক কিছুই এখানে পাওয়া সম্ভব। কোম্পানীর কিছু করার নাই, কার নামে মামলা করবে ? এটা ডীপ ওয়েব মাম্মা।
  • ভাইরাসের ঘাঁটি। হ্যাকারের আখড়া। এখানে যারা কাজ করেন মোটামুটি সবাই খুব উঁচু মানের প্রোগামার, সো এদের ক্ষমতা খুবই বেশী। আপনার অজান্তে আর আপনি অসতর্ক থাকা মানে কখন আপনার পুরো কম্পিঊটার তারা নাড়াচাড়া করবে আপনি টেরই পাবেন না।ঢোকার রাস্তাতো পাইল্যান, ঢুকবেন কোন এ্যাড্রেস -এ আপনার প্রশ্ন শুনে আপাতত সাবধান থাকার পরামর্শ দিতাছি, ইট্টু পরে সব কিছুই জানায়া শিখায়া খোলাশা কইর‌্যা দিমুনি। ডার্কওয়েবে আমাদের পরিচিত সহজ FaceBook বা Compuarts Digital -এর মত নাম গুলো ব্যাবহার করা হয়না, ব্যাবহার করা হয় না .com .net .org ডোমেইন। এখানের সব যেহেতু লুকিয়ে রাখা হয়, সো আন্দাজ করে কোন সাইটে ঢোকা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব। ব্যাবহৃত হয় .onion নামের ডোমেইন, সাইট গুলোর এ্যাড্রেস হয় bnktdbea442afcujasye.onion -এরকম । এবার বুঝেন ঠ্যালা !  (Onion মানে পেঁয়াজ , পেঁয়াজের মত অনেক আস্তরণে আবরণে লুকিয়ে রাখা হয় বলে এমন নাম)

ভালো দিকঃ

    • চড়ম কিছু পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। একটা হেভ্ভি SEO টুল পাইলাম, -এর সম্পর্কে যা যা লেখা আছে, দেখে তো পাগল হ’য়া যাবার যোগাড়।
    • যাদের শেখার আগ্রহ আছে, হ্যাকিং, প্রোগামিং, টিপস -এ সম্পর্কে অঢেল লেখা, তাও সেরা মানের প্রোগামারদের। আপনাকে শুধু জানতে হবে কই পাওয়া যায়। বাট শুরুতে যে ধাক্কাটা খাইছি, বেশির ভাগ আর্টিকেল স্প্যানিশ ভাষায় লেখা। গুগল ট্রান্সলেটর আছে না আমাদের এখন ?
    • একটা সেকটর যা সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না, এত বড় যে আমাদের কল্পনার বাইরে।

দরকারী দিকঃ

  • সরকারী গোপন তথ্যাবলী সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তবে জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জের মত কেউ যদি আপনার পেছনে লাগে তাহলেই হবে সব কাজ।
  • গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোন বিকল্প নাই।
  • ওয়েবসাইট -এর পেছনে যারা কাজ করেন, তারাতো জানেন-ই সাইটের ব্যাকএ্যাণ্ড লুকানো রাখাটা কতটা জরুরী।

ডার্ক ওয়েব (Dark Web)

এতক্ষণে নিশ্চয়ই ডীপ ওয়েব সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়ে গেছেন। কিন্তু ডীপ ওয়েবের মধ্যে আরো একটি অধ্যায় আছে যা সবার কাছে লুকায়িত হয়ে থাকে, তার নাম হলো ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের কলঙ্কিত অংশ। ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে শুধু এই পোস্ট থেকে জেনে রাখুন। শুরু করার আগে আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই যে, এই ডার্ক ওয়েব সম্পূর্ণ অবৈধ ইন্টারনেট। অসদুদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েব কখনই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না। পরের অংশে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের পদ্ধতিটা যদিও শিখিয়ে দেব ব্যবহার করা না করাডা টোটাল্লী আফনের মর্জি।

চলুন ডার্ক ওয়েব নিয়ে সামনে আগানো যাক। বাইসাব ডার্ক ওয়েবে মনে করুন যা ইচ্ছা তাই করা সম্ভব। ডার্ক ওয়েবে ড্রাগস ডিলিং, আর্মস ডিলিং সহ এমন এমন অসংখ্য অবৈধ কাজ সম্পন্ন করা হয় যার সম্পর্কে আজ এই পোস্টে পুরোটা খুলে বলা সম্ভব নয়। তবে আশা রাখি কিছুডা ধারণা অবশ্যই পাবেন। ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের সেই কালো অধ্যায় যেখানে যেকোনো কিছু যেকোনো সময় করা সম্ভব। ডার্ক ওয়েবও কিন্তু সাধারণ গুগলসার্চ করে কখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।

4

আর ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের ওই অংশ যেখানে কনভেনশনাল উপায়ে আপনি ঢুকতে পারবেন না, প্রচলিত ব্রাউজারগুলো বা ব্রাউজারগুলো দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা বা পারবেননা। সেখানে প্রবেশ করতে চাইলে আপনাকে বিশেষ সফটওয়্যার বা ব্রাউজার -এর সহায়তা নিতে হবে।
আগেই বলেছি সচরাচর সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সার্চ তদারকি করে এক ধরনের ভার্চুয়াল রোবট তথা Crawler দিয়ে। এই Crawler গুলো ওয়েবসাইটের HTML tag দেখে ওয়েবসাইটগুলোকে লিপিবদ্ধ করে। তাছাড়া কিছু কিছু সাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিনে লিপিবদ্ধ হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট যায়। যে সমস্ত সাইট এডমিনগণ চাননা যে, তাদের সাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পাক, তারা Robot Exclusion Protocol ব্যবহার করেন যা Crawler গুলোকে সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া বা লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত রাখে। কিছু সাইট আছে ডাইনামিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই ধরণের সাইটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব, আর Crawler -এর পক্ষে এই সব করা সম্ভব হয় না। কিছু সাইট আছে যেগুলোতে অন্য সাইট থেকে লিংক সংগ্রহ করে। এগুলো বিচ্ছিন্ন সাইট, এগুলোও সার্চে আসে না। তাছাড়া বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন টেকনোলজি এখনো তার আঁতুড় ঘর ছাড়তে পারেনি। সার্চ ইঞ্জিনগুলো Text ছাড়া অন্য ফরম্যাটে থাকা(যেমন ফ্ল্যাশ ফরম্যাট) ওয়েবপেইজগুলো খুঁজে পায় না!

আপনার প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই সমস্ত সাইটে ঢুকতে পারবেন না। এরা ইন্টারনেটের সমস্ত প্রথার বাইরে অবস্থান করে, অগ্রাহ্য করে সকল নিয়ম কানুনকে। আর এদের ঠিকানাও থাকে এতটাই উদ্ভট প্রকৃতির যেমনঃ sdjsdhsjhsuyumnsdxkxcoioiydsu67686hsjdhjd.onion যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো মনে রাখা খুবই কঠিন। এই অংশটিই ইন্টারনেটের প্রকৃত অদৃশ্য অংশ। বিশেষ কিছু জ্ঞান- দক্ষতা যেমনঃ প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কি প্রক্সি সেটিং সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি এই নেটওর্য়াকে প্রবেশ করতে পারবেননা কোন কালেই। এই অংশের আরেকটি বিশেষত্ব হল এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন যেমন .com ব্যবহার না করে “Pseudo Top Level Domain” ব্যবহার করে যা কিনা মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের অধীনে থাকে। এ ধরণের ডোমেইনের ভেতর আছে Bitnet, Onion, Free Net প্রভৃতি।

যদি আপনি ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতে চান তবে আপনার প্রয়োজন পড়বে ইন্টারনেট বিশেষ একটি ব্রাউজার, যা ইন্টারনেটে টর (TOR) ব্রাউজার নামে পরিচিত, এবং আপনি যদি এই টর ব্রাউজার ব্যবহার করেন তবেই ডার্ক ওয়েবে যেকোনো কিছু অ্যাক্সেস করতে পারবেন। কিন্তু আবার বলে রাখছি এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অবৈধ। সকল প্রকারের ব্লাক মার্কেট অবস্থান করে ডার্ক ওয়েবে। টর ব্রাউজার আপনার অ্যাড্রেসকে অনেক অনেক লোকেশনে ব্রাউজ করিয়ে তবেই কাঙ্ক্ষিত ওয়েব অ্যাড্রেসে পৌঁছে দেয়। আপনার গন্তব্যে যে ইউজার থাকে সে-ই শুধু আপনাকে ট্রেস করতে পারে। তাছাড়া এমনি যে কেউ আপনাকে ট্রেস করতে পারবে না। টর প্রথম প্রথম আবিষ্কার হয়েছিলো ইউএস নেভী’র জন্য। কিন্তু এটি বর্তমানে একদম ওপেন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা ইন্টারনেট জগতে জালের মতো ছড়িয়ে আছে এই ডার্ক ওয়েব এবং একে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ডার্ক ওয়েব ধীরে ধীরে বন্ধ করছে। কিন্তু এখনও ডার্ক ওয়েবের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে আমি বলবোনা যে একদম টর ব্রাউজারই ব্যবহার করবেন না। টর ব্রাউজার আপনি ভিপিএন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং এটির মাধ্যমে সার্ফেস ওয়েব ও ডীপ ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। ভুলেও কিন্তুক আন্দাজে ডার্ক ওয়েবের দিকে পা বাড়াবেন না।

আহেন চলেন তাইলে আইজক্যা টর্চ লাইট দিয়া খুঁইজ্যা নেই ডার্ক ওয়েবের ডার্ক সাইটগুইল্যা। হেরবাদে ঐড্যা নিয়া কিছু স্টাডি করি। হ্যারপরদ্যা নাহয় আন্ধার জগতে ঢুকা যাবে। যারা জানেননা ডার্ক ওয়েব কী তাদেরকে বলে রাখি ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের সেই অংশ যেটা আগেও একবার কইছি ভিজিবল ওয়েবের চেয়ে ৫০০ গুণ বড় যেখানে আপনি চিরাচরিত স্বাভাবিক উপায়ে ভিজিট করতে পারেননা- পারবেনওনা।
৫০০ গুন বড় শুনে যারা ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন তাদের বলি মুড়ির ঠোঙা রেখে একটু ঢুকে দেহেন ডার্ক ওয়েবে। তার পর বলবেন মামা কী খেইলটাইনা দেখাইলা !!!

কী হয় ডার্ক ওয়েবে ???

হি হি হি হি হি . . . !!!

এইটা কী জিগাইলেন মাম্মা ??? আগে কিন্তুক এ্যাকবার কইছি !!!
ডার্ক ওয়েবে কী হয়না তাই কন। এইহানে সবই হয়। সব। গাঞ্জা, হেরোইন থেকে শুরু করে এ.কে. ৪৭, রকেট লাঞ্চার, সুপারী কিলার সুপারী হ্যাকার,  সবই পাওন যায় এহানে।
এইইানে যে পরিমাণ হ্যাকিং টেকনিক রমরমিয়ে বিক্রি হয় তা সাধারণত দৃশ্যমান ওয়েবে আফনের মাথা সারাডা জীবন কুটলেও পাবেন না। রয়েছে নিষিদ্ধ বই ও দ্রব্যের সম্ভার। মুখে কিছু কমু না। চুপচাপ নিচের লিঙ্কগুলা ক্লিক কইরা দেইখ্যা আসেন অথবা নিচের ছবিগুল্যা দ্যাখলে নিজেই বুঝবার পারবেন কীসের হাট বাজার এহানে বসে !!!

a

 

b

 

c

 

d

 

e

পিকচার ১

পিকচার ২

পিকচার ৩

পিকচার ৪

পিকচার ৫

কী বুঝলেন বাইসাব ?

পিলে চমকাইয়া গ্যাছে ???
চলেন এইবার অন্ধকার ওয়েবের উপর টর্চ লাইট দিয়া আলোকপাত করি।

কী মাম্মা ভয় পাইছেন ? ফায়ারফক্স খুলবার লাগছেন। হে হে হে হে হে . . . !!!

চিপাগলিতে কি ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ দৌঁড়াইতে পারে ??? চলেন উহারে দৌঁড়ানী দিয়া ইট্টু ছিপছিপা দাবাং কপ বানাইয়া ফালাই। ফায়ারফক্সের আন্ধা চোখ দিয়্যা ডার্ক ওয়েবের কুনু সাইটের একটা এলিমেন্টও দ্যাখা যাইত ন’। দেখতে চাইলে আফনেরে টর (TOR- The Onion Router) ব্রাটব্রাউজারখান ওপেন করতে হইবেক !

টর ব্রাউজার ফায়ারফক্সের উপর কাজ করে। টরের ডার্ক ওয়েবে যাওয়ার ক্ষমতা আছে কিন্তু ফায়ারফক্সের নাই।

তো আহেন টর ব্রাউজারটা আগে ডাউনলোডাই . . .

টর ডাউনলোডাইতে . . .

 

টর ইনস্টল করার পদ্ধতি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

 

বিল গেটসের মামারা ক্লিক করেন এইখানে (windows)

পেঙ্গুইনের চাচারা এইখানে ক্লিক করেন (Linux)

*** Those links won’t work anymore. So I’m providing the new link for download. But I’m not removing those lines because of fun which are made by those two line.
Thank you…

Click here to download…

Click This Link

এইবার ইনস্টল দিয়া ফেলান। দেখেন স্টার্ট টর ব্রাউজার বলে একটা আইকন পাবেন। ডবল ক্লিক দিয়া ফালান।
খুলছে টর ব্রাউজার ???

আগেই কইছি কথা কম কাজ বেশি। বড় বড় ক্যারানীরা মানে যারা ঘোড়া ডেঙ্গাইয়া ঘাস খান আরহী, তারা নিজ দায়িত্বে যা ইচ্ছা তা করতে পারেন, আমার কুনু গপ্প নাই- দায় দায়্ত্বিও নাই। তয় আবারো কইত্যাছি মুনে রাইখ্যেন এইড্যা কিন্তুক ফেসবুক চালানী না। আর এইড্যা কিন্তুক ফেসবুকে দে’য়া কীবোর্ডের 100টি ব্যবহার জাতীয় টিপসওনা !!!
যাউকগ্যা আ্যাড্রেসবার-এ নিচের আ্যাড্রেসটা দিয়া এন্টার মারেন তো মামা ???

http://silkroadvb5piz3r.onion/

লগইন পেজ খুলছে ???

চুপে চামে একটা একাউন্ট রেজিস্ট্রার করেন হ্যারবাদে লগ ইন কইরা ফ্যালান। তারপর কী করতে হইব আমি আর কিছু কমু না . . . ! পাগলা ঘোড়ার উফড়ে উডাই দিছি এ্যাহন ঠ্যালা সামলাইতে হইবেক আফনের নিজেরই।
কিহ ??? আরো ডার্ক সাইটের আরোও এ্যড্রেস চাচ্ছেন ??? কী ভাবতাছেন ??? গুগলাইবেন ???
আরে রাহেন মিয়া। গুগুলের বাপ-দাদা চৌদ্দ গুষ্টিরও ক্ষেমতা নাই ডার্কওয়েবের এ্যকটা সাইটের আ্যাড্রেস খুঁইজ্যা বাইর করন।  তাইলে উফায় ??? নো ব্রাদার, চিন্তায় মাথা চুলকাইয়েননা মামা। আঙুলের আঘাতে দু’চারটা উকুন মারা গেলে তখন আবার উকুনাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে পড়বেন।

এই নেন ইন্টারনেটের কালো দুনিয়ার সার্চইঞ্জিন . . .

ডিপ সার্চ

টর্চ

 

যারা সার্চাইতে ভয় পাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু লিংক দিলাম-

দ্য হিডেন উইকি

অ্যাপেলের আইফোন ৫ দাম ৩৩০ ডলার
অ্যাপেলের আইপ্যাড উইথ রেটিনা ডিসপ্লে দাম ৩৫০ ডলার
বিশ্বাস হয় না ??? নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন…

এইহানে খোঁচা মারেন

আমেরিকার সিটিজেনশিপ চান বিনা ঝামেলায় ??? দাম ১০০০০ ডলার
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন…

এইহানে

ইউ.কে. পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চান ???
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন . . .

এইহানে

অথবা

এইহানে

কাউরে ডলা দিতে হবে ??? প্রফেশনাল হ্যাকার ভাড়া চান ???
নিচের অ্যাড্রেসে গুতা দেন . . .

এইহানে

নেদারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইত্যাদি দেশের পাসপোর্ট, আইডেনটিটি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার ???
নিচের অ্যাড্রেসে খোঁচা মারেন . . .

এইহানে

আরো লাগবে এইরকম আকর্ষনীয় সাইটের লিঙ্ক ???

এই অ্যাড্রেসে গুতা দিলেই পাবেন ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজানো প্রচুর লিঙ্ক . . .

অথবা

এই অ্যাড্রেসে গুতা দিলেও পাবেন ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজানো প্রচুর লিঙ্ক . . .

পরিশেষে আবারও বলি, সার্চ ইঞ্জিন ইউজ করেন। তাইলে দেখবেন নিজেই হঠাৎ একদিন এমন সব জিনিষ খুঁইজ্যা পাইয়্যা গ্যাছেন যে নিজেকে ভাস্কো-দা-গামা মুনে হবে!!!

মাইণ্ড খাইয়েননা।
ইট্টুসখানি মজা করলাম আরহি।

*** এইসব আকাম-কুকামগুইল্যা করার সময় নিজের ম্যাক অ্যাড্রেস চেঞ্জ করে নিতে ভুলবেন না কিন্তুক! নেটকাট নামে একটা সফট্ওয়্যার আছে যা খুব ভালো ভাবে আফনের মেশিনির ম্যাক এড্রেন চেঞ্জ করে দিবে এবং এটি ফ্রী।(নেটকাটের আরও অনেক গুণ আছে বিশেষ করে নিজের নেটওয়ার্কের ভিত্রে কাউরে ডলা-ছ্যাঁচা দিতে খুবই কামের। এই ব্যাপারে পরে কুনুদিন টাইম পাইলে কমুনে।) এখন ডাউনলোড লিঙ্ক নেন . . .

এইড্যাই ডাউনলোড লিংক

*** লিনাক্স ইউজাররা নেটকাটের বদলে টাস্ককাট ইউজ কইরেন।
*** কোথাও ইমেইল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর অথবা পোস্টাল অ্যাড্রেস দিবেন না। নিতান্তই দরকার হলে আমনের সচরাচর ব্যাবহার্য ই-মেইল অ্যাড্রেসটি দেবেন না, নতুন একটি  ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরী করে দেয়েন।

সাইটগুল্যা ভিজিট করলে বা দেখলে কোন প্রবলেম নেই। খুব বেশি কিছু হবে না। ম্যাক্সিমাম কিছু হলে ই-মেইল হ্যাক, পিসি হ্যাক, আপনার আইডেনটিটি হ্যাক হতে পারে। বাট উপরোক্ত সতর্কতা অবলম্বন করলে এই অসুবিধাগুল্যাও হবার কথানা।

কিন্তু মামা যদি আপনি ইললিগ্যাল কুনু কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তখন অনেক কিছুই হতে পারে, মায় ইন্টারপোলের ওয়ারেন্ট পর্যন্ত।

তবে আবারও বলি সাইট ভিজিট করা একটু আধটু জিনিসপত্র কেনাকাটা করলে সমস্যা নাই। এ্যকদম কুনু সমস্যা নাইক্যা। তাই বলে কিন্তু ড্রাগস, আর্মস কেনার কথা বলছিনা। তাহলে কিন্তু লঙ্কাকাণ্ড বাধারও সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।
ডার্কওয়েবে ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়নের Pseudo-top-level-domain হল .onion আর এর সাইটগুলোর ঠিকানা ভূতুড়ে! মূলতঃ মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। অনিয়নে আপনার ব্রাউজার দিয়ে ঢুকতে পারবেননা, এজন্য আপনাকে অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে Tor ব্রাউজার।

এই দুনিয়াটি বরাবরই আলাদা! আপনি জীবনে যা কখনোও কল্পনাই করেননি তা-ই পাবেন এখানে। হয়তো কখনো কল্পনাই করেননি যে সাইটে পাসওর্য়াড বাদে ঢুকা সম্ভব, দেখবেন তাই এখানে অহরহ হচ্ছে। এমন বিষয় পাবেন যা আপনার মাথাও গুলিয়ে দিতে পারে। উইকিলিকস ঘোষণা করেছে যে এ বছর তারা আরো নতুন ডেটা প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনিই হয়তো বিস্ময়ভরে দেখতে পারবেন উইকিলিকস এর সেই সমস্ত ডেটা এই ডার্ক ওয়েবে আছে অনেক আগে থেকেই। যেকোন বইয়ের একদম লেটেস্ট এডিশন যা কিনা সারফেস ওয়েবে কপিরাইট ল’এর কারণে নেই তা দেখবেন এখানে দেদারসে আদান প্রদান হচ্ছে।

আরো আছে বিকৃতরুচির বিনোদোন! শিশু পর্ণোগ্রাফি থেকে শুরু করে নানা ধরনের Genital Mutilation -এর ভিডিও যা কিনা সারফেস ওয়েবে নেই, তা এখানকার হট টপিকস।

এমন কিছু সাইট আছে যেখানে মার্জুয়ানা, হেরোইন থেকে শুরু করে সব ধরণের মাদক হোম ডেলিভারী দে’য়া হয়। ডার্কনেটের মূল ব্যবহারকারী মূলত মাদকাসক্তরাই।

 

—————————————————————————————————————————————-

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচিত ও সমধিক পরিচিত ডার্ক ওয়েব / ডীপ ওয়েবের অনলাইন গেম “ব্লু হোয়েল” সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

—————————————————————————————————————————————-

 

আবার কিছু সাইট আছে যেখানে কট্টরপন্থী গ্রুপগুলো শিক্ষা দিচ্ছে কিভাবে গোলা বারুদ বানাতে হয়, কিছু সাইটেতো রেডিমেড অস্ত্রই বিক্রি হয়। একে৪৭ থেকে শুরু করে রকেট লাঞ্চার, মর্টারের মত অস্ত্রও কিনতে পাওয়া যায়।”

এই লেখার কিছু অংশ নে’য়া হয়েছে কয়েকজন ব্লগারের পোস্ট থেকে। বিশেষ করে ইমন ভাই’র “THE BLACK-WEB”: মায়াজালে ঘেরা ইন্টারনেটের রহস্যময় অন্ধকারজগত থেকে। লেখাটি দেখার পর থেকেই আমি চেষ্টা করতে থাকি কী করে ঐ অজানা ও অবৈধ ইন্টারনেটের জগত থেকে ঘুরে আসা যায় !!! বেশ ক’দিন আগে রাতকে রাত আর দিনকে দিন না বলে খাওয়া দাওয়া চূলোয় তুলে প্রথম যখন সফল হই তখনই ভয় ও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে হয়ে যাই।

প্রসঙ্গক্রমে একদিন ক্লাসে বিষয়টির অবতারণা হলে একজন শিক্ষার্থী আমাকে এ বিষয়ে বিস্তারি জানতে চেয়ে প্রশ্ন করল এবং তারও বেশ ক’দিন পর নিয়মিত একটি আড্ডায় একজন স্যার প্রসঙ্গটি উঠালে অনুপ্রাণিত হই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।

বিঃ দ্রঃ লেখাটি শুধুমাত্র এডুকেশন পারপাস নিছক একটি ইনফরমেশনাল পোস্ট। যেখানে আমি আলোচনা করে শুধুমাত্র ধারণা দিতে চেয়েছিমাত্র ডীপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে। লেখাটি আপনি কেবলমাত্র জানার শেখার জন্য বারবার পড়তে পারেন- ব্যবহার করতে পারেন। কখনোও সিরিয়াসলী ডার্ক ওয়েব ভিজিট করতে চাইলে নিজ দায়িত্বে করবেন, এটি আমার একান্ত অনুরোধ। ডার্ক ওয়েবে আপনার অসতর্ক ব্যবহারে আপনি অনাকাঙ্খিত কোন বিপদাপদ, ঝামেলা বা ক্ষতির সম্মুখীন হলে আমি মোটেও দায়ী নই।

 

যাই হোক, লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন এবং
আইসিটি বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন।

লেখাটির তথ্য সুত্রঃ
Somewherein Blog, ওয়ার্ল্ডক্রাঞ্চ, উইকিপিডিয়া, বিবিসি, ডিসকভারি, ডেইলিমেইল ইত্যাদি
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ ইমন ভাই

________________________________________

শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ
www.compuartsdigital.com
_______________________________________________________________________

বাসমাশিস -এর ২৫ তারিখের মিটিংয়ের
একটি পর্যালোচনা

_______________________________________________________________________

ডিজিটাল কন্টেন্ট ফ্রী সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন-
01711 353 363
====================================================================
সকল সংবাদপত্রগুলির লিংক
====================================================================
প্রয়োজনীয়, জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু যোগাযোগ নম্বরের লিংক
====================================================================
শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২
====================================================================
অভ্র বা বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেট জগতে অতি সহজে বাংলা লেখার উপায় . . .
====================================================================
যারা অভ্রতে লেখেন তারা ক্লিক করতে পারেন লিংকটিতে
====================================================================
একহাজার . . . একটি টিপস
====================================================================
ঘুরে আসুন ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ার ডীপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব সাইটগুলো থেকে।
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ১
====================================================================
ইংরেজি বিষয় সহ জেনে নিন প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ২
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৩
====================================================================
জেনে নিন ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মজার কিছু তথ্য . . . ৪
====================================================================
[/fusion_text][/fusion_builder_column]